নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য...

. আমার নাইবা হলো পারে যাওয়া...

সুরঞ্জনা

আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।

সুরঞ্জনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

টুনটুনি ও রাজার গল্প...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৫





সেই ছেলেবেলাইয় পড়া, শোনা গল্পগুলি আজও আমায় তেমনই আকর্ষন করে, যেমনটি করতে শৈশবে। আজকালকার বাচ্চারা কি এসব গল্প শোনে? পছন্দ করে?

যারা এখনও এসব গল্প ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই পোস্ট। :)

******

রাজার বাগানের কোণে টুনটুনির বাসা ছিল। রাজার সিন্দুকের টাকা রোদে শুকুতে দিয়েছিল, সন্ধ্যার সময় তার লোকেরা তার একটি টাকা ঘরে তুলতে ভুলে গেল।

টুনটুনি সেই চকচকে টাকাটি দেখতে পেয়ে তার বাসায় এনে রেখে দিলে, আর ভাবলে, ‘ঈস! আমি কত বড়লোক হয়ে গেছি। রাজার ঘরে যে ধন আছে, আমার ঘরে সে ধন আছে!’ তারপর থেকে সে খালি এই কথাই ভাবে, আর বলে-

রাজার ঘরে যে ধন আছে

টুনির ঘরেও সে ধন আছে!

রাজা তাঁর সভায় বসে সে কথা শুনতে পেয়ে জিগগেস করলেন, ‘হ্যাঁরে? পাখিটা কি বলছে রে?’

সকলে হাত জোড় করে বললে, ‘মহারাজ, পাখি বলছে, আপনার ঘরে যে ধন আছে, ওর ঘরেও নাকি সেই ধন আছে!’ শুনে রাজা খিলখিল করে হেসে বললেন, ‘দেখ তো ওর বাসায় কি আছে?’

তারা দেখে এসে বললে, ‘মহারাজ, বাসায় একটা টাকা আছে।’

শুনে রাজা বললেন, ‘সে তো আমারই টাকা, নিয়ে আয় সেটা।’

তখুনি লোক গিয়ে টুনটুনির বাসা থেকে টাকাটি নিয়ে এল। সে বেচারা আর কি করে, সে মনের দুঃখে বলতে লাগল-

‘রাজা বড় ধনে কাতর

টুনির ধন নিলে বাড়ির ভিতর!’

শুনে রাজা আবার হেসে বললেন, ‘পাখিটা তো বড় ঠ্যাঁটা রে! যা ওর টাকা ফিরিয়ে দিয়ে আয়।’

টাকা ফিরে পেয়ে টুনির বড় আনন্দ হয়েছে। তখন সে বলছে-

‘রাজা ভারি ভয় পেল

টুনির টাকা ফিরিয়ে দিল।’

রাজা জিগগেস করলেন, ‘আবার কি বলছে রে?’

সভার লোকেরা বললে, ‘বলছে যে মহারাজ নাকি বড্ড ভয় পেয়েছেন, তাই ওর টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন।’

শুনে তো রাজামশাই রেগে একেবারে অস্থির! বললেন, ‘কি, এত বড় কথা! আন তো ধরে, বেটাকে ভেজে খাই!’

যেই বলা, অমনি লোক গিয়ে টুনটুনি বেচারাকে ধরে আনলে। রাজা তাকে মুঠোয় করে নিয়ে বাড়ির ভিতর গিয়ে রানীদের বললেন, ‘এই পাখিটাকে ভেজে আজ আমাকে খেতে হবে!’

বলে তো রাজা চলে এসেছেন, আর রানীরা সাতজনে মিলে সেই পাখিটাকে দেখছেন।

একজন বললেন, ‘কি সুন্দর পাখি! আমার হাতে দাও তো একবার দেখি।’ বলে তিনি তাকে হাতে নিলেন। তা দেখে আবার একজন দেখতে চাইলেন। তাঁর হাত থেকে যখন আর-একজন নিতে গেলেন, তখন টুনটুনি ফসকে গিয়ে উড়ে পালাল।

কি সর্বনাশ! এখন উপায় কি হবে? রাজা জানতে পারলে তো রা থাকবে না।

এমনি করে তাঁরা দুঃখ করছেন, এমন সময় ব্যাঙ সেইখান দিয়ে থপ-থপ করে যাচ্ছে।

সাত রানী তাকে দেখতে পেয়ে খপ করে ধরে ফেললেন, আর বললেন, ‘চুপ চুপ! কেউ যেন জানতে না পারে। এইটেকে ভেজে দি, আর রাজামশাই খেয়ে ভাববেন টুনটুনিই খেয়েছেন!’

সেই ব্যাঙটার ছাল ছাড়িয়ে তাকে ভেজে রাজামশাইকে দিলে তিনি খেয়ে খুশি হলেন। তারপর সবে তিনি সভায় গিয়ে বসেছেন, আর ভাবছেন, ‘এবারে পাখির বাছাকে জব্দ করেছি।’

অমনি টুনি বলছে-

‘বড় মজা, বড় মজা,

রাজা খেলেন ব্যাঙ ভাজা!’

শুনেই তো রাজামশাই লাফিয়ে উঠেছেন। তখন তিনি থুতু ফেলেন, ওয়াক তোলেন, মুখ ধোন, আরো কত কি করেন। তারপর রেগে বললেন, ‘সাত রানীর নাক কেটে ফেল।’

অমনি জল্লাদ গিয়ে সাত রানীক নাক কেটে ফেললে।

তা দেখে টুনটুনি বললে-

‘এই টুনিতে টুনটুনাল

সাত রানীর নাক কাটাল!’

তখন রাজা বললেন, ‘আন বেটাকে ধরে! এবার গিলে খাব! দেখি কেমন করে পালায়!’

টুনটুনিকে ধরে আনলে।

রাজা বললেন, ‘আন জল!’

জল এল। রাজা মুখ ভরে জল নিয়ে টুনটুনিকে মুখে পুরেই চোখ বুজে ঢক করে গিলে ফেললেন।

সবাই বললে, ‘এবারে পাখি জব্দ!’

বলতে বলতেই রাজামশাই ভোক্‌ করে মস্ত একটা ঢেকুর তুললেন।

সভার লোক চমকে উঠল, আর টুনটুনি সেই ঢেকুরের সঙ্গে বেরিয়ে এসে উড়ে পালালো।

রাজা বললেন, ‘গেল, গেল! ধর্‌ ধর্‌!’ অমনি দুশো লোক ছুটে গিয়ে আবার বেচারাকে ধরে আনলো।

তারপর আবার জল নিয়ে এল, আর সিপাই এসে তলোয়ার নিয়ে রাজা মশায়ের কাছে দাঁড়াল, টুনটুনি বেরুলেই তাকে দু টুকরো করে ফেলবে।

এবার টুনটুনিকে গিলেই রাজামশাই দুই হাতে মুখ চেপে বসে থাকলেন, যাতে টুনটুনি আর বেরুতে না পারে। সে বেচারা পেটের ভিতরে গিয়ে ভয়ানক ছটফট করতে লাগল!

খানিক বাদে রাজামশাই নাক সিঁটকিয়ে বললেন, ‘ওয়াক্‌।’ অমনি টুনটুনিকে সুদ্ধ তাঁর পেটের ভিতরের সকল জিনিস বেরিয়ে এল।

সবাই বললে, ‘সিপাই, সিপাই! মারো, মারো! পালালো!’

সিপাই তাতে থতমত খেয়ে তলোয়ার দিয়ে যেই টুনটুনিকে মারতে যাবে, অমনি সেই তলোয়ার টুনটুনির গায়ে না পড়ে, রাজামশায়ের নাকে পড়ল।

রাজামশাই তো ভয়ানক চ্যাঁচালেন, সঙ্গে-সঙ্গে সভার সকল লোক চ্যাঁচাতে লাগল। তখন ডাক্তার এসে ওধুধ দিয়ে পটি বেঁধে অনেক কষ্টে রাজামশাইকে বাঁচাল।

টুনটুনি তা দেখে বলতে লাগল-

‘নাক-কাটা রাজা রে।

দেখ তো কেমন সাজা রে!’

বলেই সে উড়ে সে-দেশ থেকে চলে গেল। রাজার লোক ছুটে এসে দেখল, খালি বাসা পড়ে আছে।







গল্পঃ উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী।

মন্তব্য ১২৬ টি রেটিং +৪০/-০

মন্তব্য (১২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৪

বড় বিলাই বলেছেন: amar khub pochonder golpo eta ar ei lekhoker aro shob golpo. Aro share korben apu. Shob revise hoye jabe. :)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

সুরঞ্জনা বলেছেন: উপেন্দ্র কিশোরের সবগুলো গল্প ছড়াই কিন্তু খুব সুন্দর!!!
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ছোট বেলার গল্প :) :)
ভাল লাগল দিদি। শুভেচ্ছা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: নতুন প্রজন্মেরও যেন ভালো লাগে সে ব্যাবস্থা করতে হবে আমিনুল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ভালো থাকুন।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৯

ডেইফ বলেছেন: ছোটবেলার কথা মনে হল। নানু আমাদের এই গল্পগুলো শোনাতো অনেক।
ভাল লাগলো পোস্টটি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ভালো লাগা জেনে খুব ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ ডেইফ।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৪

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: :D :D

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪১

সুরঞ্জনা বলেছেন: :) :) :)

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৫

সুখসাগর বলেছেন: ছোট বেলার গল্প :)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: হুমম ছোটবেলার গল্প। :)

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৭

কেএসআমীন বলেছেন: সেই কবে উপেন্দু বাবু এই গল্প লিখেছিলেন...

আমাদের দেশের রাজাদের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে

অনেক ধন্যবাদ

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

সুরঞ্জনা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কেএসআমীন।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২১

কর্ন বলেছেন: আমার খুবই প্রিয় গল্প

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: বাহ! এটা দেখছি অনেকেরই প্রিয় গল্প।
ধন্যবাদ কর্ণ।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪০

কেএসআমীন বলেছেন: গল্পটা সুন্দর বললেই তো হয়না শুধু, গল্পরে মর্মার্থটা বেশী জরুরী...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫

সায়েম মুন বলেছেন: আপু! টুনটুনি ভাজি বেশ টেষ্টি হৈছে। ছোটকালে আরও কত গল্প শুনেছি, পড়েছি। কিন্তু একটাও মনে নেই। এক বুড়ি আর কুমড়ো নিয়ে একটা গল্প আছে। পারলে শেয়ার করিয়েন তো। :D :-B

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: ও লাউ গড়গড় লাউ গড়গড়... গল্পটা?
ওটাও বেশ বড়। আর একদিন দিবো। :)

টুনটুনি ভাজি টেষ্টি হয়েছে জেনে খুশী হলাম।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫

তিতা কথা বলেছেন: প্রতিটি শব্দ, লাইন ধারাবাহিকভাবে মনে পরে গেল

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০০

সুরঞ্জনা বলেছেন: স্মৃতি যেন মতির মালা। একটা গিট খুলে যেতেই হুড়হুড় করে সব মনে পড়ে যায়। :)
ধন্যবাদ তিতা।

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০১

ঈবলিশ বলেছেন: এখনে দেখুন টুনটুনি ও রাজার গল্প, সোনা-মনিদের খুব পছন্দ।

টুনটুনি ও রাজার গল্প-পার্ট ১



টুনটুনি ও রাজার গল্প-পার্ট ২

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩১

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ ইবলশ। B:-)

১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৬

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আপু ,এই গল্পটা জাফনার জন্য দুবছর আগে কিনে রেখেছি, কে যে পড়তে শিখবে!

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমরা কিন্তু ৫/৬ বছর বয়সেই বানান করে করে গল্পের বই পড়তাম।
আমার কাছে উপেন্দ্র কিশোর রচনাবলী পুরোটাই আছে। :)

১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৪

আব্দুল্লাহ (রাইয়ান) বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ রাইয়ান।

অ,ট ঃ আমার একমাত্র ভাগ্নের নামও রাইয়ান আব্দুল্লাহ।

১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৮

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: হে হে হে , ছোটবেলার গল্প এখনো শুনতে / পড়তে বেশ মজা লাগে :)

এ গল্পের বইটা আমার ও ছিলো :)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: :) :) :)

আমার কাছে এখনো আছে। :)

১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩২

সায়েম মুন বলেছেন: লাউ গড়গড় লাউ গড়গড় গল্পটা দিবেন কিন্তু :)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪২

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঐ গল্পের নাম কুজো বুড়ি। এই নাও, দিয়েই দিলাম।


এক যে ছিল কুঁজো বুড়ি। সে লাঠি ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে চলত, আর তার মাথাটা খালি ঠক-ঠক করে নড়ত। বুড়ির দুটো কুকুর ছিল। একটা নাম রঙ্গা, আর একটার নাম ভঙ্গা।
বুড়ি যাবে নাতনীর বাড়ি, তাই কুকুর দুটোকে বললে, ‘তোরা যেন বাড়ি থাকিস, কোথাও চলে টলে যাসনে।’
রঙ্গা-ভঙ্গা বললে, ‘আচ্ছা’। তারপর বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে, কুঁজো হয়ে যাচ্ছে, আর তার মাথাটা খালি ঠক ঠক করে নড়ছে। এমনি করে সে খানিক দূর গেল।
তখন শিয়াল তাকে দেখতে পেয়ে বললে, ‘ঐ রে, সেই কুঁজো বুড়ি যাচ্ছে। বুড়ি, তোকে তো খাব!’
বুড়ি বললে, ‘রোস, আমি আগে নাতনীর বাড়ি থেকে মোটা হয়ে আসি, তারপর খাস। এখন খেলে তো শুধু হাড় আর চামড়া খাবি, আমার গায়ে কি আর কিছু আছে?’
শুনে শিয়াল বললে, ‘আচ্ছা, তবে মোটা হয়ে আয়, তারপর খাব এখন।’ বলে শিয়াল চলে গেল।
তারপর বুড়ি আবার লাঠি ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে যাচ্ছে, আর তার মাথাটা ঠক-ঠক করে নড়ছে। এমনি করে আরো খানিক দূর গেল।
তখন এক বাঘ তাকে দেখতে পেয়ে বললে, ‘ঐ রে, সেই কুঁজো বুড়ি যাচ্ছে। বুড়ি, তোকে তো খাব!’
বুড়ি বললে, ‘রোস, আমি আগে নাতনীর বাড়ি থেকে মোটা হয়ে আসি, তারপর খাস। এখন খেলে তো শুধু হাড় আর চামড়া খাবি, আমার গায়ে কি আর কিছু আছে?’
শুনে বাঘ বললে, ‘আচ্ছা, তবে মোটা হয়ে আয়, তারপর খাব এখন।’ বলে বাঘ চলে গেল।
তারপর বুড়ি আবার লাঠি ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে যাচ্ছে, আর তার মাথাটা ঠক-ঠক করে নড়ছে। এমনি করে সে আরো খানিক দূর গেল।
তখন এক ভাল্লুক তাকে দেখতে পেয়ে বললে, ‘ঐ রে, সেই কুঁজো বুড়ি যাচ্ছে। বুড়ি, তোকে তো খাব!’
বুড়ি বললে, ‘রোস, আমি আগে নাতনীর বাড়ি থেকে মোটা হয়ে আসি, তারপর খাস। এখন খেলে তো শুধু হাড় আর চামড়া খাবি, আমার গায়ে কি আর কিছু আছে?’
শুনে ভাল্লুক বললে, ‘আচ্ছা, তবে মোটা হয়ে আয়, তারপর খাব এখন।’
এই বরে ভাল্লুক চলে গেল। বুড়িও আর খানিক দূর গিয়েই তার নাতনীর বাড়ি পৌঁছল। সেখানে দই আর ক্ষীর খেয়ে-খেয়ে এমনি মোটা হল যে, কি বলব! আর একটু মোটা হলেই সে ফেটে যেত।
তাই সে তার নাতনীকে বললে, ‘ওগো নাতনী, আমি তো বাড়ি চললুম। এবারে আর আমি চলতে পারব না। আমাকে গড়িয়ে যেতে হবে। আবার পথে ভাল্লুক, বাঘ আর শিয়াল হাঁ করে বসে আছে। আমাকে দেখতে পেলেই ধরে খাবে। এখন বল দেখি কি করি?’
নাতনী বললে, ‘ভয় কি দিদিমা? তোমাকে এই লাউয়ের খোলটার ভিতরে পুরে দেব। তাহলে বাঘ ভাল্লুক বুঝতেও পারবে না, তোমাকে খেতেও পারবে না।’
বলে, সে বুড়িকে একটা লাউয়ের খোলার ভিতর পুরে, তার খাবার জন্যে চিঁড়ে আর তেঁতুল সঙ্গে দিয়ে, হেঁইয়ে বলে লাউয়ে ধাক্কা দিলে, আর লাউ গাড়ির মতন গড়গড়িয়ে চলল।
লাউ চলছে আর বুড়ি তার ভিতর থেকে বললে-
‘লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়
খাই চিড়ে আর তেঁতুল,
বীচি ফেলি টুল্‌-টুল্‌।
বুড়ি গেল ঢের দূর!’
পথের মাঝখানে সেই ভাল্লুক হাঁ করে বসে আচে, বুড়িকে খাবে বলে। সে বুড়ি-টুড়ি কিছু দেখতে পেলে না, খালি দেখলে একটা লাউ গড়িয়ে যাচ্ছে। লাউটাকে নেড়ে-চেড়ে দেখলে, বুড়িও নয়, খাবার জিনিসও নয়। আর তার ভিতর থেকে কে যেন বলছে, ‘বুড়ি গেল ঢের দূর!’ শুনে সে ভাবলে, বুড়ি চলে গিয়েছে। তখন সে ঘোঁৎ করে তাতে দিলে এক ধাক্কা আর সেটা গাড়ির মতন গড়গড়িয়ে চলল।
লাউ চলছে আর বুড়ি তার ভিতর থেকে। বলছে-
‘লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়,
খাই চিড়ে আর তেঁতুল,
বীচি ফেলি টুল্‌-টুল্‌।
বুড়ি গেল ঢের দূর!’
আবার খানিক দূরে বাঘ বসে আছে বুড়িকে খাবে বলে। সে বুড়িকে দেখতে পেল না, খালি দেখলে একটা লাউ গড়িয়ে যাচ্ছে। সেটাকে নেড়ে-চেড়ে দেখলে, বুড়িও নয়, খাবার জিনিসও নয়। আর তার ভিতর থেকে সে যেন বলছে, ‘বুড়ি গেল ঢের দূর।’ শুনে সে ভাবলে বুড়ি চলে গিয়েছে। তখন সে ঘোঁৎ করে তাতে দিলে এক ধাক্কা, আর সেটা গাড়ির মতন গড়গড়িয়ে চলল।
লাউ চলছে আর বুড়ি তার ভিতর থেকে চললে-
‘লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়,
খাই চিড়ে আর তেঁতুল,
বীচি ফেলি টুল্‌-টুল্‌।
বুড়ি গেল ঢের দূর!’
আবার খানিক দূরে সেই শিয়াল পথের মাঝখানে বসে আছে। সে লাউ দেখে বললে, ‘হুঁ! লাউ কিনা আবার কথা বলে। ওর ভিতর কি আছে দেখতে হবে।’ তখন সে হতভাগা লাথি মেরে লাউটা ভেঙেই বলে কিনা, ‘বুড়ি তোকে তো খাব!’
বুড়ি বললে ‘খাবি বইকি! নইলে এসেছি কি করতে? তা, আগে দুটো গান শুনবিনে?’
শিয়াল বললে, ‘হ্যাঁ, দুটো গান হলে মন্দ হয় না। আমিও একটু-আধটু গাইতে পারি।’
বুড়ি বললে, ‘তবে ভালোই হল। চল ঐ ঢিপিটায় উঠে গাইব এখন।’
বলে বুড়ি সেই টিপির উপরে উঠে সুর ধরে চেঁচিয়ে বললে, ‘আয়, রঙ্গা-ভঙ্গা, তু-উ-উ-উ-উ!’
অমনি বুড়ির দুই কুকুর ছুটে এসে, একটা ধরলে শিয়ালের ঘাড়, আর একটায় ধরলে তার কোমর। ধরে টান কি টান! শিয়ালের ঘাড় ভেঙে গেল, কোমর ভেঙে গেল, জিভ বেরিয়ে গেল, প্রাণ বেরিয়ে গেল-তবু তারা টানছেই, টাইছেই, খালি টানছে। :D

১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪১

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন:
লাউ গড়গড় লাউ গড়গড়
খাই চিড়ে আর তেতুল
বিজ ফেলি তুল তুল
বুড়ি গেল ঢের দুর ....


আমিও এটা চাঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈ ...........

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: এই বাচ্চারা, মোটেও সোরগোল নয়। এই তো গল্প দিয়েই দিলাম। :D

১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪১

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক মজার গল্প, আমাদের টুনটুনিবাচ্চাদের...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: বুড়ো বুড়িরও কিন্তু ভালোই লাগে রাশেদীন। :P

১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৩

রাজসোহান বলেছেন: বুড়ি খালা :-B

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: বুড়ি খালার ঝুলিতে অনেক গপ্প আছে। :P

১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০২

অগ্নিলা বলেছেন: আপু, আপনি হুবাহু গল্প লিখসেন কেন? আপনার ফ্লেভার দিতেন একটু! :(

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: উরি বাবা!!! মেয়ে বলেকি??? B:-) এগুলোতে কি কেও হাত দিতে পারে?

২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০৯

মেহবুবা বলেছেন: একটা গোপন কথা বলি , এখনও আমাদের বাসায় উপেন্দ্র কিশোর , সুকুমার রায় নিয়ে কাড়াকাড়ি ।

ওনাদের কীর্তি ছাপিয়ে যাওয়া মুশ্কিল শিশুতোষ সাহিত্য।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমি তো এখনও উপেন্দ্র কিশোর, সুকুমার, অবনীন্দ্রনাথ, লীলা মজুমদার, সত্যজৎ রায় নিয়ে পড়ে থাকি। ক্ষিরের পুতুল, বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, বাবা যখন ছোট ছিলেন এসব বই পড়ে একা একাই হাসিতে লুটোপুটি খাই।
সত্যি বলেছো। শিশুতোষ সাহিত্যে নতুন করে তেমন কোন নাম আসেনি।

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫৩

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: আরেট্টা গল্প চাঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈ ....

উকুনে বুড়ি পুড়ে মলো
বক সাতদিন উপোস রইলো
নদীর জল শুকিয়ে গেল ...
গাছের পাতা ঝরে পড়লো ...

আর মনে নাই :(

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: এটা তুমি রেজোওয়ানার পোস্টে পাবে।

২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০৯

শ।মসীর বলেছেন: মজা পাইলাম আবার :):)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: :) :) :)

২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১৮

সায়েম মুন বলেছেন: থ্যাঙ্কস আপু! আমাদের আবদারে এত্ত এত্ত কষ্ট করে গল্পটা লেখার জন্য!!
‘লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়
খাই চিড়ে আর তেঁতুল,
বীচি ফেলি টুল্‌-টুল্‌।
বুড়ি গেল ঢের দূর!’ :D

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: :D :D :D

২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩

অদ্বিতীয়া সিমু বলেছেন: +++++ খুব পছন্দের...
পারলে ঘুরে যাবেনhttp://www.somewhereinblog.net/blog/ADITIASIMU/29263572

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম। নিশ্চয় যাবো।

২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১৩

তুষারকনা বলেছেন: রাজার ঘরে যে ধন আছে
টুনির ঘরেও সে ধন আছে
:D :D :D :D :D

আজকালকার বাচ্চাগুলো এতো মজার মজার গল্প গুলো মিস করে :(

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: =p~ =p~ =p~ স্বাগতম তুষারকনা।

আজকালকার বাচ্চারা বেন্টেন, বেটম্যান, আরও কি কি ...ওসব চিনে।
এসব গল্প তারা জানেইনা। :(

২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: এই গল্প আগে পড়ছি বলে তো মনে পড়লো না। পড়তেও পারি। মজার গল্প।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: গুগল মামুর লাইব্রেরীত গিয়া পইড়া নিও। নাইলে নাতি নাতনি ত দুর কি বাত, পোলা মাইয়াগো কুনু গপ্প শুনাইতে পারবানা। X(

২৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১০

জামিনদার বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য লগিন করলাম। :)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জামিনদার। গল্পটা ছেলেবেলা মনে করিয়ে দিলো তাইনা? :)

২৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জুন বলেছেন: এই সমস্ত গল্পগুলো এখনও আমায় আনন্দ দেয় সুরন্জনা ...আমি এখনও পড়ি। তুমি জানো শান্তিনকেতন গিয়ে অন্যান্য বইয়ের আগে প্রথম যে বইটা কিনি তার নাম ঠাকুরমার ঝুলি দক্ষিনারন্জন মিত্র মজুমদারের।
প্লাস।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমিও তাই করি জুন। এখনও সেসব বই আমায় আনন্দ দেয়। আর ঠাকুরমার ঝুলি তো সেই ছোটবেলা থেকেই ঘরের মাঝে পেয়েছি।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য ও প্লাসের জন্য।

২৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: এটা আসলেই সবার শৈশবের কমন গল্প এবং প্রিয় গল্প। তবে আমার রাজকন্যাকে ভালো করে শোনাতে পারতামনা ছন্দ মনে না থাকার কারণে। তুমি সেটা সমাধান করে দিলে আপি। থ্যাঙ্কু।:)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: এখন সুন্দর করে রাজকন্যাকে গল্প শোনাও। :)

৩০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৬

ইসতিয়াক আহমদ আদনান বলেছেন: গল্পটা খুব পছন্দের একটা গল্প ছিল।++++

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১১

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ আদনান। :)

৩১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:১১

শোশমিতা বলেছেন: ছোট বেলার গল্প বেশ মজা লাগে :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: ছোটবেলার স্মৃতি মানেই তো মজা শোশমিতা।

৩২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৩৫

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: ছোট বেলার গল্পই ভাল লাগে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: হুম, আমার তো এখনও পড়তে মজা লাগে।

৩৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০২

কি নাম দিব বলেছেন: ইয়েএএএ! আপু নিয়ে গেলাম আমার সংকলনে। :) !:#P

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি।

৩৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৯

মোঃ আমিন বলেছেন: ওয়াওওওওওওওও...এক সাথে দুটো !!!!!!!!!! আপু চমৎকার !ধারাবাহিক ভাবে লিখুন না ! যদিও আপনার অনেক কষ্ট হবে তারপরও প্লিজ... ছেলেবেলার ফ্লেভারের জন্য অনেক গুলো +++++++++++++

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১২

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেকগুলো প্লাসের জন্য অনেকগুলো ধন্যবাদ আমিন।
আমি চেষ্টা করবো লিখতে।

৩৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:০৮

জাকিয়া তানজিম বলেছেন: ছোটবেলার গল্পগুলো এখনও খুব ভালই লাগে। আপনার গল্প দুটো পড়ে অনেক ভাল লাগলো আপু! অনেক অনেক ধন্যবাদ!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জাকিয়া তানজিম।

৩৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:৪৮

জিসান শা ইকরাম বলেছেন: বাচ্চারা এসব গল্প আর পড়ে না। ওরা পিসিতে দেখে।
আমার ছোট ছেলেকে - এই ভিডিও ছেরে ভাত খাওয়াতে হত ;)

ভাল লাগলো টুন টুনির গল্প পড়ে :)
+

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: বাহ! তাই নাকি? ভালোই তো।
ছেলে এখন আর দেখতে চায়না?
অনেক অনেক ধন্যবাদ জিসান।

৩৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৫২

ছায়াপাখির অরণ্য বলেছেন: অনেকদিন পর আবার গল্পটা পড়লাম! খুবই প্রিয় গল্প! আপুকে থ্যাংকস!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ তানিয়া।

৩৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭

রনি আহমদ বলেছেন: ছোটবেলার গল্প খুব ভালো লাগলো আপু।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ছোটবেলার গল্প ভালো না লেগে কি পারে রনি?
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০২

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: এই গল্প গুলোর মধ্যেই ফুটে উঠে আমাদের অতীত ঐতিহ্যতা নিষ্পাপ সরলতা গুলো।





ভালো থেকো আপু

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১২

সুরঞ্জনা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সম্রাট। কিন্তু একি ছবি দিয়েছ? মনটা খারাপ হয়ে যায়। :(

আজীবন ভাল থেকো।

৪০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৮

কি নাম দিব বলেছেন: আপু, আপনার ঝুড়িতে আরও গল্প থাকলে আমাকে দিয়েন :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: অবশ্যই দেবো। :)

৪১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৪

ত্রাতুল বলেছেন:
পাখিটা তো বড় ঠ্যাঁটা রে! :||

হা হা হা...!
ছোট বেলায় অনেক শুনেছি।
কিন্তু আপনার কাছে শুনে খাব মজা পেলাম। :)

কেমন আছেন?

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: শুধু কি ঠ্যাটা? কত চালাক বল? ;)

আমি আছি ভালই। তুমি ভালো থেকো।

৪২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৯

চতুষ্কোণ বলেছেন: মজার তো। এই ধরনের অনেক গল্পই শুনেী। এটা শুনেছি কিনা মনে পড়ছে না। তবে এই লাইনদুটো শুনেছি বহুবার, ‘বড় মজা, বড় মজা,
রাজা খেলেন ব্যাঙ ভাজা!’

ভালো লাগলো গল্পটা। থ্যাংকস শেয়ারের জন্য।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল চতুষ্কোণ। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৬

শায়মা বলেছেন: মজার গল্প!!!

০১ লা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমার ঝুলিতে আরো মজার মজার গপ্প আছে আমি তা জানি। ;)

৪৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৭

যূথিকা বলেছেন: এই গল্পগুলো ছোট বড় সবার ভাল লাগে।
নতুন করে পড়ে আবার মজা লাগলো।

০১ লা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছ যুথিকা। এসব গল্প চিরদিনের ভালোলাগার।

৪৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৭

বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম, পরে পড়ুমনে। :>

০১ লা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বৃষ্টি ভেজা সকাল।

৪৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৭

করবি বলেছেন: অনেক প্রিয় অনেক মজার একটা গল্প আপু। আবার পড়া হল তোমার জন্য।

০১ লা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০১

সুরঞ্জনা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ করবি সোনা।

৪৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৩

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আমরা আর এখনকার পুচকারা এক হল দিদি!
আমার পুচকা মায়ের বেশী বিদ্বান হবার জন্য ত্যাগ স্বীকার করছে, তাই এখনো বাংলা বর্ণমালাশেখা চলছে, বানান করে পড়া এখনো ঢের দেরী।

তোমার লাইব্রেরীতে হানা দিতে হবে দেখছি। :)

০১ লা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছ দিদিভাই। আমাদের তুলনায় এখনকার পুচকাগুলো কত বুদ্ধিমান। :(

বই মেলা থেকে নাতিটাকে "জল পড়ে পাতা নড়ে" আর "ক্ষিরের পুতুল" কিনে দিয়েছিলাম। ধরে বেধে পড়ে শুনিয়ে নিজেই আনন্দ পেয়েছিলাম। কদিন পরে সেই বই আর অক্ষত পাইনি। :(

৪৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১২

হুপফূলফরইভার বলেছেন: টুনাটুনির গপ্পো কওন বালু না~ এহন দরকার হাল জামানার কুনু ডিজুস বান্দর আর কইতরীর গপ্পো~

০১ লা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: :| :| :| :| :| :| :| :| :|

৪৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১১

বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: ছোট বেলার গল্প ভাল লাগল।

০১ লা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: :) :) :)

৫০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: ভাল লাগলো আপু, আমি আমার মেয়েকে অবশ্য এই সব পুরানো আমলের গল্পই শোনায়।

আচ্ছা শোন সোহামনি না বিড়াল আর টুনটুনির গল্পটা বলতে শিখেছে!এভাবে বলে " এত দেতে না এত্তা তুনতুনি পাকি ছিন না, সেই পাকিতা বাগুন গাইয়ে(গাছ)তে বাতা বানিয়েথে। থোতো থোত বাবু তিনতা।
এত্তা মোটা মিয়াও এসে ওদেন খেতে গিয়েথে".......এর পরে আর পারে না, শুধু "তাপনে তাপনে" বলতে থাকে!!

০১ লা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: হা হা হা। পাক্কু বুড়িমার মুখে গপ্প শোনার লোভ বেড়ে গেলো। :)

৫১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫

জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: ছোট বেলায় মায়ের কাছে এমন অনেক গল্প শুনেছিলাম যা ভুলেই গিয়েছিলাম আজ আবার মনে করিয়ে দিলেন।
ধন্যবাদ।
প্রিয়তে রাখলাম।

০১ লা নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম। অনেক দিন পরে আপনাকে দেখলাম।
ভালো থাকবেন।

৫২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার বুবু আমার থেকে বয়সে সাত বছরের বড় ছিলেন। তিনিই প্রথম আমাকে এই গল্পটা শুনিয়েছিলেন আমার ছেলে বেলায়। ৩/৪ ক্লাশে পড়ার সময় আমিও যখন ছোটদের জন্য লেখা নানান গল্প কবিতা পড়তে শুরু করি-বুবু আমাকে সেই শোনা গল্পটাই পড়তে দেন। শোনা এবং পড়া গল্প আমার মনের সাথে এমন ভাবে মিশে আছে-যা লিখে বোঝাতে পারবোনা।

নস্টালজিক!!!

৩০ তম প্লাস।

০২ রা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: ছেলেবেলার সেই শোনা আর পড়া কখনোই পুরনো হয়না। চিরদিনের ভালো লাগা এই গল্পগুলি।

প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৫৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৮

ত্রাতুল বলেছেন:
এখন সবাই সুস্থ...?
কুম্ভকর্ণের কি খবর...?

নতুন গল্প কবে বলবেন...?

:) :) :)

০২ রা নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ! এখন সবাই আগের চাইতে সুস্থ্য আছেন।

পুরনো গল্প নতুন করে দিবো এর মাঝে।

৫৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: রাজার ঘরে যে ধন আছে টুনির ঘরেও সে ধন আছে......

পিচ্ছির সি ডি তে এই গল্পটা দেখসিলাম।আবার পড়ে ভাল লাগলো।

০২ রা নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১

সুরঞ্জনা বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল মাহী ফ্লোরা। অনেক ধন্যবাদ।

৫৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০০

আরফার বলেছেন: সুখপাঠ্য।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ আরফার।

৫৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:২০

মিরাজ is বলেছেন: ছোটবেলার গল্প......এগুলো পড়ার চেয়ে শুনতে বেশি ভাল লাগত সেইসময়......


ভাল লাগল......স্মৃতি ঝালাই করতে পেরে...... ভাল থাকুন নিরন্তর......

০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ মিরাজ। আপনিও ভালো থাকবেন।

৫৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২১

রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: গল্পটা পড়তে গিয়ে শৈশবের কত স্মৃতি যে মনে পড়ে গেল !

+++

০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছ রক্তিম কৃষ্ণচুড়া। স্মৃতিজাগানিয়া গল্প এগুলো।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:১৬

মে ঘ দূ ত বলেছেন: সেদিন মোবাইল থেকে এই লেখাটা পড়ছিলুম। আগে পড়া ছিল না। টুনটুনির কান্ড পড়ে বেশ মজা পেলুম :):)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: সেকি??? B:-) তুমি এটা আগে পড়নি? :P যাক! এখন তো পড়ে নিলে। :)

৫৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৫

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: খুব মজার প্রিয় গল্পটা আপনার কারনেই অনে...ক দিন পর পড়া হলো। :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: মজার গল্প বার বার শুনতে ইচ্ছে করে।
ভালো থেকো ইষ্টিকুটুম।

৬০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:০৬

যেমন ইকোনোমিক্স বলেছেন: ;) ;) ;)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১০

সুরঞ্জনা বলেছেন: :) :) :)

৬১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: টুনটুনি, পান্টা বুড়ি, টোনাটুনি..........ছোটবেলার অনেক পছন্দের সব গল্প। আর তুমিতো এত সুন্দর করে লেখো আপুনি, ভাল লাগতেই হবে।:)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: এখানে আমার কোনই ভুমিকা নেই গো কইন্যা। সব কৃতিত্ত্ব ঐ উপেন্দ্র কিশোরের। :P

৬২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

অতি সাধারন বলেছেন: আমার উপেন্দ্রকিশোরের টুনটুনির গল্প বইটা এখনও আছে।টুনটুনির সবগুলো গল্প ছিল ওতে।খুব যত্ন করে রেখে দিয়েছিলাম ছোট ভাই বোন পড়বে বলে,কিন্ত আফসোস ছোট ভাই-বোন কেউই আর গল্পের বই পড়তে বা শুনতে আগ্রহী না।আমার আশে পাশের বেশীরভাগ বাচ্চারাই আর এসব গল্পে মজা পায়না।কম্পিউটার গেমস আর টিভি কার্টুনের হাজারো চরিত্রের ভিড়ে এসব গল্প আর ওদের আকর্ষন করেনা :(

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ অতি সাধারন। আমার ছেলেবেলার বেশীর ভাগ বইগুলোই আমার সংগ্রহে রয়েছে। পাতাগুলো বিবর্ন হলুদ হয়ে গিয়েছে। আজকালকার বাচ্চারা বাংলা বই খুব কম পড়ে।

৬৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:০৫

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: সেই পুরোনো দিনের কথা । ভাল লাগল আন্টি । কেমন আছেন ?? খূব ব্যস্ত সময় যাচ্ছে নাকি ??

Click This Link

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: এসব গল্প কখনও পুরনো হয়না তাইনা?

ব্যাস্ততা কিছুটা থাকলেও নেট সমস্যা আর লোডশেডিং এ জীবন অতিষ্ঠ।
এখুনি দেখছি তোমার লিঙ্ক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.