নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিসংঘের ‘আন্তর্জাতিক আদালতে’ বাংলাদেশবিরোধী-মামলা-দায়ের করে যে-কারণে হেরে গেল বিএনপি-জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠী

২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:৫০


জাতিসংঘের ‘আন্তর্জাতিক আদালতে’ বাংলাদেশবিরোধী-মামলা-দায়ের করে যে-কারণে হেরে গেল বিএনপি-জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠী
সাইয়িদ রফিকুল হক

গণপ্রজাতন্ত্রীবাংলাদেশ-সরকারের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী’ অপরাধের ভিত্তিহীন অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা-দায়ের করেছিলো বাংলাদেশের ‘বিএনপি-জামায়াতসহ একাত্তরের সর্বদলীয় চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠী’। ২০১৩ সালে, বাংলাদেশের একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠী বিএনপি ও জামায়াত এককাট্টা-একদলীয় হয়ে হেগে অবস্থিত ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ-আদালতে’ বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের বিরুদ্ধে মামলা-দায়ের করেছিলো। অতিসম্প্রতি সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত। তাই, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছে: বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতচক্রের আনীত ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগের কোনো আইনগত ভিত্তি নাই।

২০১০ সালে, বাংলাদেশে একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরদিন থেকে বিএনপি-জামায়াত একজোট হয়ে বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্ত ও নাশকতায় মেতে ওঠে। আর তারা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-কুলাঙ্গারদের রক্ষা করার জন্য দেশী-বিদেশী সবরকমের দালাল নিয়োগ করতে শুরু করে দেয়। তারা একজোট হয়ে নানাভাবে এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ছলচাতুরি আশ্রয়গ্রহণ করেও ব্যর্থ হয়। সবশেষে ধর্না দেয় ২০১৩ সালে—আন্তর্জাতিক আদালতে। ২০১৩ সালে, বিএনপি-জামায়াতগোষ্ঠীর ‘আন্তর্জাতিক আদালতে’ দায়ের করা দেশবিরোধী এই মামলা খারিজ করে দিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতের আফ্রিকান-প্রসিকিউটর ফাতোউ বেনসউদা এই বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রীবাংলাদেশ-সরকারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আর তাতে লেখা হয়েছে:

“সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই মামলার কোনো আইনগত ভিত্তি নাই।”

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক-আদালত-কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আজ আবারও প্রমাণিত হলো: আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনও বিএনপি-জামায়াতজোট দেশবিরোধী মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতজোট আবার ষড়যন্ত্র করে পরাজিত হয়েছে। তাদের আন্তর্জাতিক লবিস্ট ও সর্বশ্রেণীর দালালসহ পাকিস্তান ও তুরস্ক এই মামলা-দায়েরের পিছনশক্তি হিসাবে কাজ করেও কোনোকিছুই করতে পারেনি। এবার আন্তর্জাতিকভাবেও তারা পরাজিত হয়েছে। আর জিতে গেছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে’ বিএনপি-জামায়াতসহ একাত্তরের সর্বস্তরের যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠী মামলা-দায়ের করেও যে-সব কারণে হেরে গেল, তা এখানে তুলে ধরা হলো:

প্রথমত; ইতিহাস বাংলাদেশের পক্ষে। আর ১৯৭১ সালে, বীর-বাঙালি-জাতি ইতিহাসসৃষ্টি করেই স্বাধীন-সার্বভৌম-বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। বিশ্বের তাবৎ মানুষ জানে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে আমেরিকা-চীনের মদদপুষ্ট পাকিস্তানকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে স্বাধীনতালাভ করেছে। আর তারা এও জানে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীহানাদারবাহিনী পৃথিবীর সবচেয়ে নৃশংসতম গণহত্যা চালিয়েছে বাঙালি-জাতির বিরুদ্ধে। আর ১৯৭১ সালে, একদল অমানুষ বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও বাংলাদেশরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে অপকর্ম করেছিলো। এরা সাংগঠনিকভাবে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত। একাত্তরে পাকিস্তানপন্থীরা রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তিকমিটি’র নামে পাকিস্তানীদের সবরকমের সাহায্য-সহযোগিতা করেছিলো। আর বাংলাদেশে বর্তমানে এদেরই বিচার চলছে।
দ্বিতীয়ত; বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বর্তমানে আন্তর্জাতিক-মহলে নানারকম অমূলক সন্দেহ ও জড়তা থাকলেও তাদের প্রকাশ্য কোনো বিরোধিতা নাই। কারণ, পৃথিবীর কোনো সভ্যরাষ্ট্রের আজ বাংলাদেশের ৩০লক্ষ শহীদের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিপ্রদর্শন করার নৈতিক সাহস ও মনোবল নাই। আর তাদের জানা আছে, ১৯৭১ সালে, পাকিস্তানীদের দ্বারা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লংঘিত হওয়াসহ ভয়াবহ গণহত্যাসংঘটিত হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য শুধু দুইটি শয়তানরাষ্ট্র প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র করছে। আর এরা হলো দুই শয়তান: পাকিস্তান ও তুরস্ক।

তৃতীয়ত; বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি এখন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের মুখপাত্র ও প্রধান প্রতিনিধি। এছাড়াও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ারা এখন শুধুই বাংলাদেশের ইতিহাসের বাতিল অধ্যায় ও ছেঁড়াপৃষ্ঠা মাত্র। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের জনসমর্থন অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে অনেক শক্তিশালীরাষ্ট্র এখন আর তাদের পক্ষ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ বিনষ্ট করতে রাজী নয়। তাই, বলা যায়: বিএনপি এখন আন্তর্জাতিক-অঙ্গনে একঘরে হয়ে পড়েছে।
চতুর্থত; বিএনপি-জামায়াতজোট একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে ২০১৩-২০১৪ সালে যে ভয়াবহ তাণ্ডবলীলা চালিয়েছিলো তা এখনও মানুষ ভুলে যায়নি। দেশে-বিদেশে এটি দারুণভাবে সমালোচিত হয়েছে। আর মানুষ বুঝতে পেরেছে: এটি কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়। এটি হলো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য সরাসরি নাশকতা ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড। আর দেশবিরোধী-অপতৎপরতা চালিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আদালতে বর্তমান সরকারে বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ-দায়ের করেছে। আর তাই, এটি বিশ্বসভায় মর্যাদা পায়নি।
পঞ্চমত; বাংলাদেশ-সরকার শুধু একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এতে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক-মহলের সমর্থনই রয়েছে।

এভাবে, আন্তর্জাতিক-অঙ্গনে পরাজিত হয়ে আজ বাংলাদেশের পতিত রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত নামক একদলীয়-একজোট একেবারে দিশেহারা। আর হত্যা, লুণ্ঠন, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র ছাড়া তাদের এখন আর-কিছুই করার নাই। আর তাদের এখন নাশকতাই একমাত্র ভরসা।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে বিএনপি-জামায়াতজোট ২০১৩ সালে জাতিসংঘের ‘আন্তর্জাতিক আদালতে’ বর্তমান সরকার, সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা-সহ ১৫জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার পাঁচটি অভিযোগে মামলা-দায়ের করেছিলো। এটিকে ছোট করে দেখলে চলবে না। এর উদ্দেশ্য ছিল সুদূরপ্রসারীচক্রান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা পুরাপুরি ধ্বংস করা। আর বাংলাদেশে আবারও তালেবানীশাসনপ্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বিশ্ববিবেক তাদের (বিএনপি-জামায়াতজোটের) আজেবাজে মামলা খারিজ করে দিয়েছে।

সাইয়িদ রফিকুল হক।
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২৬/০৫/২০১৬



মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

আচার্য বাঙালি বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.