নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াতের জায়গা আছে, সময় আছে। কিন্তু মূর্খরা যেখানে-সেখানে কুরআনের ক্যাসেট বাজায়!

১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৮


পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াতের জায়গা আছে, সময় আছে। কিন্তু মূর্খরা যেখানে-সেখানে কুরআনের ক্যাসেট বাজায়!
সাইয়িদ রফিকুল হক

পবিত্র কুরআন পৃথিবীতে নাজিল হয়েছে মানবজাতির হেদায়েতের জন্য। আর এটি নাজিলের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো: মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চিনতে পারা এবং সেই মোতাবেক নিজের জীবনকে পরিচালনা করা। কারও রাজনীতির স্বার্থে বা ব্যবসার কাজে পবিত্র কুরআন ব্যবহার করার কোনো বিধান নাই।

পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে—বিশ্বমানুষের জন্য—মুমীন-মুসলমানের জন্য। এটি শুধু তিলাওয়াত করার জন্য নাজিল হয়নি। বরং এটি নাজিল হয়েছে মনোযোগসহকারে পাঠ করে বুঝেশুনে সেই অনুযায়ী আমল করার জন্য—মানে, স্বীয়-জীবনকে ‘রাহে লিল্লাহে’ পরিচালিত করার জন্য।

কুরআনপাঠ করে তদানুযায়ী নিজের জীবনকে গড়ে তোলার জন্য বলা হয়েছে। শুধু লোকদেখানো তিলাওয়াতের কোনো ব্যবস্থা নাই। আর আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশ্রেণীর মুমীন-মুসলমানদের নিয়মিত কুরআন-তিলাওয়াত করতে বলেছেন। তিনি শুধু সুর করে কুরআন পড়ে যাওয়ার কথা বলেননি। তিনি প্রতিদিন কুরআন-তিলাওয়াত করতে বলেছেন এজন্য যে, এটি প্রতিদিন পাঠ করলে মুমীন-মুসলমানদের অন্তরে আল্লাহভীতি ও রাসুলপ্রেম জাগ্রত হবে। আর প্রতিদিন মানুষের মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুলের কথা স্মরণ হবে।

আমাদের দেশে এখন একশ্রেণীর সস্তা-মোল্লা-মৌলোভী যেখানে-সেখানে পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াত করছে! আর একশ্রেণীর মূর্খ-মুসলমান তাদের বেশ বাহবা দিচ্ছে! এরা অতীব মূর্খ। তাই, এমনটি করছে। আর নিজেদের স্বার্থের কাজে পবিত্র কুরআনকে সস্তা-পরিবেশে ব্যবহার করছে। এই মূর্খরা হয়তো এখনও জানে না, আর জানলেও তাদের বিশ্বাস নাই যে, পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াতের আওয়াজ কানে আসা মাত্র তা ভক্তিশ্রদ্ধাসহকারে শোনা ইসলামীশরীয়ত মোতাবেক ওয়াজিব। কিন্তু একশ্রেণীর ভণ্ড এখন জেনেশুনে লোক-চলাচলের স্থানে—মানে, রাস্তার পাশে, সড়ক-মহাসড়কের পাশে একটা চেয়ারে বসে আর তার সামনে রাখা একটা ভাঙ্গা-টেবিলের উপর মাইক রেখে মাইক বাজিয়ে পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াত করছে! আর সে মসজিদ-মাদ্রাসার নামে চাঁদা চাইছে! তার কুরআন-তিলাওয়াত কে শুনছে? সে নিজেও তো শুনছে না। কারণ, কুরআন পড়ার ফাঁকে-ফাঁকে তার দৃষ্টি তো লোকের পাঁচটাকা-দশটাকার দিকে।

যেখানে-সেখানে আর যখন-তখন পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াতের ক্যাসেট বাজালে বা মোবাইলে বাজালে তাতে সওয়াবের চেয়ে গোনাহ হবে। আর পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াতের ক্যাসেট বাজানো শুরু করে অন্যকোনো কাজও করা যাবে না। যেমন: দোকানদারি, কেনাবেচা, ব্যবসায়িক লেনদেন, ব্যবসায়িক কথাবার্তা, লাভ-ক্ষতির হিসাব-কষা, খরিদ্দারের সঙ্গে কথাবার্তা বলা ইত্যাদি। তবে যে-কেউ চাইলে সে যখন-তখন ব্যক্তিগতভাবে নীরবে নিজের কানে মাইক্রোফোন লাগিয়ে কুরআন-তিলাওয়াত শুনতে পারবে (তবে অন্যকোনো কাজ করা অবস্থায় নয়।)। আর সে যে-কোনো পবিত্র স্থানে আপনমনে দাঁড়িয়ে-বসে কুরআন-তিলাওয়াতও করতে পারবে (তবে উচ্চস্বরে নয়, আর কিছুসংখ্যক লোকজন যদি তার কাছে কুরআন-তিলাওয়াত শুনতে চায়—তাহলে, সে শুধু তাদের শুনিয়ে কুরআন-তিলাওয়াত করতে পারবে।) কিন্তু তাই বলে লোকজন নাই—দুই-চারজন আছে সামনে—এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে মাইক-বাজিয়ে, গলাফাটিয়ে, তাঁবুখাটিয়ে, বিশাল প্যান্ডেল-টানিয়ে, চারদিকে আরও ত্রিশ-চল্লিশটি বড়সড় মাইক-লাগিয়ে, লোকজনের চলাচলের রাস্তায় বাধার সৃষ্টি করে উচ্চস্বরে পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াতের কোনো বিধান নাই। শুধু নির্দিষ্ট সমাবেশে বা মাহফিলে কুরআন-তিলাওয়াতের আওয়াজ নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আর এক্ষেত্রে জোর করে অন্যদের কুরআন-তিলাওয়াত শোনাবার চেষ্টা পরিহার করতে হবে।

পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াতের উত্তম-স্থানসমূহ:

১. মসজিদ;
২. নিজেদের বাসস্থান;
৩. নিজের আত্মীয়স্বজনের তথা মুমীন-মুসলমানদের কবরস্থান।

আর ব্যক্তিগতভাবে নীরবে-নিভৃতে বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে, ইস্টিমারে, ফেরিতে, এরোপ্লেনে পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত চালু রাখতে কোনো বাধা নাই। আর এক্ষেত্রে মুখস্থ-তিলাওয়াত জরুরি। তাছাড়াও, পবিত্র সর্বস্থানে কুরআন-তিলাওয়াত করা যেতে পারে। কিন্তু কখনওই লোকদেখানোর জন্য উচ্চস্বরে ক্যাসেট বাজাবার কোনো প্রয়োজন নাই।

আমাদের দেশে যারা লোকদেখানোর জন্য সবখানে বা যেখানে-সেখানে পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াতের ক্যাসেট বাজায় তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকা এখানে প্রকাশ করা হলো:

১. বাস, মিনিবাসের একশ্রেণীর ড্রাইভার, হেলপার আর কন্ডাক্টর কোনোকিছু না বুঝে পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট চালু করে রেখেছে বাসের ভিতরে। এই মূর্খশ্রেণীটি মনে করে: এভাবে যখন-তখন বাসের ভিতরে পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট ছেড়ে রাখলে তাদের খুব সওয়াব হবে। অথচ, এদের আজও অজু, গোসল, তায়াম্মুমের কোনো খবর নাই।
২. টাউট-বাটপাড়শ্রেণীর একজাতীয় ট্রাক-ড্রাইভারও মূর্খতাবশতঃ পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট যত্রতত্র বাজিয়ে থাকে। মনে রাখবেন: এরা লোকদেখানো উদ্দেশ্যে শুধু বাজায়। কিন্তু নিজেরা শোনে না এবং কখনও পবিত্র কুরআনঅনুযায়ী আমলও করে না। এরা সমাজের আপাদমস্তক-ভণ্ড।
৩. আমাদের সমাজের সস্তা হোটেল-মালিক-কর্মচারীরা লোকঠকানো ব্যবসা করে থাকে। এরা মানুষকে পচা, গলা, বাসি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার-পরিবেশন করে থাকে। এরা এখন এই সমাজের ভদ্রবেশী ডাকাত আর ছিনতাইকারী। তাই, এরা দুই টাকার নিম্নমানের খাবার বিক্রি করে মানুষের কাছ থেকে ১০ টাকা আদায় করে নিচ্ছে! আর এই ভণ্ডরাই সকাল নাই, বিকাল নাই, সন্ধ্যা নাই, রাত নাই—সবসময় তাদের ধান্দাবাজির হোটেলে পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট চালু করে রেখেছে! এরা কি ধার্মিক? আসলে, তা নয়—আর এদের কারও ধার্মিক হওয়ার কোনো যোগ্যতাও নাই। এরা লোকদেখানোর অসৎউদ্দেশ্যে পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াতকে তাদের ব্যবসার কাজে লাগাচ্ছে।
৪. পান-দোকানদার আর চা-দোকানদার সকাল থেকে রাত অবধি নিজেদের স্বার্থে পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট বাজাচ্ছে। কে শুনছে? কেউ না। তাহলে, কারণ কী? কারণ, একটাই—এভাবে, সহজে নিজেকে লোকের কাছে ধার্মিক হিসাবে পরিচিত করা যায়। অথচ, এই পাষণ্ড আজ পর্যন্ত ঠিকভাবে অজু, গোসল ও তায়াম্মুম করাও শেখেনি। আর সে নিয়মিত ইসলামীশরীয়তের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফলসমূহ তরক করে চলেছে—কিন্তু সেদিকে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই। সে প্রতিদিন সকালে দোকান খুলেই পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট চালু করে দিয়েছে!
৫. বাসের ভিতরে একশ্রেণীর বিদেশে কামলাখাটা লোক, দিনমজুর, রিক্সাওয়ালা কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করেই তার মোবাইল-ফোনের মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট চালু করে দিচ্ছে! এরা কেউই ধার্মিক নয়—বরং এরা প্রত্যেকে প্রথমশ্রেণীর ভণ্ড।
৬. রাস্তার পাশে সর্বশ্রেণীর ফুটপাতদখলকারী অবৈধ-দোকানদারভণ্ডশ্রেণী উচ্চআওয়াজে পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট বাজাচ্ছে! কে শুনছে? কেউ না। এরা এমনই মূর্খ যে, এখনও পবিত্র কুরআনের পরিপূর্ণ মর্যাদা-উপলব্ধি করতে পারেনি। আজকাল খুব সস্তায় আর খুব সহজে যে-কেউ পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াতের কপি সংগ্রহ করতে পারছে। তাই, তারা তাদের ব্যক্তিগত-স্বার্থে যেখানে-সেখানে এখন কুরআন-তিলাওয়াতের ক্যাসেট বাজাচ্ছে।
৭. পবিত্র রমজান-মাসে অনেক ভণ্ড একেবারে ক্ষেপে যায়। এরা মাথা খারাপ হয়ে যেখানে-সেখানে আর যখন-তখন পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট বাজাতে থাকে। অথচ, এরাই কিন্তু সারাটি বছর যাবতীয় অকাম-কুকাম করে দেশটা ভাসিয়ে দিচ্ছে! আর এখন এসেছে কুরআনের ক্যাসেট বাজিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিতে। সহজে ফায়দা-লোটার জন্য তারা একেবারে মরীয়া হয়ে যায়। এরা ধর্মের মানেই জানে না—তার ধার্মিক হবে কীভাবে?
৮. আজকাল বিভিন্নজাতের একশ্রেণীর ভণ্ড-দোকানদার সবসময় কুরআনের ক্যাসেট চালু করে নানারকম ফাহেশা-কথাবার্তায় সময় কাটায়। কিন্তু এই মূর্খরাও জানে না, পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত শুরু হলে আর-কিছু করা যায় না। তৎক্ষণাৎ মনোযোগ ও ভক্তিসহকারে কুরআন-তিলাওয়াত শুনতে হয়।

পবিত্র কুরআন উচ্চমূল্যের এক মহাগ্রন্থ। আর এটি যারতার হাতে শোভা পায় না। আর এটি কোনো পান-দোকানদারের ক্যাসেট বাজাবার জন্য নাজিল হয়নি। এটি কোনো সস্তা বা সাধারণ মানুষের জন্যও নয়। পরিপূর্ণ মুমীন-মুসলমান ব্যতীত কেউই এর প্রকৃত-মর্যাদা-উপলব্ধি করতে পারবে না। মহান আল্লাহ তাই সুরা বাকারার ২-৩ আয়াতে স্পষ্টতঃ বলেছেন:

“ইহা সেই কিতাব—ইহাতে কোনো সন্দেহ নাই। ইহা মুত্তাক্বীনদের জন্য পথপ্রদর্শক।”

এর থেকে আমরা বুঝতে পারি: যে-সে কুরআনের মর্যাদা-উপলব্ধি করতে পারবে না। যার ভিতরে সত্যিকারের তাক্বওয়া আছে, সে-ই কেবল পবিত্র কুরআনের মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে। আর তাই, যেখানে-সেখানে বসে কুরআন-তিলাওয়াত করাও জায়েজ নাই। এতে কুরআনের অপমান হয়।

একজন নামাজী গেছে বিয়ে করতে। সে বরাসনে উপবিষ্ট হয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করছে, আবার এরই ফাঁকে পবিত্র কুরআনের ‘সুরা ইয়াসিন’ বের করেও পড়ছে! এসব নিছক লোকদেখানো। আর এসব চূড়ান্ত-ভণ্ডদেরই কাজ। তুমি কুরআন-তিলাওয়াত করবে, খুব ভালো কথা। কিন্তু মহান আল্লাহর কালামপাঠ করার জায়গা আছে, সময় আছে, আর পরিবেশ আছে। আর তুমি তোমার ঘরে বসে দিনরাত পবিত্র কুরআন-তিলাওয়াত করো। কে তোমাকে নিষেধ করেছে? কিন্তু তুমি লোকদেখানোর জন্য মোবাইল-টিপে কুরআনের তিলাওয়াত চালু করলে বাসে, লঞ্চে, ইস্টিমারে, ফেরিঘাটে, রিক্সায়, বাজারে, বন্দরে আর চা-য়ের স্টলে—এসব লোকদেখানো আর ভণ্ডামি। আর ধৃষ্টতাও বটে। তুমি উচ্চস্বরে এসব জায়গায় কুরআনের ক্যাসেট চালু করলে সব লোক কি তিলাওয়াত শুনছে? না, শোনেনি। প্রত্যেকে যার-যার কর্মে ব্যস্ত। আর তুমি মূর্খ কিনা মিথ্যা ধর্মপ্রেম জাহির করার অসৎউদ্দেশ্যে এসব জায়গায় পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট বাজিয়ে মানুষকে অহেতুক গোনাহগার বানাচ্ছো!

আসুন, আমরা পবিত্র কুরআনকে ভালোবাসি। এর মর্যাদা রক্ষা করি। আর তদানুযায়ী আমল করি। আর আমাদের বাড়িতে কিংবা মসজিদে বসে কুরআন-তিলাওয়াত করি। মহান আল্লাহ আমাদের পবিত্র কুরআন-উপলব্ধি করার শক্তি ও সামর্থ্য দিন। আমীন।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৫/০৬/২০১৬

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪১

কল্লোল পথিক বলেছেন:





সুন্দর পোস্ট।
শত ভাগ সহমত।

১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমতপ্রকাশ করায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো ফুলেল শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.