নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুনাফা নয় জীবন আগে । editor : greennewsbd,com

স্বপন মজুমদার

রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। সমাজ পরিবরতনে প্রত্যয়ী, দিকভ্রান্ত বাম রাজনীতির বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে, প্রতিবেশ ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছি। মুনাফা নয় জীবন আগে, পরিবেশ বাচঁলে জীবন বাচঁবে। জীবন কে অর্থবহ করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।

স্বপন মজুমদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

লালন চিন্তা -অর্থনৈতিক সাম্যের আগে যৌনত্যার ন্যায্যতা তৈরি হওয়া উচিত ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

লালন চিন্তা -অর্থনৈতিক সাম্যের আগে যৌনত্যার ন্যায্যতা তৈরি হওয়া উচিত ।
Swapan Mazumder·Wednesday, October 11, 20176 Reads
লালন নিয়ে লিখছি অনেকদিন তেমন কোনো গুরুত্বপুর্ন কমেন্টস কেউ করে না । মনে হয় সবাই লালন নিয়ে বেশ জানাশুনা আছে । আজ একজন বললো স্বপন লালন বলো আর বাঊল বলো - যৌনতা ছাড়া ওখানে তেমন কিছু নেই । আমি বললাম আপনি খুব ভালো জেনেছেন সত্য জেনেছেন । আসলেই তাই । কিন্তু আপনি কিভাবে তা দেখছেন । তিনি বললো এই নিয়ে প্রকাশ্যে বলার কি আছে । আমি বললাম আবারো সত্য কথা বললেন । তিনি বলল্লেন কেমন - শুনুন যেদিন থেকে পৃথিবী যৌনতা কে লুকাতে শুরু করেছে সেদিন থেকেই আমাদের দুর্ভাগ্য শুরু । আমরা জীবনের সবচেয়ে প্রতিদিন যে বিষয় টি লুকাই বা গোপন করি তা হচ্ছে আমাদের যৌনতা বা যৌনচিন্তা । এই লুকানো বা গোপনের কারনে আমরা অনেক মানসিক বৈকল্যের শিকার । আপনি ভাবতেই পারবেন না । আপনার পরিচিত ভদ্রলোকটির যৌন আচরন কেমন । এ রকম ভদ্র লোকের বাড়ী থেকে বহু স্ত্রী বিবাহের পরের দিন পালিয়ে গেছে । কারন রাতে যার চেহারা দেখেছে তা অচেনা ভিতকর । কেউ কেউ শুধু গোপনে সয়ে যায় । কেইস স্টাডি থেকে জানা যায় - ভদ্র লোক যৌন কার্যের সময় স্ত্রীর স্তন কামড়িয়ে ছিড়ে ফেলেছে । বা এমন ভাবে যৌনকাজ করতে আসে যেন লিঙ্গ দিয়ে এখনি যৌনাঙ্গ এপোড় ওপোড় করে ফেলবে । কেউ কেউ যৌন কাজ করতে এসে বীর্যপাত ঘটে যায় আর সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়ে ।
কতো গুরুত্বপুর্ন জীবনাচার- আমরা লুকিয়ে রাখি । ধর্মের মধ্যেও কি তা কম আছে । সেটা ইসলাম বলুন আর হিন্দু বলুন । লালনের এখানে আছে প্রেমানুভুতি এবং স্থিরতা । যৌনাচার নয় । যুগল বন্ধন । ব্রহ্ম রস থেকে সোমরস । আর এ আপনার এই বিরায়নী আর মোগলাই খানা নয় যা থেকে কাম বীর্য বা উত্তেজক রসের যন্ত্রনায় আপনি নারী দেখলেই ঝাপিয়ে পড়বেন । লালন অনুসারিদের খাদ্য অভ্যাস ভিন্ন । যে চারচন্দ্র খাওয়ার কথা বললেন তা আপনি যদি তা আপনার বিরায়নি খাওয়ার মল মনে করেন তাহলে ভুল হবে । শিশুর মল দেখেছেন ,প্রস্রাব দেখেছেন - তা দেখে কি ঘেন্না লাগে । খাদ্যের উপর নির্ভর করে আপনার মল কি রকম হবে । কি গন্ধ হবে । বুঝেছেন । সাধুর মল আপনার বিরায়নীর মতো - খাবেন নাকি - বেচারা খুব লজ্জা পেল ।
গ্রামে প্রায় হুজুরের দেখবেন দুই তিনটে করে বঊ আছে । আর মাদ্রাসা শিক্ষকের হাতে তো ছেলেমেয়ে কেঊ নিরাপদ নয় । কিন্তু লালন অনুসারী বা বাঊল কতৃক কেউ ধর্ষন বা ধর্ষিত হয়েছে এমন খবর কখোনো শুনা যায় নি । তাই গ্রাম বাংলায় ঘরের নারীরা তার দুখের কথা বাউল বৈষ্ণব কে বলতো । এই চরিত্রটাই বড় আদরের ছিল বড় মায়ার । তার দিকে দেখলেই চোখ উদাস হয়ে যায় । এ পথের মানুষগুলোর চাহনী সবসময় অনেক দূরে ।
এখন্ সাঁই যদি মানবের কল্যান ভাবে তো এই সমস্যা নিয়ে তিনি ভাববেন না । একটা সমাজের যৌন ভাবনা মানে সমাজের কল্যান বা ধ্বংস সেখানেই নিহিত । অর্থনৈতিক সাম্যের আগে যৌনত্যার ন্যাযতা তৈরি হওয়া উচিত ।বর্তমান সমাজের যে মানস তার প্রশ্রয়েই ব্যাক্তি পুরুষ তার আয় রোজগারের জন্যই যতো অশান্তি করে । তার টাকার যোগ্যতার উপর নির্ভর করে যৌন অধিকার । তার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে যৌনতার যথেচ্ছাচার ।
তাই লালননীয় যৌন জীবন আপনাকে দেবে ভিন্ন জীবন বা সুন্দর সমাজের স্বপ্ন ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তাই লালননীয় যৌন জীবন আপনাকে দেবে ভিন্ন জীবন বা সুন্দর সমাজের স্বপ্ন
মন্দ বলেননি। ধর্ম না মানলে জীবনতো পুরাই মজাই মজা। আর যৌনতার যদি লাইসেন্স নেয়া যায় লালনের নামে তাহলেতো রাম রহিমদের শিষ্যদের তো পোয়াবারো...

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটা সমাজের যৌন ভাবনা মানে সমাজের কল্যান বা ধ্বংস সেখানেই নিহিত । অর্থনৈতিক সাম্যের আগে যৌনত্যার ন্যাযতা তৈরি হওয়া উচিত ।বর্তমান সমাজের যে মানস তার প্রশ্রয়েই ব্যাক্তি পুরুষ তার আয় রোজগারের জন্যই যতো অশান্তি করে । তার টাকার যোগ্যতার উপর নির্ভর করে যৌন অধিকার । তার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে যৌনতার যথেচ্ছাচার ।
তাই লালননীয় যৌন জীবন আপনাকে দেবে ভিন্ন জীবন বা সুন্দর সমাজের স্বপ্ন ।

যৌনতা নিয়ে ইসলামের ঔদার্য যেদিন অনুভেব আসল বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছি।
যারা কট্টর , খালি ধর্ম ধর্ম করে- তাদের একজনকে বলেছিলাম- আচ্ছা মদীনায় হিজরেতর পর আনসার আর মুহাজিরদের মাঝে কি হয়েছিল জানেন?
না সূচক বলতেই ঘটনাটা জানালাম।
আনসারদের অনেকর একাধীক স্ত্রী ছিল। অথচ মুহাজির রা রাত কাটাত একা। তখন তিনি বল্লেন তোমরা নিজেদের পছন্দের এক বা ২ জনকে রেখৈ বাকীদের তোমাদের ভাইদের দিয়ে দাও।
উনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে জিভ কেটে না না বলতে থাকলেন।
মুচকি হেসে বল্লাম - নারীরা শস্যক্ষেত্র স্বরুপ সেখানে যথেষ্ছা গমন কর এই আয়াতটা কোরআনে আছে তাতো মানেন।
মাথা ঝাকালেন।
এর শানে নুযুল আয়াত অবতীর্ন হবার কার্যকারণ টা জানেন?
আবারো নেতিবাচক মাথঅ ঝাকালেন।
বল্লাম দয়া করে বাসায় যান। বাংলা অনুবাদ তাফসির প্রচুর পাোয়া যায়। পড়ুন। অনুভব করুন। দেখবেন অনেক কিছু সহজ।

সেই সহজিয়াকেই খুঁজে পাই গুরু লালনের জ্ঞানেও।
বিস্ময়কর গভীর জ্ঞানী মহাজনের করকমলে বিনম্র শ্রদ্ধা।

++++

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টের কথামালার উপর বিদ্রোহী ভৃগু ভাই অনেক মুল্যবান কথা বলে গেছেন যার অনেক গুঢ় অর্থ রয়েছে । এর পরে এর কোন অআলোচনা অসার মনে হতে পারে । তবে এটা ঠিক লালনীয় বাউল কিংবা কট্টর মুষলিম দর্শন নিয়ে আলোচনা সে এক কঠিন কাজ । এ কথা বলা হয়ে থাকে একজন পুরুষের জন্য প্রাপ্ত বয়সে একজন নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শুদ্ধ পরিশিলিত নিয়মে যৌনভুগে নশ্বর ও অবিনশ্বর সকল প্রকারের প্রাপ্তিই একজনের জীবনে ঘটতে পারে , তার প্রমান জগতে সকল ধর্মমতে রয়েছে শত সহয্র কোটি । স্তন কামরিয়ে দেয়া দু চারজন কিংবা পর্দার অন্তরালে কতকের পাশবিক ব্যভিচারের ঘটনা একটি বৃহত্তর সমাজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে কিনা সেটা সুধী জনেরাই নীজ বিবেচনায় বুঝে নিতে পারবেন । মুসলিম দর্শনে মানবাত্মার মুক্তি ও গৌরবময় বিকাশের জন্য সুফিবাদকে একটি অন্যতম পরিশিলিত পন্থা বলা যেতে পারে যেখানে যৌনতার স্থান সামাজিক নিয়মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, হয় নিয়মের ভিতরে থেকে যৌনতাকে আকরিয়ে ধর, না হয় যৌনতা থেকে একেবারেই দুরে থাক ।

একটি কথা পুর্বাহ্নেই বলে নেয়া ভাল শুধু বীর্জপাতেই যৌনতার সমাপ্তি নয় যৌনতার সংঙ্গা অনেক বিস্তৃত । শুধু কামভোগ নয় কামনার চোখে তাকানোও যৌনতার পর্যায়ে পরে, আধুনিক জগতের সকল প্রকার আইন সে কথাই বলে । যৌনতার আরাধনার মাধ্যমে নীজের শুদ্ধি না খুঁজে যৌনতার ঝুঁকি হতে দুরে থেকে নির্মোহ সাধনাই অধিক পরিমানে বুদ্ধি প্রসুত বলে মনে হয় ।

যাহোক, বা্উল সাধনায় যৌনতার আলোচনায় লালন ফকিরের নাম আসতেই পারে । তবে লালন উন্নতমানের একজন সাধক, গায়ক ও কবি হিসেবে সুধী সমাজে অনেক আগেই বিশাল মর্যাদা লাভ করেছেন।

ব্যপকভাবেই বলা হয়ে থাকে লালন ও তার শিষ্য বাউলরা দেহতত্ত্বে বিশ্বাসী। লালনের বাউল গানের কথার মর্ম ভেদ করা সকল শ্রোতার পক্ষ সম্ভব নয়। এটা পারে কেবল দীক্ষিত শিষ্যরা। বাউলদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের লোক আছে। কিন্তু এরা জনপ্রিয় শাস্ত্রীয় ধর্ম কতটুকু গভীরভাবে মানেন তা নিয়ে বভিন্ন জনে রয়েছে মতভিন্নতা ।

লালনের গানে আকর্ষণ আছে তবে তার সাধনার ক্ষেত্র হচ্ছে দেহতত্ত্ব। লালনের সাধনা দেহবর্জিতও নয়। এই সাধনা নারীবর্জিতও নয় অথচ সন্তানবর্জিত যা নিয়েই মুলত সামাজিক মানুষের মনে সন্দেহ ও অশ্রদ্ধা । বাউলরা সমাজে থাকে না, এদের সম্পত্তি থাকে না, দিনভর গান গেয়ে বেড়ায়। রাত্রে আখড়ায় মিলিত হয়। এই সাধনায় নারী হচ্ছে সাধন সঙ্গিণী। সে তুলনায় মুসলিম সুফিদের সাধনা নারীবর্জিত। খোদা প্রেমই হলো সুফিদের আসল কথা।

লালনীয় বাউলরা মানবিকবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়েছেন কামসাধনার পথ, লালনের গানে আছেঃ
করি কেমনে শুদ্ধ প্রেম রসের সাধন
প্রেম সাধিতে কেঁপে ওঠে কাম নদীর তুফান…।
বলবো কী হইলো প্রেমের কথা
কাম হইলো প্রেমের লতা
কাম ছাড়া প্রেম যথা, তথা নাইরে আগমন।

তবে এই মানুষে সেই মানুষকে দেখার কথা বলে বাউলগন দেহের ভিতর দেহাতীতের সন্ধান করেন নরনারীর যুগল সাধনার মাধ্যমে যার নমুনা মনে হয় দেখানো হল পোষ্টের নীচের ছবিতে !! । দেহের সাথে দেহের মিলন না হলে মাধুর্য ভজন হয় না। মাধুর্য ভজন না হলে মানুষ হয়ে জন্মানোর স্বার্থকতা কোথায়? এই হলো বাউলদের মৌল জিজ্ঞাসা। এই জিজ্ঞাসার উত্তর তারা খোঁজেন কাম সাধনায়। এই কারণে বাউলরা জোড়ে জোড়ে থাকেন। বাউল সাধনা একাকী পুরুষের বা একাকী নারীর সাধনা নয়, সেখানে আছে‘সাধনসঙ্গিণী’ ‘প্রেমভজা’ প্রভৃতি কাম আরাধনা । সেটা ফলববতি হোক কিংবা নিষ্ফল হোক তা কোন বিষয় না ।

সুফিবাদের প্রথম কথা হচ্ছে নিজের কামনার বিরুদ্ধে লড়াই করে পরিশুদ্ধ হওয়া, সদভ্যাস গড়ে তোলা এবং আল্লাহর প্রেমে এমনভাবে নিমজ্জিত হওয়া যাতে দুনিয়ার কোনো কিছুই তাকে আকর্ষণ না করে। সুফি পরিভাষায় একে বলে ফানা। সুফিদের যে সাধন পদ্ধতি সেটা এতো সহজ নয়। সংযম, কৃচ্ছসাধন ও পরিশুদ্ধ জীবন-যাপন এগুলো হচ্ছে সুফি জীবনধারার অপরিহার্য অংশ। পার্থিব আকর্ষণকে যে জয় করতে পারে না, সে কখনো সুফি হতে পারবে না।

সুফি সাধন মার্গের তিনটি স্তর আছে যথা শরিয়ত, তরিকত ও হাকিকত। সুফিদের রাস্তায় হাঁটতে হলে প্রথমেই ইসলামী শরিয়তের পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ করতে হয়। দ্বিতীয় স্তর হচ্ছে তরিকত- সুফি সাধনার বিশেষ ধারা। সুফিরা নানা অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে, নানা মঞ্জিল অতিক্রম করেন, হাকিকত যার মাধ্যমে আল্লাহর দর্শনে সমাপ্তি ঘটে। এই দর্শনকে বস্তুজগতের অভিজ্ঞতা দিয়ে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। সুফিরা তখন নিরবে আল্লাহর জিকির করেন, আল্লাহর সিফাত বা গুণাবলী নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করে উন্নত মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন। সুফি সাধনার সাথে তাই বাউল সাধনার বেশ বড় একটা মৌলিক পার্থক্য দেখা যায় । বাউল সাধন পদ্ধতিতে যে যৌন মনের প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাই যতই হোক না তা নিয়ন্ত্রিত , নাইবা থাকল তরল কামরসে সিক্ত , সে তুলনায় সুফি সাধনায় এসব কল্পনাই করা যায় না।

অনেকেই বলে থাকেন বাউল মতাদর্শ একটা প্রবল জনপ্রিয় ও বিপ্লবী বিষয় যার বন্যায় অবগাহন করে বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তির আস্বাদ পেয়েছে। কিন্তু বাউল দর্শনের মধ্যে মানুষের সামাজিক-অর্থনৈতিক-আধ্যাত্মিক মুক্তির কথা তেমন করে কি কিছু উঠে এসেছে।? এর মধ্যে নেই মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা মোকাবেলা করার কথা। জীবনের সর্ব বিষয়ের সাথে অসম্পৃক্ত এরকম দর্শন নিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে না। লোক-সংস্কৃতি সব দেশেই থাকে। কিন্তু সে দেশের সংস্কৃতি বলতে কেবল লোক-সংস্কৃতিকে বোঝায় না। তার চেয়ে উঁচু স্তরের সংস্কৃতিও একটা থাকে। সেই সংস্কৃতি দেশের মানুষের মননশীলতার প্রতীক। দেশের মানুষ কোন যৌনতার মননশিলতায় বিশ্বাসি নয় । লোক-সংস্কৃতি লোকরঞ্জণের অনুপম উৎস। লালনের গান লোকরঞ্জণকারী হিসেবে বহুদিন বেঁচে থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। একে লালন করতে আমাদের কোন অসুবিধা নেই , তবে একে আমাদের বৃহত্তর মুসলিম সমাজে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিকসিত হতে দিলে একটি বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে । এটা নিয়ে নিকট অতীতে বেশ বড় সর সমস্যা নারা চারা দিয়ে উঠতে দেখা গেছে ,কুষ্ঠিয়া ও ঢাকায় লালনের ভাস্কর্য স্থাপন সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ যোগ্য ।

যাহোক ,বাংলাদেশের জনমানসে লোক-সংস্কৃতির যে জায়গা আছে সেটা সব সময় থাকবে। সেই জায়গায় লালনের স্থান, ইসলামের মুল জায়গায় ইসলাম থাকবে, যে যার মত অনুসরন করবে এর মধ্যে যৌনতার বিষয় অবতারনা করে কোন ফ্যাসাদ কাম্য নয় । লালনের কথা দয়াল পার কর আমারে, আর ইসলামের মুল কথা সুন্দর নির্ভেজাল সমালোচনাহীন পরিশুদ্ধ সামাজিক জীবন যাপন করে আল্লার কাছে বল মাফ কর আমারে । সচেতন মানুষেরা বুঝে নিক মানবতার মুক্তি ও খোদাপ্রেমের সর্বোত্তম উপায় কোনটি , কথা হল খাটাও মাথা নীজ নীজ বুদ্ধি বিবেক ও বিধাতা প্রদত্ত জ্ঞান প্রয়োগ করে ।

অনেক ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ে আলোচনার সৃত্রপাত করার লক্ষে পোষ্ট টি দেয়ার জন্য ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৩৫

নতুন বলেছেন: উপরে দুজন যেটুকু বলেছেন তা পুরুটাই সঠিক বিশ্লেষন...

বাউলের দেহ তত্বে মানব শরীরেই সৃস্টিকতা খোজে... এটা একটা অসম্পূন` ভাবনার উপরে দাড় করা বাউল তত্ব...

মহাবিশ্ব অনেক বড়... যদি সৃস্টিকতা` থেকেই থাকেন তবে তার অচিন পাখি হবার দরকার নাই।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বাব্বাহ ! লালন তো দেহা যায় সেক্সওলোজিস্ট ছিল !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.