![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাগরিবের নামায বা এসার নামাযের প্রথম দুই রাকাতের তুলনায় তৃতীয় রাকাত দ্রুত হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে প্রথম দু'রাকাতে ইমামগণ যত ধীরেসুস্থে সূরা ফাতেহা তেলাওয়াত করেন পরের রাকাতগুলোতে তার স্থিরতা রক্ষা করেন না; উনাদের দ্রুতগতি এটাই প্রমাণ করে। এখান থেকে বলা যায়, এই শ্রেণির ইমামগণ মুসল্লিদের দেখানোর/মনযোগানোর জন্য নামায আদায় করে থাকেন। তা না হলে উনারা প্রত্যেক রাকাতেই স্থিরতা রক্ষা করে নামায পড়াতেন।
অনেক জায়গায় দেখা যায়, ইমাম সাহেব মুসল্লিদেরকে নামায পড়ানোর বেলা যতটুকু সময় অতিবাহিত করেন নিজে নামায পড়ার বেলা ততটুকু সময় ব্যয় করেন না; সেটা অবশ্যই সতর্কতার সাথে। অর্থাৎ, একজন ইমাম সাহেব যখন ইমাম হয়ে নামায পড়ান তখন ৪ রাকাতে ৬ মিনিট সময় ব্যায় করেন কিন্তু নিজে যখন একা একা নামায আদায় করেন, তখন এমন ৪ রাকাত পড়তে গিয়ে সময় ব্যয় করেন ৩ মিনিট।
আমি নিশ্চিন্তে এগুলোকে রিয়া বলতে পারি। রিয়া হচ্ছে লোক দেখানো ইবাদতঃ অর্থাৎ লোক দেখানোর জন্য নেক আমল করা।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “সুতরাং যে লোক তার প্রভুর সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকাজ করে এবং স্বীয় প্রতিপালকের উপাসনায় অন্য কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত না করে।” (সুরা কাহফ্ -১১০) “আমি তাদের কৃতকর্মসমুহের প্রতি মনোযোগ দেব এবং সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবো” (আল ফুরকান-২৩)
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীসে বলা হয়েছে, “নবীজি (স) বলেন: ছোট শিরক থেকে তোমরা সাবধান থাক। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) বললেনঃ ছোট শিরক কি? তিনি বললেনঃ রিয়া-লোক দেখানোর উদ্দেশে নেক আমল করা। যেদিন আল্লাহ পাক স্বীয় বান্দাদের প্রতিদান দেবেন, সেদিন তিনি তাদেরকে বলবেনঃ পার্থিব জীবনে যাদের দেখিয়ে তোমরা নেক আমল করতে, তাদের কাছে গমন করা। দেখ তাদের কাছে কোন প্রতিদান পাও কিনা।” (আহমদ, বায়হাকী ও তাবারানী) “মহান আল্লাহ পাক বলেছেনঃ যে লোক এমন কোন কাজ করে, যাতে আমার সাথে আর আউকে শরীক করে, তার সে কাজ তার জন্য, যাকে সে শরীক করেছে। সে কাজের সাথে আমি সম্পৃক্ত নই।” (মুসলিম, ইবনে মাযা)
“যে লোক (অপরকে) শুনায়, আল্লাহ পাকও তার বেলায় মানুষকে শুনাবেন, আর যে লোক দেখায় (অপরকে দেখানোর জন্য সৎকাজ করে), আল্লাহ পাকও তার সঙ্গে লোক দেখানো আচরন করবেন।” (বোখারী ও মুসলিম) “এমন অনেক রোযাদার আছে, যার রোযায় ক্ষুধা তৃষ্ঞা ছাড়া অন্য কিছু অর্জিত হয় না। আ এমন অনেক রাত জেগে নামায আদায়কারী আছে, যাদের অনিদ্রা বা রাত জাগা ছাড়া কোন ফলই অর্জিত হয় না।” (ইবনে মাযা, আহমদ, তাবারানী ও বায়হাকী)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আমাদের প্রত্যেককে রিয়া থেকে মুক্ত থেকে সহীহ আমল করার তাওফিক দান করুন- আমীন।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: কেউ নাস্তিক বলবে না রাজীব ভাই
বলতে পারেন, সমস্যা নাই!
আমরা কথা বলি না দেখেই উনারা পাড় পেয়ে যান!
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রিয়ার প্রকৃত সংগায় আমাদের চলমান বহু ইবাদত কারীই বাতলি হয়ে যান! হায় যদি তারা বুঝতেন!
আসছে কোরবানী! যেখানে রিয়াটাই হয়ে ওঠে মূখ্য!
কোরবানী আল্লাহ কবুল করবেন কি করবেন না সেই চিন্তা সেই ভয় বিন্দু মাত্র নেই!
প্রার্থনা নেই! বরং বুক চিতিয়ে আমার গরু ৭০ হাজার , দেড় লাখ আমজেই মত্ত!
আর অমুকেরটা কোন গরু হইল! ছাগল্ও এরচে বড় টাইপ গিবত, মিথ্যা প্রচার, হিংসার চর্চা!!!
আত্মার আত্মসমপর্ণ না ঘটলে কোন ইবাদতই তার লক্ষ্যে পৌছতে পারেনা।
পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভায়া।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: একেবারে মনের কথাটাই বলছেন ভাই।
আমরা আজ কোনটা পাপ আর কোনটা পুণ্য সেটা বুঝার চেষ্টা করি না। আছি কেবল নিজেদের স্বার্থ নিয়ে। নামে মাত্র ধর্ম পালন করছি। আসলে বলতে গেলে, আমরা এখন সুবিধাবাদী ধার্মিক। যেখানে স্বার্থ সেখানে আমাদের পাবেন। নতুবা আমাদের পিছপাও দেখবেন না।
আল্লাহ যেন আগত কুরবানির তাৎপর্য বুঝে সে অনুযায়ী কুরবানি আদায় করতে পারি।
ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আল্লাহ যেন আগত কুরবানির তাৎপর্য বুঝে সে অনুযায়ী কুরবানি আদায় করতে পারি।
এ বিষয় টি আমাকে ভাবিত করে তুলছে এখন আবার "রিয়া" প্রসঙ্গ আনলেন,
আপনি কি সুত্র সমূহ তুলে ধরবেন ???
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ইনশাআল্লাহ এই বিষয়ে একটা লেখা প্রকাশের ইচ্ছে আছে।
দু'আ করবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টে মন্তব্য না করাই ভালো।