নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প (জীবনের গল্প): এই বৃষ্টিতে ভিজে-ভিজে নিষ্পাপ হবো

১৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৪


ছোটগল্প (জীবনের গল্প): এই বৃষ্টিতে ভিজে-ভিজে নিষ্পাপ হবো
সাইয়িদ রফিকুল হক

শর্মিলী আজ খুব হাঁটছিলো। আর সে হাঁটছিলো গুঁড়ি-গুঁড়ি-বৃষ্টির ভিতরে। তার হাঁটতে যে খুব ভালো লাগে তা নয়। আর এই বৃষ্টির সময় হাঁটতে তার একদম ভালো লাগে না। তবুও আজ সে এদিকে তেমন-একটা রিক্সাও খুঁজে পাচ্ছে না। আর ব্যাগেও তার টাকা কম আছে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার সময় এসব সে লক্ষ্য করার সুযোগ পায়নি। তাই, এই সময় বেশি ভাড়া দিয়ে রিক্সায় চড়লে শেষে সে আর গাড়িতে চড়ে বাসায় ফিরতে পারবে না। আর ফিরলেও তাকে তখন খুব কষ্ট করে হেঁটে-হেঁটে বাসায় ফিরতে হবে।

এই বৃষ্টির দিনে তবুও তাকে একজনকে খুব খুঁজতে হচ্ছে। আর সে তাকে সবখানেই খুঁজেছে। তারপর সে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক’টা করিডোর পেরিয়ে অবশেষে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাইরের রাস্তায় এখন খুব বৃষ্টি! তবুও সে এই বৃষ্টির ভিতরেই হাঁটছে! তবুও সে একজনকে খুঁজছে! আর আজ তাকে খুঁজে পেতেই হবে তার।
আষাঢ়ের বৃষ্টি থামছে আর নামছে। এই বৃষ্টি কাউকে কখনও খাতির করে না। তবুও সে এরই ফাঁকে-ফাঁকে কায়দা করে এদিকওদিক একটু সরে আবার হেঁটে একজনকেই খোঁজার কাজটা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে। আবার সে একটু-একটু করে ভিজেও যাচ্ছে। তবুও সে তাকে খুঁজছে। সে একজনকে এতোটাই খুঁজছে যে, এরকম মনোযোগ দিয়ে গোরু-খুঁজলে এতোক্ষণে আট-দশটা গোরু নিঃসন্দেহে পেয়ে যেত। গোরু খুঁজলে পাওয়া যায়—কিন্তু মানুষ খুঁজলে সহজে পাওয়া যায় না।

আদনানকে অনেকক্ষণ যাবৎ খুঁজছে শর্মিলী। আর গত কয়েকদিন ধরেই সে তাকে খুঁজছে। আজ তার খোঁজাখুঁজিটা একটু বেশিই হচ্ছে আরকি! আর তাকে গোরু-খোঁজা করতে গিয়ে সে এখন ভীষণভাবে ক্লান্ত। তবুও সে তাকে আরও-কিছুটা সময় খুঁজতে চায়।
এদিকে শর্মিলীর মনটাও আজ খুব খারাপ। গতরাতে তার মা-বাবা দুজনেই একমত হয়ে তার বিয়ে ঠিক করেছে প্রাইভেট ফার্মে উচ্চবেতনে চাকরি করা একটি ছেলের সঙ্গে। সেই থেকে শর্মিলীর দু’চোখে আর ঘুম নাই। সে তিন-বছর-যাবৎ আদনানকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা একহিসাবে বলা যায়, অনেকদিনের। কিন্তু তাদের ঘনিষ্ঠতা বেশি নয়। তার কারণ, শর্মিলী একটু লাজুক-স্বভাবের মেয়ে। তাই, সে আদনানকে কখনও কাছে ঘেঁষতে দেয়নি। আর সে কখনও পার্কেও যেতে চায় না। কিংবা সে কখনও কোনো নির্জন-ঘরে আদনানের সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে বসবাস করতে রাজী হয়নি।

গত সপ্তাহে আদনান এইরকম একটি ইঙ্গিতই করেছিলো শর্মিলীকে। কিন্তু শর্মিলী তার এই প্রস্তাবে রাজী হয়নি। আর শর্মিলীর কাছে এটাকে মনে হয়েছিলো একটি কুপ্রস্তাব। শর্মিলী খুব ঘৃণাভরে আদনানের প্রস্তাব সেদিন প্রত্যাখান করেছিলো। সে নিম্নমধ্যবিত্ত-পরিবারের মেয়ে। তার কাছে সতীত্বের দাম অনেক বেশি। আর এটা কর্পূরের মতো সহজে উড়ে যাওয়ার কোনো জিনিসও নয়—কিংবা এটি সহজে বিসর্জন দিয়ে গৌরব করার মতোও কিছু নয়। সে জানে, তার মতো মেয়েদের এই সমাজে টিকে থাকার একমাত্র উপায় হলো এই সতীত্ব। তাই, এটি হারালে তার চলবে না। সেই থেকে আদনানের সঙ্গে তার যোগাযোগ একরকম বিচ্ছিন্ন। তবুও শর্মিলী তার ভালোবাসার আকর্ষণে আদনানকে এখনও খুঁজছে। আর সে ভাবছে: যদি তার হৃদয় একটু প্রশস্ত হয়! এসব ভেবে তার চোখে প্রায় জল চলে এলো। সে কোনোরকমে তা সংবরণ করলো।
আদনানের সঙ্গে সে আজ তার জীবনের শেষ-বোঝাপড়াটা করতে চায়। তারপর ভেবেচিন্তে শর্মিলী তার সিদ্ধান্ত বাবা-মাকে জানিয়ে দিবে। এমন একটি বাসনা নিয়েই শর্মিলী মরীয়া হয়ে আদনানকে খুঁজছে।

সে যখন বৃষ্টিতে আধভেজা আর কাকভেজা হতে একটু বাকী আছে, তখনই আদনানের খোঁজ পেলো। তার বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ-বান্ধবী রুমানা তাকে এইব্যাপারে সময় মতো সাহায্য করলো। আর সে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে শর্মিলীকে বললো, “এখানে খুঁজলে ও-কে পাবি? আমার সঙ্গে চল। আমি একটু আগে ও-কে একজায়গায় দেখেছি। চল তোকে সেখানে নিয়ে যাই।”—এই বলে রুমানা একরকম বিধ্বস্ত শর্মিলীর ডান হাতটা ধরে তাকে টানতে-টানতে আদনানের কাছে নিয়ে গেল। অবশ্য সে তাকে একেবারে আদনানের কাছে নিয়ে যায়নি। তারা একটু দূরে দাঁড়ালো। যাতে আদনান তাদের সহজে দেখতে না পায়। আদনান এখন অন্য মুডে আছে। সে লাইব্রেরির পাশে একটা ঝোপের আড়ালে সেকেন্ড-ইয়ারে পড়ুয়া একটি মেয়েকে পাঁজাকোলে করে বসে আছে! আর তা দেখে মুহূর্তের মধ্যে লজ্জায় একেবারে কুঁকড়ে গেল শর্মিলী। হঠাৎ এমন একটা দৃশ্য দেখে সে খুব ভেঙে পড়লো। ওর দুঃখ দেখে রুমানা ও-কে বারবার সান্ত্বনা দিতে লাগলো।

তার চোখে এবার জলই এসে গেল। আর তা আষাঢ়ের বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঝরতে লাগলো। রুমানা ওর চোখ মুছিয়ে দিয়ে বললো, “এখন দুঃখ করে আর লাভ কী? একটা ভুলমানুষকে তুই এতোদিন প্রশ্রয় দিয়েছিস, ভালোবেসেছিস, আর তাকে ঘিরে নতুন একটা জীবনের স্বপ্ন দেখেছিস। কিন্তু তুই ভুল করেছিস, শর্মিলী। খুব ভুল করেছিস। তবে এসব নিয়ে এখন আর ভেবে কোনো কাজ নেই। তোকে আবার নতুন করে ভাবতে হবে।”
শর্মিলী সব শুনে এখন কিছু বলতে পারলো না। সে শুধু মাথা-নেড়ে রুমানার কথায় সায় দিলো। আর তার বড়-বড় দু’চোখ ছাপিয়ে অবিরাম-ধারায় জল ফেলতে লাগলো।

রুমানা ও-কে এভাবে একা ছেড়ে দিলো না। সে শর্মিলীকে আরও কিছুক্ষণ বুঝিয়েশুনিয়ে একটুখানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে তাকে নিয়ে তাদের ক্যাম্পাসের কাছে একটা ফাস্টফুডের দোকানে গিয়ে কিছু খেলো। তারপর সে শর্মিলীকে সঙ্গে নিয়ে রিক্সায় চড়ে শাহবাগ-বাস্ট্যান্ডে এসে নামলো। তারপর শর্মিকে ওদের রুটের একটা বাসে তুলে দিয়ে সে বিদায় নিলো।

সারারাস্তায় শর্মিলী নীরবে শুধু কেঁদেছে। আজ যেন তার কাঁদবার দিন। তার খুব কষ্ট হচ্ছিলো, আর সে ভাবছিলো: এতো সস্তা একটা লোককে সে এই জীবনে ভালোবেসেছিলো! সে কতদিন স্বেচ্ছায় ভালোবেসে এই লোকটার হাত ধরেছে। আবার তার হাত ও-কে ধরতেও দিয়েছে! এসব ভেবে সে এখন খুব লজ্জা পাচ্ছে। তার নিজেকে এখন খুব নোংরা মনে হচ্ছিলো। এমন একটা পশুকে সে এতোদিন কাছে-কাছে রেখেছে! এমন একটা নরপশুকে সে ভালোবেসেছিলো—যে কিনা প্রেমের মানেই বোঝে না!
সে দু’হাতে মুখ-ঢেকে চুপচাপ বসে রইলো। আর সে রুমানার কথাগুলো বারবার ভেবে দেখছে। একসময় তার মনে হলো: আসলেই সে ভুল করেছে।

শর্মিলী মনের দুঃখে যতটা না আহত হয়েছে, তারচেয়ে বেশি আহত হয়েছে সে লজ্জায়। একসময় তার নিজের ওপরও খুব রাগ হলো। তার আহত-মন বারবার বলছিলো: এমন একটা জীবন্তপশুকে সে কেন ভালোবাসতে গিয়েছিলো?
সাভার-বাসস্ট্যান্ডে এসে গাড়ি থামলো। আর এখানেই শর্মিলীকে এবার নামতে হবে। এখান থেকে ওদের বাড়িটা একদম কাছে। পায়ে হেঁটে যেতে পারবে সে। এমন সময় আবার শুরু হলো বৃষ্টি। এবার বৃষ্টির মেজাজ গুঁড়ি-গুঁড়ি থেকে একেবারে মুষলধারে রূপ নিতে যাচ্ছে। তবুও সে কোনোকিছুর পরোয়া না করে রাস্তায় নেমে পড়লো। আর নিজেদের বাড়ির পথে হাঁটতে লাগলো।

শর্মিলীদের একতলা বাড়িটা এখন দেখা যাচ্ছে। সে বৃষ্টিকে ভয় না করে আগের মতো হাঁটতে থাকে। আজ সে ভিজবে। আর সে অনেকক্ষণ ভিজবে আজ। আর তার মনে চাইলে সে আজ সারাদিন ভিজবে। তবুও সে ভিজবে। আর তবুও আজ তাকে ভিজতে হবে।

বাড়ির গেট পেরিয়ে সে ভিতরে ঢুকলো। আর তাকে দেখে তার ছোট ভাইটি ছাতা নিয়ে এগিয়ে এলো। শর্মিলী তার হাতে শুধু ব্যাগটা ধরিয়ে দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিলো। আর সে বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে খুব ভিজতে লাগলো। এখন বৃষ্টি মুষলধারে ঝরছে। আর তার সে-কী মেজাজ!

শর্মিলীর মা এসে বললেন, “শর্মি, ঘরে আয় মা। একদম ভিজে যাচ্ছিস তো! সামনে তোর...।” শেষের কথাগুলো বলতে গিয়ে তিনি একটু থেমে গেলেন।
কিন্তু শর্মিলী মায়ের কথায় কর্ণপাত না করে খুব করে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে। আজ তার বৃষ্টিতে ভিজতে হবে। সে ভুল করে একটা ভুলকে ভালোবেসেছিলো। আর সে একটুখানি পাপ করেছিলো। আজ সেই পাপের স্মৃতি সে বৃষ্টির জলে ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিতে চায়। আজ সে নিষ্পাপ হতে চায়।

ওর মা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ওর কাণ্ড দেখতে থাকেন। একটু পরে তিনি আবার বললেন, “কী করছিস মা, এই অবেলায় ভিজছিস যে! উঠে আয়। আর ভিজতে হবে না।”
শর্মিলী এবার মায়ের দিকে একটু ফিরে বললো, “আমি তো ভিজতেই চাই মা। আজ আমি ভিজবো। আজ আমাকে ভিজতেই হবে। তুমি যাও, মা।”
আর তখনই তার প্রিয়-কবির কবিতার পংক্তিগুলো ধীরে-ধীরে মনে পড়তে লাগলো:

আজ খুব বৃষ্টি!
আজকের দিনটা বৃষ্টির।
আমি ছিলাম ঘরে বসে
দেখছিলাম মেঘলা আকাশ,
জলের ধারা আমাকে
মুগ্ধ করেছে ভীষণভাবে
আর জল কী পবিত্র!

বৃষ্টিতে ধুয়ে-মুছে যাবে
আজ আমার সমস্ত গ্লানি
আর জমে থাকা পাপগুলো,
সব ক্ষয়ে-ক্ষয়ে পড়বে বৃষ্টির জলে!
এসো বৃষ্টি, এসো—এসো বন্ধুর মতো।
আমাকে আজ তুমি ভিজিয়ে দাও,
আর আমাকে নিয়ে এসো ভালোবেসে
এইসব উর্বর-মৃত্তিকার কাছাকাছি—
আমি হতে চাই এই পৃথিবীর
সুন্দর-পবিত্র ফসলের যোগ্য!
আমাকে পবিত্র করে দাও হে বন্ধু,
তোমার অকৃত্রিম তৃষ্ণার্ত-জলে।

আমি জানি: মানুষ পবিত্র হয়ে ওঠে
পৃথিবীর এইসব জলের সংস্পর্শে,
আমি আজ বৃষ্টিতে ভিজবো,
আমি আজ হাসিমুখে বৃষ্টিতে ভিজবো,
আর চেয়ে-চেয়ে মেঘলা-আকাশ দেখবো,
আজ আমি শুধু এই বৃষ্টিতে ভিজবো।
আর বৃষ্টির পবিত্র জলে ভিজে-ভিজে
আমি নিষ্পাপ হয়ে উঠবো,
আজ এই বৃষ্টিতে ভিজে-ভিজে
আমি আরও নিষ্পাপ হবো,
আমি আজ শুধু এই বৃষ্টিতে ভিজবো,
আর এই বৃষ্টিতে ভিজে-ভিজে
আমি আরও নিষ্পাপ হবো।

হে মহামহিম বন্ধু,
আজ যেন শেষ হয় না
তোমার এই আকাশের বৃষ্টি,
আজ যেন থামে না একবারও
তোমার ওই দমকা-বাতাসে
আমার চেতনা-শাণিত করার বৃষ্টি,
আজ তুমি আকাশ-ভেঙে বৃষ্টি দাও,
আজ তুমি পাতাল-ফুঁড়ে শুধু বৃষ্টি দাও,
বৃষ্টিজলে মেতে উঠবে আজ ধরিত্রী—
বৃষ্টিজলে স্নানসমাপনে আমরা হবো
শুদ্ধ-শুচি-পুণ্যদিশারী।
আজ তুমি বৃষ্টি দাও মহাবন্ধু,
আজ আমরা বৃষ্টিতে ভিজতে চাই—
আর এই বৃষ্টিতে ভিজে-ভিজে
আজ আমরা আরও নিষ্পাপ হবো।

একফাঁকে রান্নাঘর থেকে আবার বেরিয়ে এসে ওর মা দেখলেন, শর্মিলী আগের মতো দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে। আর সে এখন যেন একটু-একটু হাসছে। তিনি সবকিছু দেখে মেয়েকে আর-কিছু বললেন না। আর তিনি যেন মনে মনে আশীর্বাদ করে বললেন, “সামনে ওর বিয়ে। ওর মনটা খুশিতে ভরে উঠুক।”

আগের মতো শর্মিলীর মলিন চেহারাটা আর নেই। অনুতাপে-অনুশোচনায় জর্জরিত হয়ে সে এখন হয়ে উঠেছে শুভ্রশুচি-ফুলের মতো স্নিগ্ধ। আর তাকে এখন যে একটু ছুঁয়ে দিবে—সেও যেন এমনি পবিত্র হয়ে উঠবে একনিমিষে!

শর্মিলী এমনিতে সুন্দর। এই বৃষ্টির জলে ভিজে তাকে এখন আরও বেশি সুন্দর লাগছে। আষাঢ়ের জলকণাগুলো তার সুন্দর মুখে শ্রভ্র-সুন্দর মুক্তোদানার মতো জ্বল-জ্বল করছে।
আর সবকিছু ভুলে শর্মিলী এবার তার প্রিয়-কবির কবিতা পড়তে-পড়তে নিজেও মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় আর শপথবাক্যপাঠ করার মতো বারবার বলতে লাগলো: এই বৃষ্টিতে ভিজে-ভিজে আমি আরও নিষ্পাপ হবো। এই বৃষ্টিতে ভিজে-ভিজে আমি আরও নিষ্পাপ হবো। এই বৃষ্টিতে ভিজে-ভিজে আমি আরও নিষ্পাপ হবো।...


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৩/০৬/২০১৬

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

নীল বনসাই বলেছেন: ভাল লাগল।

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: শুনে খুশি হলাম। আর আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।শুনে খুশি হলাম। আর আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

সুমন কর বলেছেন: ভালোই লাগল। +

১৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আনন্দিত হলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.