![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।
গল্প:
নেকড়ের ছায়া
সাইয়িদ রফিকুল হক
অফিস-শেষে পারমিতা তাদের মফস্বল-শহরের সবচেয়ে বড় শপিংমলে পুজোর কেনাকাটা করতে এসেছে। সঙ্গী হিসাবে আর কাউকে না পেয়ে তাকে একাই আসতে হলো।
কেনাকাটা-শেষে সে বেরিয়ে এলো খুব তাড়াতাড়ি। বাসায় কাজের মেয়েটির কাছে রয়েছে তার ছেলেমেয়ে দুটো। একটার বয়স সাত। আরেকটির চার। এদের রেখে সে বাইরে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। চাকরিটা তার দরকার বলে সে করছে। নইলে কবে ছেড়ে দিতো।
আজও সে শাড়ি পরেছে। সে খুব সুন্দর করে শাড়ি পরতে পারে। শাড়িতে তাকে মানায়ও খুব।
সে রিকশার জন্য বারবার এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলো। কিন্তু এই অফিস-ছুটির পরে রিকশা পাওয়াটা খুব কষ্টকর। তবুও সে চেষ্টা করতে থাকে। হঠাৎ সে দেখলো, প্রায় পনেরো ফুট দূরে তিনটি যুবক একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাদের হাবভাবে ভয়ানক হ্যাংলামি!
তার বুকের ভিতরটা অজানা এক আশঙ্কায় কেমন যেন করতে থাকে। সে এখন একটা রিকশার জন্য একেবারে মরিয়া হয়ে ওঠে।
সে ভগবানের সাহায্য-প্রার্থনা করতে থাকে। ওদের চালচলন ও চোখের দৃষ্টি ভয়ংকর লোভাতুর! সে বুঝতে পারে, এদের উদ্দেশ্য একেবারে খারাপ!
সপ্তাহখানেক আগে এই ছোট্ট শহরে একজন স্কুল-টিচার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর থেকে তার ভিতরে আতঙ্ক যেন আরও বেড়ে গেছে। সে কোনোরকমে বাঁচার জন্য একটা রিকশা খুঁজতে থাকে।
অবশেষে সে একটা রিকশা পেল। কিন্তু কোনো ভাড়াটাড়া না-মিটিয়ে সে তাতে উঠে পড়লো। তারপর বললো, “নতুন কলোনিতে চলেন ভাই। আর একটু জোরে চালান। আমার একটু তাড়া আছে।”
লোকটি তার কথামতো জোরে চালাতে লাগলো। এখনও সন্ধ্যা হয়নি। রাস্তায় কিছু লোকজন রয়েছে। তবুও তার ভয়ভাবটা কমে না। সে যেন নেকড়ের তাড়া-খাওয়া মানুষ!
সে নিজেদের বাসার কাছাকাছি চলে আসে। তবুও সে নিশ্চিন্ত হতে পারে না যে, সে এবার বেঁচে যাবে! সে রিকশার পিছনের ফাঁকা জায়গা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পায়। ছেলেগুলো সেখানে আর নাই! তার বদলে দুটো মোটর-সাইকেলে চারজন তার পিছু নিয়েছে! এতে সে আরও ঘাবড়ে যায়।
আজকে আবার রাস্তাটাও একেবারে ফাঁকা-ফাঁকা! চারিদিকে মানুষের সংখ্যা যেন কমে গেছে। কিছুক্ষণ আগে এখানে একপশলা বৃষ্টি হয়েছে। তাইতে এই দুরবস্থা। পারমিতার এখন মনে হয়: রাস্তায় লোকজন থাকলে, ভিড় হলে তবুও ভালো। এই নেকড়েগুলো তাদের পথ আগলে দাঁড়াতে পারবে না।
সে কলোনির গেইট অতিক্রম করে ভিতরে ঢোকার পরও শান্ত হতে পারে না। রিকশাওয়ালাকে কোনোরকমে পঞ্চাশ টাকা ভাড়া দিয়ে দ্রুত সিঁড়ি মাড়িয়ে নিজের বাসার একদম কাছে এসে পড়ে। তবুও তার মনে হয়: কয়েকটা নেকড়ের ছায়া যেন তার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে!
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১২/১০/২০২০
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩২
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি: আপনার দোয়া যেন কাজে লাগে।
আমীন।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৭
অধীতি বলেছেন: এই বিষয়টা আমারও আছে। কোন বিপদের আভাস পেলে দীর্ঘ সময় যাতনা দেয়।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জ্বি, মানুষের এখন নানারকম সমস্যা।
নারীদের আরও বেশি।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অফুরান।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: একসময় এরকম গল্প রহস্য পত্রিকায় পড়তাম।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ভাই।
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নারীর নিরাপত্তাহীনতা ও দমবন্ধ করা আতঙ্কিত পরিস্থিতির বয়ান।গল্পটি ভালো লেগেছে। খুব দ্রুত যেন দেশের নারীরা শান্তিতে,নিশ্চিন্তে থাকার মতো একটি দেশ পায় এই কামনা করি।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০১
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা।
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫
ওমেরা বলেছেন: গল্পে বর্তমান সময়ের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন । ধন্যবাদ ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার প্রোফাইলে আছে, "বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি। "
-আপনি আমাদের জাতীয় লেখক!