নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গহনা কিনতে গিয়েছিলাম

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮



গহনা কিনতে গিয়েছিলাম
সাইয়িদ রফিকুল হক

পথে-পথে হাঁটি মিটে নাকো তাও
জীবনের সমস্যাগুলো,
আঁধারের মতো আরও বেশি করে
জড়ায়ে ধরছে তারা।

গহনা কিনতে হাঁটতে-হাঁটতে
দোকানে গিয়েছিলাম,
তাহাকে বিবাহ করবো বলে
দোকানে-দোকানে গহনা দেখি,
দাম শুনে তার
মাথা ঘুরে যায় একনিমিষে!
দাঁড়িয়ে ছিলাম, পড়ে যায়নি,
মাথা ঘুরছিল, কেউ ছিল না ধরার!
সব দোকানের বিক্রেতা সব
শুধু বারবার বলেছে হেসে:
এই সবকিছু আপনাদের সাধ্যের মধ্যে!
সব দেখেশুনে বললাম তাকে
ভাই আছে নাকি গরিবের গয়না?
সব শুনেটুনে জোর করে হেসে
দোকানি কয়: গরিবের গয়না হয় না!

মনখারাপের আর কী থাকে বাকী?
দোকানে দাঁড়াতে লজ্জাও লাগে
বাইরে রৌদ্র বেরিয়ে আসি তবুও ছিটকে!
বৈবাহিক কাজ বন্ধ করে দিয়ে
দৈনিক এখন শুধু বই পড়ি
গরিবের ওই পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে।


সাইয়িদ রফিকুল হক
০৮/১১/২০১৮

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বৈবাহিক কাজ বন্ধ করে দিয়ে
দৈনিক এখন শুধু বই পড়ি
গরিবের ওই পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে।

...............................................................................
সংগতি না থাকলে বিবাহ করার অনুমতি নাই । হা হা হা

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা কবিতা।

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া ঘটনাটা কষ্টের বটে যেখানে বিয়ে করতে গহনা লাগে তবে এই কবিতা পড়ে আমার একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো। কয়েক বছর আগে, আপন জুয়েলার্সে দেখা ঘটনা। এক মহিলা এসেছে বিদেশে থাকেন কথায় বার্তায় বুঝিয় দিচ্ছিলেন। দোকানে ঢুকেই তিনি সবচেয়ে বড় বিয়ের মালাটা দেখিয়ে মেয়েকে জিগাসা করলেন এটা কেমন। মেয়েটা বেশ ভালো বললো, এটা ভালো তার খুবই পছন্দ হয়েছে। মেয়েটাও এক বাক্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মালাটাই ধরে বসলো। মা নিজেকে হনু ভাবা প্রবাসী মহিলা যারা মনে করেন বাংলাদেশে আর কতইবা দাম হবে মানে এমন ভুল ধারনার বশবর্তী মানুষ আর কি তিনি।

তারপর দোকানী বললো মালাটা ২২ ভরি ওজনের আর সাথে স্টোনের দামসহ যা তা মনে হয় সেই নাক উঁচু বৈদেশী মহিলা হাফ শুনেছিলো। সে শুধু বললো তার ভীষন খারাপ লাগছে সে কোথাও বসতে চায়। আপন জু্য়েলার্স গুলশান চত্বরে বিশাল শপে তাদের বিশাল সুসজ্জিত সোফা আছে। সাথে সাথে তাকে সেখানে নিয়ে বসানো হলো। এবং তাদের প্রশিক্ষনরত কর্মচারী বিদ্যূৎ গতীতে কোথা থেকে এক গ্লাস পানি এনে হাজির হলেন তার পাশে।

আমি ভয় পেয়ে জিগাসা করলাম কি হয়েছে তার। দোকানী নির্লিপ্ত বললেন কিছুনা গহনার দাম দেখে এমন অনেকেই শক খান....

কাজেই ধনী গরীব বলে কথা না ভাইয়া। এই শক অনেকেরই লাগে। তবে নাক উঁচু বড়াইকারী মহিলাটার সেটা দরকার ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.