নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আমি

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌

এখানে ওখানে ঘুরি। শুনি, পড়ি, হাঁটি, খেলি।

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে আসার জন্য চলে গেলেন সৈয়দ শামসুল হক

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৯

সৈয়দ শামসুল হক নেই। পঞ্চাশের দশকের দীপ্যমান নক্ষত্রটি ঝরে গেল। নিজেকে বড় একা মনে হয়।

সৈয়দ হক সত্যিই ছিলেন সব্যসাচী লেখক। কবিতা, গল্প, গান, চিত্রনাট্য, নাটক—সব কিছুতেই সৈয়দ হক-এর প্রতিভার স্বাক্ষর অম্লান। তাঁর ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘নূরলদীনের সারা জীবন’—বাংলা নাট্য সাহিত্যে অমর অবদান। সমসাময়িক রাজনৈতিক আবেগকে কিভাবে চিরায়ত সাহিত্যের রসে রসায়িত করা যায়, এই দুই নাটকেই শামসুল হক তার প্রমাণ রেখেছেন। মানুষের অধিকার, মনের কথা, নীতিনির্ধারকদের কাছে তিনি তুলে ধরেছেন। তাঁর কবিতাও ধারালো, আধুনিকতায় ঝকঝকে। তাঁর কবিতা হৃদয়গ্রাহ্য, সংবেদনশীল এবং তাঁর শব্দ চয়ন ও ভাষাতে রয়েছে উত্তরাধুনিকতার ছাপ। মানুষ তার মনের কথাটি খুঁজে পায় তাঁর লেখায়।

সংক্ষিপ্ত তথ্য:

নাম : সৈয়দ শামসুল হক
জন্ম : ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৫
মৃত্যু : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
বাবা : সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন
মা : হালিমা খাতুন
স্ত্রী : আনোয়ারা সৈয়দ হক
ছেলেমেয়ে : এক ছেলে, এক মেয়ে
পৈতৃক বাড়ি : কুড়িগ্রাম
পড়াশোনা : ১৯৫০ সালে কুড়িগ্রাম থেকে ম্যাট্রিক পাস। ১৯৫২ সালে ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। কলেজ পাসের পর ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা, পরানের গহীন ভিতর, অগ্নি ও জলের কবিতা, ধ্বংসস্তূপে কবি ও নগর।
উল্লেখযোগ্য উপন্যাস : সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন, বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ, বনবালা কিছু টাকা ধার নিয়েছিল, নিষিদ্ধ লোবান, খেলারাম খেলে যা, বালিকার চন্দ্রযান।
উল্লেখযোগ্য কাব্যনাটক : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, গণনায়ক, নূরলদীনের সারা জীবন।
উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ : রক্তগোলাপ, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীর গল্পগুলো।
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ : হৃৎকলমের টানে, মার্জিনে মন্তব্য।
পুরস্কার : বাংলা একাডেমি (১৯৬৬),
আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৮৪)।

সূত্র: কালের কন্ঠ

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৯

তানভীর আকন্দ বলেছেন: একটা ব্যাপার মাথায় আসল, তাঁর সম্পর্কে এতো তথ্য থাকে কিন্তু তাঁর পেশাজীবন সংক্রান্ত কিছু বলা হয় না কোথাও! একজন সাহিত্যিকের ব্যাপারে এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ না কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে মুখে ফ্যানা তুলে ফেলা হয় সাধারণত এটা নিয়ে...

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: হ্যাঁ তাই। আপনি লিখতে পারেন। ধন্যবাদ , মনের কথাটি বলার জন্য।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

নীলপরি বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: ধন্যবাদ, নীলপরি।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দুঃখজনক।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: আমরা একজন সময়ের সাহসী সন্তানকে হারালাম।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নক্ষত্রের পতন।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলা একজন মানুষকে হারালাম।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

সেলিম৮৩ বলেছেন: নক্ষত্র কি উল্কা সেটা বুঝিনা।
দুধের ভিতর একফোটা কেরোসিন পড়লে যা হয় তাই।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: স্পষ্ট হল না সেলিম৮৩

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একজন কবির মৃত্যু হলো। শুভকামনা থাকলো সৈয়দ শামসুল হকের জন্য।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: ফিরে আসুক আবার সুন্দর সৈয়দ শামসুল হক এই প্রার্থনা করি।

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

শরতের ছবি বলেছেন: তাঁকে নিয়ে লেখা পড়তে ভাল লাগে ।অনেক কিছু জানলাম ।ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
তিনি ভাগ্যবান ,তার সময় তাকে তৈরি করে দিয়েছে । ৫২, ৭১ সবই তিনি পেরিয়ে এসেছিলেন ।সময় মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয় আবার অনেক কিছু দেয়ও ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১২

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: তিনি সময়ে সাহসী অংশগ্রহন প্রমান করে মানুষের কাছে যেতে পেরেছেন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রে প্রতিদিন অনেক দায়িত্ব পালনের সুযোগ রয়েছে যা আমাকে ছোট পরিসর থেকে বড় পরিসরে নিয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.