নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালিখি, পড়তে ও ঘুরতে ভালো লাগে। ফেসবুকঃ facebook.com/SumanGeo

সুমন রহমান

সারাটা জীবন এক উন্মাদ অবিশ্রান্ত বৃষ্টির সঙ্গে রাত কাটাই। অপূর্ব সকালে সে বেহেড মাতাল, আর পায়ে পায়ে কাঁপে তার দিকচক্রবাল; সে আকাশে মাথা দেয়, বিকেলের জঙ্গলে তার ছায়া পড়ে, নাড়ীর ভেতরে সে হাত দিয়ে বের করে আনে প্রমুখ কম্বল। আমি সে যে আমি আমি উত্তাল অন্তর্যামী।

সুমন রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বরেন্দ্র অঞ্চলে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (পর্ব ২)

২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১২


বরেন্দ্র অঞ্চলে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (পর্ব ১)
প্রকল্প ভাবনা বিষয়ক প্রাসঙ্গিকতা এবং সম্ভবনা

বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ - সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থার (আইডব্লিউআরএম) বৈধ কাঠামোগত দিয়েছে। কিন্তু সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থা বাস্তবতা থেকে বহুদূরে রয়েছে। এমনকি বৈশ্বিক ইউএন ওয়াটার রিপোর্ট ২০১২ অনুসারে (সিদ্ধান্ত গ্রহনকারীদের অবস্থান, রিপোর্ট, রিও+২০ কনফারেন্ড) ৮০% দেশ (বাংলাদেশ অর্ন্তভূক্ত) সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি দৃঢ়ভাবে করতে হবে। এটা স্বীকৃত যে, ব্যাপক বৈচিত্র্য প্রত্যেক দেশগুলোকে পানি ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে বর্তমান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বিষয়ে। বাংলাদেশ বর্তমান সেক্টর কেন্দ্রিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ..... বিভক্ত - একটি সেক্টর অন্য সেক্টরের প্রতি সংবেদনশীল নয়। অধিকন্তু, পানি ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্রোচটি হলো ধারাবাহিক চাহিদা নির্ভর। কারিগরী এবং উপর থেকে নীচ অ্যাপ্রোচ নির্ভর। ফল স্বরূপ অটেকসই অধিক অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং বাসস্থানিক মূল্য দিতে হয়। সুতরাং সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ধারণাটি পূর্বতন পানি উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি দ্বারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার/ঝুঁকির মুখোমুখি হবে।

সাম্প্রতিক আইডব্লিউআরএম প্রচেষ্টার কেন্দ্র হলো বৃহৎ আকারে নদী কেন্দ্রিক ইস্যু এবং আন্তঃসীমানা ব্যবস্থাপনা। এটি ক্যাচমেন্ট/ওয়াটারসেড পর্যায়ে যে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইস্যুকে উত্থাপন করা এবং এর প্রয়োজনীয়তাকে সাড়া/বাস্তবায়ন করা, যাতে টেকসই পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা অর্জিত হয় এবং সর্বোচ্চ উন্নয়ন ফলাফল আনা যায়। প্রাপ্য পানি যে স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহনমূলক উপায় ব্যবহারের ধীরগতি কারণ হলো সচেতনতার অভাব, টুলস্ এর অপ্রাপ্ততা এবং স্থানীয় পর্যায়ে আইডব্লিউআরএম পদ্ধতি বাস্তবায়নের সম্ভবপর করা। তদানুসারে, ” জিরো ড্রাপট” যে চাহিদার উপর জোর দেয় তা হলো উপ-ক্যাচমেন্ট/ওয়াটারসেড পর্যায় এবং একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা এবং প্রয়োজনীয় সচেতনতার উন্নয়ন, এটা অধিকন্তু চিহিৃত করবে চাহিদাকে প্রাতিষ্ঠানিক এবং বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রেক্ষাপট যেখানে বহু স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ থাকবে। অধিকন্তু, সিদ্ধান্ত যে প্রকল্পটি বরেন্দ্র এলাকার প্রেক্ষাপটে যেখানে পানির প্রচন্ড অপর্যাপ্ততা রয়েছে। গত পঁচিশ বৎসরে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থার নাটকীয়ভাবে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার বেড়ে গেছে। ফল স্বরূপ বারিন্দ্র এলাকার ৩০% নলকূপ ৫/৬ মাস পানি পাওয়া যায় না। অন্য দিকে, বারিন্দ্র এলাকায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রেক্ষাপট ইউনিয়ন/পৌরসভাকে নেয়া যেতে পারে সুশাসন কেন্দ্রিক সহযোগিতা উদ্যোগ এবং উদ্ভাবন হতে পারে আইডব্লিউআরএম সম্পর্কিত পদ্ধতি এবং ব্যবস্থা।

জাতীয় পানি নীতিমালা - ১৯৯৯, সর্ব প্রথম আইডব্লিউআরএম বিষয়কে আলোকপাত করে প্রতিষ্ঠা করে বহু সেক্টর ভিত্তিক পানি চাহিদাসমূহ সীমাবদ্ধ সম্পদ দ্বারা, কার্যকর ও সামাজিক দায়বদ্ধতা ভিত্তিক পানির ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেয়। সরকারি ও ব্যক্তিগত ভূমিকা ও দায়িত্বগুলো নির্দিষ্ট করে। তার বিকেন্দ্রীকরণ করে প্রয়োজনানুসারে। আনুসঙ্গিকভাবে নীতিগত নির্দেশনা ও কার্যকর করার জন্য সরকার জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (এনডব্লিউএমপি) ২০০১ সালে তৈরি করে। ইহা একটি কাঠামো দেয় যেখানে সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও তাদের কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে সমন্বয়ভাবে। যা হোক, বাংলাদেশ পানি আইন (২০১৩) সার্বিক তার সমন্বিত বৈধ কাঠামো তৈরি করে সমগ্র দেশব্যাপী পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার জন্য। আইনটি সম্মিলিত উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন, বিতরণ, ব্যবহার, সুরক্ষা এবং বাংলাদেশের পানি সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করে। এটা শুরু থেকেই আন্তঃ যোগাযোগ পরিকল্পনাসমূহ তার নীতিমালাসমূহের চূড়ান্ত রূপ হচ্ছে বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩। অর্থাৎ আইডব্লিউআরএম প্রাসঙ্গিক, আইনসিদ্ধভাবে প্রাপ্তি ঘটেছে।

এই প্রকল্পটি স্বীকৃত দেয় যে, ঐ সকল চাহিদাকে প্রদর্শিত করা, বুঝা এবং এমনি কি প্রাতিষ্ঠানিকরণে সুশাসনে বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে খাপ খাওয়ানো। একটি ভাল সক্ষমতা উন্নয়ন পদ্ধতি নয় তার সাথে আর্থিক ব্যবস্থাপনা। প্রকল্পের অনুদান বন্দোবস্ত প্রদর্শনী ও ব্যবহারে সক্ষমতা তৈরি করে এবং নতুন ওয়াটসান অবকাঠামো তৈরিতে যা অর্জিত হবে সমন্বিত পরিকল্পনা এবং মালিকানা হলো উদ্দীপক ভিত্তিক আইনগত কাঠামো, যা উৎসাহ দিবে, সূদূঢ় করবে, এমনকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভাল শিখন সমূহ যা ব্যবস্থাকে স্বীকৃত ও পুরস্কৃত করবে। এরূপ প্রকল্প “Supporting IWRM in Barind Area” শুধুমাত্র প্রাসঙ্গিক নহে কিছুটা কৌশলগত অবস্থানও বাংলাদেশের জন্য।

দূশ্যমান কৌশলগত অ্যাপ্রোচ সম্পর্কিত পদ্ধতি ও তার নীতিসমূহ

বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ টি ধারণ করেছে বহুমূখী উপাদান, প্রাতিষ্ঠানিক এবং স্টেকহোল্ডারদের সমভয়তা। এটা এমন একটি অ্যাপ্রোচ প্রতিষ্ঠা করেছে যা সময় মতো খরচ সাশ্রয়ী এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য। অধিকন্তু, এটা যে সমস্ত ইস্যুকে আলোকপাত করে সম্পর্কযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক আইন এবং কার্যপন্থা দ্বারা যা ভঙ্গুর, সেক্টবাল এবং কার্যকর IWRM নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত।
ব্যবস্থাপনা উপকরণ যে সরকারের ধারাবাহিক চাহিদা নির্ভর, কারিগরী ও কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা। যা হোক পানি আইন কার্যকর পরিবেশবান্ধব কাঠামো। এটা গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন উপ-জাতীয় সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপন যে অনুমোদন করে সহযোগিতামূলক সিদ্ধান্ত গ্রহনে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পানি সুশাসনে। এটা প্রায়শই দেখা যায় যে, ভাল রাজনৈতিক সদিচ্ছা সত্ত্বেও ইউনিয়ন/পৌরসভা পর্যায়ের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার অভাবে এ সকল সীমাবদ্ধতা হচ্ছে পর্যাপ্ত কর্মী বাহিনী, আর্থিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা। অধিকন্তু, কার্যকর IWRM বাস্তবায়েেনর জন্য যা দরকার তা হচ্ছে-
১. সকল স্টেকহোল্ডারদের IWRM নীতিমালা, ধারণা এবং বাস্তবায়ন/কার্যকর পদ্ধতিতে অর্ন্তভূক্ত করা।
২. সমন্বয়ের প্রতিকূলতা সমূহঃ সেক্টবাল ও কারিগরী অ্যাপ্রোচের কারণে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে
৩. “কিভাবে জানবো” থেকে “কিভাবে করবো” অর্জন করব। ইউনিয়ন/পৌরসভাকে ইনসেনটিড বেইজ রেগুলেটরী কাঠামো তৈরি এবং পানি সুশাসন এবং ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটানো।

এইভাবে, সক্ষমতা এবং সম্পদ উপাদানসমূহ- অনুদান হচ্ছে ভাল কাজের উদ্দীপক হিসাবে পুরস্কৃত করা। এটা ওডজগ এর কার্যকরী ও কার্যকরণ ব্যবস্থাপনা। সক্ষমতা উন্নয়ন উত্থাপিত একটি কৌশল এবং জ্ঞান, প্রস্তুতকরণ এবং সক্ষমতা তৈরি।
কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা, সঠিকভাবে ফলোআপ ও পর্যবেক্ষন পরিমাপ করা, সহযোগিতামূলক তত্ত্বাবধান এর শিখনসমূহ স্টেকহোল্ডারের মধ্যে কার্যকর করা। অধিকন্তু, টেকসই সমাধান পাওয়া যাবে যৌথ সমস্যা সমাধান কৌশল ও চুক্তির মধ্য দিয়ে। প্রশিক্ষণ দিতে হবে উপ-জাতীয় পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের।

সুইস রেড ক্রস এবং ডাসকো প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্ষমতা তৈরিতে। উল্লেখ ইউনিয়ন পরিষদ সমূহ, ডাসকোর ইউনিয়নভিত্তিক সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা (O&M) পদ্ধতি, নলকূপ প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, ইউপি-কে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান ; ইউপি স্টাফ ও সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি ; একচেঞ্জ ভিজিট ; অভিজ্ঞতা বিনিময় ; হরিজন্টাল লার্নিং প্রোগ্রামের আওতায় এবং নেটওয়ার্কের উন্নয়নের মাধ্যমে প্যাকটিস টু পলিসি ইনিসিয়েটিভ গ্রহণ।

IWRM উপ-জাতীয় উপাদানসমূহ ইঙ্গিত দেয় যে, বর্তমান টপ-ডাউন, চাহিদা নির্ভর সেক্টবাল অ্যাপ্রোচ থেকে নতুন যুগান্তকারী অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করবে। এই যুগান্তকারী পরিবর্তনে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তার প্রেক্ষাপট বিবেচনার, অ-কারিগরী এবং অর্ন্তভূক্তি অ্যাপ্রোচের কারণে। সবশেষে, এটা বর্তমান ইউপি ও পৌরসভার বর্তমান আইন অনুসারে। এটা ভাল সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে বিশ্বাস জন্মানো ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তথ্য ও সম্পদ ভাগাভাগির মাধমে, সত্যিকার অর্থে সমন্বিত অ্যাপ্রোচের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গিকারের। এজন্য প্রকল্পকে অত্যন্ত সর্তক থাকতে হবে ; প্রকল্প দূযোর্গ কেন্দ্রী সক্ষমতা উন্নয়ন নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে কাজ করবে। একটি সমন্বিত ব্যবস্থা তৈরি করবে- যেমন ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি - এটা ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ের সকল স্তরে, এই ক্ষেত্রে এসআরসি/ডাসকো তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবে এবং বায়লাদেশের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে মূল ধারায় নিয়ে আসবে।

IWRM ও আন্তঃ মন্ত্রণালয় সমন্বয়তা

IWRM জাতীয় এবং উপ-জাতীয় পর্যায়ের আন্তঃ মন্ত্রনালয়ের সমন্বিত Committee এর আধিক্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সমন্বয়হীনতা। স্থানীয় পর্যায়ের সমন্বয় কমিটি কাজ কওে, যখন নিত্যদিনের কাজের জন্য বাইরের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়। উপ-জাতীয় IWRM অংশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগী হবে। অনুমানযোগ্যকে সাম্প্রতিক প্রকল্প বাস্তবায়ন নির্দেশনার ধারায় স্থানীয় সরকারের সাথে ধারাবাহিক এবং পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। এই কাজের জন্য প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়াতে হতে বিশেষত ইউপির সক্ষমতা।
দু’যুগ পর ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়াটা শুভ পরিবর্তন। সকল ইউপি/পৌরসভাসমূহ উপজেলার সীমানার মধ্যে অর্ন্তভূক্ত এবং উপজেলা পরিষদের সদস্য। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণে - সিদ্ধান্ত গ্রহণে জন সম্পৃক্ততা এবং জনগণের চাহিদার অগ্রাধিকার নির্ণয়ে এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার উৎসাহে জন প্রতিনিধিদের উপজেলা পরিষদে অংশগ্রহণ গুণগত পরিবর্তনে আশা জাগায়। যদিও পরিষদ পুরোপুরি কার্যকর নয়। এটা বাস্তবিক একটি অবস্থা যা ভবিষ্যতে স্থানীয় উন্নয়নে সব সময় গুণগত পরিবর্তন আনবে। এ ধরণের প্রক্রিয়াগত অবস্থা কার্যকর প্রশাসনিকভাবে ইনসেনটিড ব্যবস্থা ; এসআরসি/ডাসকো এই কৌশলগত অ্যাপোচ এ নিম্নে বর্ণিত মূল উপাদানসমূহঃ
প্রকল্প ধারণা আলোচনাঃ- স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন দলের সাথে আলোচনা করে একটি ঐক্যমতে আসা যাতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন ভবিষ্যতের জন্য।
পানি সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও নীতিমালা নিয়ে মিটিংঃ সমন্বয়ের জন্য কার্যকর ঐক্যমত তৈরি প্রয়োজন ।
স্টেকহোল্ডার ভিত্তিক সুশাসিত ব্যবস্থাপনাঃ স্টেকহোল্ডার কেন্দ্রিক পানি সুশাসন, দক্ষতা ফ্যাসিলিটেশন এবং স্টেকহোল্ডারদের প্লাটফর্ম তৈরি সকল স্তরে যখন যেখানে প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞ অর্ন্তভূক্তির মাধ্যমে কার্যকরী ব্যবহারঃ স্টেকহোল্ডারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রমাণাদি ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিশেষজ্ঞ স্টেকহোল্ডারদের গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়াদি বুঝতে পারা ।
ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তাঃ ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা সম্পর্কিত চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা খাপ খাওয়ানো এবং টুলস ও অ্যাপ্রোচ তৈরি করা।
প্রকল্প ব্যবস্থাপনা চক্র (পিসিএম) ব্যবহার করা হবে একটি কাঠামো তৈরি আন্তঃ মন্ত্রনালয় সমন্বয়ে, এটা স্বীকৃত দেয়া যে, যে কোন সমস্যা সমাধানে একাধিক পথ রয়েছে। এসআরসি/ডাসকোর এ ধরণের আস্থা ও সক্ষমতা রয়েছে উপ জাতীয় ও জাতীয় পর্যায়ে।

Practice to policy

জাতীয় উপ- উপাদানসমূহ প্রয়োজনীয়ভাবে প্রাধান্য দেয়া একটি উন্নয়ন মডেল তৈরি করা এই বারিন্দ্র অঞ্চলের জন্য ; যা জাতীয়
নীতিমালা তৈরিতে অবদান রাখবে। প্রচেষ্টাসমূহ নির্দেশিত হবে এবং মডেল তৈরি করার কার্যকর , সংরক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা যা সহযোগী হবে ন্যায্যতা, প্রবেশাধিকার, প্রাপ্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা/আস্থা, অভিজ্ঞতা নির্দেশ করে যে বোধ হয় সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে Practice to Policy দলিলাদি ভাষান্তর কওে বিতরণ করা ভালো শিখন ও অভিজ্ঞতাসমূহ, একচেঞ্জ ভিজিট, লিংকেজ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে অভিব্যক্তিসমূহ, নাগরিক অধিকারসমূহে সচেতনতা সৃষ্টি তথ্য ও সেবা পর্যায়ে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, পরিশেষে সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করা। ডাসকোর অভিজ্ঞতা রয়েছে এইচএলপি ক্ষেত্রে। ডাসকো চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার এইচএলপি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

এসআরসি/ডাসকো রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জে Practice to Policy থেকে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাফল্যজনকভাবে IWRM ধারণা বাস্তবায়নে পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার সাথে যোগসূত্র রয়েছে এবং ভালো শিখনসমূহ এবং উপাদানকে বাস্তবায়ন এবং জাতীয় উপ উপাদানের সাথে সম্পর্কিত।

বাংলাদেশ, এসআরসি/ডাসকো ইউপি ও কমিউনিটি উন্নয়নে বিভিন্ন টুলস ও প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছে। স্বীকৃত এবং কার্যকর ডাসকো প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, NILG তা ইউনিয়ন ম্যানুয়েল এ অর্ন্তভূক্ত করেছে। অন্য উদাহরণ হচ্ছে রেগুলেটরী ফ্রেমওয়ার্ক ও টেকসই অপারেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে কমিউনিটিতে পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা। বাস্তব সেবা মডেল যা এসআরসি/ডাসকো উদ্ভাবন করেছে যা অন্য সংস্থাগুলো গ্রহণ করেছে এবং বাস্তবায়ন করছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.