নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা সবার জন্য ভালোবাসার প্রস্ফুটিত ফুল

১৩ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৪


কবিতা সবার জন্য ভালোবাসার প্রস্ফুটিত ফুল
সাইয়িদ রফিকুল হক

কবিতা হচ্ছে ভালোবাসার প্রস্ফুটিত ফুল। সাহিত্যকাননের সর্বাপেক্ষা সুন্দর ফুল কবিতা। আর সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী শাখাও কবিতা। বস্তুতঃ পৃথিবীতে আগে শুধু কবিতাই ছিল। পৃথিবীর সবকিছু তখন কবিতার মতোই সুন্দর ছিল। আর তখন সবকিছু কবিতার ভাষায় লিপিবদ্ধ হতো। মানুষ ছন্দে-ছন্দে কথা বলতে ও শুনতে ভালোবাসতো। রাজদরবারে শোভা পেতেন বড়-বড় কবি। তারা মনের আনন্দে কবিতা-রচনা করতেন। মানুষ তখন কবিতাই চিনতো। মানুষ তখন কবিতাই ভালোবাসতো। মানুষ তখন কবিতাই পড়তো। আর এই কবিতা ভালোবেসেই মানুষ রচনা করে গান। আজকের গীতিকবিতাও এই কবিতারই দান। সবখানে শুধু কবিতা। সেই সময় পৃথিবী ছিল কবিতাময়! সেকালে অনেক ধর্মগ্রন্থও কবিতার ভাষায় রচিত হয়েছে। তাও যাকে বলে একেবারে সঙ্গীতধর্মী-কবিতা। প্রমাণস্বরূপ পড়ে দেখতে পারেন প্রাচীনধর্মগ্রন্থ ‘যাবুর’।

বলছিলাম, প্রাচীনকালে মানুষ শুধু কবিতাই লিখতো। তখনকার সাহিত্য বলতে ছিল একমাত্র কবিতা। তখন মানুষ বৃহৎ কবিতাগ্রন্থরচনা করতো—বৃহৎ একটি কবিতা—বৃহৎ একটি কাহিনীকবিতা—যাকে বলা হতো কাব্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—বাল্মীকির ‘রামায়ণ’, কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস রচিত ‘মহাভারত’, কাশীরাম দাসের অনূদিত ‘মহাভারত’, ফেরদৌসির ‘শাহনামা’ আর কবি জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দ’। প্রাচীনযুগের ধারাঅনুযায়ী মধ্যযুগেও রচিত হয়েছে বড়-বড় কাব্য। যেমন, মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, পদ্মাবতী ইত্যাদি। আর এই মধ্যযুগেই মুসলমান-কবিরা সৃষ্টি করলেন অনুপম গাঁথুনি ও সুরে ‘পুঁথিসাহিত্য’—এটাও কিন্তু কবিতার ভাষায়—আর তা ছন্দে-ছন্দে।

গদ্য এলো আধুনিকযুগে। আর তখনই সৃষ্টি হলো ‘ছোটগল্প’ আর ‘উপন্যাস’। আর এটি মানুষের প্রয়োজনেই সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের বেশি জানার, বেশি পড়ার আর বেশি লেখার চিন্তাভাবনা থেকেই জন্ম নিলো গদ্য। আজ গদ্য সাহিত্যের অন্যতম সম্পদ। মদীয় আলোচনা শুধু কবিতাকেন্দ্রিক।

কবিতা আজ অবধি সাহিত্য-নন্দনকাননের প্রস্ফুটিত গোলাপের মতো অবিরাম গতিতে শুধুই সুবাস ছড়াচ্ছে। আর এই সুবাসে মোহিত হচ্ছে মানুষ—সর্বস্তরের পাঠক—আর কবিতাপ্রেমীপাঠকসমাজ।
কবিতার একটি শক্তি আছে—আর এই শক্তির দ্বারাই কবিতা তার পাঠকসমাজকে এখনও কবিতার মধ্যে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে। আধুনিকযুগে বিলাসীমানুষের জীবনযাত্রায় কত-রকমের ইলেকট্রনিক সামগ্রী! এর যন্ত্রণায় কবিতার মরে যাওয়ারই কথা! কিন্তু সকল আগ্রাসন মোকাবেলা করে কবিতা আজও নিজস্ব যোগ্যতায় ও শক্তিতে মানুষের মাঝে বেঁচে আছে—আর তা বেঁচে থাকবে চিরকাল।

কবিতার একটি নিজস্ব ভাষা রয়েছে। আর এই ভাষা সর্বসাধারণের মুখের ভাষার মতো নয়। এটি তার চেয়ে উন্নত ও শিল্পিত। আর এই ভাষাশৈলী আবিষ্কার করেছেন অগণিত কবি। পৃথিবীর সকল ভাষাই তার কবিদের কাছে ঋণী। কবি-লেখকরা যুগে-যুগে, সর্বকালে ভাষামাধুর্যের একমাত্র প্রতিনিধি ও নির্ভরযোগ্য আবিষ্কর্তা। তাঁদের হাতেই ভাষা পেয়েছে সৌন্দর্যবৃদ্ধির অতলীন স্পর্শ। আর কবিরা তাই সর্বকালে-সর্বদেশে ভাষার প্রকৃত-বন্ধু। কাজেকাজেই, আমরা যদি কায়মনোবাক্যে আমাদের ভাষাকে ভালোবাসি—তাহলে, সেইসঙ্গে আমাদের কবিদেরও ভালোবাসতে হবে। আর ভালোবাসতে হবে তাঁদের রচিত কাব্য ও গ্রন্থসমূহ।
কবিতার ভাষা একেবারে সাদামাটা বা অলংকারবিহীন হলে চলবে না। এখানে, একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, সাধারণ একজন স্ত্রীলোক কোনোপ্রকার গহনাপত্র পরলো না বা সামান্য গহনা পরলো, তাকে বেশি সুন্দর লাগবে? নাকি যে পরিমাণ মতো চমৎকার ডিজাইনের সব সোনার অলংকার পরলো তাকে? আপনিই বলুন কাকে? আর আপনার বিবেক কী বলে? নারীদেহ যেমন সোনাভরণে সুশ্রী হয়ে ওঠে, তেমনি সুষুমামণ্ডিত ভাষামাধুর্যে সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে কবিতাদেহ। আর এই কবিতাদেহকে নিয়মিত ভাষা-অলংকার দিয়েই সাজিয়েগুছিয়ে রাখতে হবে।
রমণী এমনি-এমনি সুন্দর হয় না। তার যোগ্য স্বামী তাকে সুন্দর আভরণে-ভূষণে সজ্জিত করে তোলে। তখন সে সবার চোখে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কবি স্বাধীন। আর তিনি ভাষারাজ্যের একজন সম্রাট। তার মধ্যে যেন কখনও ভাষাদীনতা বা ভাষাকার্পণ্য প্রকাশ না পায়। রমণীদেহের মতো কবিকে তার কবিতাদেহ ছন্দে, ভাবসম্পদে, চিত্তাকর্ষক-বিষয়বস্তুতে, নির্মাণ-সৌকর্যে ও সর্বোপরি ললিত-মাধুর্যে সাজিয়েগুছিয়ে তার পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। মনে চাইলেই একটাকিছু লিখে দিলেই তা কবিতা হয়ে যায় না। সাধারণ গদ্য লেখা সহজ। কিন্তু ছোটগল্প-রচনা করা অনেকের জন্যই তা একেবারে দুঃসাধ্য। কারণ, ছোটগল্পের ভাষাও যে কবিতার মতো! সবখানে প্রয়োজন কবিতার ভাষা—আর সবচেয়ে মূল্যবান এই কাব্যিকভাষা। রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প কেন এতো জনপ্রিয়? কারণ, তিনি বাংলাভাষার শক্তিমান কবি। তাঁর হাতে কাব্যিকভাষা পেয়ে তাঁর রচিত ছোটগল্পগুলো যেন হয়ে উঠেছে একেকটি সুন্দর কবিতা।

আমরা যারা কবিতা-রচনা করছি, সর্বাগ্রে তাদের ভাষা ঠিক করতে হবে। ভাষাই হলো কবিতার মূল বা চালিকাশক্তি। আর ভাষাই হলো একজন কবির সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই, প্রয়োজনে কবিকে তার আগের ভাষা সংশোধন করতে হবে। কবিতার ভাষা হতে হবে কুমারীমেয়ের মতো আকর্ষণীয়। আর সুবোধ-সুন্দর বালকের মতো সুশ্রী।

কবিতার জন্য ছন্দের প্রয়োজন। আধুনিককালে বেশিরভাগ কবিই অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত ছন্দে তাঁদের কবিতা বা কাব্য রচনা করেছেন। তবে উত্তর-আধুনিককালে অনেক কবিই ছন্দের বেড়াজাল ভেঙে গদ্যছন্দে কবিতানির্মাণ শুরু করেন। তাঁদের দেখাদেখি বর্তমানে গদ্যকবিতার সচল-প্রচলন ঘটেছে। এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও গদ্যছন্দে কবিতা-রচনা করে গেছেন। তাঁর রচিত ‘পুনশ্চ’ ও ‘পত্রপুট’ নামক কবিতাগ্রন্থ দুটি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তবে সেখানেও রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব একটি ছন্দ রয়েছে। তাই, ছন্দের ব্যাপারে একজন কবিকে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে।

কবিতায় ছন্দের চেয়েও জরুরি এর ভাবসম্পদ। আর এই ভাবসম্পদই হলো কবিতার মূলশক্তি। এর মধ্যে শক্তিশালী বক্তব্য থাকতে হবে। প্রত্যেক কবিতারই একটি বক্তব্য আছে। তবে সব কবিতার বক্তব্যই পাঠকের কাছে প্রাধান্য পায় না। আর সব কবির বক্তব্যই পাঠকের কাছে আবেদনসৃষ্টি করতে সক্ষম হয় না। একবার একজন বিশিষ্ট-কবি এক কথিত-কবির কবিতা-সমালোচনা করতে গিয়ে লিখলেন, “আপনার কবিতার বক্তব্য চমৎকার হয়েছে!” তিনি ঠিকই লিখেছেন। কিন্তু তখন সেই কথিত-কবি নামক অ-কবি ভয়ানক ক্রোধে লিখলেন, “আমি বক্তব্য দেইনি। আমি কবিতা লিখেছি!” মূর্খ আর কাকে বলে? কবিতার মধ্যে যে একটি বক্তব্য থাকে—তা এই অ-কবি মূর্খটি জানে না। এইজাতীয় মূর্খ যদি কাব্য-রচনায় নিয়োজিত হয়—তাহলে, কাব্যের ভবিষ্যৎ একেবারে অন্ধকার।

কবিকে হতে হবে আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, উন্নতদৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী ও ভাষাবিষয়ে দক্ষ। যাদের ভাষাজ্ঞান সীমিত ও দুর্বল—তারা কবি হবেন কীভাবে? আর কবিকে সারাজীবনের জন্য হতে হবে একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। কোনো সাম্প্রদায়িক অমানুষ কখনও কবি হতে পারবে না।

কবিতা সুগন্ধীফুলের মতো। আর কবিতার রয়েছে সুঘ্রাণ। এতে সর্বস্তরের পাঠক আমোদিত হয়ে থাকে। কিন্তু যে-ফুলের ঘ্রাণ নেই—সে ফুলে ভ্রমর বসে না, মধুমক্ষিকা সেখানে ছুটে যায় না। ভাষাহীন, শ্রীহীন ও রূপবিহীন শব্দের গাঁথুনি কখনও পাঠকের দৃষ্টিআকর্ষণ করতে সক্ষম হবে না। তাই, কবিতাকে সুগন্ধীফুলের মতো করে প্রস্ফুটিত করতে হবে। তাহলে, কবিতার সুঘ্রাণে আমোদিত ও বিমোহিত হয়ে পাঠকসমাজ একনিমিষে ছুটে আসবে কবিতার বিশাল সাম্রাজ্যে।


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১০/০৬/২০১৬

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: একসময় গদ্য ছিল না।

অনেক ভাল লিখেছেন। শেষ চার লাইন ভাল বলেছেন।
++++

১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। গদ্য এসেছে অনেক পরে।
কিন্তু এসব লেখা আজকাল কেউ পড়তে চায় না। সাহিত্যবিষয়ক লেখার যেন পাঠক কমে যাচ্ছে!
আর সবার নজর যেন চটকদার-মজাদার খবরের দিকে।
আপনার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। এই বৃষ্টিমুখর দিনে আপনাকে বৃষ্টিস্নাত-কদমফুলের শুভেচ্ছা। আর শুভকামনা।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাইয়িদ রফিকুল হক ,




সুন্দর লিখেছেন । আসলে কবিতা হলো - সাহিত্যের রাজমুকুটটি ।

১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনিও সুন্দর বলেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদসহ শুভেচ্ছা।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

বিজন রয় বলেছেন: কিন্তু এসব লেখা আজকাল কেউ পড়তে চায় না। সাহিত্যবিষয়ক লেখার যেন পাঠক কমে যাচ্ছে!
আর সবার নজর যেন চটকদার-মজাদার খবরের দিকে।


মানুষ খুব সস্তা হয়ে গিয়েছে।

১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন দাদা। সস্তা মানুষের জন্য সাহিত্যের কদর কমে যাচ্ছে।
আপনাকে আবারও অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

বিজন রয় বলেছেন: আপনার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নাই।

কেন আমি আবার কি করলাম?

নিষেধ করলে আপনার এখানে আসবো না।

১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নাই।
আপনার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আপনি নিয়মিত আমার ব্লগে আসেন। সকল পোস্ট পড়ে সুচিন্তিত মতামতপ্রকাশ করেন।
আর আপনার কাছে আমি ঋণী।
আপনাকে আমি নিষেধ করতে যাবো কোন্ দুঃখে। আমি যতদিন ব্লগে আছি আপনি আসবেন। আপনাকে জানাই সাদর আমন্ত্রণ।
আপনাকে নিষেধ করলে আমার লেখা পড়বে কে?
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: আসবো আসবো। ১০০ বার ১০০০ বার আসবো।

নিসেধ করলেও আসবো, মানা করলেও আসবো।

তবে ব্লক করলে আর আসতে পারবো না।

ধন্যবাদ।

১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: খুব খুুশি হলাম।
আবারও শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য।

৬| ১৩ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: কবিতা হচ্ছে ভালোবাসার প্রস্ফুটিত ফুল। সাহিত্যকাননের সর্বাপেক্ষা সুন্দর ফুল কবিতা। আর সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী শাখাও কবিতা। বস্তুতঃ পৃথিবীতে আগে শুধু কবিতাই ছিল। পৃথিবীর সবকিছু তখন কবিতার মতোই সুন্দর ছিল। আর তখন সবকিছু কবিতার ভাষায় লিপিবদ্ধ হতো। মানুষ ছন্দে-ছন্দে কথা বলতে ও শুনতে ভালোবাসতো। রাজদরবারে শোভা পেতেন বড়-বড় কবি। তারা মনের আনন্দে কবিতা-রচনা করতেন। মানুষ তখন কবিতাই চিনতো। মানুষ তখন কবিতাই ভালোবাসতো। মানুষ তখন কবিতাই পড়তো। আর এই কবিতা ভালোবেসেই মানুষ রচনা করে গান। আজকের গীতিকবিতাও এই কবিতারই দান। সবখানে শুধু কবিতা। সেই সময় পৃথিবী ছিল কবিতাময়! সেকালে অনেক ধর্মগ্রন্থও কবিতার ভাষায় রচিত হয়েছে। তাও যাকে বলে একেবারে সঙ্গীতধর্মী-কবিতা। প্রমাণস্বরূপ পড়ে দেখতে পারেন প্রাচীনধর্মগ্রন্থ ‘যাবুর’

প্রশংসনীয় পোষ্ট।
আসলে, কবিতা যে সাহিত্যের রাজমুকুট এতে কোন সন্দেহ নেই।

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। কবিতার জয় হোক।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর কী দিবো ভাই? আছে শুধু ফুল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.