নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা চাঁদের কন্যা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪



একটা চাঁদের কন্যা
সাইয়িদ রফিকুল হক

নিউ মার্কেটের দুই নাম্বার গেইট দিয়ে তাকে হাসতে-হাসতে
সবসময় ঢুকতে দেখতাম, আর সঙ্গে থাকতো একটা পুরুষ!
খুব সুন্দর ছিল সে, আর পরতো আরও সুন্দর পোশাক!
তাকে দেখলে মনে হতো, সে যেন চাঁদের কন্যা!
ভরা জোছনার মতো আলো ঝলমলে ছিল তার গায়ের রঙ!
আর তার মুখে লেগে থাকতো পরিতৃপ্তি আর প্রশান্তির হাসি।

তার জন্য সবসময় একটা গাড়ি পার্ক করা থাকতো গেইটের পাশে,
নো-পার্কিংয়ের কোনো নিয়মকানুন মানতো না তার বিশাল গাড়িটা,
খুব ক্ষমতা ছিল হয়তো মেয়েটির বাবার অথবা স্বামীর! অথবা...,
অথবা তার স্বামী না হলেও স্বামী-জাতীয় অন্য কারও!
প্রতিদিন তাকে এতো-এতো শপিং করা দেখে আমরা ক্লান্ত হয়ে যেতাম,
আর বুঝতাম: এদেশে কারও-কারও ঘরে ঈদ লেগে আছে নিত্যনতুন!
তার হাতের শপিং-ব্যাগগুলো এতো ভারী হতো যে—তা বহন করতে
গাড়ির ভিতর থেকে একদৌড়ে ছুটে আসতো জোয়ানমর্দ এক ড্রাইভার।

কী নাই তার শপিংয়ে? জড়োয়া গহনা, পোশাক, আর ফ্যাশনের কত কী!
কখনো তাকে সামান্য মুখভার করে আসতে দেখি নাই এই মার্কেটে,
আর সবসময় তার সঙ্গে থাকতো নতুন কোনো-একটা ধনাঢ্য পুরুষ!
প্রতিদিন তার জন্য যেন ঢেলে দিতে চায় সেই রাজপুরুষ লক্ষ টাকা!
খুব সুন্দর ছিল সেই মেয়েটি! আর কী রাজকীয় ছিল তার হাবভাব!
প্রায় প্রতিদিন ঘটা করে বিরাট রাজসিক আয়োজনে আসতো সে শপিংয়ে,
আর সে কিনে নিতে চাইতো তার ছোট্ট দুইহাত ভরে পৃথিবীর সবকিছু!

অনেকদিন পরে দেখি, তার মুখখানি ভারি মলিন! আর সঙ্গে নাই কেউ,
সরাসরি রিক্সা থেকে নেমে খুব ক্লান্তদেহে সে হাঁটছিল ফুটপাত ধরে!
গায়েগতরে নাই তার আগের সেই জৌলুস আর মোহনীয় রূপের হাসি!
নিউ মার্কেটের ফাস্টফুডের জমজমাট দোকানগুলোতে তাকে আর দেখি না!
ফুটপাত ধরে হেঁটে-হেঁটে তাকে দেখলাম, ভাঙ্গাচোরা একটা দোকানে বসতে!
সেখানে সে খুব বিমর্ষচিত্তে চা-পান করছিল আর কী যেন ভাবছিল!
মুখে নাই তার সেই আগের হাসি! বয়সটাও তার নাই আর আগের জায়গায়!


সাইয়িদ রফিকুল হক
০৯/১২/২০১৯

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
উর্বশীদের এটাই পরিনতী
যত দিনে যৌবন আছে ভ্রমর
গুঞ্জরাবে চার পাশে মধু আহরণের
সুজোগ খুজবে লোলুপ দৃষ্টিতে।
সেই সব মৌ চোরেরা কামনার নিকেশ
করবে উর্বশীর চোখের মাদকতায়।
রূপের জৌলসে ভাটা পড়লে উড়াল
দেবে অন্যফুলে। এমনই হয়, এটাই বাস্তবতা।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সুন্দর কবিতা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: খুশি হলাম ভাই। ;)

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছাসহ শুভকামনা।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আফসোস হয় আমি যে কেন কবিতা লিখতে পারি না।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫১

শের শায়রী বলেছেন: আপনাদের দেখে মাঝে মাঝে ভীষন ঈর্ষান্বিত হই
কেন পারি না আমি শব্দগুলোকে মুক্তোর মত ঝড়াতে?
এই ঈর্ষার মাঝেও লুকিয়ে আছে শ্রদ্ধা।
কবিতাকে ভালোলাগা।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.