নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।লিখুন শীরোনাম সুন্দর একটি ব্লগের আপনার

সৈয়দ ইসলাম

আগত প্রজন্মের সাক্ষী!

সৈয়দ ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ বিপরীতে হুজুরদের একগুঁয়েমি

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫১


যদি আপনি নিজেকে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী দাবী করেন, তবে তা কাজেও প্রমাণ করতে হবে। যেমন, আপনাকে মৌখিকভাবে তা স্বীকার করতে হবে, তাঁর আদেশানুরূপ কাজ করতে হবে, তাঁর নিষেধ মানতে হবে। মোটকথা, আপনার আস্তিকতা টিকিয়ে রাখতে হলে আপনাকে এ কাজগুলো করতেই হবে। বিশ্বাসীর সজ্ঞায় নীলগোষ্ঠীর (ছদ্মনাম) এটাই দাবী। কিন্তু নিজেদের দেশপ্রেমের প্রশ্নে তারা মৌখিক সম্মতিতেই সীমাবদ্ধ। অনেকে আবার সম্মতির বেলায়ও লজ্জাবতীর ভূমিকা রাখেন।

নীলগোষ্ঠী বলে এখানে যাদের কথা বলা হচ্ছে, তাদের সাক্ষাত পাওয়া যায় দিবসগুলোতে, বিশেষ করে জাতীয় দিবসগুলোতে। তারা বিশ্বাসীর সজ্ঞায় যে বয়ান দিয়ে থাকেন, দেশপ্রেমিকের সজ্ঞায় সেই সাদৃশ্য বয়ান টানতে পারেন না। জাতীয় দিবসগুলোতে তাদের অবস্থায় মনে হয়, এখনো তারা স্বাধীন বাংলাকে পাকিস্তান কল্পনা করেন। স্বাধীনদেশের হাওয়া-বাতাস খেয়ে বড় হয়েও এ নীলগোষ্ঠী বাংলার স্বাধীনতা স্বীকার করেন না। বিশেষকরে, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ওরা সম্মানের চোখে দেখতেই পারেন না। বঙ্গবন্ধুর শেষ জীবনের কারণে পুরো স্বাধীনতাকে তারা কলুষিত জ্ঞান করেন।

এ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বৃহৎ একটি অংশ রয়েছে, যাদেরকে আমরা কাওমি গোষ্ঠী বলে জানি। এঁদের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলার প্রত্যেকটা অঞ্চলেই রয়েছে। ডিপিয়াই বা জনশিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে এঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিমাণ জানতে চাইলে সঠিক কোন তথ্য পাবেন বলে মনে হয় না। কারণ, একাজে ব্যয় করার মত তাদের হাতে কোন সময় নেই। তবে ধারণাভিত্তিক একটি সংখ্যা জানতে পারবেন, যে সংখ্যার সাহায্যে আমরা বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করে থাকি। যদি সাহায্য না আসতো, তবে এই শিক্ষিত চাকরিজীবী এ কাজ থেকেও নিষ্পত্তি পেত।

ধর্মীয় দিবসগুলো পালনের ক্ষেত্রে কওমিপন্থীদের থেকে সুন্নি পন্থী দাবীদার ভাইয়েরা একটু বেশিই এগিয়ে, তবে কওমি পন্থীরা একেবারে ছেড়ে দেন না। কিন্তু জাতীয় দিবসগুলো ছেড়ে দিতে কার্পণ্য করেন না। তবে বর্তমানে জাতীয় দিবসগুলোতে কাওমিরা পূর্বের চেয়ে কিছুটা সতর্ক হয়েছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে এখনো একগুঁয়েমি ভাব রয়েগেছে। এই হুজুররা দিবস পালনকে খুব একটা গুরুত্বের সাথে দেখেন না। ধর্মীয় সাধারণ দিবসগুলোর মত তারা জাতীয় দিবসগুলোকে জ্ঞান করত এড়িয়ে চলেন। অথচ নীলগোষ্ঠীর দবী 'দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ'। ঈমান শব্দের অর্থ হল দৃঢ় বিশ্বাস। নীলগোষ্ঠীর ভাষায় বিশ্বাসের সজ্ঞা উপরে দেয়া হয়েছে। 'দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ' তাদের মুখনিঃসৃত এ বাণী থেকে প্রশ্ন আসছে, তাদের দাবীকৃত দেশপ্রেম কি তারা বাস্তবে পালন করছেন; বিশ্বাসের সাথে? (নীলগোষ্ঠীভুক্ত) জামাত ছাড়া বাকীরা চেষ্টা করছেন বটে। তবে তাদের আরো সক্রিয় হতে হবে। তাদের মধ্যকার ব্লগার ভাইদের নিকট অনুরোধ থাকবে, আপনারা নিজেদের ইতিহাস জানুন। আপনাদের নীলগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত জামাতিরা কিন্তু যুদ্ধাপরাধী। আপনারা সেই কাতারে না থাকায় গর্ব করার কথা কিন্তু নিজেদের একগুঁয়েমিতে সেটা হারাতে বসেছেন। দেখেন, যুদ্ধাপরাধীশক্তি কী চতুরতার সাথে দেশপ্রেমের ভান ধরে যাচ্ছে। আমি নিশ্চিন্তে বলতে পারি, যদি সুযোগ পেত, তাহলে যুদ্ধাপরাধীরা জাতীয় দিবসগুলোকে চিরতরে মুছে দিত কিন্তু বাঙালির ত্যাগকে তারা ভয় পায়। আর তাই এই অপকর্মের কথা অবচেতনে ছাড়া ভাবতে পারে না।

আপনারা সৌভাগ্যবান যে, মুক্তিযুদ্ধার সারিতে আপনাদের উপস্থিতি রয়েছে। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, এখনো আপনাদের অনেক প্রতিষ্ঠানে জাতীয় দিবসগুলোতে কোন কিছু পালন হয় না, অনেক জায়গায় পতাকা উত্তোলনও হয়। জাতীয় সংগীত পাঠ তো অনেক দূরে। জামাত ব্যতীত বাকি নীলগোষ্ঠীর হুজুরেরা মিলাদে বিশ্বাসী, সুন্নি পন্থী ভাইয়েরা তো কিয়ামেও বিশ্বাস করে থাকেন। আপনাদের নিকট নিকট অনুরোধ, যেহেতু আপনারা গানবাজনা এলাউ করেন না, মিলাদে বিশ্বাস করেন। দয়াকরে এ দিনগুলোতে একটু মিলাদটিলাদ পইড়েন। তেলাওয়াত ও দু'আ-দরুদ কইড়েন। আপনারা জানেন, মুক্তিযুদ্ধাদের অধিকাংশই বাঙালি মুসলিম ছিলেন, তারা মৃত্যুপরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করতেন। আপনারা অন্তত, তাদের শহিদি আত্মার জন্য দু'আটু'আ কইরেন। নিজেদের একগুঁয়েমি ত্যাগ করুন, তাহলে আগামী প্রজন্ম বুঝতে পারবে আপনাদের মধ্যে দেশপ্রেম ছিল এবং আছে।
সর্বশেষ কথা হল, যদি প্রকৃত ধার্মিকেরা বক ধার্মিকদের ভয়ে ধর্মের কাজ ছেড়ে দেয় না। যদি কোন সমাজে এর উল্টো হয়, তবে সেখানে আর ধার্মিক থাকে না। বকধার্মিকরাই সমাজে ধার্মিকের রূপ নেয়।

নীলগোষ্ঠী : লেখার স্বার্থে বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীগুলোকে একসাথে নিয়ে আসতে এ নাম ব্যবহৃত হয়েছে কেবল।
ছবি : গুগল।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন:
হেদায়াতিদের হেদায়াত হোক।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
এই মানুষগুলো তাদের ইতিহাস জানে না, মসজিদ মাদ্রাসায় পড়ে থাকার ইতিহাস নিয়েই তাদের শেষ। অথচ আল্লল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, 'হাসানাদ্দুন'ইয়া ওয়াল আখিরাহ'। প্রথমে দুনিয়াকে ধরে সেখান থেকেই আখিরাতের কামিয়াবি অর্জন করতে শিক্ষা দিয়েছেন। অত:পর দু'আ শিখিয়েছে, (তোমরা বল) হে আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতের সৌন্দর্য দান করুন, আমীন।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০২

গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: প্রথম কথা হল , দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ এইটা কোন হাদিস না আর দ্বিতীয় কথা দেশপ্রেম বলতে আপনি কি বোঝাতে চান ? দেশপ্রেমের পরিধি বা কতটুকু পরিস্কার করলে বুঝতে সুবিধা হত । হ্যা অনেকেই আছে হুজুগেই হয়তো অনেক কিছু করে । কিন্তু আপনারা যারা দেশপ্রেম দেশপ্রেম করে ফেনা তুলেন তারা কি হুজুগে অনেক কিছু করেন না ? আর আপনি মানবেন কিনা জানি না তবে অনেক দিবসের অনেক কাজই ইসলামে করার অনুমতি নাই। তবে আপনাদের মত লোকদেরও এইটা বোঝা উচিত শুধু দেশপ্রেম জাতীয় দিবসেই সীমাবদ্ধ নয় আর শতভাগ মানুষকেই কোন দিবস পালনে আপনি সম্পৃক্ত করতে পারবেন না। নিজেদের ভালো লাগার কথা বললেন কিন্তু অন্যের ভালো লাগার কথা ভাববেন না ?

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
প্রথম কথা হল , 'দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ' আমি এটাকে কোথাও হাদিস বলিনি। দেশপ্রেম প্রশ্ন আসলে আপনারা অতিসহজেই দাবীর সুরে এই বাক্যের সাদৃশ্য কথাগুলো বলেন।
দ্বিতীয় কথা হল, অনেকে আবার নিজেকে সাঁচ্চা দেশপ্রেমিক দাবী করেন। কিন্তু বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, মাতৃভাষা দিবসসহ অন্যান্য জাতীয় দিবসগুলোতে আপনাদের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় না। আপনাদের নীলগোষ্ঠীভুক্তদের বিশ্বাসমতে যে মিলাদ মাহফিল ও দু'আও বৈধ বলে থাকেন তাও পালন হয় না অনেক প্রতিষ্ঠানে। অনেক প্রতিষ্ঠানে তো বন্ধই ঘোষণা হয় না। আমি বলব না, এটা স্বাধীনিতা মানতে না পারার বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া আমি এটাকে একগুঁয়েমি বলব, একগুঁয়েমি।
আপনারা কথা বলতে গেলে বলেন, বিশ্বাসে আপনারা দেশপ্রেমিক। কিন্তু বিশ্বাসের যে সজ্ঞা দেন তাতে বুঝা যায় না, আপনাদের (দেশপ্রেমিক) দাবী সত্য নয়।

ভ্যান্টাইস ডে জাতীয় উৎসব না! B-)

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দিবস পালনের বিপক্ষে হুজুরা বিভিন্ন ফতোয়া দেন। কেউকেউ নাজায়েজ, হারাম ইত্যাদি বলেন। আবার দেখা যায়, অনেকেই (যারা হারাম বলে ফতোয়া দেন) আশুরা, ঈদে মিলাদুন নবী পালন করেন। যাহোক, হাদিস নিয়ে খুব একটা জানিনা। তবে যতটুকো জানি দিবস পালন করা যাবেনা বলে সরাসরি কিছু বলাও হয়নি।
হুজুর'রা ঐসব দিবস উপলক্ষে দোআ করতে পারেন। দোআ করা অবশ্যই ভালো কাজ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
তাদের আগামী প্রজন্ম হয়ত এগুলোকে পাপকাজ মনে করবে।
বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের জাতীয়তার বিষয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে। কিন্তু তাদের রাহবাররা বুঝতেই পারছেন না কিভাবে কী হবে; আগামীদিনে!

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: দেশপ্রেমিক হতে দেশপ্রেমিক দাবি করা লাগে না । আর আপনি যখন দিবস পালনেই দেশপ্রেমিক খুজতে চান আর সবাইকে দেশপ্রেমিক করতে চান তবে আইন করে দিবস পালনের বাধ্যবাধকতা করলেই ল্যাঠা চুকে যায় ! আর মিলাদের কথা বললেন সেটা যদি আবার দিবসের দিন একযোগে হুজুরেরা পালন করা শুরু করে তবে তাদের বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানি বলতে এক মুহুর্ত সময় নেবে না ! আমাদের দেশের একটা শেণীকে কিছু কিছু ক্ষমতাধারী আর বুদ্ধিজীবীরা সৎ ছেলের মত দেখে , যেটা একটা দেশের জন্য মোটেও ভালো নয় । আপনার কথাকে আমি অগ্রাহ্য করছি না তবে একেবারে মেনেও নিতে পারছি না ..

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
বাস্তবতার কানধরে টেনে আনার পরও বুঝতে পারছেন না!

মনে করুন, আপনার সামনে তাসলিমা নাসরিন বা আসিফ মহিউদ্দিন এসে আল্লাহওয়ালা দাবী করলো, আপনি তা সহজে মেনে নিলেও আমাদের প্রকৃত ধার্মিকেরা তা সহজে মানবেন না। তাকে মৌখিকভাবে ও কর্মের দ্বারা প্রমাণ করতে হনে যে, সে আল্লাহওয়ালা। আশাকরি বুঝতে পারছেন।

ধন্যবাদ।
নিরন্তর ভালবাসা আপনার জন্য।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: একটা সত্য কথা বিলি- ধর্মীয় পোষ্ট লিখতেও ভয় লাগে, পড়তেও ভয় লাগে। আবার মন্তব্য করতে আরও বেশি ভয় লাগে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
নাস্তিক হয়ে যাবেন?


ভাববেন না! নাস্তিক হওয়া এত সহজ না!
প্রতিদিন বেশি করে ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহি...) পড়ুন।
আর লেখা, পড়া ও মন্তব্য করা চালিয়ে যান!

দু'আ রইলো আপনার সাথে, দয়াল আপনার সার্বক্ষণিক সঙ্গি হোক।

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশে চালায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাকিরা প্রজা ও বাজার।

১০ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:১১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: তারা বাজার ধরে রাখার জন্য এটা করা প্রয়োজন যে, হুজুরদের ধরে রাখা।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ওনাদের(হুজুর, কওমী, আলিয়া) দিকে তাকানোর কী দরকার? আপনাদের ওলামা লীগ, নাস্তিকের জানাজা পড়ানো মাসউদ, ডেন্স উপভোগ কারী ইফা ডিজি শামীম সাহেব আছে না? এসব এক দিন্না দিবস পালন করলেই যদি দেশ এগিয়ে যেত তাহলে তো অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হয়ে যেত। যে দেশ যত বেশী দিবস পালন করে সে দেশ তত বেশী পেছনে আছে। 'চেতনা' বলে কথা...

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
দিবস পালনের উত্তর দেয়ার সীমানায় নিজেকে আটকিয়ে না রেখে চেয়ে দেখুন আপনার আশপাশ। কিভাবে আপনাদেরকে রাজাকারদের সারিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! (টিভিগুলোতে চোখ রাখুন, দেখুন, সেখানে প্রতেক রাজাকারকে আপনাদের পোশাকে আবৃত করা হচ্ছে)। তাছাড়া, আপনাদের মধ্যকার অনেক ভাই নিজেদের ইতিহাস জানেন না! শুধু ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রেই আপনারা এগিয়ে তা নয়, দেশের জন্যও আপনারা অনেক করেছেন, কিন্তু আপনাদের বর্তমান প্রজন্মের ৯০% তা জানে না। আগামীতে তার পরিমাণ কমবে বলে তো মনে হয় না।
নিজেদের দিকে দৃষ্টি দিন।

ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩০

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: সত্যি বলতে পুরো মাদ্রাসা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো উচিৎ। নতুন আঙ্গিকে। আমার মনে হয়, কওমি মাদ্রাসাকে চাইলে বরং দেশের অনুগত হিসাবে গড়ে তোলা যায়। দেশপ্রেমিক হিসাবে। কিন্তু আলেয়া মাদ্রাসার ক্ষেত্রে এটা একটু কঠিন। সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশি মুসলমানদের ইলমের সঠিক রাস্তায় আসতে হবে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:

সেটা কখনো তাদের মধ্যকার উপরওয়ালারা হতে দিবেন না। আর আলিয়া মাদ্রাসায় জামাতিরা ডুকে সঠিক ধর্মের মধ্যে ভেজাল মিশিয়ে দিয়েছে।

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমাদের দেশে ধর্ম এবং জাতীয়তাবাদকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে নগ্নভাবে।

১০ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:১৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
একটি চক্র খুবই সতর্কভাবে আমাদেরকে এ কাজে লাগিয়ে রাখছে।

ধন্যবাদ।

১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১২

মুফীদ হাসান বলেছেন: আপনার একটি পাল্টা মন্তব্যে "দয়াল" লেখা দেখে মনে একটা প্রশ্ন জেগেছে। আলেম ওলামাদের সাথে কোনো বিদ্বেষ আছে নাকি? :|

১০ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৩৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:

رحيم শব্দের অর্থ হচ্ছে দয়াল। ইনি এমন মহান সত্তা, যে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত তার দয়ার বেষ্টনীতে রেখে হেফাজত করে চলেছেন। বিপদের মাধ্যমে মাঝেমধ্যে আমাদেরকে তার দয়ার কথা স্বরণ করিয়ে দেন, কিন্তু আমরা অকৃতজ্ঞ হওয়ায় তার নেয়ামত নিয়ে চিন্তাও করি না।
আমি এই সত্তাকে দয়াল বলেই ডাকি।

আপনার এই পুস্ট দেখে আপনি যদি আমাকে আলেম উলামার বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চান, তবে নির্ঘাত এটা আপনার বয়সের দোষ।
ধন্যবাদ

১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৫৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: "তাদের আগামী প্রজন্ম হয়ত এগুলোকে পাপকাজ মনে করবে।"- মানুষ দিনদিন সতর্ক হচ্ছে। সত্যি মিথ্যা যাচাই করা এখন আগের তুলনায় সহজ। আশাকরি আগামীতে আরো সহজ হবে।
তাছাড়া শিক্ষার হার ও মান বাড়লে, হুজুরদের অপবাখ্যা ভুল ব্যাখ্যা পাবলিক ধরতে পারবে।

১০ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৩৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
যে হুজুরেরা ভুল ব্যাখ্যা দেন তাদের ধরা উচিত।

ধন্যবাদ।

১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সেটাই তাদের ধরে বিচারের আওতায় আনা উচিত।

১০ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
যারা ধর্ম সম্পর্কিত ভুল তথ্য দেয়, তাদের ধরে বিচারের আওতাধীন আনা সময়ের দাবীও বলা যায়। বর্তমানে ব্যাপক মানুষ এই ভুল তথ্য প্রদানকারীদের দ্বারা প্রভাবিত।

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

মুফীদ হাসান বলেছেন: রাহিম শব্দের অর্থ দয়াল নয়! বরং দয়ালু। আর দয়াল শব্দটি ভন্ডামিতে ব্যাবহার করা হয়। যেমনঃ দয়াল বাবা কাবলা কাবা আয়নাল কারিগর ... তাই আমার মনে অমন প্রশ্ন জেগেছিল! আপনি বলতেছেন যে, আমার বয়সের দোষ আছে। দেখেনতো! আমার উদ্দেশ্যে করা ফিরতি মন্তব্যে কোনো ভূল আছে কিনা! ধন্যবাদ বড় ভাই!

১১ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
দয়ালু ও দয়ালের অর্থগত পার্থক্য কোথায়?
দেখেন, কোন ভাল শব্দকে যদি কোন খারাপ গুষ্ঠী ব্যবহার করে তাহলে শব্দ অপবিত্র হয়ে যায় না। হ্যা, ঐ গোষ্ঠী নির্ঘাত ভণ্ডামিতে আছে।


মাজার সম্পর্কে আমার অবস্থান জানতে এ ব্লগ পুস্ট পড়তে পারেন, →→ মাজার ও আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হুজুর রা দেশ শাসনে আগ্রহী তারা কোনো একটা মসজিদ ঠিকমতো চালাতে হিমশিম খায়, দেশ কিভাবে চালাবে তাদের কাছে জেনে নিতে হবে - - - - !

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
একেবারে নিরেট সত্যি কথা বলেছেন।
"হুজুর রা দেশ শাসনে আগ্রহী তারা কোনো একটা মসজিদ ঠিকমতো চালাতে হিমশিম খায়"

এর পরও এরা দেশ চালাতে পাগল; যদিও তারা রাজনীতি কীভাবে করতে হয় সেটাই জানে না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.