![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুনামগঞ্জ হচ্ছে দেশের কৃষি উৎপাদনের উত্তম জায়গা। এখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া আবশ্যক। হাওর, প্রাকৃতিক সম্পদ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ই বেশি প্রয়োজন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় একের পর এক পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিচ্ছে সরকার। আর তাই, বর্তমানে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪০টিতে উঠে এসেছে। যা আমাদের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে প্রসারিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান তার নিজ জেলা সুনামগঞ্জে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি করেন। সভায় উপস্থিত থাকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাতে সমর্থন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি দেন। এরপর অর্থ প্রতিমন্ত্রী একটি বেসরকারি চাহিদাপত্র (ডিও লেটার) দেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে।
এরই সূত্রধরে সুনামগঞ্জে তৈরি হচ্ছে পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তা এই হাওর এলাকাবাসীর জন্য যথেষ্ট সহায়ক হয়ে উঠবে না। কারণ এই এলাকার মানুষ কৃষিনির্ভর। তাদের কৃষিখাতকে আধুনিকায়নের চেষ্টা করলে তারা অতিদ্রুত দরিদ্রতার কাল তাবা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারতো। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারতো। কিন্তু তাদের চাহিদানুযায়ী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি না হয়ে তৈরি হিচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। হ্যা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করা যেতে পারে কিন্তু এখন তাদের প্রয়োজন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হোক, অত:পর না হয় তাদের উন্নয়নের অর্থ দিয়েই বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করা যাবে।
আমরা বিদেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি। মাঝেমধ্যে মনে হয়, যেন আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে। তারা তাদের আর্থিক অবস্থান থেকে ঠিক আছে, কিন্তু আমরা আমাদের আর্থিক অবস্থান থেকে তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা নির্ঘাত বোকামি। আমাদেরকে আমাদের ভৌগলিক সুবিধা কাজে লাগাতে হবে। যদি কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে আর্থিক সচ্ছলতা পরিবর্তে দারিদ্রতাই আমরা আপন করে নেব।
সুনামগঞ্জের ভাইবোনদেরকে প্রথমে অনুরোধ করব, আপনাদের ভবিষ্যৎকে সময়ের সাথে দ্রুত পরিবর্তন করতে হলে এখনই মাটে নামুন। নিজেদের দাবী নিজেরা আদায় করুন। সিলেট ও দেশের সুশিক্ষিত ভাই ও বোনদের নিকট একই অনুরোধ করবো, দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে সুনামগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পক্ষে শ্লোগান তুলুন। সুনামগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পক্ষে যেখানেই জনজমায়েত হবে, সকলে সেখানে অংশগ্রহণ করে দেশকে তার সঠিক পথে এগিয়ে নিতে নিজের কর্তব্য আদায় করুন।
০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১০
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
দরকার আছে বটে।
আপনার কী মনে হয়?
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু সুনামগঞ্জে না আরও অনেক জাগায়'ই দরকার।
০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৫
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ঠিক বলেছেন রাজীব নুর ভাই,
আসলে কোন জাতিকে উন্নয়নের দিকে এগুতে হলে তার পথেই এগুতে হবে। তখন দ্রুত উন্নয়ন ঘটবে, নতুবা সুদীর্ঘ কাল অপেক্ষা করেও শান্তির উন্নয়ন আসতে দেখা যাবে অনেক বাকি।
আপনারকে ধন্যবাদ; এমন সুমন্তব্যের জন্য।
দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাঙালিজাতি এক হোক; এটাই কামনা।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
কালীদাস বলেছেন: দেশে শিক্ষাস্ফীতি তুঙ্গে উঠেছে বিগত বছরগুলোতে। ছোট্ট একটা দেশ, শিক্ষাখাট স্হবির হওয়ার পথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রাজুয়েটের ভারে; সবাই ম্যানেজারিয়াল পজিশনে গেলে কাজ করবে কে? ইমিডিয়েটলি কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া উচিত পরিস্হিতি কন্ট্রোলে আনতে। আমাদের কাজ করার লোক দরকার, উন্নত বিশ্বেও উচ্চশিক্ষার হার এত বেশি না আমাদের মত। উচ্চশিক্ষাকে আমরা সামাজিক চাহিদার বিষয় বানিয়ে উচ্চহারের অতিশিক্ষিত বেকারত্বের হার বাড়িয়েছি, যেটা দেশের জন্য কোন ভাবেই ভাল কিছু বয়ে আনছে না।
তাই নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চাওয়ার আগে দেখা উচিত এটার প্রয়োজনীয়তা কি জন্য: জাস্ট জেলা/বিভাগভিত্তিক ইগো নাকি দেশের ডিমান্ড মেটাতে পারছে না এক্সিজটিং ইউনিগুলো সেজন্য!
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩১
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ভাই কালীদাস,
আপনার কথাই ঠিক। আসলে যে হারে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বাঙালি জাতির জন্য বিরাট এক হুমকি হয়ে দাঁড়াতেও পারে (দয়াল এটা না করুক)।
সুনামগজের এলাকাবাসীর জন্য তাদের এমপি মান্নান সাহেব যে দাবী করেছেন আমি তার অযৌক্তিকতা সম্পর্কে বলতে চেয়েছি। এখন উচিত ভার্সিটি বৃদ্ধি না করা। কিন্তু তারা করবে, তারা সাইনবোর্ডে দেখাবে তারা শিক্ষার উন্নয়ন করেছে। কিন্তু ববাস্তবে এই শিক্ষিত জাতিকে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
যেহেতু তারা ভার্সিটি করবেই, সুতরাং ঐ এলাকার ভৌগলিক অবস্থার উপর বিবেচনা করে যদি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় না কদে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে তাহলে ওখানকার মানুষগুলো তাদের জমি থেকে ভাল ফসল উৎপাদন করতে পারবে। যা দেশ ও তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আমার মনে হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ ও নিরন্তর ভালবাসা।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
কৃষির ব্যাচেলর কি দেশের দরকার আছে?