নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজকে বলো এখন কাজ আছে

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯



নামাজকে বলো এখন কাজ আছে
সাইয়িদ রফিকুল হক

দেশে এখন ধার্মিকের ছড়াছড়ি! আনাচেকানাচে সরকারি জমি দখল করে তৈরি হচ্ছে মসজিদ। আর এর চারপাশে গিজ গিজ করছে কথিত ধার্মিক। কিন্তু আসল ধার্মিক খুঁজতে গেলে ‘কম্বলের লোম বাছা’র মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। আসল ধার্মিক লোকদেখানো ইবাদত করেন না। তাঁরা থাকেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। মহান আল্লাহর সৃষ্টিধ্যানে। এঁদের নিয়ে আমাদের সমাজজীবনে কখনো কোনো সমস্যাসৃষ্টি হয় না।
সমস্যা হচ্ছে এখন ভণ্ডদের নিয়ে। এরা নিজেদের ধার্মিক প্রমাণের জন্য যত্রতত্র ধর্মবুলি আওড়ে যাচ্ছে। এদের স্থান-কাল-পাত্র জ্ঞান নেই। এরা সীমাহীন অজ্ঞান এবং অকাট মূর্খ। ধর্মের নামে এদের বাড়াবাড়ি আজ সহ্যের বাইরে।
এদের জীবনে সততা, সত্যবাদিতা, পরার্থপরতা, পরমতসহিষ্ণুতা, ন্যায়পরায়ণতা, ঘুষবিমুখতা, আদবকায়দা, শিষ্টাচার, ভদ্রতা ইত্যাদির কোনো লেশমাত্র নেই। এরা লোকদেখানো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছে আবার নিয়মিত ঘুষ খাচ্ছে, সুদ খাচ্ছে, মানুষখুন করছে, মানুষখুনকে সমর্থন করছে, পরকীয়া করছে, হারামকে হালাল বানাচ্ছে, হালালকে হারাম বানানোর পাঁয়তারা করছে, লোভ-হিংসা ও অহংকারের মধ্যে ডুবে আছে। কিন্তু এরাই মুখে-মুখে বলছে নামাজ-নামাজ! যেন শুধু নামাজ পড়লেই সমাজ বদলে যাবে! এরা কতকাল নামাজ পড়ছে—কিন্তু উপরিউক্ত অপকর্মগুলো থেকে এখনও বিরত থাকতে পারেনি। এরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য দেশের বিভিন্ন দেওয়ালে, বাসের গায়ে, সিএনজি’র গায়ে খুব স্পর্ধার সঙ্গে লিখে রেখেছে—কাজকে বলো নামাজ আছে!
নামাজ মানুষ পড়তেই পারে। আর মুসলমানের জন্য নামাজ পড়ার হুকুম বা বিধানও আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে—মুসলমানকে জরুরি, সরকারি ও রাষ্ট্রীয় কাজ বা দায়িত্ব ফেলে যখনতখন নামাজে শামিল হতে হবে। আমাদের দেশের একশ্রেণীর অতিমূর্খ এখন তা-ই করছে। এদের বুঝতে হবে সরকারি বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব-কর্তব্যের স্থান সবার উপরে। আর এগুলো অবহেলা করে কখনোই ধার্মিক হওয়া যাবে না।

‘কাজকে বলো নামাজ আছে’—বলে মূর্খরা প্রতিনিয়ত কী-কী ক্ষতি বা সমস্যার সৃষ্টি করছে—তার সংক্ষিপ্ত নমুনা এখানে দেওয়া হলো:

১. একটি অ্যাপার্টমেন্টের নিচে রাখা তিনটি মোটর সাইকেল এক রাতে চুরি হলো। সকালে এর মালিকগণ ভয়ানকভাবে ভেঙে পড়লো। পুলিশ এলো। দায়সারা তদন্তও হলো। ভবনের কেয়ারটেকারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করলো। কেয়ারটেকার জানালো, সে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিল! কখন কী হয়েছে সে জানে না!

২. রোগীকে দেখা বাদ দিয়ে ডাক্তারসাহেব গেছে মসজিদে। তার ধর্ম চলে যাচ্ছিলো! তাই, সে দৌড়ে, ঝড়ের বেগে মসজিদে গিয়েছে। আর এদিকে রোগীকে ঠিকভাবে-সময়মতো ইনজেকশন ও স্যালাইন পুশ না-করায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

৩. গত ২৯-এ জুলাই, শুক্রবার, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, মিরেরশরাইয়ের খৈয়াছড়া’তে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১জন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে আরও ছয়-সাতজন। আহতরাও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এরা সবাই বয়সে তরুণ।
দিনটি ছিল শুক্রবার। এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় দুপুর ১টা ৩৩মিনিটে। এইসময় রেললাইনের লেভেল-ক্রসিংয়ের গেইটকিপার যথাস্থানে ছিল না। সে মসজিদে গিয়েছিল নামাজ পড়তে! তার দায়িত্ব ছিল ট্রেন আসার কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট আগে দুইপাশের লেভেল-ক্রসিংয়ে লোহার বড়সড় ডান্ডা বা বাঁশ ফেলে রাখা। যাতে কোনো গাড়ি এইসময় রেললাইনে কোনোভাবেই উঠে যেতে না-পারে। কিন্তু গেইটকিপার ‘সাদ্দাম’ (গেইটকিপারের নাম) সব জেনেশুনেও তা না-করে মসজিদে গিয়ে বসে ছিল! অথচ, তার সরকারি দায়িত্ব ছিল এই গেইট পাহারা দেওয়া। সে জেনেশুনেও সরকারি-রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব অবহেলা করে ওইসব মূর্খের স্লোগান ‘কাজকে বলো নামাজ আছে’ নামক মূর্খতায় ডুবে ছিল। কিন্তু তার বোঝা উচিত ছিল—তার এই কাজের দায়িত্ব ও গুরুত্ব কতখানি। তার ওই লোকদেখানো নামাজের জন্য ঘটনাস্থলেই নামাজের সময় ১টা ৩৩মিনিটে ঝরে গেছে ১১টি তাজাপ্রাণ।

দেশে এরকম অহরহ ও অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। নামাজের কথা বলে ভণ্ডরা দায়িত্ব ও কর্তব্য ফাঁকি দিচ্ছে। পাঠক, উদাহরণ হিসাবে উপরিউক্ত তিনটিকেই যথেষ্ট মনে করেছি। অতিরিক্ত উদাহরণ দিয়ে প্রবন্ধের কলেবরবৃদ্ধি করাটা কাম্য নয়।
মানুষের বোধ ও বিবেক জাগ্রত হোক। আমাদের দেশের সীমান্ত-পাহারা দিচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরা যদি সবাই একসঙ্গে নামাজ পড়তে যান তাহলে দেশের কী অবস্থা হবে? এইরকম পুলিশ, আর্মি যথাস্থানে নামাজ পড়েও তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু রেলওয়ের ওই দায়িত্ববিমুখ ও কাণ্ডজ্ঞানহীন গেইটম্যান সাদ্দামের মতো ভণ্ডধার্মিকের প্রয়োজন আমাদের দেশে নেই।

নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সবাইকে বুঝতে হবে। সরকারি ও রাষ্ট্রীয় দায়্ত্বি অবহেলা ও পালন না-করার কোনো সুযোগ কারও নেই। তাই, মুর্খদের সঙ্গে সুর না-মিলিয়ে দায়িত্বশীল সবাইকে ‘কাজকে বলো নামাজ আছে’ না-বলে বলতে হবে—নামাজকে বলো আমার এখন কাজ আছে। এখন আমি কাজ করবো। কাজশেষে নামাজ পড়বো।

মহান আল্লাহ, সবাইকে ধর্ম সঠিকভাবে বোঝার শক্তি ও ক্ষমতা দিন। আমীন।

বিনয়াবনত
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।
০৩/০৮/২০২২

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

ককচক বলেছেন: দায়িত্বে হেলা করা অনুচিত। কমনসেন্স না থাকলে, মানবতা না থাকলে, মায়া মমতা না থাকলে নামাজ পড়ে লাভ হবে মনে হয়না।
যে নামাজ মানুষকে ন্যায়পরায়ণ, দায়িত্বে,মহৎ মানুষে পরিণত করতে পারেনা, সেই নমাজ কেন পড়া হচ্ছে এই চিন্তাটাও নিজেদের করা উচিত।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিক তা-ই।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা অফুরন্ত।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

কামাল৮০ বলেছেন: ধার্মিকের আবার আসল নকল কি।যে ধর্ম মানে সেই ধার্মিক।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আছে। ধার্মিকের আসল নকল রূপ আছে। সবাই আসল ধার্মিক নয়।
যে ধর্ম মানে সেই ধার্মিক নয়। বরং যে কায়মনোবাক্যে মোখলেস হয়ে ধর্মপালন করে সেই ধার্মিক।
কিন্তু লোকদেখানোগুলো ধার্মিক নয়। এরা বিপথগামী।

মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরাকি তবে ভুল জানি?
আমি জানতামঃ
"নামাজকে বলনা কাজ আছে,
কাজকে বলো আমার নামাজ আছে!"

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার দেয়া উদাহরন গুলো ভাল লাগলো। যুক্তশীল আলোচনা পোস্টটাকে সমৃদ্ধ করেছে।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪২

জ্যাকেল বলেছেন: আল্লাহ কোরআনে স্পষ্টভাবে রোজা ফরজ করেছেন কিন্তু নামাজ ফরজ এইভাবে করেন নি। বলেছেন সালাত প্রতিষ্টা করতে। কিন্তু নিজ দ্বায়িত্ব বাদ দিয়ে সালাত প্রতিষ্টা কেমনে হয় আমি বুঝি না। সালাত প্রতিষ্টার একটা বড় অংশ হইতেছে দুনিয়ায় নিজ কার্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করা/দ্বায়িত্ব অবহেলা না করা।

আপনার পোস্টের সাথে শতভাগ একমত।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৭

অর্ক বলেছেন: খুবই মুগ্ধ হয়ে পড়লাম সম্মানিত কবি। সম্পূর্ণভাবে একমত। বিশেষ করে সাদ্দাম’র যে ঘটনা বললেন। এটাই যদি চূড়ান্তভাবে সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে তার অপরাধের বড়ো রকমের শাস্তি হওয়া উচিৎ। আদৌ মানবীয় ভুল নয়। কঠিন শাস্তিই কাম্য। এসবে ভরে গেছে সারা দেশ। বকধার্মিক, অন্ধ বিশ্বাসী সবখানে।

শুভেচ্ছা থাকলো।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে নামাজ পড়া যাবে না।

তবে যে স্লোগানটার কথা বলেছেন সেটা কম গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

আসলে এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। রসূলের (সা) জমানায় যুদ্ধের ময়দানে দুই ভাগ হয়ে এক ভাগ নামাজ পড়েছে আবার আরেকভাগ যুদ্ধ করেছে। আবার অনেক সময় যুদ্ধের তীব্রতার কারণে নামাজ কাজা করতে হয়েছে। কাজেই পরিস্থিতি অনুযায়ী নামাজ পড়া বা দেরীতে পড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

নামাজের সময় আগে থেকেই নির্ধারিত। তাই কর্মক্ষেত্রে কাজের সময় নামাজের বিরতির ব্যবস্থা থাকা উচিত যদি না বিরতি দিলে ভয়ানক কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অনেক সময় দেখা যায় কর্মক্ষেত্রে বা ব্যবসায় কাজে আমরা এত মশগুল থাকি যে নামাজ পড়তে ভুলে যাই বা পড়তে চাই না। সেই ক্ষেত্রেই আপনার উল্লেখিত বাণী সঠিক। জরুরী পরিস্থিতির ক্ষেত্রে আপনার কথা ঠিক আছে।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ২:১০

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: পুরো বাংলাদেশের ধার্মিক মানুষগুলো যদি একসাথে নামাজ পড়ে তাহলে কি হবে?

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৫৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে তিন ওয়াক্ত নামাজের (ফজর, মাগরিব আর এশা) সময় অফিস আওয়ারের বাইরে। জোহরের নামাজ লাঞ্চ টাইমেই পড়ে নেবার কথা যারা নামাজ পড়েন তাদের সবার । আর বাংলাদেশে আসরের নামাজ বেশির ভাগ মানুষের অফিস থেকে বাসায় ফিরেই পড়ার কথা। তাহলে সরকারি দায়িত্ব বাদ দিয়ে মানুষ নামাজ পড়ে বা নামাজের জন্য সরকারি কাজ কর্ম অচল এই কথাটা আসলো কিভাবে ? আর উধাহরণ যেগুলো দিলেন সেগুলোতে কোনো ভালো উদাহরণ হলো না। একজন ডাক্তার নামাজ পড়তে গেছে দেখেই রোগীটি মৃত্যু হবে? অন্য ডাক্তাররা নেই? বাংলাদেশ একটা মুসলিম প্রধান দেশ । এখানে নামাজের জন্য একটা এক্সট্রা এরেঞ্জমেন্টতো থাকতেই পারে। সেটা সরকার করতে পারছে না দেখেই ঝামেলাগুলো হয় সেটা কি ভেবেছেন ? আমি এখানে প্রতি জুমার নামাজ পড়ি অন্তত দশজন ডাক্তারের সাথে। যাদের মধ্যে সার্জন,হার্ট স্পেশালিস্ট, সাইক্রিয়াটিস্ট আছেন। কোনোদিন শুনলাম না যে ইনারা নামাজ পড়তে এসেছেন দেখে রুগী মারা গেছে। বাংলাদেশেও কেউ নামাজ পড়তে আসলে রুগী মারা যাবার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের মন্ত্রী মিনিস্টার, উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, সরকার দলীয় ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা বেশির ভাগ নেতা,পাতিনেতা দুর্নীতিবাজ।এর থেকে কি আপনি ইন্ডাক্টিভ লজিক দিয়ে হাইপোথাইজ করতে পারবেন তাদের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীও দুর্নীতিবাজ? নাকি সেটা বলা সঠিক হবে। আপনি কিন্তু সে রকমই অদ্ভুত একটা ইন্ডাক্টিভ আর্গুমেন্ট করেছেন কিছু দুর্নীতিবাজ মানুষের কথা বলে নামাজ পড়বার মতো একটা জরুরি বিষয় নিয়ে। যেটা খুবই নভিস মানুষ করে। আপনার লেখাতো খুব বেশি প্রশংসা করার মতো না।আপনার চিন্তা ভাবনাও খুব স্বচ্ছ বলে প্রশংসা করা যাচ্ছে না, বরং লেখাটা খুবই আনাড়ির মতো, স্যরি ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সংযত হয়ে কথা বলুন। ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলুন। জীবনে কাজে লাগবে।
কিছু হলেই লাফ দিয়ে রাজনীতিতে ঢুকে পড়েন কেন?
আপনি নিজে আগে ভালো হোন। তারপর রাজনৈতিক নেতাদের কথা বলবেন। তাদের সমালোচনা করবেন।
আপনাকে এই লেখার প্রশংসা করতে হবে না। কারণ, কারও প্রশংসার জন্য এই পোস্ট এখানে করা হয়নি।
এটি মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে দেওয়া হয়েছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



নামাজ পড়েই দায়িত্ব শেষ করলে হবে না।
নামাজ পড়ার সাথে সাথে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে সততাকে কঠোর ভাবে হৃদয়ের মাঝে ধারণ লালন ও পালন করতে হবে।
মনে রাখতে হবে সততার কোন বিকল্প নেই ।
কোন অন্যায় করা যাবে না ।
তাহলে নামাজ পড়া সার্থক হবে ।
অন্যথায় নামাজ হবে লোক দেখানো ফ্যাশন।
আফসোস!

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জ্বি, ঠিকই বলেছেন। লোকদেখানো নামাজ ছাড়তে হবে।
আর নামাজের অজুহাতে দায়িত্ব-কর্তব্য ভুলে যাওয়া চলবে না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.