![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।
বছরে শুধু একদিন একটু মা-মা করলেই হবে?
সাইয়িদ রফিকুল হক
বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারা বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব-মা-দিবস’। আমার মনে হয়: শহরের কিছুসংখ্যক মানুষ শুধু এই দিনটির কথা শুনেছে। আর বাকীরা এখনও এই বিষয়ে অজ্ঞ। আর গ্রামেগঞ্জের কথা তো বাদই দিলাম—সেখানে মা-দিবস উদযাপিত হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। বিশ্ব-মা-দিবসের উদ্দেশ্য নিঃসন্দেহে মহৎ।
আমরা আজকাল মায়ের এমনই অধম সন্তানসন্ততি হয়েছি যে, আমাদের এখন দিবস গুনে-গুনে একদিন মাকে ভালোবাসতে হবে! নাকি এই একদিনের মতো সারাবছর মাকে ভালোবাসতে হবে? আশা করি বুদ্ধিমান মাত্রই তা অনায়াসে বুঝতে পারবেন।
প্রতিবছর মে-মাসের দ্বিতীয় রবিবার সারাবিশ্বে ‘বিশ্ব-মা-দিবস’ পালিত হয়। এর ঢেউ আজ বাংলাদেশেও কিছুটা হলেও লেগেছে। তাইতো এখন দেখা যায়, মাকে ভুলে বিদেশে কিংবা দেশের ভিতরেই যারা দূরে-দূরে আছে, তারা একদিন হলেও মাকে একটুখানি স্মরণ করতে পারে! তাদের মূল্যবান সময় থেকে মায়ের জন্য একটুখানি বরাদ্দ করে তারা দেশ ও জাতির কাছে কীর্তিমান হয়ে আছে!
‘মা’ শব্দটির অনেক প্রতিশব্দ আছে। যেমন, মাতা, মাতঃ, মাতৃকা, জননী, জনী, প্রসূতি, জনয়িত্রী, জনিকা, জন্মদাত্রী, গর্ভধারিণী ইত্যাদি। এর মধ্যে ‘গর্ভধারিণী শব্দটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। আর আসলেই মা হচ্ছেন গর্ভধারিণী। তাঁর গর্ভেই বেড়ে উঠেছে দুনিয়ার সমস্ত মানবশিশু।
আমরা যদি মাকে গর্ভধারিণী ভেবে থাকি—তাহলে, এখনই মায়ের মূল্য উপলব্ধি করতে হবে। আর সঙ্গে-সঙ্গে, এক্ষুনি মাকে দিতে হবে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা। মাকে ভালোবাসতে পারলে আমরা নিজেরাই আরও সমৃদ্ধ হতে পারবো।
যারা খেয়ালের বশে, স্বার্থের লোভে, লাভের আশায় মাকে ছেড়ে কাছে কিংবা দূরে কিংবা বিদেশে পড়ে রয়েছেন—তারা ফিরে আসুন ভ্রান্ত-গোলোকধাঁধা থেকে। আর এর থেকে আপনাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। মাকে একবার গর্ভধারিণী ভাবতে শিখুন। আপনি খুঁজে পাবেন আপনার শিকড়ের সন্ধান। আপনি খুঁজে পাবেন আপনার সঠিক অস্তিত্ব।
মায়ের সঙ্গে আমাদের কারও ‘হাই’ কিংবা ‘হ্যালো’ বলার সম্পর্ক নয়। মায়ের সঙ্গে নাড়ীর সম্পর্ক। তাই, বছরে একদিন মাকে উদ্দেশ্য করে একটুখানি ‘হাই’-‘হ্যালো’ বলাটা বাদ দিন। সারাবছরের জন্য মাকে ভালোবাসুন। আর মাকে কাছে রাখুন। আর মায়ের সঙ্গে থাকুন।
আপনি কার কথায় কীসের আশায় কেন নিজের মাকে—গর্ভধারিণীকে ভুলে আছেন? আপনি এখনই ফিরে আসুন মায়ের কাছে। বৃদ্ধবয়সে আপনার মা রয়েছেন কোনো এক বৃদ্ধাশ্রমে কিংবা পরের আশ্রয়ে! আর আপনি কিনা সাহেব হয়ে সমাজের বুকে খুব একটা ভাব নিয়ে বুক ফুলিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন! আপনার বোধোদয় হবে কবে? আর কত ঝরবে মায়ের চোখের জল? তাই, লোকদেখানোর জন্য একদিন মাকে ভালো না বেসে সারাজীবনের জন্য তাঁকে ভালোবাসুন। আর একবার ভাবুন তো: বছরে শুধু একদিন একটু মা-মা করলেই হবে? আর মা কি শুধু একদিনের জন্য?
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১১/০৫/২০১৬
১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪১
মোস্তফা ভাই বলেছেন: মা দিবস একটা ফ্যাশন। আমি আমার মাকে প্রতিদিন ফোন করি, আমার কোনো দিবস লাগে না।