![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।
করোনা-ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করে মনে সাহস রাখুন
সাইয়িদ রফিকুল হক
পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকর করোনা-ভাইরাস। গত বছরের শেষদিকে চীনদেশে সর্বপ্রথম এই রোগ ধরা পড়ে, এবং তা প্রাদুর্ভাব হিসাবে চীনদেশ অতিক্রম করে ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, আফ্রিকাসহ এপর্যন্ত বিশ্বের ১৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ-অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ইউরোপে। সেখানে মহামারীআকার ধারণ করেছে এই করোনা-ভাইরাস। আর এই তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে ইউরোপের পর্যটনপ্রিয় দেশ ইতালি। এখানে মৃতের হার সর্বাপেক্ষা বেশি। প্রতিদিন গড়ে সেখানে ৪০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো সেখানে মৃত্যুর হার আরও বাড়তে পারে। গতকাল ইতালিতে করোনা-ভাইরাসে মারা গিয়েছে ৪৭৫জন মানুষ! ভয়াবহ পরিস্থিতি ইতালিতে।
পাঠক বুঝতেই পারছেন, ইতালির অবস্থা কতটা ভয়াবহ। তাই, ইতালি-ফেরত যেকোনো নাগরিকই আমাদের দেশের জন্য সর্বাপেক্ষা বিপজ্জনক। এদের সচেতনভাবে এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও ইউরোপের ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশও এই প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত হয়েছে। তবুও আমাদের বাংলাদেশের জন্য সর্বাপেক্ষা বিপজ্জনক হলো ইতালিফেরত যেকোনো ব্যক্তি আর তাদের পরিবারবর্গ কিংবা তাদের যেকোনো ঘনিষ্ঠজন।
এশিয়ার মধ্যে ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হয়েছে ইরান। এমনকি ভারত, বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশও নিরাপদে নেই। সবখানে এখন হানা দিচ্ছে করোনা-ভাইরাস।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যসহ গোটা আমেরিকা এই রোগে (ভাইরাসে) আক্রান্ত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এপর্যন্ত ৫০জনের মৃত্যু হয়েছে। সামনে হয়তো আরও বাড়বে।
বাংলাদেশে করোনা-ভাইরাসে এপর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা কেউই শংকার উর্ধ্বে নই। এজন্য আমাদের সাবধানতা ও সতর্কতা প্রয়োজন। কিন্তু এতেই সবকিছু হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, যেকোনো রোগ, বিপদাপদ ও বালমুছিবত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। তবে এসবই আমাদের অর্জন। বর্তমান পৃথিবীতে পাপতাপ, জুলুম, ব্যভিচার, খুন-ধর্ষণসহ সর্বপ্রকার অন্যায়-অবিচার ভয়ংকরভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পৃথিবী মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। মহান আল্লাহর বাণীকে ভুলে মানুষ আজ শয়তানের পদাঙ্ক-অনুসরণ করছে। ধর্মের নামে মানুষ আজ নিয়মিত অধর্ম করছে। পাপতাপে মানুষের এখন আগ্রহ বেশি। পৃথিবী থেকে কমে যাচ্ছে প্রকৃত ধার্মিক-মানুষ। চারিদিকে এখন ভণ্ডের ছড়াছড়ি। মহান আল্লাহর পথের প্রকৃত রাহবার খুঁজে পাওয়া এখন কঠিন।
এই মানুষের পতন অবশ্যম্ভাবী। মানুষ এখন ধর্মের মহাবাণী ভুলে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছে। মানুষের পাপেই পৃথিবীতে একেকসময় একেকরকম রোগব্যাধির উদ্ভবব ঘটে। আর এর থেকে বাঁচার উপায় হলো মহান আল্লাহর কাছে তওবা করা, এবং মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে সৎভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা।
আমাদের এখন বাঁচতে হলে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে মনে সাহস রাখতে হবে। আর কেউ রোগাক্রান্ত হলেও মনে সাহস রাখতে হবে। আমাদের আরও মনে রাখতে হবে: এটি খুব ছোঁয়াচে ভাইরাস। তাই, এর থেকে সবাইকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য বর্তমানে জীবনের সর্বক্ষেত্রে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি ও বিশ্বস্বাস্থ্যসংস্থার নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। দৈনন্দিন সালাতআদায়ের পাশাপাশি বেশি-বেশি জিকির করতে হবে। মহান আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে: মানুষ আমাদের আপনজন। কিন্তু রোগ কখনো আপন নয়। তবে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি আমরা যেন কোনোপ্রকার আক্রোশ বা বিদ্বেষ পোষণ না করি। কিন্তু এই ভয়ংকর ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য আমাদের অপ্রয়োজনীয় আড্ডাবাজি, জনসমাবেশে গমন করা, কথিত ধর্মীয় ওয়াজ-মাহফিলে যাতায়াত করা, গণপরিবহণে চলাফেরা করা, যেকোনো বিপজ্জনক পাবলিক-প্লেসে যাওয়াআসা করা ইত্যাদি থেকে একেবারে বিরত থাকতে হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হ’ন। আমীন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
সাইয়িদ রফিকুল হক
২০/০৩/২০২০
২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৪
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমীন ভাই।
আল্লাহ ভরসা।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: Ameen