নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।লিখুন শীরোনাম সুন্দর একটি ব্লগের আপনার

সৈয়দ ইসলাম

আগত প্রজন্মের সাক্ষী!

সৈয়দ ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ও বাঙালির বিলুপ্তি

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৮



পশ্চিমবঙ্গের অনেক ভাইকে দেখা যায় বাংলা ভাষাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে। অথচ তারা খুব ভালভাবেই জানেন বাংলা ভাষার জন্য একমাত্র পূর্ববাংলার বাঙালিরাই রক্ত দিয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মুসলমান। যা ইতিহাসের পাতাকে অলংকৃত করে রেখেছে। ১৯৫২ সালের সেই ২১ফেব্রুয়ারির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজও বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। যে শ্রেষ্ঠত্ব অন্য কোন জাতি অর্জন করতে পারেনি, সেটা পূর্ববাংলার মানুষ অর্জন করে নিয়েছে।

একসময় পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মানুষ ছিল একাত্ময় আবদ্ধ। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা মিছামিছি নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি দাবী করে। সর্বশেষ অবস্থায় দেখা যায়, তারা তাদের মাতৃভাষা ভুলতে বসেছে। ভুলতে বসেছে তাদের বাঙালি সংস্কৃতি।

ভারতের রাষ্ট্রীয়ভাষা নির্বাচনে রবীঠাকুরের হিন্দি ভাষার প্রতি সমর্থন। উপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্রের মুখে ঢাকার বাঙালি মুসলমানকে কাকের সাদৃশ্য মনে হওয়ার প্রকাশ। ঢাকা ভার্সিটি হওয়ার বিপক্ষে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের শিক্ষিতজনের শ্লোগান। বিভিন্ন সময়ে পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের এসব কথা থেকে পূর্ববঙ্গের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ, হিংসা ও ঘৃণা জন্ম নিতে থাকে। তারা ভাবতে থাকে তারাই প্রকৃত বাঙালি।

মজার বিষয় হচ্ছে, চর্চাপদের আবিষ্কারক জনাব হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঢাকা ভার্সিটি হওয়ার বিপক্ষে বড় গলায় কথা বলেছিলেন কিন্তু যখন ঢাকা ভার্সিটি প্রতিষ্ঠা লাভ করলো তখন এই ভদ্রলোক নিজে ঢাকা ভার্সিটির ভিসি হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। উনার জন্য দুঃখ, উনি ভিসি হতে পারেননি, কিন্তু ইতিহাসে হাসির পাত্র হয়ে আছেন। কিন্তু উনি বিখ্যাত মানুষ বটে। এই বিখ্যাত মানুষদের ভিন্নরূপের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মনে এক ধরণের হিংসার জন্ম দেয়। যার কারণে পশ্চিমবঙ্গের অনেক বুদ্ধিজীবী বাংলাদেশীদের বাঙালি মানতে পারেন না। যার প্রভাব থেকে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পাব্লিকও রেহাই পায়নি। তবে বাংলাদেশের বাঙালিরা পশ্চিমবঙ্গের ভাইদেরকে আজীবন বাঙালি ভাই হিসেবেই মনে করে যাবে। যদিও তারা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রবীঠাকুরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে হিন্দি ভাষার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

হয়ত কিছুকাল পর আসামের মত তারাও স্বাধীনভাবে নিজ মাতৃভাষায় কথা বলতে পারবে না। ওরা সময়কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, উল্টো সময়ের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়ে নিজেদের ভাষা-সংস্কৃতি হারাতে বসেছে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমি ভাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। ছোটখাটো বিষয়ে বিবাদ করি না। জ্ঞানীদের ভুল ধরি না।
ভাষা প্রবাহমান ও পরিবর্তনশীল। ১০০০ সালে আমেরিকার ভাষাও ইংরেজি ছিল না, আমাদের ভাষাও বাংলা ছিল না। আর, ৩০০০ সালে আমাদের প্রজন্ম যে কী ভাষায় কথা বলবে?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:


বাংলা ভাষায় কথা বলবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: তাদের বাংলা ভাষাই কিন্তু আমাদের মা-বোনেরা (কিছু ক্ষেত্রে ভাইয়েরাও) গোগ্রাসে গিলছে বিকেল থেকে রাত অবধি। আমাদেরগুলো হালে পানি পাচ্ছে না। ;)

ভাষাকেও এখন মার্কেটিং করা শিখতে হবে কি বলেন? না হলে দাদা বাবুদের কথাকেই চিরতার রসের মতো গলাধ:করণ করতে হবে অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও। :(

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:


ভাষাকে মার্কেটিং শিখান আর নাই শিখান কিন্তু মার্কেটে আপনার ভাষাকে টিকিয়ে রাখতে ভাষাকে মার্কেট ধরার জন্য সেই রকম পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।

এতো সুন্দর মন্তব্যেত জন্য শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: খোদ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই বলিয়াছেন, বাংলা শুধু বাংলাদেশেই টিকিয়া থাকিবে !

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:


হু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বুঝিতে পারিয়াছিলেন। কিন্তু আমরা বুঝিতে পারিতেছি না। আমরা সম্পদ কী সেটা এখনো চিনিয়া উঠি নাই।

এতো সুন্দর মন্তব্য করিয়া আপনি শুভেচ্ছা গ্রহণ করিতেছেন। আমার ভালো লাগিতেছে। বিল্কুল ভাল লাগিতেছে

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: বাংলা ধুইয়া পানি গিলেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ?!
অস্পষ্ট ভাবে কী বুঝাতে চাচ্ছেন?

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: লেখকের বাংলা নাম কি?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: অগ্নিবেশ,


কোন লেখকের নাম জিগাইতাছেন?

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:


আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।
ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বাঁচুন।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০০

নীল আকাশ বলেছেন: দাদারা ছাগলের ৫ নম্বর বাচ্চার মতো সারা জীবন চেচিয়েই যাবে, দুধ কোনো দিন আর পাবে না। এদের বাংলা নিয়ে কথা বলার আগে জল দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নেয়া উচিৎ ! ব্যাটারা হিন্দি বলতে বলতে কিছুদিন পরে নিজেরাই বাংলা ভূলে যাবে........।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:


নির্ঘাত কিছু সত্য বলেছেন। যা কিছুদিন পরই বাস্তব হতে যাবে। কিন্তু সেটা আমাদের জন্য দুঃখের বিষয়; বাঙালির সংখ্যা কমায়।
আপনাকে ধন্যবাদ, সময় নিয়ে পড়ার পর এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

বারিধারা ২ বলেছেন: ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে ১০ টি ভাষাও টিকে থাকবে কিনা সন্দেহ আছে। মানুষে মানুষে সবচেয়ে বড় পার্থক্য তৈরি করে ভাষা ও বর্ণ। এই ব্যবধান যত কমবে, মানুষের কাছাকাছি আসার সুযোগও তত বাড়বে।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:

কথা ঠিক।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃহৎ ভারতে, বাংগালীরা পেছনে পড়ে গেছে

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
তারা যেন নিজ ঐতিহ্য সম্পর্কে আবারো সচেতন হতে পারে।

শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য।


আপনার শরীর সুস্থ আছে তো ভাই?

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনার বাংলা নাম কি?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: এতো কিছু থাকতে এই প্রশ্ন কেন প্রিয় অগ্নিবেশ?

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

মোহাম্মদ জন চক্রবর্ত্তী বলেছেন: আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গে বাংলা এখন টিকে আছে কলকাতা বইমেলা , রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে নন্দন চত্তর, কলকাতার রাস্তার মোড়ে মোড়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত ( যার প্রায় কোন শব্দই বোঝা যায় না ) আর কিছু বাঙালি পরিচালকের মুখে। আপানার যারা কলকাতা গেছেন, তাদের কারও আপাত দৃষ্টি তে মনে হয় যে এটা বাংলার রাজধানী।
" ওরা ভোজপুর, বিহার( আসলে হিন্দিকে) নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি, ( আর আনার কোনো চেষ্টাও করছে না) , উল্টে হিন্দির নিয়ন্ত্রনে চলে গিয়ে নিজেদের বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সব কিছু হারাতে বসেছে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ওরা ভোজপুর, বিহার( আসলে হিন্দিকে) নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি, ( আর আনার কোনো চেষ্টাও করছে না) , উল্টে হিন্দির নিয়ন্ত্রনে চলে গিয়ে নিজেদের বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সব কিছু হারাতে বসেছে। কথা এটাই। তারপরও যখন কিছু লারেলাপ্পা টাইপের ইন্ডিয়ান বাঙালিরে দেখি লাফালাফি করতে, তখন ইচ্ছে করে...

১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পশ্চিম বঙ্গে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিপন্ন, এ কথা ওখানকার বুদ্ধিজীবীরাই বলে থাকেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ঠিক তাই ভাই, তবে কিছু লেখক এখনো অবচেতনে পাগলামো করে থাকেন; যা দেখে উনাদের জ্ঞানের প্রমাণ মেলে।

ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.