নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জগতের সব প্রানী সুখি হোক

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালা ও ইঁদুর বা ভেড়ার পাল |

০২ রা মে, ২০২১ ভোর ৬:১৪


একটি রাষ্ট্রের জনগণকে ভেড়ার পালে পরিণত করলে কি হয় তার জ্বলজ্যান্ত প্রমান প্রতিবেশী ভারতে। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা এক ধর্মান্ধ ও খুনি বিষের বাঁশি বাজিয়ে গোটা জাতিকে ইঁদুরের পালের মতো সর্বনাশের কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, কতো লক্ষ অসহায় মানুষের কষ্টদায়ক মৃত্যু হয়েছে ভেবে দেখেছেন কি? কি মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক চিত্র আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের।

চরম পুঁজিবাদ সৃষ্ট এই পাপেট গোটা জাতির অবচেতন মনের অর্থলিপ্সা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে উস্কে দিয়ে অপসৃত করতে সক্ষম হয়েছে মানুষের প্রতি, জীবনের প্রতি অপরের মায়া, মমতা ও সকল মানবিকতার। এই ইদুর অথবা ভেড়ার পাল এতই বেপরোয়া হয়ে গেছে যে, নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক দুরুত্ব নিয়ে কেয়ার করে নি, কুম্ভ মেলাটাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নি। আইপিএলটাও বন্ধ করি নি চরম অর্থলোভের কারণে। কি আফসোস ! গোটা ভারতবাসীর জন্য প্রার্থনা করি তারা যেন এই অতিমারীর এক্সপনেসিয়াল সংক্রমণের দুষ্টচক্র থেকে অচিরেই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ কি হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার প্রভাবমুক্ত ? এখানে কি কেউ সময়ে সময়ে বিষের বাঁশি বাজিয়ে জনগণকে ইঁদুরের পালের মতো ভ্রান্ত ও আত্মধ্বংসী কার্যকলাপে প্ররোচিত ও পরিচালিত করছে না ? আসুন গুটি কয়েক বাঁশিওয়ালা ও তাদের কর্মকান্ডের প্রভাব নিয়ে পিছনে ফিরে তাকাই।

বাঁশিওয়ালা জুয়াড়ি দরবেশ বাবা"

সন্যাসীরা থাকার কথা পর্বতের গুহায় বা বনবাদাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশে এক সন্যাসী যিনি সফেদ দরবেশ বা দরবেশ বাবা বলেই সমধিক পরিচিত তাকে সর্বক্ষণ আমরা নগরীতেই দেখতে পাই। এই সন্যাসী শেয়ার বাজারে জুয়ার বোর্ডের বাঁশি বাজিয়ে লক্ষ লক্ষ ভেড়ার বা ইঁদুরের পালকে আকৃষ্ট করে নিঃশেষ করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন - তার মরণ বাঁশির ডাকে পতঙ্গের মতো আগুনে আত্মাহুতি দিয়েছিলো সেই ভেড়ার পাল। তবে তার খেলা সেখানেই থেমে থাকে নাই। তিনি তার বাঁশির জাদু দিয়ে বর্তমানে আকৃষ্ট করেছেন কিছু বেকুব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রথীমহারথিদের। এদের চরম অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে সরকার সব ডিম্ এক ঝুড়িতে রাখার মতো মাত্র একটি উৎস থেকে করোনার ভেকসিন সংগ্রহের মতো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে - জনগণের জীবন ও জীবিকাকে এক মারাত্মক সন্ধিক্ষণে নিয়ে যাওয়ার পেছনে এই দরবেশ বাবার বাঁশির প্রভাব অপরিসীম।

বাঁশিওয়ালা 'মৌ' লোভী বাবা:

জাতীয় এবং বিদ্রোহী কবি যে সময় এদের মৌ-লোভী বলেছিলেন তখন ওই পেশায় নিয়োজিতদের একটি ক্ষুদ্র অংশকে বোঝাতে চেয়েছিলেন - সেই সময় এই পেশার অধিকাংশই ছিলেন ওই অপবাদ থেকে মুক্ত। অথচ বর্তমানে সমাজে এই মৌ-লোভী দের সংখ্যা এবং প্রভাব অতি প্রবল। এদের একজন সেলিব্রেটি মূতা বিবাহের বিপ্লবী নায়ক, প্লেবয় 'মামুনুল' ভাইয়ার মধু-চন্দ্রিমার সাম্প্রতিক ঘটনা সবারই জানা, তাই তার কর্মকান্ডের ফিরিস্তির পুনরুল্লেখ করে পোস্টের সাইজ বাড়াতে চাই না। এই বিপ্লবীর বজ্রকণ্ঠের বাঁশির সূরে মোহিত হয়ে অনুসরণকারী ইঁদুরের পালের নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সংখ্যা কিন্তু কম নয়। তবে শুধু তিনিই নন, তার কমরেডরাও যে ধোয়া তুলসীপাতা নন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কমরেড বাবুনগরী এক সংবাদ সম্বেলনে বলছিলেন 'হেফাজতের নেতাদের সম্পদের হিসাব নেয়া যাবে না"। কেন ? রমজানের পূর্বে এক সংবাদ সম্বেলনে মিনমিন করে বলছিলো 'ব্যবসায়ীরা রমজানে দ্রব্য মূল্য বাড়ালে গরিবের কষ্ট হয়, তাই তাদের মূল্য না বাড়ানোর অনুরোধ ( ! ) করছিলেন ? এই ব্যক্তি বজ্রকণ্ঠে নানান ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিয়ে ওয়াজ মাহফিল কাঁপিয়ে ফেলে। অথচ একই ব্যক্তি তাগুদি ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি কি ধর্মের চোখে মারাত্মক পাপ তার পক্ষে কোনো নূন্যতম হাদিসও খুঁজে পায় না বা তথাকথিত তাগুদি (তার ভাষায়) ব্যবস্থার ধারক অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ড নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায় না। কেন ? এই দুই জনের পূর্বসূরি এক প্রয়াত শীর্ষ নেতা জমি-জমা, সম্পদের মতো ম্যাটেরিয়ালিস্টিক বিষয়বস্তু এমনই ভোগ করতেন যে তার জীবনের শেষ পর্যায়ে এই সকল কমরেডরা তাকে একধরণের জিম্মি করে অশেষ কষ্ট দিয়ে শেষ বিদায় দিয়েছেন। এই সকল 'মৌ' লোভীদের বাঁশির সূরে নদীতে (নাকি আগুনে) ঝাপ দিতে প্রস্তুত অনুসারীর ভেড়ার পাল আকারে কম নয়।

বাঁশিওয়ালা তস্কর ও প্লেবয় লম্পট বাবা:

এই চরম অসাধু প্রয়াত রাষ্ট্রনেতাটি নিজে দুর্নীতিতে ও লাম্পট্যে জড়িত থেকে সারা জাতিকে পরিচালিত করেছে চরম স্খলনের পথে - একটি জাতি কাকে অনুসরণ করবে? এর পূর্বের কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে নিজে দুর্নীতি ও লাম্পট্যে জড়িত থাকার অপবাদ কেহই দিতে পারবেন না। জনগণের সম্পদ থেকে কামাইরোজগার করে সে গড়ে তুলে সম্পদের পাহাড় আর ভোগ করে প্লেবয় হিয়ু হেফনারের মতো জীবন যাপন। এই ব্যক্তিটি ধর্মীয় লেবাস পরে জনগণকে এমনই বিভ্রান্ত করে যে এখনো অনেকে তার এই সকল পাপাচারের কথা স্বীকারই করতে চায় না। এই মিথ্যাবাদী মসজিদে যেয়েও বলে যে আগের রাতে স্বপ্ন দেখে পরিদর্শনে এসেছে অথচ জানা যায় তার সিকুইরিটি অনেক দিন পূর্ব থেকেই ওই মসজিদের নিরাপত্তা নিয়ে রেকি করছিলো। তার স্ত্রীর বৃদ্ধ বয়সে তার মহান পীরসাহেব দোয়া করে তাকে অলৌকিকভাবে সন্তানও দান করে দিয়েছিলেন। এই বহুরূপী শয়তানটির বাঁশির ডাকে বিভ্রান্ত অনুসারীর সংখ্যায় দেশে কিন্তু কম ছিল না।

জাতীয় পর্যায়ের কিছু বাঁশিওয়ালার কথা উল্লেখ করলাম। দেশের জেলা, উপজেলা ও নগরগুলোতে এই ধরণের বাঁশিওয়ালাও রয়েছে অগুনিত আর তাদের লেভেলেও অনুসরণকারী ভেড়ার পালের সংখ্যা কম নয়। এদের প্রভাবে সমাজ কোথায় যাচ্ছে বা নদী বা বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাচ্ছে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।



ছবি: অন্তর্জাল

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০২১ ভোর ৬:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সঠিক।
তবে এর কোন শেষ নেই।

০২ রা মে, ২০২১ সকাল ৭:২৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আসলেই এর কোনো শেষ নেই।
ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

২| ০২ রা মে, ২০২১ সকাল ৭:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: কখনো যদি জনগন সচেতন হয় তখন যদি শেষ হয়।ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করতে হবে,গনতন্ত্রেকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।সেজন্য আমরা কিছুই করছি না।বসে বসে তামাশা দেখছি।

০২ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:০৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমরা কি সেই মধুর পরিসমাপ্তি দেখে যেতে পারবো ?

৩| ০২ রা মে, ২০২১ সকাল ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনা মহামারীতে মানুষের থেকে দুরে থেকেছেন, ডাক্তারেরা বোধ হয় উনাকে টেলিভিশনেও উনাকে আসতে মানা করেছিলো!

০২ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দূরে থেকেও যদি তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেটাও কিন্তু হবে জনগণের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। অন্তত: চায়ওয়ালার মতো জনসমাবেশে গিয়ে 'হেন্ করেঙ্গে, তেন করেঙ্গে' না করাটাও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করবে। আর বর্তমানে চায়ওয়ালার উপর ভরসা না করে বিকল্প উৎস থেকে সংগ্রহ করে জাতিকে অতি দ্রুত ভেকসিন প্রদান করাটাই হবে তার দূরদর্শিতার প্রমান। আমার মনে হয় সেটা তিনি বুঝতে পারছেন এবং সেই পথেই হাঁটছেন

৪| ০২ রা মে, ২০২১ সকাল ৯:২৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: এখনও মানুষ যদি ইঁদুর হয়ে বাঁশির সুরে নাচে সে জন্য সত্যি কাকে দায়ী করা যায়।
শুধু দেশে না পাশের দেশে না, সব দেশেই কিছু না কিছু এমন ইঁদুর সুরের জন্য অপেক্ষা করে

০২ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:০৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সব দেশেই কিছু না কিছু এমন ইঁদুর সুরের জন্য অপেক্ষা করে।

সহমত। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলই তার জ্বলজ্যান্ত প্রমান।

৫| ০২ রা মে, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

জটিল ভাই বলেছেন:

রোকসানা লেইস বলেছেন: এখনও মানুষ যদি ইঁদুর হয়ে বাঁশির সুরে নাচে সে জন্য সত্যি কাকে দায়ী করা যায়।
শুধু দেশে না পাশের দেশে না, সব দেশেই কিছু না কিছু এমন ইঁদুর সুরের জন্য অপেক্ষা করে


আমার মতামত সারাবিশ্বের সবাই কোনোনা কোনো ইঁন্দুর সম্প্রদায়ভুক্ত :(

০২ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:৩১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সারাবিশ্বের সবাই কোন না কোনো ইঁন্দুর সম্প্রদায়ভুক্ত হলে পৃথিবীতে কোনো সৎ, মানবিক ও নীতিবান মানুষের অস্তিত্বই থাকতো না। এখনো পৃথিবীর বুক থেকে সেই ধরণের মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি। তারা এখনো বাঁশিওয়ালার সূরে নয়, বরং নিজের বিবেক দ্বারাই পরিচালিত হয়।

৬| ০২ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:১১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বাঁশিওয়ালাদের দুই ধরণের সুরে ইঁদুরেরা আকৃষ্ট হয় বেশি। একটা ক্ষমতার সুর আরেকটা ভক্তির সুর। ক্ষমতার সুর শুনলে বাঁশিওয়ালাকে ভয় পায় ইঁদুরেরা আর ভক্তির সুর শুনলে কিছু চিন্তাভাবনা না করেই আত্মাহুতি দেয়।

০২ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ক্ষমতার সুর শুনে ভয় পেয়ে আত্মাহুতি না দিয়ে কি পালিয়ে বেড়ায় ? আমাদের সাংঘাতিক (জার্নালিস্ট) ভাইরা কি এর জ্বলজ্যান্ত প্রমান ?

৭| ০২ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মৌ- লোভীদের পিছনে বিশাল একটা অংশ ইঁদুর হয়েছে কারণ খেতে পারে গর্তে থাকতে পারে। জুয়াড়ি, লম্পট, দরবেশ বাবা এতিম নিয়ে কাজ করে না

০২ রা মে, ২০২১ রাত ৮:৩৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সঠিক। আর এদের অনুসারী ইঁদুরের পালেও বাঁশিওয়ালার মতোই বিভিন্ন শ্রেণী ব্যবস্থার সৃষ্টি তৈরী হয়েছে।

৮| ০২ রা মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: পালায় না। ভয় পেয়ে অন্ধ হয়ে যায়। দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। সাংঘাতিকরা ইঁদুর না। তারা গিরগিটি।

০২ রা মে, ২০২১ রাত ৮:৩৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভয় পেয়ে অন্ধ হয় না , ভান করে। আর গিরগিটির মতোই রং বদলে ফেলে

৯| ০৩ রা মে, ২০২১ ভোর ৫:০৬

সোহানী বলেছেন: আসলে আমরা চোখ কান মুখ বন্ধ রাখা সে বাঁদর। এছাড়া কোন উপায়ই যে নেই। আর যে বাদর নাচ চলছে তার সাথে শুধু নেচেই যাই, এর বাইরে কিছু করার ক্ষমতা রাখি না কোনভাবেই।

০৩ রা মে, ২০২১ ভোর ৫:১৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চোখ কান মুখ বন্ধ রেখে নাচতে পারলে অন্তত: দানাপানি পাওয়া যায়। আর নাচতে না পারলে - বেতের বাড়ি।

১০| ০৩ রা মে, ২০২১ ভোর ৬:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কামনা করি সকলের সঠিক বোধদয় হোক ।
নিপাত যাক কুটকৌশল বাশীওয়ালারা
নীতি নির্ধারক দেশ পরিচালনাকারীরা
অনুসরন করুক সঠিক কর্মব্যবস্থা ।
মরনঘাতি এ করোনার হাত হতে
নিস্কৃতি এখন সর্বোচ্চ জাতীয়
অগ্রাধিকার কর্মসুচী হিসাবে
পরিগনিত হোক। সকলে
সততার সহিত সম্পৃক্ত
হোক এ মহতি কর্ম
প্রচেষ্টায় ।

শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা মে, ২০২১ ভোর ৬:৪৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ড: আলী ভাই ! আপনার মতো আমিও আশাবাদী হতে চাই। সবাই কূটকৌশলী বাঁশিওয়ালার প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে নিজ বিবেক বুদ্ধি দ্বারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হোক - সঠিক পথে পরিচালিত হোক। সবাই বুক ভোরে নিশ্বাস নিতে পারুক আগের মতোই।

১১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: কাজী নজরুল ইসলাম মৌলবীদের মৌ লোভী বলতেন।

১২| ১৮ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই, অস্ত্রের জন্য যেমন অস্ত্রের প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনই বাঁশিওয়ালার জন্যও মহা বাাঁশিওয়ালা প্রয়োজন। তারপর বোঝা যেতো “কার বাঁশিতে কতো জোর আর কার ঠোটে কতো বিঁষ”।

খুব ভালো লিখেছেন। পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


২০ শে জুন, ২০২১ ভোর ৬:৫৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ! মহাবাঁশিওয়ালার বাঁশি একদিন বাজবেই - আমরা সেই দিনেরই অপেক্ষায় !

১৩| ২০ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪০

দূরের যাত্রী বলেছেন: চেতনার সওদা কইরা ফ্যাসিবাদ কায়েমকারী মাফিয়ারাণী আসল বাঁশীওয়ালীকে এড়াইয়া পূচকে দরবেশ, ধরবেশ এদের নাম উল্লেখ করাও এক ধরণের লুকোচুরি। উনার নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন নাকি? অবশ্য কারো কারো মতে উনি অনেএএক ভালো। বাকীরা খ্রাপ। তাই উনার বদনাম হয়। উনার বিকল্প নেই এই মুহূর্তে।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড কাকলি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে দেখতাম ছাত্ররা হলে সীটটা ধরে রাখার জন্য ক্লাস কামাই দিয়া মিছিল করত। বিশাল মিছিল। হাতে তালি দিতে দিতে স্লোগান দিতো শুভ শুভ শুভ দিন শে...........সিনার জন্মদিন। যার জন্মদিনেও এতলোক লাফায় সেই না আসল বাশীওয়ালা।

২০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:২০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমি যাদের কথা আমার পোস্টে উল্লেখ করছি এরা প্রত্যেকেই গোটা জাতিকে বিভ্রান্ত করে সর্বনাশের পথে নিয়ে গেছে। আপনি সম্ভবত এদের কেউ একজনের অনুসারী তাই আপনার আঁতে ঘা লেগে গেছে ।

সাহসের কথা বলছেন ? আরেক জনকে উস্কানি দিয়ে কিছু বলাবার চেষ্টা করা কাপুরোষিতার লক্ষণ।

১৪| ২০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:২২

দূরের যাত্রী বলেছেন: @লেখক, আমি অবশ্যই এদের কারো অনুসারী না। এখানে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই।

"আমি যাদের কথা আমার পোস্টে উল্লেখ করছি এরা প্রত্যেকেই গোটা জাতিকে বিভ্রান্ত করে সর্বনাশের পথে নিয়ে গেছে"
আচ্ছা তাই নাকি? দরবেশ বাবা গোটা জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে?
ভালো কথা। তো দরবেশের নাম উল্লেখ করবেন আর যে তারে দরবেশ বনাইছে। দরবেশের ইনকামের ডিস্কাউন্ট যার তহবিলে জমা হইছে তার নাম সচেতনভাবে এড়িয়ে যাবেন? এদেশে কার অনুসারী বেশি? কার তাহাজ্জুদ পড়ার গপ্পো একশ্রেণির মানুষ বিশ্বাস করে বসে আছে? ছোট অপরাধীর দিকে ইঙ্গিত করে বড় অপরাধীকে এড়িয়ে যাওয়াও এক ধরণের ধান্দাবাজী এটা একটা বাচ্চাও বুঝে।

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সকল বাঁশীওয়ালারা নিপাত যাক!
অস্ত্রের জন্য যেমন অস্ত্রের প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনই বাঁশিওয়ালার জন্যও মহা বাাঁশিওয়ালা প্রয়োজন। তারপর বোঝা যেতো “কার বাঁশিতে কতো জোর আর কার ঠোটে কতো বিঁষ” - ঠাকুরমাহমুদ কর্তৃক উল্লেখিত সেই মহাবাাঁশিওয়ালা দ্রুত তার বাঁশি নিয়ে এগিয়ে আসুন!
এত এত বাঁশির সুর শুনি চারিদিকে! তাদের মধ্য থেকে মাত্র ৩ জন বাাঁশিওয়ালাকে সনাক্ত ক্করতে পারলেন?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শ্রদ্ধেয়,
বর্তমানে বাঁশিওয়ালার সংখ্যা অগুনিত, সনাক্ত করতে গেলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। আজকেই সংবাদে দেখলাম একটি মন্ত্রণালয়ের ফাইল গায়েব হয়ে গেছে গায়েবি বাঁশির সূরে। পোস্টে আমি শুধু টোকেন হিসাবে কয়েকজন প্রতিভাবান বংশীবাদকের উল্লেখ করলাম। বাকিগুলো অনুমান করে নিন - কষ্ট করে বাছতে হবে না।

১৬| ০৯ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:১১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


এমন একজন বাঁশিওয়ালার আগমন ঘটুক যার বাঁশির সুরে দেশের সমস্ত দুর্নীতি সমূলে উৎপাটিত হবে এবং দুর্নীতিবাজেরা নির্বাসনে চলে যাবে।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১২:১৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অবশ্যই আসবে - কোন রাষ্ট্রই স্খলনের অতলে তলিয়ে যেতে পারে না। একসময় জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে স্ফূলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখার উৎপত্তি ঘটে। কবে আসবে সেটা বলাটা দুরূহ - উপরওয়ালাই জানেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.