নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখন বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, আর বাড়ছে দেহফ্রেন্ডের সংখ্যা! (প্রথম পর্ব: দেহফ্রেন্ডের উদ্ভব!)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮


এখন বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, আর বাড়ছে দেহফ্রেন্ডের সংখ্যা! (প্রথম পর্ব: দেহফ্রেন্ডের উদ্ভব!)
সাইয়িদ রফিকুল হক

আগে শুনতাম: এই মেয়েটির বা ওই ছেলেটির একটা বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড আছে। শুনে মানুষ ভ্রু-কুঁচকাতো। আর এখন মানুষ জানতে পারছে, দেখতে পারছে, বুঝতে পারছে, কারও-কারও ছেলে বা মেয়ের এখন দেহফ্রেন্ড আছে। এগুলো এখন মানুষের চোখে পড়ে না।
আমাদের সমাজ কত দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। অধঃপতন ঘটছে মানুষের। আর বানের জলের মতো ভেসে যাচ্ছে এখন কারও-কারও নৈতিক-মূল্যবোধ। মাতাল-মদ্যপায়ীর মদ্যপানের মতো মানুষ বিসর্জন দিতে শুরু করেছে তার অমূল্য মূল্যবোধকে।

এখন একশ্রেণীর ছেলে-মেয়েরা মনে করে: বয়ফ্রেন্ড মানেই হলো দেহফ্রেন্ড। তাই, তারা কয়েকদিন ভালোবাসার নাটক করে ছেলেটির কাছে মেয়েটি, আর মেয়েটির কাছে ছেলেটি দেহদান করে থাকে। আর এসব করে তারা বিমল আনন্দ অনুভব করে থাকে। এগুলো এখন এই বিশেষশ্রেণীর কাছে আনন্দ ও রোমাঞ্চের বিষয়।
মানুষের সুস্থ-সুন্দর জীবনের জন্য অবশ্যই বন্ধু প্রয়োজন। আর এই বন্ধু ছেলে-মেয়ে মিলেমিশেই হতে পারে। এখন অতিআধুনিক-যুগ। আর তাই, একটা ছেলের গার্লফ্রেন্ড আর একটা মেয়ের বয়ফ্রেন্ড থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে বয়ফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ডের সীমাঅতিক্রম করে একলাফে দেহফ্রেন্ড! এটি জাতির জন্য অশুভ একটি ইঙ্গিত।
আগের দিনেও ছেলে-মেয়েতে বন্ধুত্ব হয়েছে। কিন্তু তাই বলে তারা দেহফ্রেন্ড হয়ে যায়নি। তারা বছরের-পর-বছর বন্ধুত্বের মর্যাদা রক্ষা করেছে। আর এখন অনেকে একদিনে বন্ধুত্ব গড়ে আর তিনদিনে দেহমিলন ঘটায়! এরা মনুষ্যত্বের ও বন্ধুত্বের চরম অবমাননা করছে।

দেশে এখন ব্যাঙের ছাতার মতো প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে এবং উঠছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের একশ্রেণীর নষ্ট ও লম্পট শিক্ষাবিস্তারের নামে এইসব শিক্ষাব্যবসা-বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছে। আর এরা শিক্ষার নামে টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে একখানা করে সাদা বা রঙিন কাগজের সার্টিফিকেট হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। এদের ব্যবসাবাণিজ্য চলছে ব্রিটিশ-আমলের সেই ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মতো। এরা সারাদেশে এখন প্রাইভেট-ব্যবসাবিশ্ববিদ্যালয়ের নামে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। আর এদের সাহচর্যেই প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠছে যৌনলিপ্সু। এখানকার অধিকাংশ শিক্ষকই লম্পট। এরা শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের চেয়ে আজেবাজে ও অশ্লীল কথাবার্তা বলতে ভালোবাসে। এদের বিদ্যাশিক্ষা যৎসামান্য। কিন্তু কথিত-সার্টিফিকেট খুব ভারী-ভারী! আর এরা, এর ভারেই তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে যৌনতার স্বাদ বিলিয়ে দিচ্ছে।
দেশের প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনোপ্রকার নৈতিক-মানদণ্ডের ভিত্তিতে এবং জাতীয় আশাআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষার পরিবেশ গড়ে ওঠেনি। আর এদেশে পাকিস্তানপন্থীদের প্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক শিক্ষার নামে তাদের আরও অনৈতিক ও ধর্মান্ধতার পচাবুলিতে বিরাট-অশিক্ষায় পারদর্শী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এইসব বিভ্রান্ত-শিক্ষার্থী বাঙালি, মানুষ ও মুসলমান না হয়ে, তারা হচ্ছে: জঙ্গী, আধাজঙ্গী, পাকিস্তানী আর বাংলাদেশবিরোধী। তবুও এরা এখনও টিকে আছে।

এইসব আবর্জনাতুল্য শিক্ষাপল্লীতে ছেলে-মেয়েদের অবাধে মেলামেশার অবাধ সুযোগসুবিধা থাকায় অনেক শিক্ষার্থীই এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে না ঝুঁকে কথিত-নামকরা প্রাইভেট ও ব্যবসামুখী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে দিশেহারা হয়ে ছুটে যাচ্ছে। আর এরা সেখানে পৌঁছানোর জন্য এমন জোরে দৌড় দিচ্ছে, যেন সেখানে যেতে পারলেই চিরশান্তি।
একজন শিক্ষার্থীর একজন বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে বয়ফ্রেন্ডের নামে একেবারে দেহফ্রেন্ড! মানুষ এখন মূর্খ হচ্ছে। আর পড়ালেখা নামকাওয়াস্তে ও সহজ হচ্ছে। তাই, এখন যে-কেউ পরীক্ষা দিলেই পাস! আর এই পাসের কোনো শেষ নাই। তাই, এখন ছেলেমেয়েদের এতো-এতো দেহফ্রেন্ড হওয়ার সুযোগসৃষ্টি হচ্ছে।

পড়ালেখাটা এখন অনেকের স্রেফ নামকাওয়াস্তে। আর আসল উদ্দেশ্য হলো: যে-কোনো একটা প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। আর সেখানে একবার ঢুকতে পারলে বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড পাওয়া একেবারে সহজ। আর কয়েকদিনের বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের অজুহাতে সুযোগসন্ধানীরা দেহফ্রেন্ড হয়ে যেতে পারবে। শুধু যে প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই অবস্থা তা নয়, দেশের পাবলিক-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও লেগেছে ঘুণ। একশ্রেণীর নরপশু বয়ফ্রেন্ডের ও গার্লফ্রেন্ডের মর্ম বুঝতে পারছে না। এটা ইউরোপ-আমেরিকা-মধ্যপ্রাচ্য না যে, বয়ফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ড মানেই দেহফ্রেন্ড। এটা বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে এক সুমহান আদর্শের বীজমন্ত্রকে ধারণ করে এই জাতি তরতাজা ত্রিশলক্ষ জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ-রাষ্ট্র-প্রতিষ্ঠা করেছে।
৩০লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে-জাতি বিশ্বের বুকে নতুন এক রাষ্ট্র গড়ে তুলেছে, আর সেই জাতির কোনো মূল্যবোধ থাকবে না? অবশ্যই থাকতে হবে। আর তাই, দেশের সর্বত্র এই জাতির প্রতিটি সন্তানকে ধ্যানে-জ্ঞানে-মননে বাঙালি করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের শুধু বাঙালিই হতে হবে। জয়-বাংলা
(চলবে)

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

বিজন রয় বলেছেন: সমস্যা নাই।
আগে একরকম ছিল, এখন আর এক রকম আবার ভবিষ্যতে আর এক রকম হবে।
সময়ের প্রয়োজনে সব আসে সব যায়।

শুভকামনা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। তবুও আমরা বাঙালি (মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান)। আমাদের রয়েছে একটা নিজস্ব-সংস্কৃতি। তাই, আমাদের তরুণসমাজ উচ্ছন্নে গেলে দেশটাও রসাতলে যাবে।
আর একজন বাঙালি হিসাবে সবসময় মূল্যবোধের জন্য মনটা কাঁদে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো ভাষার মাসে শিমুল-পলাশের শুভেচ্ছা।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

"দেশে এখন ব্যাঙের ছাতার মতো প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে এবং উঠছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের একশ্রেণীর নষ্ট ও লম্পট শিক্ষাবিস্তারের নামে এইসব শিক্ষাব্যবসা-বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছে। আর এরা শিক্ষার নামে টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে একখানা করে সাদা বা রঙিন কাগজের সার্টিফিকেট হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। এদের ব্যবসাবাণিজ্য চলছে ব্রিটিশ-আমলের সেই ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মতো। এরা সারাদেশে এখন প্রাইভেট-ব্যবসাবিশ্ববিদ্যালয়ের নামে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। আর এদের সাহচর্যেই প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠছে যৌনলিপ্সু। এখানকার অধিকাংশ শিক্ষকই লম্পট। "

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমতের জন্য আপনার প্রতি রইলো অশেষ ভক্তি-শ্রদ্ধা। আর সঙ্গে থাকছে ফুলেল শুভেচ্ছা।
আপনার মঙ্গল কামনা করছি।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: আমি আসলে আপনার মতোই বলতে চেয়েছি। মূল্যবোধ ধ্বংস করে কিছু নয়, পরিবর্তন হতে হবে তকে অবশ্যই নিজস্বতা বজায় রেখে।

ধন্যবাদ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ আপনাকে। আর আপনাকে আমি ভুল বুঝিনি। শুধু আমার মনের কথাটা আরেকবার বলার চেষ্টা করেছি।
আপনার মঙ্গল কামনা করছি।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: আসলেই।।।।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সেই সঙ্গে রইলো ফুলেল শুভেচ্ছা।
শুভকামনা।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

নতুন বলেছেন: আর এখন মানুষ জানতে পারছে, দেখতে পারছে, বুঝতে পারছে, কারও-কারও ছেলে বা মেয়ের এখন দেহফ্রেন্ড আছে। এগুলো এখন মানুষের চোখে পড়ে না।

মানুষের চোখে পড়ে না কিন্তু আপনার চোখে কিভাবে পড়লো??

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমার চোখে পড়েছে, তার কারণ: আমার চোখ দুটি এখনও ভালো আছে। আর অনেকে দেখেও না দেখার ভান কের থাকে। তাদের কথা আর কি বলবো! তাই দুঃখ করে বলেছি: এগুলো এখন মানুষের চোখে পড়ে না।
আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

নতুন বলেছেন: এটা আগেও ছিলো এখনো আছে সামনেও থাকবে।

তবে আমাদের সমাজে একটু বাড়বে অনেক দিন নিষেধ করে রাখলে কৌতুহল বেড়ে যায়।

একটা সময় আসবে এটা ঠিক হয়ে যাবে।

সমাজে একটা ট্রান্সিসান পিরিয়ড চলছে এখন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। তবুও আমরা বাঙালি (মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান)। আমাদের রয়েছে একটা নিজস্ব-সংস্কৃতি। তাই, আমাদের তরুণসমাজ উচ্ছন্নে গেলে দেশটাও রসাতলে যাবে। এবং আমরা হাজার বছর ধরে যে নৈতিক মূল্যবোধ লালনপালন করে চলেছি, তার কী হবে? তাই, এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আমরা চাই না।
আর একজন বাঙালি হিসাবে সবসময় মূল্যবোধের জন্য আমাদের মনটা কাঁদে।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সময়ের চাহিদা মতনই সব হচ্ছে, আজ কালের বলক যুবকরা আগের যুগের বালক যুবকদেরচেয়ে বেশি ধর্ম সচেতন এটাও কিন্তু স্বিকার করতে হবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: হ্যাঁ, ধর্মবিষয়ে একশ্রেণীর তরুণ-যুবকরা যথেষ্ট সচেতন। এটা স্বীকার করছি। আর এব্যাপারে আপনার সঙ্গে একমত। আবার একটি শ্রেণী কিন্তু একই সময়ে ধর্মকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে! কিন্তু আগে এমনটি ছিল না।
আর একশ্রেণীর তরুণ-তরুণীর নৈতিক অবক্ষয়কে সময়ের চাহিদা বললে সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হবে। কারণ,
আমরা বাঙালি (মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান)। আমাদের রয়েছে একটা নিজস্ব-সংস্কৃতি। তাই, আমাদের তরুণসমাজ উচ্ছন্নে গেলে দেশটাও রসাতলে যাবে। এবং আমরা হাজার বছর ধরে যে নৈতিক মূল্যবোধ লালনপালন করে চলেছি, তার কী হবে? তাই, এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আমরা চাই না।
আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। তবুও আমরা বাঙালি (মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান)। আমাদের রয়েছে একটা নিজস্ব-সংস্কৃতি। তাই, আমাদের তরুণসমাজ উচ্ছন্নে গেলে দেশটাও রসাতলে যাবে। এবং আমরা হাজার বছর ধরে যে নৈতিক মূল্যবোধ লালনপালন করে চলেছি, তার কী হবে? তাই, এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আমরা চাই না।
আর একজন বাঙালি হিসাবে সবসময় মূল্যবোধের জন্য আমাদের মনটা কাঁদে।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।


আজ থেকে শত বছর আগেরর নিজস্ব-সংস্কৃতি এবং আজকেরর নিজস্ব-সংস্কৃতির সাথে কতটুকু পাথ`ক্য???

আমার মনে হয় অনেক। আজকেরর আপনিও কিন্তু ঐ পরিবত`নের মাঝেই আছেন এবং সেই পরিবত`নকেই স্ট্রান্ডাট ধরে নিয়েছেন।

পরিবত`ন আসবেই... সেটা থামানো যাবেনা। কিন্তু যেটা করা যাবে সবার সামনে ভাল/মন্দটা তুলে ধরা... সময়ই বলেদেবে জনগন কোনটা বেছে নেবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। পরিবর্তন হবে। আর এটি ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই। কিন্তু সেই একইকথা: আমরা বাঙালি। আমাদের একটা নিজস্ব-সংস্কৃতি আছে। আর আমরা শুধু পরিবর্তনের ‘পজিটিভ স্ট্যান্ডার্ড’কে গ্রহণ করতে পারি। কারণ,

৩০লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে-জাতি বিশ্বের বুকে নতুন এক রাষ্ট্র গড়ে তুলেছে, আর সেই জাতির কোনো মূল্যবোধ থাকবে না? অবশ্যই থাকতে হবে। আর তাই, দেশের সর্বত্র এই জাতির প্রতিটি সন্তানকে ধ্যানে-জ্ঞানে-মননে বাঙালি করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের শুধু বাঙালিই হতে হবে।

আপনাকে এবার উষ্ণ-অভিনন্দন জানাচ্ছি।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মানুষের পেটের চাহিদা আর যৌন চাহিদা সব সময় একরকমই ছিল বলে মনে করি, কিন্তু গত ৫০ বা ৬০ বছর ধরে আমাদের দেশে ইংরেজদের প্রভাবে নতুন এক প্রবনতা দেখা যাচ্ছে আর তা হল বেশি বয়সে বিয়ে, যা আমাদের সমাজে যৌনতার জন্য একান্ত প্রয়োজন। ইংরেজ দের তেমন নয়। এখন কথা হল যৌনতা বোধ যৌনতার ক্ষুধা পুরা তৈরি হয়ে যাবার পরেও একটা মানুষ তার ক্ষুধা নামিটয়ে ১৫ থেকে ২০ বছর কি ভাবে শরীর আর মনে কুলুপ এটে থাকবে???? এই বাস্তব সমস্যাটার সমাধান প্রয়োজন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার ধারণা ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের সমাজটা তো দেখতে হবে, ভাই। আমরা বাঙালি। আমাদের জীবনাচার-জীবনপদ্ধতি ইংরেজদের মতো করাটা শোভনীয় নয়। আর মানুষের দেহের ক্ষুধা অনস্বীকার্য। কিন্তু তাই বলে অনৈতিক-কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া যাবে না। আর আমাদের বেশি বয়সে বিয়ে করার চিন্তাটা মনে হয় এখন বদলাবার সময় এসেছে। এজন্য রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়কে একই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
শুভকামনা।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

নতুন বলেছেন: আমরা বাঙালি

একটা প্রশ্ন.... আমাদের জাতীয় পোষাক কি?? মানে বাঙ্গালী জাতীর পোষাক কি?

আমারা একটা মিশ্র জাতি ভাই... তাই বাংলাদেশীদের চেহারা একরকমেরর না... তাই আচরনও একরকমের হবেনা। সবারর প্রভাবই আমাদেরর সংস্কৃতিতে থাকবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমরা বাঙালি। আর আমাদের জাতীয় পোশাক হলো: পায়জামা-পাঞ্জাবি (পুরুষদের), আর মহিলাদের জন্য সুন্দর-শালীন শাড়ি-ব্লাউজসহ অন্যান্য। এগুলো দেশ স্বাধীনের পরেই নির্ধারিত হয়। কিন্তু আমরা কেউই লিখিত আইন ছাড়া প্রচলিত-প্রথাকে গ্রহণ করতে কুণ্ঠাবোধ করে থাকি। এইজন্য বাঙালির পোশাকআশাকে এতো পার্থক্য।

আমরা মিশ্র বা শংকর জাতি মানলাম। আমাদের চেহারাও ভিন্ন-ভিন্ন। কিন্তু তাই বলে আমরা জাতি হিসাবে ভিন্ন নেই। আমরা একই বাঙালি-জাতি। আর আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী। তাই, সকল বিভেদ ভুলে আমাদের একই সংস্কৃতির অনুসারী হতে হবে।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১

নতুন বলেছেন: আর আমাদের জাতীয় পোশাক হলো: পায়জামা-পাঞ্জাবি (পুরুষদের), আর মহিলাদের জন্য সুন্দর-শালীন শাড়ি-ব্লাউজসহ অন্যান্য। এগুলো দেশ স্বাধীনের পরেই নির্ধারিত হয়।

এগুলো কখনোই নিদ্ধারিত হয় নাই..

বাঙ্গালীর পোষাখ... ধুতি, শাড়ী... ;) এটাই হাজার বছরের বাঙ্গালীর পোষাক..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.