নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধু চিনে দরবেশ হতে হবে।চোরের কোনো ইতিহাস নাই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

সাধু চিনে দরবেশ হতে হবে।চোরের কোনো ইতিহাস নাই।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বাড়ির পিছনের দরজা সকলেই পছন্দ করে না।কিন্তু কারও-কারও আবার এটি খুব পছন্দের।বিশেষতঃ তস্করশ্রেণী এই পিছনের দরজাকে খুব পছন্দ করে থাকে।এখান দিয়ে তাদের গৃহস্থের সর্বনাশ করতে নাকি খুব সুবিধা হয়।আর কোনো কারণে যদি গৃহকর্তার অসাবধানতায় এই দরজাটি খোলা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই।তাদের জন্য পোয়াবারো।তারা আহ্লাদে একেবারে আটখানা আরকি।বাংলাদেশে এইরকম একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো ১৯৭৫ সালে।সদ্যো-স্বাধীন দেশে নানারকম তস্করের তখন খুব উৎপাত।তবুও গৃহকর্তার সরলতায় ও অসতর্কতায় সেদিন বাড়ির পিছনের দরজা ছিল খোলা!আর সেই সুযোগে রাতের আঁধারে চোর-ডাকাতেরা মিলেমিশে একেবারে ভাই-ভাই হয়ে হত্যা করলো গৃহকর্তাকে।আর তারা বাড়িঘর সবকিছু একরাতে দখল করে নিলো।সেই থেকে এরা এখনও পিছনের দরজাকে খুব ভালোবাসে।আর সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, দরজাটা এখনও কোনোভাবে একটু খোলা অবস্থায় পাওয়া যায় কিনা।
কিন্তু এখন, বাড়ির পিছনের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে।এখন তস্করশ্রেণীর জন্য বাড়ির ভিতরে ঢোকা কঠিন।


আজ ঐতিহাসিক ৫ই জানুআরি।২০১৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশ-রাষ্ট্রকে(বাংলাদেশে বসবাসকারী)সর্বস্তরের “দেশবিরোধী” ও “পাকিস্তানী-প্রেতাত্মাদে”র ষড়যন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করা হয়েছিলো।এই দিন বিশ্বের স্বঘোষিত-মোড়ল মার্কিন-যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানি-সত্ত্বেও বাংলাদেশ-রাষ্ট্রকে ‘পাকিস্তানীঅপশক্তি’র হাত থেকে অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে রক্ষা করা হয়।আর এই কাজটি করেছিলেন, তৎকালীন ও আজকের আওয়ামীলীগ-সরকার।দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ-রক্ষার স্বার্থেই সেদিন তাদের এই কাজটি করতে হয়েছিলো।আর ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে “তস্করদের” পিছনের দরজা দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাদখলের “সিলসিলাহ” বন্ধ হয়ে যায়।তাই, পাকিস্তানপন্থী-বিএনপিরা এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে আজও এতো ক্ষ্যাপা।

ঐতিহাসিক ৫ই জানুআরি: “বাংলাদেশ-রক্ষা ও গণতন্ত্রপ্রতিষ্ঠা” দিবস-সম্পর্কে কয়েকটি জরুরি কথা:
সাধারণ কথা: ২০১০ সাল থেকে “একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের” বিচারের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই “জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান” ও তার প্রধান মিত্র “পিএনপি” বা “বিএনপি” অত্যন্ত নাখোশ হয়ে যায়।তারা হয়ে ওঠে সশস্ত্র।এর আগে, ২০০৮ সালের ২৯-এ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে সেদিনের সর্বদলীয় রাজাকারশক্তি: “চারদলীয়-জোটের” ভরাডুবি ঘটে।ভোটের ব্যাংক শূন্য দেখে তাদের চিন্তাধারা বদলাতে শুরু করে।আর তারা দলের “যুদ্ধাপরাধী-শীর্ষনেতাদের” রক্ষার জন্য একজোট হয়ে আওয়ামীলীগ-সরকারের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা শুরু করে।তারা আন্দোলনের নামে ক্রমশঃ সহিংসতার পথ বেছে নিতে থাকে।আর এই জঘন্য কাজে মদদদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় একাত্তরের রাজাকারদের সমন্বয়ে গঠিত “বিএনপি”।

মূলকথা: “একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের” বিচার শুরু করেছে বাংলাদেশআওয়ামীলীগ-সরকার।আর এটা চলছে, চলবে, ইনশা আল্লাহ।আর এটা বানচাল করতে চায় “জামায়াত-বিএনপি”।সেই থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুনভাবে “পাকিস্তানপন্থীদের” সঙ্গে আওয়ামীলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়।আর এই সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেয় পাকিস্তানের “বাংলাদেশী-প্রতিনিধি: বিএনপি”।

সংঘাতের শুরু: আওয়ামীলীগের সঙ্গে কখনও বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক ছিল না।আর এখনও নাই।কারণ, আওয়ামীলীগ বাংলাদেশপন্থী।আর বাংলাদেশ-রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা-রাজনৈতিক দল।পক্ষান্তরে “বিএনপি-জামায়াত” সরাসরি পাকিস্তানপন্থী।প্রথম থেকে বিএনপি সরাসরি ‘একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদে’র বিচারের বিরুদ্ধে কথাবার্তা না-বললেও ঘুরিয়েফিরিয়ে এই বিচারের বিরোধিতা করেছে।আর তারা বিচার চাওয়ার নামে জামায়াতের সঙ্গে কণ্ঠমিলিয়ে বলেছে, “এই বিচার ঠিক হচ্ছে না।এই আদালত সঠিক নয়, এখানে ন্যায়বিচার নেই, এই আদালতের কোনো বৈধতা নেই।” ইত্যাদি-ইত্যাদি।
কেন বলেছে: এসব বলে তারা দেশের সাধারণ মানুষকে দলে টানতে চেয়েছিলো।কিন্তু কিছুদিন পরে দেখলো, এসব এখন আর দেশের সাধারণ মানুষজন খায় না।তাই, তারা এসব বলার পাশাপাশি নতুন এক ইস্যু-সৃষ্টি করলো।আর এই ইস্যুর নাম: “নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক-সরকার।”

নতুন-ইস্যু-সৃষ্টি: বিএনপি-জামায়াতের নতুন ইস্যুর নাম “পরিত্যাক্ত ও সাংবিধানিকভাবে বাতিলকৃত” নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ “তত্ত্বাবধায়ক-সরকার-ব্যবস্থা”।
বিএনপি-জামায়াত কেন এই “তত্ত্বাবধায়ক-সরকার-ব্যবস্থা চায়?
বিএনপি কখনও ভোটের রাজনীতি করেনি।তারা শুরু থেকে “রাতের আঁধারে” রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করে জনগণের সামনে হাজির হয়েছে।আর রাষ্ট্রযন্ত্র-ব্যবহার করে আবার “রাতের আঁধারে” রাজনৈতিক দল গঠন করেছে।তাই, তাদের ইতিহাস জবরদখলের ইতিহাস।তারা বিগত ১৯৯১ সালের ও ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনে কথিত “তত্ত্বাবধায়ক-সরকারকে” ম্যানেজ করে রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করে।আর রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করেই তারা ১০০দিনের কর্মসূচির নামে “বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের” “নিধন” করতে থাকে।তাই, দেশে যে-কোনো “তত্ত্বাবধায়ক-সরকার” এলে তারা খুব খুশি হয়।কারণ, এদেশে টাকায় বশ হয় প্রায়-সবাই।তাই, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার জন্য আজকের “বিএনপি” পাকিস্তান থেকে ৫০০কোটি টাকা পেয়েছিলো।আর সে-কথা ফাঁস করেছে, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে পাকিস্তানেরই তৎকালীন ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আসলাম বেগ।
আবার দেশে “তত্ত্বাবধায়ক-সরকার” হওয়া মাত্র “বিএনপি” তাদের একরাতের মধ্যে “ম্যানেজ-জাদু” করে ফেলবে।২০০১ সালের “অবিচারপতি লতিফুর রহমানের “তত্ত্বাবধায়ক-সরকারকে” কিনতে তাদের বেশি সময় লাগেনি।আর সেই সময়, “তত্ত্বাবধায়ক-সরকারকে” কেনার কাজটি তারা সেদিনের আওয়ামীলীগ-সরকারের পদত্যাগের আগেই সমাধা করেছিলো।২০০১ সালের ১৫ই জুলাই “আওয়ামীলীগ-সরকার” দেশে সুষ্ঠু-নির্বাচনের স্বার্থে “তত্ত্বাবধায়ক-সরকারের” কাছে ক্ষমতা-হস্তান্তর করে পদত্যাগ করার আগেই দেশ বিএনপিদের হাতে চলে যায়।আর তারা ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরের নির্বাচনে “ইতিহাসের কলংকিত কারচুপির মাধ্যমে” বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করে নেয়।বিএনপি শুধু রাষ্ট্রক্ষমতা চায়।আর ওদের কাছে রাষ্ট্রক্ষমতার খুব স্বাদ।ওরা আবার রাষ্ট্রক্ষমতালাভের জন্য ষড়যন্ত্রের “তত্ত্বাবধায়ক-সরকার-ব্যবস্থা” চাচ্ছে।
দাবি-আদায়ে তাদের কৌশল: তারা “তত্ত্বাবধায়ক-সরকারের” নামে অগ্রসর হতে থাকে।যাতে, যে-কোনোভাবে রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করা যায়।তারা আসলে নির্বাচন চায়নি।তারা দেশের ভিতরে একটি “গণ্ডগোল” পাকাতে চেয়েছিলো।যাতে, “বিএনপি” ও তাদের পিতৃপুরুষ “পাকিস্তান” মিলেমিশে বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ-সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে।আর “আওয়ামীলীগ” রাষ্ট্রক্ষমতাচ্যুত হলে দেশটা সরাসরি পাকিস্তান না হলেও অন্তত “মিনি-পাকিস্তানে” পরিণত হবে।আর “একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের” চিরস্থায়ীভাবে “মাফ” করে দেওয়া যাবে।আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই “বিএনপি” ষড়যন্ত্রের জালবিস্তার করতে থাকে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে কেন বিএনপি-জামায়াত-জোট অংশ নেয়নি?
বিএনপিরা জানে, ম্যানেজ করা “তত্ত্বাবধায়ক-সরকার” না-হলে তারা কখনও ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে জিততে পারবে না।তারা পাকিস্তানের পরামর্শে নির্বাচন বয়কট করে।আর দেশের ভিতরে একটা চরম অরাজকতাসৃষ্টির চেষ্টা চালায়।আমাদের মনে আছে, ২০১৪ সালের “দশম জাতীয়-সংসদ” নির্বাচনের আট-দশ-দিন আগে থেকে দেশজুড়ে “বিএনপি-জামায়াত” নির্বাচনবিরোধী নানারকম নাশকতা চালাতে থাকে।আর নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে সারাদেশে ৫০০টি স্কুলভবনে “আগুন” ধরিয়ে দেয়।এতে পুড়ে যায় দেশের ৫০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।আর ভোটের দিন তারা তাদের “পাকিস্তানী-আর্মির কারফিউ, ও অঘোষিত অবরোধ-হরতাল” দিয়ে তাণ্ডবলীলা চালাতে থাকে।যাতে, নির্বাচন না হয়।কিন্তু দেশের সচেতন মানুষ তাদের এই “শয়তানীপরিকল্পনাকে” বাস্তবায়িত হতে দেয়নি।দেশের মানুষ সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যায়।এতো বাধাবিঘ্নের পরও সারাদেশে শতকরা ৪২ভাগ ভোট পড়েছে।এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ঘটনা।এবং সেইসঙ্গে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচনও বটে।সেদিন মানুষ ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়াসত্ত্বেও ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে, এবং দেশকে রক্ষার তাগিদে “বিএনপি-জামায়াতের” নাশকতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।একটা কথা আমাদের আজ বুঝতে হবে: সেদিন ৫ই জানুআরি দেশের মানুষের ভোট দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি ছিল না।তাসত্ত্বেও দেশের মানুষ দেশকে ভালোবেসে ৪২ভাগ ভোট-প্রদান করেছে।এটি ইতিহাস ও বাস্তবতা।সেদিন দেশের মানুষ “ইস্পাত-দৃঢ়” প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হয়ে, আর একাত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশরক্ষার মহাসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।এজন্য দেশের মানুষ, এবং সেদিনের ও আজকের সরকারকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে।কারণ, তারা সেদিন দেশের স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে “দেশ ও জাতির” অস্তিত্ব-রক্ষা করেছেন।
আর এই নির্বাচনে “বিএনপি-জামায়াত” ব্যতীত বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলো।

এই নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা:
বাংলাদেশের ‘অস্তিত্ব-রক্ষা’র প্রশ্নে এই নির্বাচন ছিল খুবই জরুরি।কারণ, বিএনপিরা চাইছিলো, দেশের ভিতরে একটি “অরাজকতাসৃষ্টি” করতে পারলে, নির্বাচন হতে না-পারলে, দেশে একরকম অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে।আর সেই সুযোগে তাদের “মামু” কোনো সামরিকজান্তা কিংবা “তৃতীয়পক্ষের”-নামধারী ‘পাকিস্তানের দালালেরা’ রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করে নেবে।আর “আওয়ামীলীগ-সরকারের” পতন হলেই আবার পাকিস্তান।আবার হাওয়াভবন।আবার বাংলা ভাই।আবার “একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের” বিচার বন্ধ।দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রকারীদের অপতৎপরতাকে রুখে দিতে, আর তাদের “দালালিশক্তিকে” রহিত করার জন্যই এই নির্বাচন ছিল জাতির ইতিহাসে অপরিহার্য।তাই, ২০১৪ সালের ৫ই জানুআরি বাংলাদেশ-রাষ্ট্রের জন্য একটি সত্যপ্রতিষ্ঠার দিন।বাঙালি-জাতিকে আবার “গ্রাস করার” চক্রান্ত থেকে রক্ষা করবার দিন।আর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিন।
এটি যে একটি সাধারণ নির্বাচন তা বিশ্ববাসী দেখেছে এবং জেনেছে।আর তারা অকুণ্ঠচিত্তে বর্তমান সরকারকে সমর্থনও দিয়েছে।তাই, কারও কথায় কিংবা কারও জাদুমন্ত্রে, কিংবা দেশবিরোধী কোনো পাকিস্তানীদালালগোষ্ঠী, কিংবা পাকিস্তানীদালালদের নবপ্রজন্মের নগ্ন-সমালোচনায় এই সরকার হেলে পড়বে না।সরকারের জনসমর্থন আছে।দেশের মানুষ এই সরকারের সঙ্গে আছে।মানুষ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মিশে আছে।ইনশা আল্লাহ, দেশ ও জাতির এই মহাঐক্যে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না।

বাংলাদেশবিরোধী ও পাকিস্তানপন্থীদের দৃষ্টিতে এই নির্বাচন:
ওরা বলে থাকে, “শতকরা ৫ভাগ মানুষও ভোট দেয়নি।এটি কোনো নির্বাচন হয়নি।এই নির্বাচন মানি না।এটি গণতন্ত্রহত্যা-দিবস ইত্যাদি-ইত্যাদি।” এরা ১৯৭১ সালেও বলেছিলো, “বাংলাদেশ মানি না, পাকিস্তান চাই, আর যে-কোনোমূল্যে পাকিস্তানই চাই।পাকিস্তানকে রক্ষা করতে হবে।” আর এসব কথা বলে কারা?ওদের আমরা চিনি।ওরা চীনপন্থী একজন বদরউদ্দিন উমর; আমেরিকার দালাল-সুদখোর ইউনূস; জাতীয় দালাল ও আমেরিকার গোলাম, বিকৃতমস্তিষ্কের অধিকারী, ডঃ কামাল হোসেন; একজন “জাতীয় পাগল” আব্দুল গামছা সিদ্দিকী; পাকিস্তানের দালাল “সুজন-কুজন” ও একজন বদিউল আলম মজুমদার; পাকিস্তানের অঙ্গসংগঠন “টিআইবি” ও এর দালাল ডঃ ইফতেখারুজ্জামান; নিষিদ্ধপল্লীর “আইনজীবী-নামধারী” একজন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন; জাতীয় বেআদব গোলাম মওলা রনি; জাতীয় পাগল ও ইতিহাসবিকৃতিকারী বিএনপি’র বিচি ডঃ এমাজউদ্দিন আহমেদ; পাকিস্তানের পুত্র ও গণস্বাস্থ্যের কারবারি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী পাকিস্তানী; আইনজীবী-নামধারী দালাল ব্যারিস্টার রফিকুল হক; সংবিধান-বিশেষজ্ঞের নামধারী পাকিস্তানী আইনজ্ঞ ডঃ শাহদীন মালিক; পাকিস্তানের পুত্র ও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের দালাল ডঃ তুহিন মালিক; বিএনপির মাইক শ্রীগুয়েশ্বর রায় ইত্যাদি।তাই, ৫ই জানুআরির নির্বাচনকে যারা পাকিস্তানের স্বার্থে আজ ‘গণতন্ত্র-হত্যা-দিবস’, ‘কালোদিবস’, ‘লজ্জাজনক অধ্যায়’ ইত্যাদি বলে অভিহিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের পরিচয়টা একটু কষ্ট করে ভালোভাবে জেনে নিবেন।আর একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন: এরা পাকিস্তানের দালাল।দেশকে আবার “একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের” হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই তারা তাদের স্বার্থে অহরহ এসব আবোলতাবোল ও আজেবাজে মন্তব্য করছে।আমাদের আরও মনে রাখতে হবে, সাধু চিনে তারপর দরবেশ হতে হবে।আর এইসব বুদ্ধিজীবী-নামধারী দালালেরা এখন “একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের” লবিস্ট।সুতরাং, এরা এখন টাকার গন্ধে যা-খুশি তা-ই বলতে পারে।কিন্তু সাধু সাবধান!

এই নির্বাচনের সুদূরপ্রসারী ফলাফল:
এর ফলেই দেশে একটি নির্বাচিত ও সাংবিধানিক “সরকার-ব্যবস্থা” এখনও বহাল আছে।এবং এর ফলেই দেশে এখনও “একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের” বিচারের কার্যক্রম সমান তালে চলছে।দেশের মানুষ সরকারের প্রতি আস্থাশীল।কয়েকটি “জরিপসংস্থা” ইতোমধ্যে জরীপ করে দেখিয়েছে যে, দেশের ৬৬ভাগ মানুষ এই সরকারের প্রতি তাদের অকুণ্ঠসমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।আর দেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন রয়েছে ৬৭ভাগ।দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন।তাই, পাগলামি বুঝেশুনে করতে হবে।

২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের “গণতন্ত্র-হত্যা-দিবস” পালনের নামে দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও নারকীয় তাণ্ডবলীলা:
বিএনপি কখনও রাজনীতি করেনি।আর তারা কখনও রাজনীতি বোঝে না।তারা বোঝে, শুধু পিছনের দরজা দিয়ে কীভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া যায়।তাদের নেতা একজন জিয়াউর রহমান তাদের এই শিক্ষাই দিয়ে গেছে।তারা তাদের আদর্শ-পিতার কথা আজও অক্ষরে-অক্ষরে পালন করে চলেছে।আর এজন্য ২০১৪ সালের ৫ই জানুআরির নির্বাচন নিয়ে তারা নানারকম টালবাহানা করেছে।তাই, তারা তাদের বিশ্বস্ত ও ব্যক্তিগত-গোয়েন্দা মারফত জানতে পেরেছিলো, ২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনোভাবেই তাদের পক্ষে জয়লাভ করা সম্ভব নয়।তারা তখন, “তত্ত্বাবধায়ক-সরকারের” নামে খুব নির্বাচনী-জোশ দেখালো।কিন্তু কোনো কাজ হলো না।তাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশে “দশম জাতীয় সংসদ” নির্বাচন সফলভাবেই অনুষ্ঠিত হলো।কিন্তু এই পরাজয় তারা সহজে মেনে নিতে পারলো না।একটি বছর তারা অপেক্ষা করে “রাতের আঁধারে” চলাচলকারী হায়েনার মতো নেমে এলো ২০১৫ সালের ৫ই জানুআরি।সেদিন থেকে তারা লাগাতার অবরোধের নামে শুরু করলো দেশবিরোধী আগুনসন্ত্রাস।বিএনপি-জামায়াত-জোট “সরকার-পতনের” নামে ৯৩ দিন লাগাতার অবরোধ করে বাংলাদেশের বুকে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে।তারা ১৯৭১ সালের ‘পাকিস্তানী-হানাদারবাহিনী’র মতো নিরস্ত্র-সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অবস্থায় “হামলা-সন্ত্রাস” চালাতে থাকে।তারা এই সময় ৯৩ দিন যাবৎ “পাকিস্তানী-ফর্মুলায়” ভয়াবহ “পেট্রোল-বোমার” সাহায্যে “বাসে-ট্রাকে-ট্রেনে-লঞ্চে-রিক্সাভ্যানে” ইত্যাদিতে হামলা চালাতে থাকে।আর এই সময় তারা ভয়ানক পৈশাচিক উল্লাসে মেতে ওঠে।তাদের এই তাণ্ডবলীলা দেশবাসী আজও ভোলেনি।তারা এই ৯৩ দিনের সন্ত্রাসে চেয়েছিলো, আওয়ামীলীগ-সরকারের যেন পতন হয়, কিংবা অন্য কেউ এসে রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করুক।তাহলে, তারা জেলখানা থেকে সকল “যুদ্ধাপরাধীকে” ছেড়ে দিতে পারবে।আর তারা তাদের চক্রান্ত সফল করতে লাগাতার ৯৩ দিনে “পেট্রোল-বোমার” আগুনসন্ত্রাসে নিহত করেছে শতাধিক মানুষ।আর আহত করেছে হাজারখানেক মানুষ।এই হচ্ছে বাংলাদেশে “বিএনপি”দের রাজনীতি।

৫ই জানুআরির নির্বাচন বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে।আর দেশকে পুনরায় পাকিস্তানী-ষড়যন্ত্রের হাত থেকেও রক্ষা করে এই দিনটি জাতির ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

পরিশেষে, আমাদের আগে সাধু চিনতে হবে।সাধুসঙ্গলাভের পরে দরবেশ হওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করতে হবে।আর এই পৃথিবীতে একমাত্র সাধু-দরবেশ-সুধীজনেরই ইতিহাস আছে।চোরের কোনো ইতিহাস নাই।
জয়-বাংলা।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.