নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানকথা ও গুজবে বিশ্বাস করে ধার্মিক হলে যা হয়:

১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১


ছবি: বিবিসি

কানকথা ও গুজবে বিশ্বাস করে ধার্মিক হলে যা হয়:

সাবেক মিশরীয় রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাতের হত্যাকারীকে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক- "প্রেসিডেন্ট সাদাতকে কেন হত্যা করেছ তুমি?
হত্যাকারী জবাব দিয়েছিল- "কারণ সে সেক্যুলার ছিল।"
বিচারক তখনই পরের প্রশ্নটি করলেন- "সেক্যুলার মানে কী?"
হত্যাকারী জানালো- "আমি জানি না।"

প্রয়াত মিশরীয় লিখক নাগিব মাহফুজকে ছুরি মেরে হত্যা-চেষ্টাকারীর একজনকে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক- "নাগিব সাহেবকে তুমি ছুরিকাঘাত করেছ কেন?"
জবাবে সন্ত্রাসী বলেছিলো- "কারণ সে ধর্মবিরোধী 'চিলড্রেন অভ গেবালাবি' উপন্যাসটি লিখেছে।
বিচারক আগ্রহ দেখালেন- "উপন্যাসটি পড়েছ তুমি?"
অপরাধী জবাব দিয়েছিলো- "না।"

মিশরীয় সাহিত্যিক ফারাজ ফাউদাকে হত্যাকারী সন্ত্রাসীটিকে বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন- "ফারাজ ফাউদাকে মেরে ফেললে কেন?"
হত্যাকারী জবাব দিয়েছিল- "কারণ তার ঈমান নাই।"
বিচারক জানতে কৌতূহলী হলেন- "তুমি কিভাবে বুঝলে যে তাঁর ঈমান নেই?"
সন্ত্রাসীর জবাব ছিল- "তার বইগুলা পড়লেই সব বোঝা যায়।"
বিচারকের কৌতূহল বেড়ে গেলো- "তাঁর কোন্‌ বইটিতে তুমি তাঁর ঈমানহীনতার প্রমাণ পেলে?"
হত্যাকারী স্বীকার করলো- "বইয়ের নাম আমি জানি না। আমি পড়িনি ওসব।"
বিচারক বিস্মিত হলেন- "কেন পড়োনি?"
খুনীটি বলেছিলো- "আমি লিখতে-পড়তে জানি না।"
ঘৃণা, কখনোই জ্ঞানের মাধ্যমে ছড়ায় না। ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ে অজ্ঞতার মাধ্যমে। সমাজ অজ্ঞতার খেসারত, অজ্ঞ করে রাখার খেসারত, এভাবেই দেয়।

শিরোনাম লিখেছেন: সাইয়িদ রফিকুল হক

কৃতজ্ঞতাস্বীকার:

Salah Uddin Ahmed Jewel অনুদিত,
#CRT 'রিয়্যেল আফ্রিকান বুকজ' থেকে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: কানকথা খুব খারাপ। কানকথা শোনে গুজব ছড়ানো অপরাধ।

২| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে ঘৃণার চাষবাস!

হায়! যদি জানতে, যদি পড়তে, যদি বুঝতে।

৩| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৫২

গরল বলেছেন: বাংলাদেশের কথা বললেন না কেন, যারা হুমায়ুন আযাদকে হত্যার চেষ্টা করেছে তারা কি উনার বই পড়ে দেখেছিল। "পাক সার জমিন সাদ বাদ" আমি পড়েছিলাম, ওখানে ধর্ম নিয়ে কিছুই ছিল না, তাহলে সেটা নিয়ে কেন আন্দোলন হল? কেনই বা তাকে হত্যার চেষ্টা হল?

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এটা একজনের লেখার অনুবাদ। সেখানে হয়তো আজাদ-স্যারের কথাটা লেখা নেই।
তাই, যতটুকু পেয়েছি ততটুকুই হুবহু দিয়েছি।
আপনার কথা সম্পূর্ণ সত্য। হুমায়ুন আজাদ স্যারের ভাগ্যও অনুরূপ।
তাঁকে নিয়ে আমি একটা আর্টিকেল লিখবো।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৪| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এখনো বাংলাদেশের বহু মানুষ সেক্যুলার মানে বুঝে না।

১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৩৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম সত্য বলেছেন।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভকামনা রইলো।

৫| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আমাদের দেশের বেশির ভাগ মুসলিম ধর্ম সম্পর্কে নিজে পড়ে কিছু জানতে চেষ্টা করে না। এরা সব অন্যের মুখ ন্থেকে শুনে শুনে ধর্ম সম্পর্কে জানে। সিখে।সমস্যা এখান থেকেই শুরু হয়।

৬| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

বিটপি বলেছেন: প্রতিবাদ অবশ্যই হওয়া উচিৎ। কিন্তু হত্যা? কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এসব হত্যার বিচার অবশ্যই হওয়া উচিৎ।

কিন্তু এই হত্যা নিয়ে ফ্রেঞ্চ সরকার যে সার্কাস দেখালো - সেটাও অনুচিত।

৭| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪১

বিটপি বলেছেন: গাড়ল, পাক সার জমিন সাদ বাদে আপনি কি পেয়েছেন যাতে মনে হয়েছে ধর্ম সম্পর্কে কিছু লেখা হয়নি?

১। ‘জিহাদি হাফিজুদ্দিনটা একটু বেতমিজ, মুখে চমৎকার চাপদাড়ি, স্বাস্থ্যটাও ভালো; একাই দু-তিনটি দোকান ভাঙতে পারে, কয়েকটিতে আগুন লাগাতে পারে, গুলি চালাতে পারে, ‘আল্লাহু আকবর’, ‘আলি আলি জুলফিক্কার’ ব‘লে ছুরি ঢুকোতে পারে; ফিরে এসে একটির পর একটি এক্সএক্সএক্স দেখতে পারে, সবই ইন্ডিয়ান, বড়ো দুধ আর বড়ো মাজা ওর পছন্দ, চাকরানিটাকে ডেকে এনে ঘণ্টাখানেক ধ’রে অরাল-অ্যানাল-ভ্যাজাইনাল করতে পারে, তারপর উঠে গিয়েই মধুর স্বরে ওয়াজ করতে পারে, ফতোয়া দিতে পারে।’

২। ‘জিহাদিদের একটি মহান গুণ হচ্ছে তারা মালাউন মেয়ে পছন্দ করে। আমিও করি, ওদের একটু খেলাতে পারলে ওরা উর্বশীদের মতো নাচে; আমার জিহাদিরা অবশ্য নাচটাচ পছন্দ করে না, ওরা ঢুকতে বেরোতে পারলেই শুকরিয়া আদায় করে। এতে প্রধান প্রতিভা তালেবান মোঃ হাফিজুদ্দিন, ও হয়তো ফেরেশতাদের কাছে থেকে কোনো হালুয়া লাভ করে; তবে মোঃ কেরামত আলি, মোঃ মোস্তফা, মোঃ আকবর আলিও কম যায় না, এটা আমি পছন্দই করি, জিহাদে কোনো কম যাওয়া-যাওয়ি নেই, তাতে জোশ কমে যায়। ওরা যখন একেকটি মালাউন মেয়ের ওপর চড়ে, তখন ওরা মনে করে ওরা একেকটি নাছারা নগর ধ্বংস করছে, যার নির্দেশ রয়েছে। আমি আশ্চর্য হই, ওরা রুহুল্লা খোমেনির কিছুই পড়ে নি, কিন্তু চিন্তা ও কর্মে তাঁকেও ছাড়িয়ে গেছে।’

৩। ‘জামাঈ জিহাদে ইছলাম আমাকে উদ্দীপ্ত করে, আমি প্রচণ্ড উত্তেজনা বোধ করি, ওই উত্তেজনা দেহের বিশেষাঙ্গের উত্তেজনার থেকে অনেক বেশি তীব্র, অনেক বেশি প্রচণ্ড; আমি দেখতে পাই আমি বেঁচে উঠছি, আমি বেহেশতের স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠি। মওলানা মওদুদি, ইমাম গাজালি, আয়াতুল্লা খোমেনির বই, আর কোরান-হাদিছ, নেয়ামুল কোরআন, মুকছেদুল মমেনিন, বেহেস্তের জেওর প’ড়ে আমি বুঝতে পারি এতোকাল আমি ভুল পথে ছিলাম, দোজগের রাস্তায় ছিলাম, এখন আমি ঠিক পথে এসেছি; এখানে সব সময়ই খোয়াব, সব সময়ই উত্তেজনা; পৃথিবীতে মুছলমান আর ইছলাম ছাড়া আর কিছু থাকবে না, এ-বিশ্বাস আমাকে মাতাল ক’রে তোলে- নাউজুবিল্লা, ‘মাতাল’ শব্দটি ঠিক হয় নি, আল্লা আমাকে মাফ করবেন; এ-সময়ই আমি একটি চমৎকার জীবন পাই। জামাঈ জিহাদে ইছলামে যোগ দেয়ার পর প্রায় সবই পাই, বেহেশত তো পাবোই। যোগ দেয়ার কয়েক মাসের মধ্যে আমি জামাঈ জিহাদে ইছলাম-এর ‘মদিনাতুন্নবি’ অঞ্চলের নেতা হয়ে উঠি, আমার খুব চেষ্টা করতে হয় না; আমার প্রধান নেতারা বুঝতে পারেন যে-তিরিশটি মাদ্রাছার তালেব এলেম নিয়ে এ-আঞ্চলিক সংঘটি গঠিত, ওই সব হাফেজিয়া ফোরকানিয়া কওমি কামিল দাখিল সাধারণ মাদ্রাছার তালেবানদের মাথায় ঘিলু নেই, যেমন তাদের মাথাও নেই, তাদের মগজ অন্য জায়গায়; তাই যোগ দেয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই আমি নেতা হয়ে উঠি, যা আমি কখনো হই নি।’

৮| ১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১০

জ্যাকেল বলেছেন: ইসলাম কখনোই ফাসাদ তথা বিশৃংখলার অনুমোদন দেয় না। ইসলাম মানুষকে সু-শৃংখল, সু-স্বাস্থ্য, সুন্দর, পবিত্র জীবন দিতে চায়। এই সঠিক ইসলাম মোল্লারা জানেই না, তারা শুধু জানে মধ্যযুগের হাংগামার সময়কার রেফারেন্সে নানান প্রকার দ্বিমুখি হাদিস। এই হাদীস নিয়ে কল্লা কাটাকাটি করতে করতে এদের জীবন যায়, কোথায় আসল ইসলামের খোঁঁজ।
তাই যারা এই ফাও ইন্সপায়ার হয়, তাদের জন্য দুঃসংবাদ। আল্লাহ এই খারাপ জিনিস মুসলমানদের থেকে চান না। স্বয়ং রাসুল সাঃ এর উপস্থিতিতে কাবা'ঘরে মুত্র ত্যাগকারীকে আল্লাহর রাসুল মুত্রত্যাগ সম্পন্ন করতে দিয়েছিলেন। তাকে প্রাণে মারতে উদ্যত সাহাবি'দের থামিয়ে দিয়েছিলেন। সঠিক, সুন্দর ইসলাম প্রতিষ্টা করে গিয়েছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

১৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। এরা সঠিক ইসলামের দেখা পায়নি।
আর প্রকৃত মুসলমান কখনো সন্ত্রাসী কিংবা খুনি, জঙ্গি হতে পারে না।

আপনি বলেছেন:
স্বয়ং রাসুল সাঃ এর উপস্থিতিতে কাবা'ঘরে মুত্র ত্যাগকারীকে আল্লাহর রাসুল মুত্রত্যাগ সম্পন্ন করতে দিয়েছিলেন।
আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি: আসলে, এটা ‘মসজিদে নববী’র ঘটনা।

সুন্দর মতপ্রকাশের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.