![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্মানিত ধর্মীয় পণ্ডিতগণ,
আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী,
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনাকালে অন্তত একবার
অন্তত একবার এই নিঃস্ব কৃষকের কথা বইলেন,
বইলেন আমার সুশিক্ষিত বেকার ছেলেটার কথা
ঘরে বসে থাকা আমার অনূঢ়া মেয়েটার কথা
গৃহের কোণে পড়েথাকা মায়েরে যেন দয়াল দ্রুত নিয়ে যায়
এই কথাটা তাঁরে বইলেন,
একটু বুঝাই বইলেন।
সম্মানিত ধর্মীয় পণ্ডিতগণ,
খোয়ারে বাঁধা গাভীটা শুকিয়ে আমার বউয়ের মত হয়ে গেছে,
বউটা নিজ আত্মবিশ্বাস ও শাড়ির পেঁচে দাঁড়িয়ে আছে,
গাভীর তো শাড়ি নেই, আছে কি ওর আত্মবিশ্বাস?
যদি না থাকে, তবে সে কেমনে দাঁড়িয়ে থাকে?
এমন অনেক প্রশ্ন আসে জীবনে,
কিন্তু করি না, বলি না,
এইসব নিয়ে বেশি ভাবিও না; দয়াল ভয় পাবে তাই,
দয়ালকে এতো ছাড় দেই,
তবু কেন তিনি আমার সুখ কেরে নিলেন?
আপনারা জিজ্ঞেস কইরেন না, নতুবা
তিনি আমার সর্বস্ব কেরে নেবেন!
আপনারা তাকে একটু বুঝাই বইলেন,
যেন তিনি আমার প্রতি একটু সদয় হন।
সম্মানিত ধর্মীয় পণ্ডিতগণ,
আজ তীর্থস্থানে আসার পর জানতে পারলাম
মহাজনের ছেলের জ্বর, সভাপতির পায়ে ব্যথা
আমাকেও সমস্বরে প্রার্থনা করিতে হইলো
হে পণ্ডিতগণ, আপনাদের বাধ্যথার চাপে।
অথচ এদিকে আমার ঔষধ সেবনহীন মায়ের কষ্ট,
মানব সৃষ্ট পানিতে ভেসে যাওয়া আমার রক্ত
যা জন্মেছিল আমার ধানের চারাগাছে,
সব গেলো আমার, সব গেলো
সরকার টাকা নিল চাল দিল, আজ
সুদের পাহাড় আমার ঘাড়ে ভূতে হয়ে আছে,
মাস না পেরুতেই আবারো আমার ঘুরতে হয় পথে পথে
সুদও আর মিলে না, ঋণ পাওয়া তো অনেক দূরে
হে ধর্মীয় পণ্ডিতগণ, প্রার্থনা করেন না!
আমাদের জন্য একটু করে।
সম্মানিত ধর্মীয় পণ্ডিতগণ,
আগামী তীর্থানুষ্ঠানে দয়ালরে একটু বুঝাই বইলেন
একটু বুঝাই বইলেন
যেন সে আমার দুঃখ লাগব করে।
(ছবি →গুগল)
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
নিজে করলে হবে না কেন। অবশ্যই হয়। কিন্তু সহজ সরল কৃষকেরা বিশ্বাস করে প্রার্থনার জন্য মাধ্যম প্রয়োজন। আর তাই এই সহজ সরল মানুষদের থেকে বিশাল অর্থ হাসিল করেও পণ্ডিতেরা এদের জন্য একটু প্রার্থনাও করে না; অন্তত ওদের কষ্টিত মনের শান্তনার জন্য।
কবিতায় সহজসরল বিশ্বাসী কৃষকদের কথা বলা হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার টোনটা হয়তো ধরতে পেরেছি!!
ব্যাপারটা আমাকেও পীড়া দিত খুব বিশেষত জুমার মোনাজাতে!!
তবে এখন আর ওসব নিয়ে ভাবিনা!! ব্যাবসায়িক দুনিয়ায় এখন সব কিছুই কমার্শিয়াল অ্যাংগেল থেকে বিবেচনা করা হয়! এমন কি ধর্মশালাও ওখান থেকে বেরুতে পারেনি!!
লেখায় ++
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ভাই বিলিয়ার রহমান,
আমি নির্দিষ্টভাবে কোন ধর্মের আশ্রমের দিকে ইঙ্গিত করিনি। এই সমস্যাটা সকল ধর্মের পণ্ডিতদের মধ্যে চলে এসেছে; পুঁজিবাদের মত।
তবে হ্যা, আপনার কথা ফেলে রাখার মত না। উচিৎ কথাটাই বলেছেন।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন এমন সুন্দর মন্তব্য প্রকাশে।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২১
ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আমি বেশী বুঝি নাই কি বুঝাতে চেয়েছেন , একটু কি বুঝিয়ে বলতে পারেন ভাইয়া প্লিজ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আমাদের বাংলাদেশী কৃষকেরা খুবক ধার্মিক। তারা সর্বস্ব হারানোর পরও ধর্মীয় ব্যাপারে দানবীর। তাদের সরলতার সুযোগে ধর্মীয় পণ্ডিতেরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে খুবই ব্যাপরুয়া। এই সহজসরল মানুষেরা দানদক্ষিনার পর পণ্ডিতদের নিকট একটু প্রার্থনা আশা করে। এটা ধর্মীয় দিক দিয়ে গ্রহণযোগ্য হোক বা না হোক, কিন্তু তারা আশা করে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যখন তারা প্রার্থনাশ্রমে গমন করে, বিশেষ ব্যক্তিদের বিশেষ সুবিধা দেখতে পায় তখন তারা খুবই কষ্ট পায়; কিংু তাদের বিশ্বাস ভাঙে না। কষ্ট বাড়ে।
এই কষ্টগুলো খিচুড়িভাষায় বলার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছ এই কবিতায়।
ধন্যবাদ সুমন্তব্যের জন্য।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মাথামুণ্ড কিছুই বুঝলাম না, যাই হোক আজ কমেন্ট খরা চলছে মনে হচ্ছে সবার ক্ষেত্রেই।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
মনোযোগ দিয়ে আবার পড়েত বুঝতে পারবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
খরা হোক আর যাই হোক, আজ সকালে বৃষ্টি হয়েছে। কৃষকের উপকার হবে।
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগার "ওমেরা" বলেছন যে, উনি কিছুই বুঝেননি; এবার উনার জন্য টিউটোরিয়েল খোলার ব্যবস্হা করুন।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ভাই চাঁদগাজী,
হু, খোলা যায়। আপনি একটু সিস্টেম বাতলে দেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রার্থনা নিজে করলে হয় না??
পন্ডিত কিংবা হুজুরদের লাগে??