![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।
মহান একুশে ফেব্রুআরির দিনেই বাংলাদেশে বসে মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করলেন প্রধান বিচারপতি! মাতৃভাষা বাংলার ভবিষ্যৎ কী?
সাইয়িদ রফিকুল হক
দেশে সর্বস্তরে মাতৃভাষা বাংলা প্রচলনের ক্ষেত্রে বিরাট বাধা রয়েছে। আর সেটি বুঝা গেল গতকাল ভাষা-শহীদদিবসে। কোথায় মাতৃভাষার পক্ষে কথা বলা হবে, তা-না-করে আরও এর সার্বজনীন ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসৃষ্টির অশুভ-ইঙ্গিত! দেশের প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা গতকাল শহীদদিবসে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, “বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু এর বিপরীতে বিচারকের সংকট রয়েছে। এজন্য উচ্চ আদালতের সব রায় বাংলায় দেওয়া কঠিন।”
বাংলায় কঠিন! আর ইংরেজিতে খুব সহজ? আসলে, এটা একটা অজুহাত মাত্র। এতে বাংলাভাষার প্রতি অবজ্ঞাই প্রদর্শন করা হয়েছে। অথচ, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বাংলাভাষার বিকৃতি চাই না।” কিন্তু কীভাবে?
যদি এভাবে দেশের একজন প্রধান বিচারপতি বাংলাভাষা-সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে থাকেন, তাহলে, আজ বাংলাভাষার ভবিষ্যৎ কী? নিজের ভাষাকে আমরা মায়ের মতো ভালো না বাসলে আর কে এই ভাষাকে ভালোবাসবে? আমরা মনে হয় বুঝেশুনে নিজের সঙ্গে নিজেই শত্রুতাসৃষ্টি করছি। আর ক্রমাগত নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি!
বাংলাদেশের সংবিধান বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় রচিত। এতে কোনো সমস্যা নাই। আর এভাবে, আগে বাংলায় রায় দিতে হবে, রায় লিখতে হবে, আর রায় কার্যকর করতে হবে। তারপর ইংরেজি বিবেচনা করতে হবে। আর ধীরে-ধীরে ইংরেজিতে রায় লিখতে হবে। এব্যাপারে কোনো গড়িমসি করলে চলবে না। কিন্তু আগে বাংলাভাষায় রায় লিখে খুব দ্রুত রায় কার্যকর করতে হবে। আর বাংলার চেয়ে কোনো কার্যকরী ভাষা এই পৃথিবীতে নাই।
আমাদের এযাবৎকালের বাঙালির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, যখনই আমরা বাংলাভাষাকে ধারণ করে অগ্রসর হতে চাই, তখনই একটা বাধার দেওয়াল তৈরি হতে থাকে।
আর এরজন্য একমাত্র দায়ী আমাদের দুর্বল মানসিকতা। আমরা শুধু মুখে-মুখে এখন ভাষাকে ভালোবাসি। আমাদের মৌখিকপ্রেম এতো গভীর যে, বাস্তবে তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে, বাংলাভাষা সর্বস্তরে চালু করার প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হলেই চারদিক থেকে অমনি শুরু হয়ে যায় বাংলা কায়েমের বিপক্ষে যুক্তিউপস্থাপন। অথচ, এগুলো কোনো প্রকার বাঙালিয়ানা নয়। বরং এগুলো হচ্ছে পরিকল্পিত দুরভিসন্ধি, আর পাকিস্তানীভাবধারা দ্বারা তাড়িত চিন্তাভাবনা বা বিকৃত মানসিকতা। আর এই বিকৃত মানসিকতা আমাদের অতিদ্রুত দূর করতে হবে। আর সবসময় বাংলার পক্ষেই কথা বলতে হবে। আর বাইরে লোকদেখানোর জন্য পরোক্ষভাবে বাংলার পক্ষে থেকে আর ভিতরে-ভিতরে সবসময় প্রত্যক্ষভাবে বাংলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সমাজ-রাষ্ট্রে প্রচলিত ‘বাংলা-প্রেম-নাটক’ তাড়াতাড়ি বিসর্জন দিতে হবে। আর সমগ্র জাতিকে আজ এই বিকৃত মানসিকতা থেকে বের করে আনতে হবে। আর এই উদ্যোগ শাসকবর্গকেই নিতে হবে।
আমরা জানি, আমাদের দেশে একশ্রেণীর উচ্চবিত্তবান সবসময় বাংলাভাষার বিরুদ্ধে। কিন্তু এদের আর কেন প্রশ্রয় দেওয়া হবে? আমাদের জাতিসত্তার বিকাশেই বাংলাভাষাকে সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
জয় হোক আমাদের বাংলাভাষার।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। উনাদের উদ্যোগী হতে হবে। আর নেতিবাচক কথা পরিহার করতে হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হতাশাজনক একটি বাক্য। উনার মাতৃভাষা বাংলা নয় নাকি? আমার তো সেটাই মনে হচ্ছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জ্বী ভাই, ঠিকই বলেছেন। উনার বক্তব্য বাংলাবিরোধীদের উৎসাহিত করবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর সেই সঙ্গে শুভকামনা।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অত্যন্ত দুঃখজনক যে, যে ভাষার জন্য রয়েছে এক রক্তক্ষয়ী ইতিহাস; সেই বাংলা ভাষা আমাদের শিক্ষা, অফিস, আদালতে কোথাও সার্বিক ভাবে প্রচলিত হয়নি। দেশের কর্ণধারদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হতাশা নয়, গঠন মূলক উদ্যোগের।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। আর
দেশের একজন প্রধান বিচারপতির মুখে এধরনের হতাশাজনক কথা মানায় না। এঁদের আরও সতর্ক হতে হবে। আর বাংলাকে ভালোবেসে বাংলার পক্ষে কথা বলতে হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ইচ্ছা থাকিলেই উপায় হয়...
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, ভাই। বাংলা এঁদের ভালো লাগে না, তাই বলেন: “রায় লেখা কঠিন!”
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো ফুলেল শুভেচ্ছা।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন:
এই কথাটা যদি ডানপন্থী কোন বিচারপ্রতি বলতেন, তাহলে হয়তো এতটুকু সময়ের মধ্যে তার চেয়ার টা চিরতরে হারিয়ে যেত !
চেতনা বলে কথা ~
ধন্যবাদ আপনাকে
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আর ব্যানারটা দেখে লজ্জা পেলাম। এতো অবিবেচক মানুষ হয়? ভাষাদিবসে ভাষার অপমান!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিচারক স্বল্পতার সাথে বাংলায় রায় না লেখার কী সম্পর্ক রয়েছে, এই নাদানের পক্ষে তা' বুঝা কঠিন। তাহলে কী আমাদেরকে এটা বুঝতে হবে যে ইংরেজিতে লিখলে অল্প সংখ্যক বিচারপতি অনেক রায় লিখতে পারেন, কিন্তু বাংলায় লিখলে তা' পারেন না?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। আপনি যথার্থ বলেছেন ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো অনেক শুভেচ্ছা।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রেফারেন্সগুলো বেশিরভাগ ইংরেজিতে । ওগুলো বাংলায় দেওয়া সবসময় সম্ভব হয় না; জনবলও কম । অাপনি উনার কথাগুলো বুঝতে পারেননি বোধহয়! যাই হোক, রায়গুলো বাংলায় দেওয়ার ত্বরিত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, প্রয়োজনে জনবলও বাড়াতে হবে ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৯
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বুঝতে পেরেছি। কিন্তু এই কথা কেন একুশে ফেব্রুআরির দিন বলতে হবে? এই দিন তো বাংলার পক্ষেই বলতে হবে। আর উনি যে-ভাবে বলেছেন, তাতে মনে হয়েছে, বাংলায় রায় লেখাটা ঝামেলা।
আপনাকে শুভেচ্ছা। আর সেই সঙ্গে শুভকামনা।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩
কবি এবং হিমু বলেছেন: সবাই কেবল বলে হবে বা করতে হবে এমন করে তো মনে হয় ৪৪ বছর হয়ে গেল।কবে জনবল বাড়বে কবে পরিবর্তন হবে।সেই দিনটা কবে আসবে এটাই এখন মূল প্রশ্ন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, ভাই। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৫ বছর। আর ভাষাআন্দোলন হয়েছে ৬৪ বছর আগে। এখনও সর্বস্তরে বাংলাভাষা চালুর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সেই সঙ্গে একরাশ শুভেচ্ছা।
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১
শেখ মফিজ বলেছেন: স্বাধীনতার কিছুকাল পরে আমরা ডিগ্রী পড়েছি/ পরীক্ষা দিয়েছি বাংলায়,
বতমার্নে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সে সুযোগ কি আছে ?
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫১
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, ভাই। এখন সবখানে বাংলাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। স্বাধীন দেশে এরচেয়ে দুঃখের আর কী আছে?েআপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও সঙ্গে একরাশ শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি জানি না তিনি কি হিসেবে কথাটি বলেছেন, তবে বোধ করি তিনি বুঝাতে চেয়েছেন আইনের সব টার্ম বাংলায় এখনও কেউ ব্যবহার বা প্রয়োগ করে নি।
তবে যাই হোক না কেন, সবখানেই বাংলা ভাষার প্রয়োগ হওয়া উচিত। উনারা যদি ব্যবহার শুরু করতে পারেন, তাহলে বাকি সবাই করবে।