নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প(জীবনের গল্প): সিমি’র প্রিয় কদমফুল

০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯


ছোটগল্প(জীবনের গল্প): সিমি’র প্রিয় কদমফুল
সাইয়িদ রফিকুল হক

রিক্সা না পেয়ে সিমি বৃষ্টির ভিতরেই রাস্তায় নেমে এলো। বৃষ্টিটা অবশ্য এখনও জোরে শুরু হয়নি। তবুও তার ফোঁটাগুলো মন্দ নয়। সিমি ভেবে দেখলো: রাস্তার পাশে ফুলের দোকানে এভাবে দাঁড়িয়ে থেকে কোনো লাভ নেই। কারণ, বৃষ্টি কখন থামবে তার কোনো নিশ্চয়তা নাই। তাছাড়া, এখানে দাঁড়িয়ে থাকাটাও তার জন্য নিরাপদ নয়।

সে ফুলের দোকানের একপাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলো। কিন্তু লোকজন দোকানের ফুল না দেখে বারবার তাকেই দেখছিলো। এইরকম একটা বিশ্রী ব্যাপার তার ভালো লাগেনি। তাই, বৃষ্টির ভিতরেই সে রাস্তায় নেমে এসেছে। আর একটা রিক্সাও খুঁজেছে। কিন্তু পায়নি। সে বাসস্ট্যান্ডের কাছে আসতেই কিছুটা ভিজে গেল। তবুও রক্ষা একটা বাস যেন এদিকেই আসছে—তার এমনটি মনে হলো। সিমি তাড়াতাড়ি একেবারে বাসস্ট্যান্ডের কাছে চলে এলো। কিন্তু সে কাছে এসে দেখলো: এই বাসটা অন্য রুটের।

বৃষ্টিতে ভিজতে-ভিজতে সিমি ভাবতে থাকে: আবার কখন বাস আসবে? মনে-মনে সে উতলা হয়ে উঠলো। আর এদিকে সে ভিজেও যাচ্ছে। আর-একটু পরে তার ভেজাপোশাকের ভিতর দিয়ে একটা অন্যরকম সৌন্দর্য ফুটে উঠতে পারে। আর তখন, রাস্তার লোকজন তাকে দেখে বেশ মজা পাবে। আর সিমি এমনিতে অনেক সুন্দর। আর এমন একটা মেয়ে যদি বৃষ্টিতে ভিজে যায়—তাহলে, রাস্তার অনেক পুরুষই মুহূর্তের মধ্যে পাগল হয়ে যাবে। সিমি এদের পাগল করে তুলতে চায় না। এরা পাগল হলে তার ভয়ানক বিপদ হবে।

তার আশেপাশে আরও কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু তারা তো পুরুষ-মানুষ। আর তারা প্রতিদিন তিনবার কাকভেজা হলেও কেউ তাদের দেখবে না, কিংবা দেখলেও কোনো অসুবিধা নাই। আসলে, এদেশে পুরুষ-মানুষের জন্য কখনও-কোনো ভাবনা নাই।

সিমি মেয়ে বলেই তাকে একটুখানি হিসাব করে চলতে হয়। সে একটু বিরক্ত হয়ে যখন বাসের অপেক্ষায় না থেকে আরেকটা আশ্রয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে, এমন সময় একটি চব্বিশ-পঁচিশ বছরের যুবক বড় একটা ছাতা নিয়ে তার পাশে এসে দাঁড়ালো। আর শুধু পাশে এসে দাঁড়ালো না, সে রীতিমতো সিমির মাথার উপরে ছাতা ধরলো। আর সে একটু হেসে সিমির দিকে মায়াভরা চাহনিতে তাকিয়ে থেকে সরলকণ্ঠে বললো, “ভিজে যাচ্ছিলেন তো। আপনি একজন ছাত্রী। আর আমিও একজন ছাত্র। তাই, কিছু মনে করবেন না।”
সিমি হঠাৎ করে যুবকটির এই বদান্যতায় মুগ্ধ হলো। আর সে যুবকটিকে কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলো না। সে ছেলেটির চোখের দিকে একবার তাকিয়েই বুঝতে পারলো: ছেলেটি আর-যাই-হোক, ভণ্ড না। তাকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে হয়তো সরল-মনেই সে কাছে এসে দাঁড়িয়েছে।

তবুও সিমি এমন একটা ভান করলো যেন সে পুরাপুরি সন্তুষ্ট হয়নি। আর মেয়েরা সবসময় এমনই হয়। এরা সবকিছু ছেলেদের বুঝতে দিতে চায় না।
সিমি ছাতার নিচে এখন বেশ আরামে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একটু পরে সে যুবকটির দিকে তাকিয়ে সলজ্জ হাসিতে বললো, “আজ ছাতা আনতে ভুলে গিয়েছি। আর প্রতিদিনই আনি। কিন্তু আজ যে কেন ভুলে গেলাম!”
ছেলেটি এবার একটু কথা বলার সুযোগ পেয়ে খুব সুন্দর করে হেসে বললো, “এরকম হয়েই থাকে। মাঝে-মাঝে আমিও ভুল করি। আর মা তখন খুব বকা দেয়। অনেক সময় ভিজে-ভিজে বাড়ি ফিরি। তাই, এখন সাবধান হয়েছি। আর এই মাসটা তো আষাঢ়। এখন তো প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হবেই।”
কিছু-একটা বলতে হয় ভেবে সিমি বললো, “তা ঠিক।”
সে এখন অস্বস্তিবোধ না করলেও ভিতরে-ভিতরে বেশ ছটফট করছে একটা বাসের জন্য। এভাবে একটি অপরিচিত-যুবকের ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে তার পুরাপুরি ভালো লাগছিলো না। আবার সরে যেতেও তার মন সায় দিচ্ছিলো না। সে যুবকটির সঙ্গে সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলো।

বাস আসছে না। যেন আর কোনোদিন আসবে না। মিরপুর-পল্লবী-রুটের একটা বাসও আসছে না দেখে সিমির চেহারায় কিছুটা বিরক্তিপ্রকাশ পেলো। আর তা লক্ষ্য করে যুবকটি বললো, “আপনি যাবেন কোথায়?”
সিমি সোজাসাপটা উত্তর দিলো, “পল্লবী।”
যুবকটি প্রায় লাফিয়ে উঠে বললো, “আমিও তো ওই দিকেই থাকি। মিরপুর-বারো-নম্বরে।”
একথা শুনে সিমি হেসে বললো, “তাহলে, আপনি আমার প্রতিবেশী।”
আর তা শুনে যুবকটি এবার খুশি মনে শুধু হাসলো।
একটু পরে যুবকটি আগের মতো সরলকণ্ঠে বললো, “আপনার নামটি জানতে পারি?”
সিমি এতে তেমনকিছু না ভেবে বেশ সরল-মনেই বলে ফেললো, “সিমি। আর আমার পুরা নাম সিমিন রহমান সিমি।”
ভিতরে-ভিতরে সিমিরও খুব ইচ্ছে করছিলো ছেলেটির নাম জানতে। কিন্তু তা সে করতে পারলো না। সে ইতোমধ্যে তার প্রেমে অভিজ্ঞ বান্ধবীদের কাছে শুনেছে, ছেলেদের নাম জানতে চাইলে তারা নাকি বেশ খুশি হয়। আর তারা ধরেই নেয় যে, এই মেয়েটি তাকে পছন্দ করেছে। তাই, সিমি আপাততঃ ইচ্ছেটাকে বহু কষ্টে বাদ দিতে বাধ্য হলো।

বাস আসছে না দেখে সিমি একফাঁকে ওই যুবককে বললো, “আপনি কোথায় পড়েন?”
এতে যুবকটি একসেকেন্ড বিলম্ব না করে সঙ্গে-সঙ্গে অতিশয় খুশি হয়ে বললো, “এই তো শাহবাগের পাশেই ওই ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ে।”
“কী-সে? মানে, কোন সাবজেক্টে?”—এবার বেশ আগ্রহের সঙ্গে জানতে চায় সিমি।
যুবকটি বললো, “ইতিহাসে, অনার্স ফাইনাল ইয়ারে।”
তারপর সেই যুবকটি পাল্টা প্রশ্ন করে সিমির দিকে চেয়ে হেসে বললো, “আপনি?”
সিমি এবার বেশ প্রফুল্লচিত্তে বললো, “আমিও আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। তবে আমার সাবজেক্ট ভিন্ন। আমি বাংলায় অনার্স প্রথম বর্ষ।”
শুনে যুবকটি সঙ্গে-সঙ্গে বললো, “খুব ভালো। বাংলার লোকদের আমার খুব ভালো লাগে।”
এতে সিমি যেন কিছুটা লজ্জা পেলো। আবার সে কিছুটা মুগ্ধও হলো।
আর তা লক্ষ্য করে যুবকটি বললো, “কিছু মনে করেননি তো?”
সিমি শুধু হেসে বললো, “না।”
এখন যুবকটির সাহস অনেক বেড়ে গেছে। আর সে এই সাহস দিয়ে যেকোনো মুহূর্তে সমগ্র ভারতবর্ষ-জয় করতে পারবে! এমনই মনোবল এখন তার বুকের ভিতরে। তাই, সে আরও সাহস সঞ্চয় করে বললো, “আজ তো আপনাদের ক্লাস অনেক আগে ছুটি হয়েছে। আমার একটা ছোটবোন বাংলায় পড়ে তো। ওর কাছে শুনেছি। কিন্তু আপনি এতো দেরি করলেন যে! নইলে তো এই বৃষ্টির আগেই বাসায় যেতে পারতেন।”
মেয়েটি বললো, “হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। একটা কারণে আমার দেরি হয়েছে। নইলে বৃষ্টির আগেই বাসায় ফিরতে পারতাম।”
এবার যুবকটি তার সাহস আগের চেয়ে আরেকটু বাড়িয়ে সিমির কাছে জানতে চাইলো, “আপনার দেরির কারণটা জানতে পারি?”
সিমি এবার হেসে বললো, “কদমফুল আমার খুব প্রিয়। কদমফুলের জন্য দেরি হলো। শাহবাগের এইসব দোকানের কোথাও আজ একটা কদমফুল খুঁজে পেলাম না!”
এবার যুবকটি বললো, “তাহলে, আপনাকে এবার যে এখানে একটু কষ্ট করে দাঁড়াতে হবে। আমি আপনার জন্য এখনই কদমফুল নিয়ে আসছি। আর আপনি ভয় পাবেন না। প্রয়োজনে আমি আপনাকে আপনার বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেবো।”
সিমি বাধা দিয়ে বললো, “না-না, আপনাকে এই বৃষ্টির ভিতরে এতো কষ্ট করতে হবে না। আমার কদমফুল লাগবে না।”
কিন্তু কে শোনে কার কথা। যুবকটি এবার ওর মুখের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধতার সঙ্গে বললো, “আমি আপনাকে আজ-এক্ষুনি অনেক কদমফুল জোগাড় করে দেবো। আপনি আমার জন্য এখানে একটু অপেক্ষা করুন।” বলেই সে ছাতাটা সিমির হাতে ধরিয়ে দিয়ে চোখের পলকে উধাও হয়ে গেল।
সিমি এতে খুব বিস্মিত হলো। আর অবাকও হলো। এমনও মানুষ হয়! তার জন্য হঠাৎ পরিচয় হওয়া একটা মানুষ এভাবে ছুটতে পারে—এটা তার আগে জানা ছিল না। আর সে মুগ্ধই হলো।
তাই, সে আর-কোনো উপায়-অন্তর খুঁজে না পেয়ে ছাতা মাথায় যুবকটির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।

এর মধ্যে পরপর দুইটা বাস চলে গেল। এতে সিমির খুব মন খারাপ হলো। আর সে ভাবতে লাগলো: সে একটা পাগলের পাল্লায় পড়েছে। ইতোমধ্যে বৃষ্টির বেগ আরও বাড়লো। এবার যুবকটির জন্য সিমির একটু মায়া হলো। আর সে ভাবলো: বেচারা, কদমফুলের জন্য কোথায়-না-কোথায় ঘুরছে।

এখন আরও জোরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কিন্তু যুবক-মাহিন বৃষ্টিকে একদম পাত্তা দিলো না। সামান্য বৃষ্টিকে ভয় পেলে তো আর প্রেম হবে না। আর ভালোবাসতে গেলে জীবনে এরকম কত বৃষ্টিকে পোষ মানিয়ে রাস্তায় চলতে হবে। সে ক্যাম্পাসে ফিরে তার কয়েকজন টোকাই-বন্ধুকে তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করলো। আর সে তাদের দ্রুত কাজে লাগিয়ে দিলো। একটা গাছে কিছু কদমফুল তখনও ছিলো। বৃষ্টিভেজা-গাছ। তাই, মাহিন ওদের উপদেশ দেওয়ার ভঙ্গিতে বললো, “দেখিস, সাবধানে গাছে উঠিস।” কিন্তু কয়েকজন টোকাই মাহিনের সাবধানবাণী উপেক্ষা করে তার কথা শেষ হওয়ার আগেই কেমন তর-তর করে একনিমিষে গাছে উঠে গেল। আর তারা প্রায় চোখের পলকে গাছ থেকে ছিঁড়ে আনলো তরতাজা একুশটি কদমফুল।
মাহিনের এখন দাঁড়াবার সময় নাই। তাই, সে তার টোকাই-বন্ধুদের সঙ্গে আর কোনো কথা না বলে শুধু ওদের দলনেতার হাতে একশ টাকার একটা নোট গুঁজে দিয়ে ছুটতে আরম্ভ করলো।
এদিকে টোকাইসর্দারও তার পিছনে ছুটতে-ছুটতে বললো, “স্যার, আমাগো আইজ কিছু লাগবো না। আপনি তো আমাগো এমনিই অনেককিছু দেন। আইজ না হয় আমরা আপনার ভালোবাসার জন্য এইসব সামান্য উপহার দিলাম।”
কিন্তু মাহিন ওদের কথা শুনলো না। আর মাহিন শুধু হাসলো। তারপর ওদের দিকে একবার তাকিয়ে সে আবার ছুটতে শুরু করলো। আর ছুটতে-ছুটতে মাহিন শুধু ভাবছে: সিমিকে এখনই তার নিজের নামটা জানাতে হবে।

পনেরো মিনিট পরে যুবকটিকে আসতে দেখলো সিমি। আর সে খুব অবাক হলো। তার দুহাত ভরা শুধু কদমফুল। এতো কদমফুল সিমি জীবনে কখনও দেখেনি।
ছেলেটি রাস্তা পার হয়ে সিমির কাছে এসে আগের মতো মুগ্ধচোখে তাকিয়ে বললো, “আমি মাহিন। আপনার ভালোলাগাকে সম্মান জানাতে এই সামান্য উপহার তুলে দিচ্ছি আপনার হাতে।”
সিমি সব ফুল দুহাত বাড়িয়ে নিতে-নিতে হেসে ফেললো আর বললো, “কদমফুল আমার খুব প্রিয় সত্য। কিন্তু আপনি তো অনেক ভিজে গেছেন।”
মাহিন সে-সবে পাত্তা না দিয়ে বললো, “ও কিছু না। এখনই সব শুকিয়ে যাবে।”
সুন্দরী সিমির হাতে এখন শোভা পাচ্ছে বৃষ্টিভেজা-কদমফুল। আর এখন সিমিকে যেন আরও বেশি সুন্দর লাগছে। মাহিন আর চোখ-ফেরাতে পারে না।
সিমি এবার অপূর্বভঙ্গিতে হেসে বললো, “খুব খুশি হয়েছি। আজ হঠাৎ আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। জীবনে এতো আনন্দ মনে হয় আর কখনও পাইনি। আর আপনার মতো একজন বন্ধু পেলাম।”
আর মাহিন বললো, “শুধু বন্ধুত্ব নয়। আমি কিন্তু আপনাকে একটু ভালোও বেসে ফেলেছি।”
শুনে সিমি হেসে ফেললো। আর বললো, “ও তাহলে আপনার মনে এই মতলব ছিল!”
মাহিন বললো, “হ্যাঁ, যা সত্য তা তাড়াতাড়ি প্রকাশ আর স্বীকার করে নেওয়াই ভালো। আর আপনার হাতের ফুলগুলো আমার ভালোবাসার প্রথম প্রকাশ।”
সিমি ফুলগুলো খুব যত্ন করে ধরে দাঁড়িয়ে রইলো।

একটা বাস এসে পড়লো। আর বাসটা বেশ ফাঁকা। আর এখন বৃষ্টিও খুব জোরে এসেছে। মাহিন তাড়াতাড়ি ছাতাটা বন্ধ করে ফেললো। আর সিমি মাহিনের একটা হাত ধরে বাসে উঠলো। তার জীবনচলার পথে সে এখন আরও সাহসী হয়ে উঠবে। আজ থেকে কেউ-একজন তার পাশে আছে।



সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
৩০/০৫/২০১৬

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

এইচ এম শরীফ উল্লাহ বলেছেন: হুম! অনেক গুছিয়ে.....
সুন্দর হয়েছে
কোথাও কিছুটা ছন্দ পতন যেমন
- নেই আবার কোথাও নাই এরকম।
তবুও বলব-আপনি সুন্দর লিখেন

০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। আর ভাই, যেখানে না-থাকার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পায় সেখানে ‘নাই’ শব্দটি আর যেখানে সাধারণভাবে না-থাকার বিষয়টি বুঝিয়েছি সেখানে ‘নেই’ শব্দটি প্রয়োগ করেছি। যেমন, এদেশে পুরুষ-মানুষের জন্য কখনও-কোনো ভাবনা নাই। আবার বৃষ্টিটা অবশ্য এখনও জোরে শুরু হয়নি।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে
আরো লিখবেন ,,,

০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার মন্তব্যে খুব খুশি হলাম ভাই। আর অনুপ্রাণিতও হলাম। আমি লিখবো, কিন্তু আপনি পড়তে আসবেন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভকামনা।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

আচার্য বাঙালি বলেছেন: আমারও ভালো লেগেছে ভাই। আর +++++

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: শুনে খুশি হলাম ভাই। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: অসাধারণ গল্প। ভালোলাগার দলে আমিও একজন।

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালোলাগার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

এ এস রিপন বলেছেন: গল্পটির মধ্যে মিষ্টি প্রেমের ছোয়া আছে। পড়ে ভাল লাগল।

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদসহ বকুলফুলের শুভেচ্ছা।

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

সুমন কর বলেছেন: মিষ্টি প্রেমের গল্প, ভালো লাগল। +।

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা।

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২১

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: গল্পটি সত্যি মনে রাখার মতো। ++++

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্য আমারও মনে থাকবে। ভালো থাকবেন বন্ধু। শুভকামনা।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩১

বিজন রয় বলেছেন: প্রচ্ছদ ভাল লাগেনি।

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালো ছবি আর খুঁজে পাইনি দাদা। কীভাবে ভালো ছবি পেতে পারি? হাতে আঁকা ছবি কীভাবে সংগ্রহ করতে পারি, জানালে খুশি হবো। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আর শুভাকামনা সবসময়।

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যুবকের কি খেয়ে দেয়ে আর কাজ নাই /:)

মজা করলাম। ভাল হয়েছে গল্প।

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসল কাজই তো করেছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৩

বিজন রয় বলেছেন: সেকি! গুগল সার্চ দিন। যেটা চান সেটা লিখে সার্চ করুন।

ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ দাদা। এবার মনমতো ছবিসংগ্রহের চেষ্টা করবো।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

আমি রাজপথের সৈনিক বলেছেন: গল্প পড়ে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম। আর আপনার জন্য পাঠিয়ে দিলাম একগুচ্ছ তাজা রজনীগন্ধার শুভেচ্ছা।

১২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:১৫

কামালপা বলেছেন: ছবির মেয়েগুলি কি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান?

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দেখুন, সবাই ত্বরীক্বতপন্থী মুসলমান নাও হতে পারে। এটি জীবনের গল্প। মানবজীবনের কাহিনী। লেখকের কাজ হচ্ছে সমাজমানুষের চিত্র অংকন করা। এটি দোষণীয় নয়। আপনি বিদ্রুপ করলেও আমি আপনার মন্তব্য ‘লাইক’ করেছি। সমালোচনা করার অধিকার সবারই রয়েছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.