নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জগতের সব প্রানী সুখি হোক

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুদণ্ড প্রদানেই কি হ্রাস পাবে ধর্ষণের মতো অপরাধ ?

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:০১

যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানে এখনো মৃত্যুদণ্ড প্রচলিত আছে। কিন্তু সেই সকল দেশে খুন বা হত্যার মতো অপরাধের হার অনেক দেশের তুলনায় বেশি। প্রতিলক্ষ জনসংখ্যার অনুপাতে সেই সকল দেশে হত্যার হার যুক্তরাষ্ট্র ৫, পাকিস্তান ৬.৮, ফিলিপাইন ৬.৪, ইয়েমেন ৪ ও আফগানিস্তানে ৩.। অন্যদিকে কানাডা, ভুটান, ডেনমার্ক ও নেপালে মৃত্যুদণ্ড নেই - কিন্তু প্রতিলক্ষ জনসংখ্যার অনুপাতে সেই সকল দেশে হত্যার মতো অপরাধের হার অনেক নিম্ন (কানাডা ২.০৫, ভুটান ১.৪, ডেনমার্ক ১.০১ এবং নেপাল ২.২ ) |

সুতরাং মৃত্যুদণ্ড প্রদান করলেই খুন খারাবির মতো মারাত্মক অপরাধের মাত্রার হ্রাস ঘটে বা ঘটবে তার স্বপক্ষে এখনো কোনো অকাট্য প্রমান কেহই প্রদান করতে সক্ষম হয় নি। বরং এটা অনেকটা মাথা ব্যাথা হলে মূল উপসর্গ দূর না করে মাথা কেটে ফেলার মতোই ব্যবস্থা বলা চলে। ঠিক একই কথা প্রযোজ্য হবে কেহ যদি আশা করেন মৃত্যুদণ্ডের মতো ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট প্রদান করলেই বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণের মতো অপরাধের মাত্রা হ্রাস পাবে বলে।

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকেই আমরা দৃষ্টিপাত করি না কেন ? দিল্লির গণধর্ষণ' মামলায় ২০১২ সালে সেই দেশে চার জনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের পরবর্তী বৎসরেই (২০১৩)ভারতে ধর্ষণের হার ৩৯% বৃদ্ধির পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। মৃত্যুদণ্ড প্রচলিত থাকা সত্বেও সেখানে ধর্ষণের মাত্রা মোটেই কমে নি, ঠিক যেভাবে কমে নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

একটি কঠোর আইনও কোনো কাজে আসে না যদি সেই আইন যথাসময়ে প্রয়োগ বা কার্যকর করার জন্য কাঠামোটিই দুর্বল হয়। ধর্ষণকারী জানে যে সে একটি মারাত্মক অপরাধ করছে, কিন্তু তা সত্বেও সে অপরাধ করার সাহস পায় এই কারণে যে সে মনে করে এই অপরাধ করেও সে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাফিলতি ও আইনের ফাকফোকরে পার পেয়ে যাবে। এবং এটাই পরিবর্তনের প্রয়োজন।

আইনে শাস্তির মাত্রার বৃদ্ধি অনেক সময়ে আইনপ্রয়োগকরি সংস্থার সীমাহীন ক্ষমতা বৃদ্ধিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে অনেক সময় অভিযুক্তদের আইনের কঠোর প্রয়োগের ভীতিপ্রদর্শনের মাধ্যোমে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চাঁদাবাজির সুযোগও সৃষ্টি করে। বিশেষত যে সকল দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ক্ষমতাসীন দলগুলো রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, সেই সকল দেশে এই ধরণের সুযোগ সৃষ্টি নিরীহ জনগণের দুর্ভোগ ও নির্যাতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

কঠিন শাস্তি একজন অপরাধীকে নির্মূল করতে পারে কিন্তু অপরাধকে নয়। আসলে অপরাধ হ্রাস বা দমনে আইনে শাস্তির মাত্রা বৃদ্ধির চাইতেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক অপরাধের যথাযথ তদন্ত এবং বিচার বিভাগ কর্তৃক ন্যায় বিচারের নিশ্চয়তা প্রদান যে কোনো অপরাধ দমনে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা ও দায়িত্ব অনেক বেশি। রাষ্ট্রকেই আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে ধর্ষণ, খুন/হত্যা সহ অপরাধসমূহের মূল উৎস সন্ধানে এবং তার প্রতিকারে।

ছবি: অন্তর্জাল

তথ্য সূত্র:
কয়েকটি রাষ্ট্রে হত্যার পরিসংখ্যান

নির্ভয়া মামলা ও ভারতে ধর্ষণের হার

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও প্রশাসনিক এনার্খী ভয়ংকর অপরাধের জন্ম দিচ্ছে, মৃত্যদন্ড দেয়ার মত শক্ত বিচার ব্যবস্হা নেই দেশে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অপরাধের উৎপত্তির মূলোৎপাটন না করে বিচ্ছিন্নভাবে অপরাধীদের শাস্তি প্রদান যথেষ্ট নয়। সমাজের সর্বস্তরে যেভাবে নৈতিক অবক্ষয় দেখা যাচ্ছে তাতে এই এনারখি গোটা জাতিকেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: মৃত্যুদণ্ড প্রদানেই কি হ্রাস পাবে ধর্ষণের মতো অপরাধ ? অবস্যই হ্রাস পাবে । কিন্ত চাঁদ্গাজী যেটা বলেছেন সেটাই হচ্ছে আসল কথা যে মৃত্যদন্ড দেয়ার মত শক্ত বিচার ব্যবস্হা নেই দেশে। এই দেশে আদালতে আইনের ভাষার প্রয়োগ নাই, আছে দলীয় ভাষার প্রয়োগ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৫২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্রচলিত শাস্তির আইনেই ধর্ষণ হ্রাস করা সম্ভব, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হতেই হবে এমন কথা নয় - আইনের সঠিক ও শক্ত প্রয়োগই এখানে মুখ্য। বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড বিহীন রাষ্ট্রের সংখ্যা অনেক এবং সেই সকল দেশে ধর্ষণ, খুনের মতো অপরাধের পরিমান কম হওয়ার কারণই হচ্ছে সেই সকল দেশে আইনের যথাযথ প্রয়োগ। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ড থাকা সত্বেও অভিবাসী গৃহপরিচারিকাদের যৌন নির্যাতনের পরিমান ভয়াবহ।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।বিচার ব্যবস্থা সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্রশাসনের সততা ও বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা থাকলে যে কোনো আইন বাস্তবায়নই সম্ভব |

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারকে মাঝে মাঝে খুব অসহায় বলে মনে হয়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্রশাসনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিলে যে কোনো সরকারই এক সময়ে অসহায় হয়ে পড়ে |

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঢাবিয়ানের মন্তব্যের জবাবে আপনি যথার্থই বলেছেন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ | শাস্তির মাত্রা বৃদ্ধি করেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় | বাংলাদেশে দুর্নীতির শাস্তি আছে | কিন্তু তার প্রয়োগ কতটুকু হচ্ছে তার প্রমানই হচ্ছে সর্বস্তরে দুর্নীতির ভয়াবহ বিস্তার | আইনের সময়োচিত এবং যথোপযুক্ত প্রয়োগেই অপরাধের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব |

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: এতদিন ব্লগজুড়ে ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সবাই সোচ্চার ছিলেন!
এখন সরকার সেই দাবির সপক্ষে অবস্থান নিয়েছে ( সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে) তখন মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে একের পর এক পোষ্ট আসছে!!!!
আমাদের বিচার ব্যাবস্থার ভয়ঙ্কর বেহাল অবস্থার কথা জেনেও তবে কেন বিজ্ঞজনেরা (কিছূ) এমন দাবি তুললেন???

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের চরম অসাধুতা এবং বিচার ব্যবস্থার এই বেহাল অবস্থায় যে কোনো কঠিন শাস্তির বলির পাঠা হয়ে যেতে পারে অনেক নিরীহ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক কর্মী |

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মৃত্যুদন্ডের দরকার নেই।
বাংলাদেশে ধর্ষন শাস্তি দেয়ার মত পর্যাপ্ত আই্ন আছে। মামলাও হচ্ছে।
মামলার শেষ হতে অনেক দীর্ঘ সময় এটিই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।

তবে বিদ্যমান আইনে শাক্ষী ইচ্ছে থাকলেও নিরাপত্তার কারনে প্রতিপক্ষের ভয়ভীতির বা সাধারন ভ্যাজালের বা মামলা পরবর্তি ভ্যাজালের কারনে শুনানির দিন হাজির হতে চায় না।
সে কারনে পর্যাপ্ত প্রমান থাকার পরও ৯৯% আসামী ছাড়া পেয়ে যায়। অন্যান্ন অপরাধেও একই অবস্থা।
নামপরিচয় গোপন রেখে বিচারকের চেম্বারে উভয় উকিলের উপস্থিতিতে শাক্ষ্য নেয়া যায় কি না বা অন্য কোন ব্যাবস্থা নেয়া যায় কি না, আইনপ্রনেতারা এটা ভেবে দেখতে পারেন।

উন্নত দেশে অবস্য এজলাশের বাইরে বিচারকের উপস্থিতিতে একটি শালিশি বৈঠকে বেশীর ভাগ মামলা নিষ্পত্তি হতে দেখি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যাক্তি দোষ এডমিট করে নিতে বাধ্য হয়। উভয় পক্ষের নিগোশিয়েশনে জেল জরিমানা নির্ধারণ বা জেল বাদে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপুরন বা উভয় দন্ড।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মামলার শেষ হতে অনেক দীর্ঘ সময় লাগে অনেকে এই ভ্যাজালের মধ্যে যেতে চায় না | আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক অহেতুক হয়রানির ভয়েও অনেকে স্বাক্ষ্য দিতে চায় না |

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুখে বলে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ‍ন্ড করা হবে।কিন্তু চার সন্তানের মা গণধর্ষণকারীও জামিন পায়। পুলিশ এবং উকিল বাবারা , নারী নিরহ মা‘দের তোরা বাঁচতে সাহায্য কর।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্রশাসনের সততা ও বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা খুবই প্রয়োজন |

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

একাল-সেকাল বলেছেন:
মৃত্যুদণ্ডের প্রথা চালু হলে ধর্ষকরা হত্যার দিকে ঝুঁকে পড়বে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সহমত | কঠিন শাস্তি এড়ানোর জন্য কোনো এভিডেন্স রাখতে চাইবে না ধর্ষকরা |

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৫৮

রাশিয়া বলেছেন: দন্ড প্রদান তো সহজেই করা যায়। কিন্তু দন্ড কার্যকর করার মত কলিজা বাংলাদেশের আইনের নেই। তাই ধর্ষকেরা কারাগারে আরামে খাবে দাবে আর দুই বছর পর জেল থেকে বেরিয়ে আবার ধর্ষণ করবে। এটাই বাস্তবতা।

কিন্তু কোন দন্ডমুন্ডে না গিয়ে ধর্ষণ প্রমাণ হওয়া মাত্র যদি ধষকের বিচি ফেলে দিয়ে খাসি বানানো হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কারও সাহস হবেনা জঙ্গলের মধ্যেও একটা মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করার।

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: একটি বর্বরতার বিচার করতে গিয়ে... কর্তনের মতো আরেকটি বর্বরতার আশ্রয় নেয়া কি কোনো সমাধান হতে পারে ?

১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

রাশিয়া বলেছেন: বিচি ফেলা কোন বর্বরতা নয়। এটা একটা শাস্তি। অনেকটা ইসলামী শাস্তির মত। চুরি করলে তার হাত কাটার বিধান ইসলামে আছে। তাই ধর্ষণ করলেই অবশ্যই তার বিচি কাটা যাবে। বিচি কাটলে কেউ মরে যায়না। বিচি ছাড়াও মানুষ দিব্যি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। কিন্তু সারাজীবন তার মনে থাকবে কোন অপরাধে আজকে সে মানুষ থেকে খাসী হয়ে গেল।

১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
কিছুদিন পূর্বে একজন মামলা খেয়ে জেলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তার বিত্তশালী পুতা তার জন্য জেলের ভেতরকে বেহেস্তে রূপ দেওয়ার অপ্রাণ চেষ্টা করেন। হ্যা, তার মোটেও কষ্ট হয়নি সেখানে। সমস্যাটা বাহিরের মানুষের। উকিল ও মেজিস্টেডদের। তার পরিবারের সমস্যা ছেলেটা বাহিরের সৌন্দর্যের উপর আগ্রাসন চালাতে পারছে না। বড় কষ্টে আছে। তাই বাহিরের সকলে মিলে তাকে বাহিরে নিয়ে আসেন।
এই যে আইনের অপব্যবহারের চেষ্টায় মত্ত পুরো শ্রেণিদ্বয় বলা যাবে এদেরকে খারাপ লোক। হয়ত বা না। কারণ এরাই কিন্তু নিজ আসনে স্বৈরাচারী। আর স্বৈরাচারীরা খারাপ হয় না। আসলে, স্বৈরাচার বিষয়টা আমাদের সকলের ভেতরেই বাস কারে। এর ব্যবহার কম করতে কেউ চায় না। ধর্ষণ বা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার বিরাট একটি কারণ হচ্ছে স্বৈরাচারী মনোভাব এবং তা বাস্তবায়নে সামগ্রিক সহযোগিতার বিশ্বাস।


আপনার নিকট অনুরোধ থাকবে, একটি পোস্ট লিখুন যেখানে উঠে আসবে পরিবর্তনের জায়গা। যেখান থেকে কাজ করলে পরিবর্তন সহজ হবে।
ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দেখুন অপরাধ, পাপ ইত্যাদি বিষয়ে মানুষের ভালোমন্দ বিবেচনা বা সচেতনতার অভাবই তাকে সেই পথে পা বাড়াতে সাহায্য করে। তার সাথে যদি রাষ্ট্রে আইনের প্রয়োগে দুর্বলতা থাকে তবে নৈতিক স্খলনের তলানিতে যেতে থাকে একটি দেশ যা আমরা দেখছি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। যতই উন্নয়নের মহাসড়কেই থাকুক না কেন - রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরই চরম দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে দিনকে দিন। আর সম্পদের বন্টনে বৈষম্যও বাড়ছে সীমাহীন।

সর্বস্তরে দেশপ্রেমিক, আত্মত্যাগী ও সৎ নেতৃত্ব ছাড়া এই দুষ্টচক্র থেকে বের হয়ে আসা অসম্ভব।

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আইনের যথাযথ প্রয়োগই মূল কথা। বিচার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে কোন বিচ্যূতি দেখা গেলে তাদের শক্ত বিচার করতে হবে। মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি, তবে তার প্রয়োগ হতে হবে ১০০% নিঃসন্দেহ এবং নিশ্চিত হবার পর। অন্যথায় কাউকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমাদের দেশে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে দোষী সাব্যস্ত করাটা অনেকটা দুরূহ। যারা প্রমান করবে তাদের অনেকেরই মধ্যে সততার অভাব প্রকট। সেই ক্ষেত্রে বিনাদোষে দণ্ডিত হয়ে অনেকের প্রাণ চলে যেতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে।

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৫

বিটপি বলেছেন: মৃত্যুদন্ড দিলেই তো হবেনা, তা কার্যকর করার মত হেডম থাকতে হবে - তাহলে দেখবেন ধর্ষণ কত কমে আসে। তবে আমি আমি ধর্ষণের মত অপরাধে হত্যার মত লঘুদন্ডে বিশ্বাসী নই। এই অপরাধের একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত খোজা করণ। তাহলে ধর্ষণে উদ্যত যে কেউ পরিণামের কথা চিন্তা করবেই করবে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:১৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: গুরুদণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে হবে, যারা প্রমান করবে তাদের সম্পূর্ণ সৎ ও নিরপেক্ষ হতে হবে - যেটা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটা দুরূহ।

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৩

নতুন বলেছেন: অপরাধ করার পরে যদি ঠিক মতন সাজা হয় এবং ক্ষমতার জোরে পার না পাওয়া যায় তবে অপরাধের সংখ্যা কমে যায়।

আমাদের সমাজে বিচার হয় না বলেই অনেকে ক্ষমতা দেখাতে অন্যায় করে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:১৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অপরাধ করার পরে যদি ঠিক মতন সাজা হয় এবং ক্ষমতার জোরে পার না পাওয়া যায় তবে অপরাধের সংখ্যা কমে যায়।
সহমত ! ঠিক মতো সাজা হলে গুরুদণ্ডেরও এতো প্রয়োজন পড়ে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.