নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালিখি, পড়তে ও ঘুরতে ভালো লাগে। ফেসবুকঃ facebook.com/SumanGeo

সুমন রহমান

সারাটা জীবন এক উন্মাদ অবিশ্রান্ত বৃষ্টির সঙ্গে রাত কাটাই। অপূর্ব সকালে সে বেহেড মাতাল, আর পায়ে পায়ে কাঁপে তার দিকচক্রবাল; সে আকাশে মাথা দেয়, বিকেলের জঙ্গলে তার ছায়া পড়ে, নাড়ীর ভেতরে সে হাত দিয়ে বের করে আনে প্রমুখ কম্বল। আমি সে যে আমি আমি উত্তাল অন্তর্যামী।

সুমন রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিকিম ভ্রমণ অভিজ্ঞতা (১ম পর্ব)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে স্ত্রী সহ ঘুরে আসলাম সিকিম ও দার্জিলিং। কীভাবে কম খরচে সিকিম ঘুরে আসা যায় তা ফেইসবুক ও ইউটিউব থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু প্রাক্টিক্যালি কী হলো তাই বলতে চাই।

ভিসা আবেদনঃ ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছিলাম একমাস আগেই। ট্রাভেলার্স গ্রুপের পোস্ট থেকে জেনেছিলাম ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টারে খুব ভিড়। ভিসা জমা দিতে গিয়ে দেখি- তিল ঠাই আর নাহিরে। ফিঙ্গার প্রিন্ট, চোখের আইরিশ সংগ্রহ করে বিধায় আমার স্ত্রীকেও ভিসা সেন্টারে যেতে হয়েছিলো। আবার পাসপোর্ট উঠাতেও তাঁকে ফের যেতে হয়েছিলো। আমার কাছে এটা ভীষণ প্যারা লেগেছে। আমরা দুজনই চাকুরীজীবী, ছুটির আগে আলাদাভাবে দুইদিন ছুটি ম্যানেজ করতে হয়েছিলো। ১৫ দিন পর ভিসা পাই, ৬ মাসের মাল্টিপল ভিসা। ইচ্ছে ছিলো- মিতালী ট্রেনে যাবো- যথারীতি By Rail NJP দিয়েছিলাম। কিন্তু, এমবাসি বাই রোড চ্যাংড়াবান্ধা দিয়েছে। কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। তাই ২২ তারিখ রাত ৮ টায় ঢাকা থেকে বুড়িমারি রওনা দেই আমরা দুজনে।

ইমিগ্রেশনঃ ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ বুড়িমারি পৌছালাম সকাল ৯ টায়। আমরা এসেছি এসআর বাসে। আরো অনেক বাস আসে- মানিক, হানিফ, শ্যামলী। তবে অনেকেই শ্যামলীর কথা বলে কারণ শ্যামলী ইন্ডিয়াতে ভালো চলে, এবং সরাসরি শিলিগুড়ি পর্যন্তু যায়। এসআর এ আমাদের বাস ভাড়া জনপ্রতি ৯০০ টাকা নিয়েছিলো। ইমিগ্রেশনে সময় বাচানোর জন্য আমরা ট্রাভেল ট্যাক্স সোনালী ব্যাংকে আগেই জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু সময় আর বাঁচলো কই। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা লেগেছে। কারণ হিসেবে জানতে পারি, চ্যাংড়াবান্ধা রুটে দৈনিক ইমিগ্রেশন করে ২০০-৩০০ জন। কিন্তু সেদিন হয়েছিলো ৩০০০ জন। ফলে এক বিচ্ছিরি অবস্থা। সারাটা দিন লাইনে দাড়াতে হয়েছে। ভ্রমণের মজা সাঙ্গ হয়েছিলো এখানেই। প্লান ছিলো সকাল ১১ টার মধ্যে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে সরাসরি দার্জিলিং যাবো। কিন্তু, রাত নয়টায় মুক্তি পেয়ে প্লান চেঞ্জ হলো। রাতে আমরা শিলিগুড়িতে থাকলাম এবং পরদিন সকালে দার্জিলিং এর বদলে সিকিম যাওয়ার প্লান করলাম। যে হোটেলে ছিলাম, হোটেলওয়ালা বললো- "আপনারা ঠিক করেছেন। দার্জিলিং এ কিচ্ছু নাই। সিকিম যান।"

পরের পর্বেঃ গ্যাংটক-সিকিম যাত্রা



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.