নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ভারত মাতা কি জয়’ ও আমাদের ‘জয়-বাংলা’—দেশাত্ববোধের দুইটি মহান স্লোগান প্রসঙ্গে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০২


‘ভারত মাতা কি জয়’ ও আমাদের ‘জয়-বাংলা’—দেশাত্ববোধের দুইটি মহান স্লোগান প্রসঙ্গে।
সাইয়িদ রফিকুল হক

‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানটি বিশ্বভুবনে একটি মহান স্লোগান। যেমন, আর-একটি মহান স্লোগান হলো: আমাদের ‘জয়-বাংলা’। আর ‘জয়-বাংলা’র চেয়ে মধুর কোনো স্লোগান এই পৃথিবীতে নাই। যাক, সে-কথা পরে হবে। আগে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানটির একটি অ্যানাটমি করে নেই। প্রথমত; এটি একটি দেশপ্রেমমূলক স্লোগান। আর সমগ্র ভারতবাসীর কাছে এটি খুবই প্রিয়। আর এটি কোনো হিন্দুত্ববাদের স্লোগান নয়। আর এটি কোনো ‘নাজায়েজ’ স্লোগানও নয়। এর অর্থ হলো: ভারত-মায়ের জয় হোক। ‘ভারত’ একটি দেশের নাম। আর দেশ হলো: সবসময়ের জন্য মায়ের মতন। আর ‘ভারত’ নামটি কখনও কোনো দেবতার নাম নয়। ‘ভারত’ বা ‘ভরত’ নামক একজন রাজার নামে দেশটির এই নামকরণ করা হয়েছে। আর এখন এটি ভারত-রাজার কোনোকিছুকে আর বুঝায় না। এটি এখন একটি স্বাধীন দেশ। ভারতকে শুধু দেশ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। এখানে, অন্যকিছু ভাববার বা কোনো আত্মস্বীকৃত-পণ্ডিতের ‘মতবাদ’ তুলে ধরার কোনো সুযোগ নাই। এখানে, আমাদের বুঝতে হবে: দেশকে ‘মা বা মাতা’ ভেবে, স্মরণ করে, তার নামে ভালোবেসে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। আর দেশতো সব দেশেই সব মানুষের কাছে জননীস্বরূপ। যদিও আমাদের দেশের একশ্রেণীর পাকিস্তানের দালাল তা আজও স্বীকার করে না। এরা এই দেশে শুধুই মিথ্যা-দেশপ্রেমের অভিনয় করে থাকে। আর এরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে ভালোবাসে শুধু শয়তানরাষ্ট্র পাকিস্তানকে।

আমরা বাঙালি বলে থাকি: ‘জয়-বাংলা’। এটি আমাদের কাছে একটি পবিত্র স্লোগান। ১৯৭১ সালে, এই পবিত্র স্লোগানটি প্রতিটি বাঙালি হৃদয়ে ধারণ করে পাকিস্তানীহায়েনাদের বিরুদ্ধে এক অপ্রতিরোধ্য সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। আর এর সঙ্গে আরও একটি স্লোগান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে। আর এটি হলো: ‘জয়-বঙ্গবন্ধু’। আর তাই, এই দুইটি শক্তিশালী ও পবিত্র স্লোগান বাঙালি-জাতির জীবনে হয়ে উঠেছিলো সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এই অস্ত্র দুইটি ব্যবহার করেই বীর-বাঙালি জয়ী হয়। ১৯৭১ সালে, আমাদের পবিত্র ‘জয়-বাংলা’ স্লোগান শুনে পাকিস্তানীহানাদারবাহিনী পায়খানা-প্রস্রাব করে ফেলতো। একটি স্লোগান যে এতো শক্তিশালী হতে পারে তা হাড়ে-হাড়ে সেদিন বুঝেছিলো একমাত্র পাকিস্তানীহায়েনারা। আর এই ‘জয়-বাংলা’ স্লোগানটি ইতালীর ভিসুভিয়াস-আগ্নেয়গিরির চেয়ে উদগীরণসমৃদ্ধ। এর শক্তি ও তেজ যেকোনো বারুদের চেয়ে ভয়ানক। এবার আসল কথায় আসি। আমাদের দেশের একটি চিহ্নিত-শয়তানগোষ্ঠী ও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীচক্র সবসময় এই পবিত্র স্লোগানটির বিরোধিতা করেছে। আর ওরা এখনও তা করছে। আর ওরা এভাবে এই পবিত্র স্লোগানটির বিরোধিতা করে নিজেদের মূর্খতার পরিচয় আরও সবিস্তারে প্রকাশ করতেই থাকবে। যারা আমাদের এই পবিত্র স্লোগান ‘জয়-বাংলা’র বিরোধিতা করে থাকে তারা কারা? আসুন, এদের পরিচয়টা আগে জেনে নেই।
আর এরা হলো:

১. একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠী;
২. পাকিস্তানের দালাল ও পাকিস্তানের চিরবিশ্বস্ত-গোলামসমূহ;
৩. একশ্রেণীর নামধারী-মুসলমান বা মুসলমান-নামধারী এজিদীয় মুসলমান;
৪. ১৯৭১ সালে, ভারতের হাতে মার খাওয়া ভারতবিরোধী একটি মৌলবাদীগোষ্ঠী;
৫. আর ইসলামধর্ম থেকে চিরতরে খারিজ হয়ে যাওয়া ‘ওহাবীখারিজী-মওদুদীবাদীসম্প্রদায়।

কেন বলে?
এর কারণ, ওরা মনে করে: এই স্লোগানটি ওদের বাপ-পাকিস্তানকে ১৯৭১ সালে চিরতরে কবর দিয়েছে। তাই, এই স্লোগানটির মধ্যে ওরা সবসময় ‘হিন্দুত্ব’ বা ‘হিন্দুয়ানী’ খুঁজে বেড়ায়। আসলে, ওরা কেউই মুসলমান কিংবা ধার্মিক নয়। আর ওরা হলো: পাকিস্তানী, নব্যপাকিস্তানী, সেমিপাকিস্তানী, পাকিস্তানীদের দালাল, পাকিস্তানীদের গোলাম ও বাংলাভাষাবিদ্বেষী একটি শয়তানগোষ্ঠী। তাই, ওরা সবখানে শুধু ‘হিন্দুত্ব’ ও ‘হিন্দুয়ানী’ খুঁজে বেড়ায়, আর বলে:“‘জয়-হিন্দ’ থেকে ‘জয়-বাংলা’ স্লোগানটি এসেছে। আর এই ‘জয়-হিন্দ’ ও ‘জয়-বাংলা’—দুইটি একই স্লোগান!” এরা অতিশয় মূর্খ, ধৃষ্ট, বেআদব, পামর, বেত্তমিজ, বেওকুফ, জাহেল, বাংলাবিদ্বেষীপশু আর একাত্তরের চিহ্নিত কোনো-না-কোনো যুদ্ধাপরাধী কিংবা ওই যুদ্ধাপরাধীদের পাপিষ্ঠবংশধর। তাই, ‘জয়-বাংলা’ চলছে আর তা চলবে চিরকাল। আর ‘জয়-বাংলা’ ও ‘জয়-বঙ্গবন্ধু’ এখন বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান।

অতিসম্প্রতি ভারতের প্রসিদ্ধনগরী দিল্লিতে একটি ঘটনা ঘটেছে। আর তা হলো: দিল্লির একটি স্কুলে কয়েকজন ছাত্র ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে অস্বীকার করায় স্কুলকর্তৃপক্ষ তাদের স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। আর আমি এখন বলবো: তারা ঠিক কাজ করেছে। দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছে। আর তাদের, আরও একটি কাজ করতে হবে, আর তা হলো: ওদের শুধু স্কুল থেকে নয় সমগ্র ভারত থেকে এখনই বের করে দিতে হবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘দেওবন্দীমাদ্রাসা’র এক পাপিষ্ঠ-ফতোয়াবাজ ছাত্রদের সমর্থন করে বলেছে: ‘ভারত মাতা কি স্লোগান’ জায়েজ নয়। আর এই শয়তানচক্রই ১৯৭১ সালে বলেছিলো: ‘জয়-বাংলা’ স্লোগান দেওয়া জায়েজ নাই। আর তারা পাকিস্তানকে ‘বাপ’ ডেকে তাদের সমর্থন করেছিলো। নিরীহ ও অসহায় বাঙালির করুণ-কান্না সেদিন তাদের কাছে পৌঁছায়নি। এরা এমনই পাপিষ্ঠপামর যে, এরা নিজেদের ঢাকঢোল নিজেরাই বাজায়, আর বলে: আমরা আলেম! আসলে, পবিত্র ইসলামের দৃষ্টিতে এদের কেউই ‘আলেম-উলামা’ নয়। এরা পরজীবী আগাছামাত্র। এরা শুধু আজ ভারতের নয়, আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশেরও চিরশত্রু। এরা বিভ্রান্ত। এরা সাবেঈন। এরা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাওয়া ওই ‘ওহাবীখারিজী-মওদুদীবাদী’ আকিদায় বিশ্বাসী। তাই, এরা নিজেদের দেশকে ভালো না বেসে তার বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তিপ্রকাশ করে থাকে। কিন্তু এদের এখানেই থামিয়ে দিতে হবে। আর যারা ভারতে বাস করে ভালোবেসে ও ভক্তিসহকারে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলবে না, তাদের ভারত-দেশ থেকে এখনই বের করে দেওয়া উচিত। এরা সরাসরি পাকিস্তানের দালাল ও ভারতের একসময়কার কুখ্যাত-দস্যু ‘গজনীর সুলতান মাহমুদে’র বংশধর। তাই, এরা এমন জঙ্গী হয়েছে। আর এরা আমাদের বাংলাদেশেরও শত্রু।

‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানটি সবসময় ‘জায়েজ’ আর ‘পবিত্র’। কারণ, এটি একটি দেশ ও জাতির ভালোবাসা ও শক্তির প্রতীক। আর আমাদের ‘জয়-বাংলা’ তো সবসময় একটি জায়েজ ও হালাল স্লোগান। আর যারা এই বাংলাদেশে বসবাস করে আমাদের পবিত্র স্লোগান: ‘জয়-বাংলা’কে নাজায়েজ, হারাম, হিন্দুয়ানী ইত্যাদি আবোলতাবোল, আজেবাজে ও আলতুফালতু কথা বলবে তারা নিজেরাই সবসময় নাজায়েজ, হারাম আর নাজাসাতে গালীজা। তাই, এই হারামগোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চিরতরে ছিন্ন করতে হবে। এরাই দেশে-দেশে মানুষে-মানুষে বিভেদসৃষ্টি করেছে, আর নানারকম যুদ্ধবিগ্রহ, রায়ট ও সাম্প্রদায়িক-সংঘাতের জন্ম দিয়েছে। এদের ঘৃণা করে আজ এদের চিরতরে বর্জন করার সময় এসেছে।
আর যাদের, আমাদের এই পবিত্র স্লোগান ভালো লাগে না, তারা এই দেশ ছেড়ে তাড়াতাড়ি তোমাদের ‘বাপের দেশ’ পাকিস্তানে চলে যাও। এই বাংলার মাটিতে আর কোনো শয়তানকে ঘাঁটি গাড়তে দেওয়া হবে না। এবার আমরা শুরু করবো রাজাকারবিরোধী নতুন এক মুক্তিযুদ্ধ।
জয়-বাংলা।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০২/০৪/২০১৬


মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: আপনি সব্যসাচী লেখক।
++++

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আসলে, দায়বদ্ধতা থেকে লিখেছি। দেশের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়াবে তাদের টুঁটি চেপে ধরতে হবে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য একরাশ শুভেচ্ছা। আর কৃতজ্ঞতাও জানাচ্ছি।
আর সবসময়ের জন্য শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.