![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।
একজন ভালোমানুষ কমরেড কাজী আরেফ আহমেদ: খুব কাছ থেকে তাঁকে দেখেছি।
সাইয়িদ রফিকুল হক
কমরেড কাজী আরেফ আহমেদ আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন। আসলে, তাঁকেও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ছিলেন সোনার মানুষ। আর এইরকম ভালোমানুষ এই দেশে কমই জন্মেছে। আর এই মানুষটিকে যারা হত্যা করেছে, তারা নরপশু। সেই হত্যাকারীপশুদের মধ্যে মাত্র তিনজনের গতরাতে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কাজী আরেফ আহমেদ যে বড়োমাপের মানুষ ছিলেন, সেই তুলনায় মাত্র তিনজনের ফাঁসি!!! ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল কমপক্ষে ৩০ কিংবা ৩০০জনের। তাহলে, আমরা হয়তো কিছুটা সান্ত্বনার ভাষা খুঁজে পেতাম। আমার বিশ্বাস, কোনো মানুষের সন্তান তাঁকে হত্যা করেনি। যে মানুষটি জীবনে কোনোদিন নিজের স্বার্থে রাজনীতি করেননি, আর তাঁকে হত্যা করা হলো তাঁরই স্বাধীন দেশে। ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুহত্যা, ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জাতীয় চারনেতা-হত্যা, ১৯৭৬ সালের ২১-এ জুলাই “বীরউত্তম-খেতাবধারী” কর্নেল তাহের-হত্যার পরে জঘন্যতম-হত্যা ও পরিকল্পিত-হত্যাকান্ড: “কমরেড কাজী আরেফ আহমেদ” হত্যাকাণ্ড। আর এসব হত্যাকাণ্ড একইসূত্রে গাঁথা।
আজ থেকে প্রায় সতেরো বছর আগে ১৯৯৯ সালের ১৬ই ফেব্রুআরি কুষ্টিয়া-জিলার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া-ইউনিয়নের “কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে” সন্ত্রাসবিরোধী একটা স্বতঃস্ফূর্ত-জনসভায় “চরমপন্থী-সন্ত্রাসীদের” হাতে নিহত হন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম-সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ-সহ আরও চারজন। এঁরা সবাই জাসদের নেতা।
তাঁকে কারা হত্যা করেছে:
১. কুষ্টিয়া-জিলার মিরপুর-থানার অন্তর্গত রাজনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র সাফায়েত হোসেন ওরফে হাবিব ওরফে হবি।
২. কুষ্টিয়া-জিলার মিরপুর-থানার কুরশা-গ্রামের উম্মত-ডাকাত ওরফে উম্মত মন্ডলের পুত্র আনোয়ার হোসেন।
৩. কুষ্টিয়া-জিলার মিরপুর-থানার কুরশা-গ্রামেরই মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মো. রাসেদুল ইসলাম ঝন্টু ওরফে আকবর।
আর এদের পরিচয় কী? কতকগুলো চোর-ডাকাতের সন্তান! এদের না আছে জন্মপরিচয়, আর না আছে কোনো বংশপরিচয়, এমনকি স্বাধীন দেশে এদের কোনো কর্মপরিচয়ও নেই। আর এদের মতো পাপের পুত্রদের হাতে শহীদ হলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম-সংগঠক কমরেড কাজী আরেফ আহমেদ! আহা! কী দুর্ভাগ্য মানুষের!
কেন এই হত্যাকাণ্ড?
মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী-চেতনাকে বাধাগ্রস্ত করতেই এই হত্যাকাণ্ড। আর এটিই সম্ভবতঃ বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়াশীলচক্রের “জঙ্গী-ছদ্মাবরণে” প্রথম “হামলা ও হত্যাকাণ্ড।” এরপর তারা ২০০০ সালে রমনা-বটমূলে “ছায়ানটের” মনোমুগ্ধকর ও শান্তিপূর্ণ সাংস্কৃতিক-অনুষ্ঠানে বোমা-হামলা করে।
মাত্র তিনজনের ফাঁসি হয়েছে। তবুও শান্তি। তিনটি “অমানুষের” ফাঁসি কার্যকর হয়েছে এই দেশে। এতে সমাজে পাপীদের মৃত্যুঘণ্টা বাজবে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ।
কমরেড কাজী আরেফ আহমেদের বিদেহীআত্মার শান্তি ও মঙ্গল কামনা করছি। আমীন। আমীন। আমীন। আল্লাহহুম্মা আমীন।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: তা-ই যেন হয়। মহান আল্লাহ ওদের শায়েস্তা করুন। আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: তিনজনের ফাঁসী হল, কাজী আরেফ আহমেদের মত ক্ষনজন্মা পুরুষদের হত্যা করার পেছনে যারা ছিল তাদের সবাইকে আল্লাহ শাস্তি দিবেন।