নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এদের চেয়ে বনের পশু ভালো। কিন্তু এই মানুষরূপী-পশুগুলো কেন লোকালয়ে?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

এদের চেয়ে বনের পশু ভালো। কিন্তু এই মানুষরূপী-পশুগুলো কেন লোকালয়ে?
সাইয়িদ রফিকুল হক

এখন আর শখ করে কেউ সহজে গাড়িতে ওঠে না। কারণ, এখন তো মানুষ যানবাহন চালায় না। গাড়ি চালায় কতকগুলো সাঁঝের শূয়র! এরা খুবই হিংস্র আর ভয়াবহ নৃশংস। দেশের বাস-মিনিবাস এখন পশুদের হাতে। আর সাধারণ মানুষ তাদের কাছে সম্পূর্ণ জিম্মি। নিরীহমানুষগুলো এখন তাদের জীবনটা হাতের মুঠোয় ভরে গাড়িতে চড়ে! দেশের অধিকাংশ বাস-মিনিবাস-ড্রাইভারদের পাপে আর তাদের অনাচারে-অত্যাচারে মানুষ আজ অতিষ্ঠ! কিন্তু মানুষ বিচার চাইবে কার কাছে?

যানবাহন মানুষের জন্য। আগের দিনে মানুষ চলাচলের জন্য গোরু কিংবা ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করতো। আর এগুলো না থাকলে মানুষ সেক্ষেত্রে পায়ে হেঁটে সর্বত্র চলাফেরা করতো। সেই দিন এখন আর নাই। এখন মানুষকে জীবনের প্রয়োজনে অনবরত বাসে, মিনিবাসে, মাইক্রোবাসে, সিএনজিতে ইত্যাদিতে চড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষকে এখন বাসে-মিনিবাসে চড়তেই হচ্ছে তাদের অফিস-আদালতে যেতে, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় পড়তে। কিন্তু এই বাস-মিনিবাস এখন কাদের হাতে?

অসহায় মানুষ জানে না এদের জীবনটা কে কখন কেড়ে নিবে। মাত্র আট-ঘণ্টার ব্যবধানে গত শনিবার রাজধানী ঢাকার শাহবাগের সন্নিকটে হাইকোর্ট বার-কাউন্সিলের সামনে একজন স্কুলগামী ছাত্রী মিনিবাস-চাপায় নিহত হয়। তার নাম সাবিহা আক্তার সোনালী। সে নবমশ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এবং শিশুপার্কের সামনে রাতে নিহত হয় আরেকজন ছাত্রী। তার নাম খাদিজা সুলতানা মিতু। সে ষষ্ঠশ্রেণীর ছাত্রী ছিল। সেও মিনিবাস চাপায় নিহত হয়েছে। আর এই দুইটি ঘটনাই ঘটিয়েছে গাবতলী-যাত্রাবাড়ির রুটে চলাচলকারী “৮”নম্বরধারী যাত্রীবাহী-মিনিবাস। এটিকে এখন কোনোভাবেই সড়ক-দুর্ঘটনা বলা যাবে না। এটি হত্যাকাণ্ড।

এই ৭-৮-৯...বিভিন্ন সিটিং-গাড়িগুলো ভয়াবহরকম বেপরোয়া:
বর্তমানে ঢাকা-শহরে “৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ইত্যাদি নম্বরধারী ও সিটিং-গাড়িগুলো ভয়াবহরকমের বেপরোয়া। এরা সবসময় রাস্তাঘাটে আইনকানুন মানে না। এরা কখনও-কখনও সিগন্যাল মানে না। একটা আরেকটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চালাতে থাকে। এরা যেখানে-সেখানে ব্রেক করে। আর যখন-তখন হার্ডব্রেক করে। একটা আরেকটার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে রাস্তা ছেড়ে পারলে ফুটপাতে উঠে আসে। এদের মধ্যে সামান্যতম মানবতাবোধ নাই। লজ্জা নাই। এরা পশুরও অধম। এদের চেয়ে বনের পশু ভালো। কিন্তু এই পশুগুলো লোকালয়ে কেন? আর এদের এতো প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে কেন?

এদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। এদের গতিসীমার কোনো পরিসীমা নাই:
এই বাস-মিনিবাসগুলো চলতে দেখলে মনে হয়: এরা যেন সাঁঝের শূয়রদের দ্বারা চালিত। এরা দুনিয়ার কাউকে মানে না। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী কাউকে পাত্তা দেয় না। এরা এমনই বেপরোয়া। এরা ঠিক সাঁঝের শূয়রদের মতো জ্ঞানশূন্য হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। এরা নিজেরা পাল্লাপাল্লি করার সময় যাত্রীবাহী-বাসটিকে আরেকটির সঙ্গে বিপজ্জনকভাবে ধাক্কা দিচ্ছে। এই দেশে এইসব দেখার কেউ নাই। এরা এইভাবে বাস-চালানোকে খেলা-খেলা মনে করে থাকে। কারণ, কেউ এদের কিছু বলে না। করে না। এরা যেন বাংলাদেশে ধরাছোঁয়ার বাইরে একশ্রেণীর জানোয়ার। এরা কি পশ্চিমা-ধাঁচের “আউট-ল”?

আইনের আওতায় আনতে হবে:
এদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর সড়ক-দুর্ঘটনার জন্য চালকদের দায়ী করে তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু করতে হবে। মানুষের জীবনটা খেলা-খেলা নয়। এদের স্পর্ধার সীমা খুব বেড়ে গেছে। এরা এখন সমাজে-রাষ্ট্রে পাগলাঘোড়া। আর তাই, এখনই এদের লাগাম শক্তহাতে টেনে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দুর্বলতা দেখাবার কোনো সুযোগ নাই।

এইসব বাস-মিনিবাস চালায় কারা?
সমাজ-রাষ্ট্রের সবচেয়ে দাগী ও নোংরা অমানুষগুলো এখন ড্রাইভারের সিটে বসছে। আমার জানামতে, এদের মতো নোংরাভাষার মানুষ এই পৃথিবীতে আর নাই। এরা বাসের ভিতরে যে-সব ভাষা ব্যবহার করে তার তুলনাও পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় আট-হাজার মানুষ নিহত হচ্ছে। আর গত বছর নিহত হয়েছে: পুরাপুরি আট-হাজার মানুষ।
২০১৫ সালে ঢাকা-জেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ সড়ক-দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এদের সংখ্যা ৩৫৯জন। আর খোদ রাজধানীতেই নিহত হয়েছে ২২৭জন। আর কত? আর কত? আর কত? এবার এদের থামাতে হবে। আর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাবার দায়ে ক্ষিপ্ত-শূয়রের মতো চালকদের অনতিবিলম্বে “মৃত্যুদণ্ডের” শাস্তিবিধান করতে হবে।
নিহত মানুষের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের যোগাযোগ মন্ত্রী হলো গিয়ে বিরাট দক্ষ লোক; উনি এবার ড্রাইভিং সীটে বসবেন

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৫

আমি রুহুল বলেছেন: সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মা শান্তি কামনা করি।

সুন্দর সাবলীল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪১

অরুণ কুমার মজুমদার বলেছেন: বেশ লিখেছেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ ও অশেষ শুভেচ্ছা। আর আমার ব্লগে স্বাগতম।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আমরা হাজার আহজারি করলেও পশুগুলো পশুই থেকে যাবে মানুষ হবেনা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: কথা সত্য। তবুও চেষ্টা করছি, যদি সরকারের টনক নড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.