নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় কুরআন-শিক্ষার নামে কেন এই নাটক। একবার ভাবুন।।
সাইয়িদ রফিকুল হক
সম্প্রতি একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্নস্তরে কিছুটা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তবে যারা পজিটিভ আলোচনা-সমালোচনা করছেন তাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ। কিন্তু একশ্রেণির উজবুক ও অর্বাচীন না-বুঝেই ধর্ম-স্বাদের সস্তা ঢেকুর ও জিগির তুলে পরিবেশটাকে অহেতুক ঘোলাটে করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অবশ্য এটা চেষ্টা নয়—সরাসরি অপচেষ্টা। এরা সেই ১৯৭১ সালের মতো দেশবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সর্বক্ষেত্রে অতিমাত্রায় অসৎ-কার্যকলাপ শুরু করেছে।
এই রমজান-মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র-নামধারী (যারা বিভিন্ন ইসলামি ছাত্রসংগঠনের সক্রিয় নেতা, কর্মী, সমর্থক ও সদস্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় উন্মুক্ত মাঠের মধ্যে হঠাৎ করে একটা সাইনবোর্ড ও একটা আধুনিক বোর্ড টাঙ্গিয়ে ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করতে অপচেষ্টা করেছে। আর এভাবে এরা দেখাতে চেয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন পড়ালেখা বাদ দিয়ে ‘কুরআন-শিক্ষা’ নিয়ে মহাব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর দেশটা এই তালেবানদের দখলে এসে গেছে। এমন একটা শয়তানি ভাবধারা থেকেই ওরা আচমকা এই অপকর্মটি একেবারে ভেবেচিন্তে (আর স্ব-স্ব সংগঠনের ছায়াতলে থেকে) সংঘটিত করেছে।
তা নয়তো কী? দেশে ‘কুরআন-শিক্ষা’র এত-এত জায়গা থাকতে হঠাৎ বটতলায় বসে কুরআন তিলাওয়াত বা কুরআন শিখতে হবে কেন? বটতলায় বসে ‘কুরআন-শিক্ষা’ করলে কি সওয়াব বেশি হবে? নাকি বটতলায় বসে ‘কুরআন-শিক্ষা’র কথা কুরআনের কোথাও লেখা আছে? নাই মানে নাই। কুরআন পাঠের বা শেখার জন্য অনেক জায়গা আছে। আর ‘কুরআন-শিক্ষা’র জন্য দেশে কোনো বিধিনিষেধও নেই। ‘কুরআন-শিক্ষা’র জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান একেবারে উন্মুক্ত রয়েছে। কিন্তু সবজায়গায় সবসময় কুরআন তিলাওয়াত বা ‘কুরআন-শিক্ষা’ গ্রহণ করতে হয় না। এমনকি সবসময় সবজায়গায় কুরআন তিলাওয়াত বা ‘কুরআন-শিক্ষা’ করাও সমীচীন বা জায়েজও নয়। এব্যাপারে স্পষ্ট বিধিনিষেধ আছে। আর কুরআন শেখানো বা পড়ানো হয়ে থাকে মসজিদের ভিতরে বা মসজিদের বারান্দায়, মসজিদের সামনে আর মাদ্রাসার কম্পাউন্ডে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো মাদ্রাসা নয় (অবশ্য এখনও তা হয়ে সারেনি, এটাকে মাদ্রাসা বানানোর চেষ্টা চলছে। তাহলে, দেশে ধর্মান্ধতা নতুন মাত্রা পাবে)।
আমাদের নবীজি সা. কুরআন তিলাওয়াত করেছেন কাবাঘরের বারান্দায় বসে, কাবাঘরের পাশে বসে, নিজের গৃহে, এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত মসজিদে নব্বীতে। তিনি কখনো মাঠে-ময়দানে, কারও বাড়ির আশেপাশে বা সামনে কিংবা তাঁর শত্রু আবু জেহেলের বাড়ির সামনে, মক্কার যেকোনো মাঠেঘাটে, মদিনার রাস্তাঘাটে, কারও বাড়ির সামনে কুরআন তিলাওয়াত করেননি। এবং সাহাবিদেরও কখনো তা করতে বলেননি। এমনকি তিনি তাঁর সাহাবিদেরও কুরআন শিখতে কোনো মাঠেঘাটে যেতে বলেননি। আর নিজেও তাদের উন্মুক্তস্থানে ডাকেননি। মৃত মুসলমান নর-নারীর পারলৌকিক মুক্তির জন্য কবরের পাশে বা গোরস্থানে বসেও কুরআন তিলাওয়াত করা যায়। তাই বলে সেখানে কুরআন শেখানোর আসর জমানো যায় না। ‘কুরআন-শিক্ষা’র নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। এর বাইরে নয়।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, রাসুল সা.-এর সাহাবিরা কুরআন শিখেছেন রাসুলের কাছে বা অন্য কোনো বড়মাপের ও অভিজ্ঞ সাহাবির কাছে কিন্তু মসজিদে নব্বীতে বসে।
যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে একটা নাটক করেছে—আর তারা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে এই নাটকটি করেছে। তারা যদি ভালো হতো তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ভিতরে বসে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলের ভিতরে যে মসজিদ রয়েছে সেখানে কিংবা নিজেদের অন্য কোনো নির্জনস্থানে বসে ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর জমাতে পারতো। আসলে, এই নরপিশাচদের ‘কুরআন-শিক্ষা’র কোনো লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বা ভক্তি নেই। এটা ওদের একটা বাহানামাত্র। ওদের আসল উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি হচ্ছে ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে ওদের পিতৃপুরুষের রাজনৈতিক দলের ‘শয়তানি ও ভণ্ডামি’ সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার একটা অপচেষ্টা করা। আমাদের মনে রাখতে হবে, এই পাপিষ্ঠচক্র ১৯৭১ সালে আবির্ভূত পৃথিবীর সর্বকালের সর্বকুখ্যাত জালিম-অত্যাচারী এবং মানুষ ও মানবতার চিরদুশমন পাকিস্তানী নরখাদকদের বংশধর। এদের বাপ-চাচা, মামা-খালু, নানা-দাদা, ফুফা বা অন্যান্য আত্মীয়স্বজন পাকিস্তানীদের দোসর ছিল। এরা সেই চিহ্নিত ও নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি-কমিটির সক্রিয় নেতা, কর্মী, সদস্য ও সমর্থকদের সন্তানসন্ততি। এরা কোনেদিনও বাংলাদেশ-রাষ্ট্রকে স্বীকার করেনি আর আজও করবে না। এরা এদের বাপ-দাদাদের মতো দেশবিরোধী ঘাতক হয়েই চিরকাল বেঁচে থাকবে। তা থাকুক গে। এদের পাত্তা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর এরা কখনোই ধার্মিক নয়, প্রকৃত মুসলমানও নয়, এরা মানুষ হওয়া তো দূরের কথা—মানুষ হওয়ার চেষ্টাকারীও নয়। এরা ভবিষ্যতের জঙ্গি। আপনাদের জ্ঞাতার্থে পূর্বেই বলেছি, এরা সাধারণ কোনো ছাত্র নয়। দেশের চিহ্নিত ইসলামপন্থী বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নিয়মিত ও সক্রিয় সদস্য। এরা পবিত্র কুরআন শিখতে সেদিন বটতলায় জমায়েত বা সমবেত হয়নি। তাদের অন্য উদ্দেশ্য ছিল।
তাদের অসৎ-উদ্দেশ্য ত্রিবিধ:
১. ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মগজ-ধোলাই করা, যাতে তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে। আর তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে।
২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত-শিবিরের অপরাজনীতি এখনও নিষিদ্ধ। এভাবে বিভিন্ন ব্যানারে তারা কর্মসূচি চালাতে চাচ্ছে। সেটা এই ‘কুরআন-শিক্ষা’র আড়ালে স্পষ্টত প্রতীয়মান।
৩. পবিত্র কুরআনকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জামায়াত-শিবির’ সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে ও রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।
এদের এই শয়তানি কার্যকলাপকে ভালোভাবে বোঝাবার জন্য আপনাদের ফ্লাশব্যাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি সেই আশির দশকে। তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় সামরিকজান্তা জিয়াউর রহমান। আর এই জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা-দখল করেই দেশের পবিত্র সংবিধান থেকে রাষ্ট্রপরিচালনার চারমূলনীতিকে মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিয়েছিল। সর্বোপরি একাত্তরের সর্বস্তরের পরাজিতশক্তি তথা রাজাকারদের পুনর্বাসিত করার অপচেষ্টাও করছিল। আর একটা ‘গোলাম আযমে’র মতো চিহ্নিত ও ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্পেশাল বিমান পাঠিয়েছিল। এবং এই জিয়াউর রহমানই তাকে সসম্মানে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু কৌশলগত কারণে জিয়াউর রহমান সেদিন-তখনও ‘জামায়াত-শিবির’কে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার হুকুম দেয়নি। তবে জিয়ার আশ্রয়প্রশ্রয়ে তারা বসে থাকেনি। তারা গোপনে আবার সংগঠিত হতে থাকে। জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের সর্বস্তরের রাজাকাররা এইসময় নিজেদের ‘মহামান্য খলিফা’ হিসাবে স্বীকার করে নিয়ে তার অধীনে ধর্মচর্চা ও ধর্মের নামে অপরাজনীতি শুরু করে দেয়। তারা ভিতরে-ভিতরে খুব সক্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। এইসময় থেকেই তারা নিজেদের মতাদর্শী লোকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের জন্য দেশের বিভিন্নস্থানে ‘ইফতার-মাহফিল’ বা ‘ইফতার-পার্টি’সহ নানাবিধ ভুঁইফোঁড় সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে ‘সুধী-সভা’র আয়োজন শুরু করে দেয়। আসলে, এটা নামেই ছিল ‘ইফতার-পার্টি’ আর ‘সুধী-সমাবেশ’। কিন্তু আসলে এটা ছিল কর্মীসভা আর নিজেদের (জামায়াত-শিবিরের) এজেন্ডা বাস্তবায়নের এক চূড়ান্ত ও মৌন জনসভা। আপনারা মনে রাখবেন, বঙ্গবন্ধু-সরকারের আমলে সাংবিধানিকভাবে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। এদের রাজনৈতিক সুবিধা দিতে সেই সময় জিয়াউর রহমান সংবিধানের অনেক ধারা ও উপধারা বাতিল করলেও যুদ্ধাপরাধীরা গণরোষের ভয়ে সরাসরি মাঠে নামতে সাহস পাচ্ছিলো না। তাই, এরা (জামায়াত-শিবির) সেই সময় সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না-পেরে কৌশলীয় ‘ইফতার-মহফিলে’র ছত্রচ্ছায়ায় নিজেদের রাজনীতির পথকে সুগম করতে থাকে। সেই থেকে এই বিদআতি কার্যক্রম ‘ইফতার-মাহফিল’ বা ‘ইফতার-পার্টি’ ভাইরাসের মতো বাংলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে আশির দশকে জিয়াউর রহমানের স্নেহধন্য যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির ‘ইফতার-মাহফিলে’র ব্যনারে নিজেদের আবার ঘাতকরূপে সংগঠিত করতে থাকে। আর জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আরেক সামরিকজান্তা এরশাদ নিজের ক্ষমতা ও ইমেজ ধরে রাখতে স্বাধীনতাবিরোধীদের (জিয়ার মতো একই কায়দায়) রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।
আজও যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে সস্তা নাটক জমাতে চেষ্টা করেছে তারা ওই জামায়াত-শিবিরের অপআদর্শে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাসী। ওরা আজও মহান আল্লাহ-রাসুলের চেয়ে “মওদুদী, মওদুদীর গ্রন্থসমূহ, রাজাকার-সর্দার গোলাম আযম, জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তান ও স্বার্থ-রাজনীতিকে” বেশি ভালোবাসে। ওরা চিরদিন ওই পরাজিতশক্তির বংশধর। তাই, ওরা কখনোই পবিত্র কুরআনের পবিত্রতায় ও তার বাণীতে বিশ্বাসী নয়। এরা শুধু রাজনৈতিক অপশক্তি-বৃদ্ধির লক্ষ্যে পবিত্র কুরআনকে ‘ঢাল’ বানিয়ে এইসব ছ্যাবলামি করে যাচ্ছে। পবিত্র ইসলামধর্ম ওদের কাছে সবসময় ব্যবসার হাতিয়ার। আর তাই, নিজেদের ফায়দা লুটতে ওরা ঐতিহাসিক বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর বসাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি। এটা করে ওরা বরং পবিত্র কুরআনকেই অপমান করেছে। তার কারণ, কুরআন এত সস্তা জিনিস নয় যে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যেখানে-সেখানে শিক্ষা দিতে হবে। সময় এসেছে আজ সত্য বলার। আর এদের শক্তহাতে প্রতিরোধ করার। দলমতনির্বিশেষে এদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতেই হবে।
আমাদের কোনো দল নেই।
আমরা রাজাকার ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।
১৭ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:২১
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এখনই দখল নিতে পারবে না। তারা ভবিষ্যতে দখল নেয়ার বীজ বপন করছে।
তারা ধীরে ধীরে, দিনে-দিনে অগ্রসর হয়। একদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তারা এভাবে দখল করে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিল।
কথায় আছে না---উঠন্ত মূলা পত্তনেই চেনা যায়!
আপনাকে অসং খ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দারুণ লিখেছেন রফিক ভাই। একফম বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে পোস্টে।
স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গি মৌলবাদীরা দেখাতে চাচ্ছে ঢাকা ইউনিভার্সিটির সব ছাত্র মোল্লা হয়ে গেসে। শতভাগ সত্য।
১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গি মৌলবাদীরা দেখাতে চাচ্ছে ঢাকা ইউনিভার্সিটির সব ছাত্র মোল্লা হয়ে গেসে।
হ্যাঁ, এরা সেটাই দেখানোর চেষ্টা করছে।
ভাই, লেখাটি নির্বাচিত পোষ্টে স্থান পাওয়ায় কৃতজ্ঞ। এজন্য কা-ভা ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ। আমার লেখার নামের জন্য নয়। মানুষ সত্যটা উপলব্ধি করতে পারবে।
আপনাকে শুভেচ্ছা। আর শুভকামনা নিরন্তর।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৭
রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্মের অসুস্থ্য ব্যবহার।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন। এরা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সঙ্গে শুভেচ্ছারাশি।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আল্লাহ কোরানে বলেছেন, কোরান সহজভাবে নাজেল হয়েছে। রসুলও একাধিকবার বলেছেন -
"কোরান সবার জন্য সহজবোধ্য ভাবে নাজেল হয়েছে"।
অর্থাৎ নিজেই পাঠকরে আমল করবে, ব্যাস শেষ। কোরান শিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয় নি। অন্যকারো সাহায্যকারি আলেম ফালেম দরকার হয় নি। যে কারনে ইসলাম যুগে কোন আলেম ফালেম ছিলনা, মক্কা পুনদখল করার পরও কোরান শিক্ষার জন্য কোন মাদ্রাসা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে বলা হয় নি।
কিন্তু পরে ইসলামি রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বলা হলো 'কোরান বোঝা এত সোজা না', তাই অনেক আলেম অনেক স্কলার গজিয়ে উঠলো।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমত। একদম ঠিক বলেছেন।
আমাদের এখানে আদিখ্যেতা বেশি।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪২
কামাল১৮ বলেছেন: এরা শিবির।এদের প্রতিহত করতে হবে।৭১ মতো আবার জেগে উঠতে হবে।নয়তো এরা সমাজকে কলোশিত করবে।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৯
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অবশ্যই। এজন্য সবাইকে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা অফুরান।
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৫
আরইউ বলেছেন:
সাইয়িদ,
আপনি লিখেছেন, “এই রমজান-মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র-নামধারী (যারা বিভিন্ন ইসলামি ছাত্রসংগঠনের সক্রিয় নেতা, কর্মী, সমর্থক ও সদস্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় উন্মুক্ত মাঠের মধ্যে হঠাৎ করে একটা সাইনবোর্ড ও একটা আধুনিক বোর্ড টাঙ্গিয়ে ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করতে অপচেষ্টা করেছে।”
আপনার কাছে প্রমান আছে যারা ওখানে ছিল তারা “বিভিন্ন ইসলামি ছাত্রসংগঠনের সক্রিয় নেতা, কর্মী, সমর্থক ও সদস্য”? প্রমান থাকলে একটু বিস্তারিত উপস্থাপন করবেন দয়াকরে?
ধন্যবাদ।
১৭ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ওরা কথিত ‘আরবি সাহিত্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এই কাজটি করেছে। আসলে, খুঁজলে এই নামে কোনো সংগঠন খুঁজে পাওয়া যাবে না। এর মূল কারণ, শিবির নিজেদের প্রয়োজনে এভাবে মাঝেমাঝে ভুঁইফোঁড় সংগঠন গড়ে তোলে। আর এর পিছনে থাকে, কলকাঠি নাড়ে শিবিরের ছেলেরা। এর মধ্যে শিবির ব্যতীতও দুই-চারজন অন্য পন্থী হতে পারে। কিন্তু তারাও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে আস্থাশীল নয়। আমি ঢাকা-শহরের একটা প্রতিষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছি। আর আমার কতিপয় ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ে। আর এরা আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ইসলামের ইতিহাসসহ প্রভৃতি ডিপার্টমেন্টের ছাত্র তারা। এদের কয়েকজনের কাছে জানতে পেরেছি, এই ঘটনার মূলে রয়েছে শিবির। মনে রাখবেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হেফাজতি, তাবলিগি, কওমি থাকলেও তারা সংগঠিত নয়। কিন্তু শিবির ভিতরে-ভিতরে সবসময় সংগঠিত। আমার ছাত্ররা ভুল বলেনি। আর প্রত্যক্ষ প্রমাণ চাইলে এর ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব বেরিয়ে আসবে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আর এতেও আপনি সন্তুষ্ট না-হলে সরাসরি দেখা করতে পারেন। আপনাকে আমার ছাত্রদের বক্তব্য শুনায়ে দিতে পারবো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই সব কুরআন ফুরআন একটা জাতিকে গবেট বানানোর জন্য যথেষ্ট, ওই বই যারা পড়ে তারা গণহারে গবেট।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: কুরআন পড়া নিয়ে আমার আপত্তি নেই, ভাই।
কুরআন পড়ার জায়গা আছে। ওদের ঘর আছে। মসজিদ আছে। মাদ্রাসা আছে। কিন্তু ঐতিহাসিক বটতলায় কেন?
আর এটাতো কুরআন-শিক্ষার আসর নয়। এটা অপরাজনীতির কৌশল। তাই, আামর আপত্তি।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আরইউ - স্কুল-কলেজের যে সকল ছেলেপেলে কুরআনের মজমায় বিচরণ করে তারা কোন না কোন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য, এদের ধরে কিছু উত্তম মাধ্যম দিলেই থলের বিড়াল ( প্রমাণ ) সব বের হয়ে আসবে।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:২৯
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর শুভকামনা।
৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: চৌদ্দশত বছর আগের একটা বই নিয়ে মানুষ গবেষণা করতে করতে আজ পর্যন্ত কিছু বুঝতে পারেনি, এমন আজগুবি একটা বই নিয়ে নতুন করে আর গবেষণার কি হলো?
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৬
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: তা ওরা গবেষণা করুক গে। কিন্তু বটতলায় কীসের জন্য?
দুরভিসন্ধি! দুরভিসন্ধি! দুরভিসন্ধি!
অশেষ ধন্যবাদ, ভাই।
১০| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৫:৪৬
পুরানমানব বলেছেন: চৌদ্দশত বছর আগের একটা বই নিয়ে মানুষ গবেষণা করতে করতে আজ পর্যন্ত কিছু বুঝতে পারেনি, এমন আজগুবি একটা বই নিয়ে নতুন করে আর গবেষণার কি হলো?
কিছু আবাল বুঝতে পারে নাই।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০২
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: মানুষকে নিজের মতো করে বুঝতে দিন। কারও মনের ওপরে জোরখাটানো সমীচীন নয়।
জোর করে কোনোকিছুই হয় না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৫:৪৮
পুরানমানব বলেছেন: এদের ধরে কিছু উত্তম মাধ্যম দিলেই থলের বিড়াল ( প্রমাণ ) সব বের হয়ে আসবে
উগ্রবাদী, মানসিক বিকারগ্রস্ত মন্তব্য।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
অশেষ ধন্যবাদ, ভাই।
১২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নিশ্চয়ই ইহা সহজ ভাষায় (আরবী ) লিখিত হইয়াছে যাহাতে তোমরা সহজে বুঝিতে পারো।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: তবু উহারা বুঝিতে পারে না!!!
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, ভাই।
শুভকামনা নিরন্তর।
১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: https://www.rtvonline.com/others/264544
@ আর ইউ , আপনি উপড়ের লিং কে গিয়ে দেখেন মুল খবর। আরবী সাহিত্য পরিষদের স্টুডেন্টদের এই লেখক জঙ্গী ট্যাগ করতে চাইছে।
১৭ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ওরা কথিত ‘আরবি সাহিত্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এই কাজটি করেছে। আসলে, খুঁজলে এই নামে কোনো সংগঠন খুঁজে পাওয়া যাবে না। এর মূল কারণ, শিবির নিজেদের প্রয়োজনে এভাবে মাঝেমাঝে ভুঁইফোঁড় সংগঠন গড়ে তোলে। আর এর পিছনে থাকে, কলকাঠি নাড়ে শিবিরের ছেলেরা। এর মধ্যে শিবির ব্যতীতও দুই-চারজন অন্য পন্থী হতে পারে। কিন্তু তারাও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে আস্থাশীল নয়। আমি ঢাকা-শহরের একটা প্রতিষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছি। আর আমার কতিপয় ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ে। আর এরা আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ইসলামের ইতিহাসসহ প্রভৃতি ডিপার্টমেন্টের ছাত্র তারা। এদের কয়েকজনের কাছে জানতে পেরেছি, এই ঘটনার মূলে রয়েছে শিবির। মনে রাখবেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হেফাজতি, তাবলিগি, কওমি থাকলেও তারা সংগঠিত নয়। কিন্তু শিবির ভিতরে-ভিতরে সবসময় সংগঠিত। আমার ছাত্ররা ভুল বলেনি। আর প্রত্যক্ষ প্রমাণ চাইলে এর ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব বেরিয়ে আসবে।
আর এদের জঙ্গি বলা হয়নি। বলা হয়েছে: এরা ভবিষ্যতের জঙ্গি। কারণ, আমরা হলি আর্টিসানে তা-ই দেখেছি। এভাবে ওদের পাল্লায় পড়ে জঙ্গি হতে পারে।
১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯
ধুলো মেঘ বলেছেন: লেখকের কিছু অযৌক্তিক উক্তির কারণে কিছু কিছু ব্লগারের এই পোস্টটি খুব মনে ধরেছে।
১। কতিপয় ছাত্র নামধারী - তারমানে এরা কেউ আসলে ছাত্র নয়
২। হঠাৎ করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে নাটক মঞ্চন্থ করেছে - ওরকম জায়গাতে কি এটা আদৌ সম্ভব?
৩। ঢাবি শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা বাদ দিয়ে কুরআন শিখতে মহাব্যস্ত হয়েছে - এরা কি সবাই পড়াশুনা ত্যাগ করেছে? এই তথ্য তিনি পেলেন কোথায়? আর ঐখানে কি কুরআন শিখানো হচ্ছিল, নাকি কিরাত হচ্ছিল?
৪। ৩ আর ৪ নং প্যারায় তিনি যা লিখেছেন, তাতে বোঝা গেল ইসলাম প্রচারের পদ্ধতি সম্পর্কে তার কোন ধারণাই নেই। ইসলাম প্রচার যে কোন সময় যেকোন যায়গায় হতে পারে। কুরআনে কোথাও নিষেধ করা নেই যে, বটতলায় বসে কুরআন পাঠ করা যাবেনা। এখন লেখকের চুলকানি কোথায়? বটতলায় কুরআন তেলাওয়াত করায় কি বটতলার ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে গেল?
৫। শেষ প্যারায় যা লিখেছেন, তা সত্য হলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু কোন রেফারেন্সও বা ভিত্তি ছাড়া বানিয়ে বানিয়ে যা খুশী তাই আবোল তাবোল লিখেছেন। এগুলো আমলে নেবার কোন যুক্তি নেই।
৬। পরিশেষে, ধরে নিলাম ঐ কাজ জামায়াত-শিবিরই করেছে - এটার প্রমাণ কি? ধরলাম প্রমাণও পেলেন। এখন কি করতে চান? আপনার ক্ষোভ কার বিরুদ্ধে? কুরআনের নাকি জামায়াত-শিবিরের?
১৭ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫০
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়। কারণ, আপনি বিপরীত আদর্শের ব্যক্তি।
আপনার প্রশ্নগুলোর জবাব নিচে দেওয়া হলো:
১. একথার মানে হলো, এরা আসলে মনেপ্রাণে ছাত্র নয়। হয়তো কাগজেকলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কিন্তু এদের মধ্যে ছাত্রত্বের কোনো আদর্শ নেই। তাই...। এরা নাম-ধারী ছাত্র-মাত্র। আসলে, এরা বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কর্মী।
২. একথার মানে হলো, আগে সেখানে কখনো কেউ এসব করতে দেখেছে? দেখেনি। এবার তারা হঠাৎ করে এবং পরিকল্পিতভাবে এটা করেছে।
৩. এখানে, আপনি কথার মানে পুরোপুরি না-বুঝে এবং বাক্যের পুরো কথাটা তুলে না-দিয়ে খণ্ডিত অংশ নিয়ে হইচই করতে চেয়েছেন। তার কারণ, আমার পূর্ণ বাক্যটি হবে—“আর এভাবে এরা দেখাতে চেয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন পড়ালেখা বাদ দিয়ে ‘কুরআন-শিক্ষা’ নিয়ে মহাব্যস্ত হয়ে পড়েছে।” এরা দেখাতে চেয়েছে, তা-ই বলেছি। ছাত্ররা কুরআন নিয়ে মহাব্যস্ত হয়ে পড়েছে—কখনোই তা বলিনি। আগে ভালোভাবে পড়ুন তারপর কথা বলুন।
৪. ৩ নং ও ৪ নং প্যারা আপনি বুঝতেই পারেননি। ওদের-কে এভাবে ইসলামের দাওয়াত দিতে কে বলেছে? আপনি বলেছেন? আজকের দিনে এভাবে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার পারমিশন কারও নেই। আপনি না-বুঝে এভাবে আক্রমণাত্মক কথা বলতে পারেন না। আমি যদি পাল্টা প্রশ্ন করি: আপনার চুলকানি কোথায়?
৫. এটা যৌক্তিক বিশ্লেষণ। এর জন্য ওই আরটিভির ওই ভিডিওটুকুই যথেষ্ট। আগেই বলা হয়েছে, বটতলা ‘কুরআন-শিক্ষা’র কোনো জায়গা নয়। ওরা অস-উদ্দেশ্যে সেখানে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছে। আপনার কাছে আবোলতাবোল মনে হওয়ার মানে হলো, আপনি আমাদের বিপরীত আদর্শের লোক। এটা সুস্পষ্ট।
৬. ওটা জামায়াত-শিবিরই করেছে। ওটা ওদেরই অপকর্ম। আমার ক্ষোভ ধর্মব্যবসায়ীচক্র তথা জামায়াত-শিবিরের মতো দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এদের বিরুদ্ধে শত-সহস্র প্রমাণ রয়েছে। আপনি “আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল’-এ যান। সেখান থেকে এদের অপকর্মের নকল কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৭
আচার্য বাঙালি বলেছেন: ধুলো মেঘ [/su ধুলো মেঘ আপনার জাতিভাইদের বিরুদ্ধে বলেছে। তাই এতে লেগেছে।
আরবি সাহিত্য পরিষদ আসলে শিবিরের আরেকটি ব্যানার। তাদের ফায়দা লোটার জন্য কত কী বানাতে হয়।
সত্য লিখলে আপনাদের কাছে আবোলতাবোল মনে হয়। হাজার হলেও জাতিভাই যে!
১৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনি আর ইউ ভাই এর মন্তব্যের জবাব গুছিয়ে দিন। আর গুলো তাবলীগে ক্লাসের লোল এদের কথা পাত্তা দেয়ার কিছু নেই।
১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৭
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এর মন্তব্যের জবাব দিয়েছি। আশা করি, দেখবেন ।
আমি ত্রিশ বছর যাবৎ এই জামায়াত-শিবির, তাবলিগ, হেফাজত, কওমি, বিভিন্ন ভণ্ডপীর ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করেছি। এদের চরিত্র-সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। এরা, এদের-সম্পর্কে কাউকে সত্য বলতে দেখলে খুব ক্ষেপে যায়। আমি বুঝেশুনেই বিষয়টি নিয়ে লিখেছি। এরা এভাবেই বিভিন্ন ব্যানারের আড়ালে নিজেদের সংগঠিত করতে থাকে। পরে বিস্ফোরণ ঘটায়। নাশকতা করে।
আপনি ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা নেবেন। আর চায়ের দাওয়াত রইলো। শুভকামনা।
১৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫০
আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: এসব ঘটনার এত প্রমাণ চায় কারা? যারা দুর্ঘটনা ঘটায়, নাশকতায়, ও দেশদ্রোহিতায় লিপ্ত হয় তারা কী সব প্রমাণ পাবলিকের সামনে রেখে যেতে চায়? আসলে এরা এসব অপকাণ্ডকে সমর্থন করে। তাই এভাবে কথা বলতে কোনো শরম পায় না। এদের জন্যই এই জাতির আজ এই দুরবস্থা!
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৮
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা আর শুভকামনা।
১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিছু আবাল বুঝতে পারে নাই। - বটতলায় এসব আবালরা বসেছিলো কি এটা নিয়ে গবেষণা করার জন্য? এদের এসব আবালিয় কর্মকান্ড কবে বন্ধ হবে? লেখা পড়া বাদ দিয়ে কি তারা এখন কুরআন গবেষণা করবে?
১৭ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। কিছু লোক তা-ই বলছে। আর এরা এমন ভাব দেখাচ্ছে যে, ওরা যেন ওখানে “ফিডার” খেতে বসেছিল। আসলে, ওরা এভাবে জনসমক্ষে মহড়া দিয়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো অফুরান। আর শুভকামনা নিরন্তর।
১৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ঢাবি থেকে মিশন শুরু করতে চাচ্ছে নাকি?
১৭ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: তলে-তলে সেইরকম একটা ইচ্ছে ও খায়েস তাদের বহুদিনের। তারা শুধু সুযোগের অপেক্ষায়। এজন্য বিভিন্ন ব্যানারে সংগঠিত হতে চায়।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
২০| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
পুরানমানব বলেছেন: বটতলায় এসব আবালরা বসেছিলো কি এটা নিয়ে গবেষণা করার জন্য? এদের এসব আবালিয় কর্মকান্ড কবে বন্ধ হবে? লেখা পড়া বাদ দিয়ে কি তারা এখন কুরআন গবেষণা করবে?
ইসলাম বিদ্বেষী ছাগুগুলো অনেক কাল থাকিয়াই চেষ্টা করিয়া আসিতেছে, ফলাফল শুন্য। ইহাদের কর্মকান্ডের কোন আআউটপুট নাই।
২১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ব্যাপারটা ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। ইসলামকে নিয়ে যারা ব্যবসা করে খাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কথাটা বলা হয়েছে। হয়তো আরও সহনশীলতার সঙ্গে কথাটি বললে ভালো হতো। তবে এই দেশে জঙ্গিদেরও কোনো ভবিষ্যৎ নাই।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
২১| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: একজন অধ্যাপক হিসেবে কোন ধরনের তথ্য প্রমান বীহিন কেবল আপনার কিছু ছাত্রের বয়ানে কাউকে শিবির , জঙ্গী ট্যাগ করাতো আরো অশোভন ও দৃষ্টিকটূ । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বা আরবি ডিপার্টমেন্ট কি এদের বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে? তাহলে তার লিংক দিন। আপনি এসব ছাত্রদের রিমান্ডে নেবার কথা বলেছেন । খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে আপনি বলার কে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যাই হোক, তা দেখভাল করার দ্বায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের । ব্লগ মানে যা মনে এল তা বলার প্ল্যটফর্ম না। আপনি যেহেতু স্বনামে লেখেন ও নিজেকে একজন অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন , তাই আপনার দ্বায়িত্ব আরো অনেক বেশি।
২২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জঙ্গিদের (আসলে শিবির) দের বটতলায় হাউকাউ করার অনুমতি দেয়ার অপরাধে ঢাবি কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় প্রধানকে শোকজ দিয়েছে।
১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জ্বি, জেনেছি। এতদিনে তাহলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়লো।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
https://www.facebook.com/me/
২৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৬
নিমো বলেছেন: @ধুলো মেঘ, গত ১১ মাসে এরা কয়বার বটতলায় বসেছে ? মুয়াবিয়া ও আলির মধ্যে যুদ্ধে মুয়াবিয়ার সৈন্যরা কুরআন বহন করছিল, আলি কুরআনের প্রতি শ্রদ্ধাবশত যুদ্ধটা করেন নাই। ফলাফলতো ইতিহাসেই আছে। কুরআন পাঠ করছিল বলেই কেউই নিস্পাপ হয়ে যায় না। ইসলামের ইতিহাসের গৃহযুদ্ধগুলো, খলিফাদের খুনগুলো, এসব কুরআআন বহনকারী, পাঠকারী শয়তান দ্বারাই সংঘঠিত হয়েছে।
১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমত। একদম সত্য বলেছেন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভকামনা।
২৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ মোহাম্মদ গোফরান , বটতলায় কোড়য়ান তেলোয়াতের আসর বসানো শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চেয়ে শোকজ করেছে কলা বিভাগের ডীণ। আরবি ডিপার্টোমেন্ট কি এসব শিক্ষার্থীদের জঙ্গী , শিবির হিসেবে পরিচয় দিয়েছে ? তাদেরকে শিবির , জঙ্গী হিসেবে কোথায় আখ্যা্যিত করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত লিংক দিন।
২৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৭
এস.এম.সাগর বলেছেন: আল-কুরআনের বিরুদ্ধে কখনোই বিরুদ্ধকারীরা সফল হবেনা।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১১
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বটতলায় নাটককারীরাই কুরআনবিরোধী। এরা ধর্মব্যবসায়ী।
কুরআনের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নাই। আমরা ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভাই আপনার লিংকটি কাজ করছে না। আমার ফেসবুক আই ডি - Mohammad Gofran. আপনার আইডি লিংক দিন। আমি এড দিচ্ছি।
২৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তাবলিগ এর মধ্যেই শিবির ও জঙ্গিরা ঘাপটি মেরে বসে থাকে। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। অনেক ছাত্রলীগ তাবলীগে যায়। ছাত্রলীগ তাবলীগ এর গায়ে হাত তুলতনা। প্রশাসনের কাছে তথ্য ছিল শিবির তাবলীগ ভেক ধরে ঢাবিতে মৌলবাদী কার্যক্রম চালায়। তদন্দ হোক সব বের হয়ে আসবে।
সিনটম বুঝেন তো? কোন বক্তব্য উপস্থাপন এর জন্য সিন্টমই যথেষ্ট। অহেতুক জোহরের নামাজের পর তাবলীগ কখনোই বটতলায় হাউকাউ করবেনা। ওরা মসজিদে আলোচনা করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে নিষেধ করা একটি স্থানে যখন কোরান পাঠের আসর বসানো হয় বুঝে নিতে হবে এগুলো শিবিরের কাজ। শিবির কি প্রকাশ্যে আসতে পারবে? তাই তাবলীগ দের ও কোরান কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৭
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বুঝতে পেরেছি। সকল অপকাণ্ডের পিছনে থাকে শিবির।
জামায়াত-শিবির ব্যতীত কেউই কুরআন নিয়ে ব্যবসা করতে যাবে না।
এরা নানান কথা বলে এখন পার পাওয়ার চেষ্টা চালাবে।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইহাদের কর্মকান্ডের কোন আআউটপুট নাই। এসব আউটপুরের চিন্তা আপনার করার দরকার নেই, নিজের ম্যশিনে তেল দিয়ে এসব জঙ্গিবাদ বন্ধ করেন, দেশের মানুষ শ্বান্তি চায়।
২৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭
এম ডি মুসা বলেছেন: না তবে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার আছে সংবিধানে। এটা করতে পারে তবে এরা যে খারাপ এটা আমি বলবো না এরা যে ভালো তা আমি বলবো না। যদি তাদের সৎ এবং ভালো উদ্দেশ্য সৃষ্টিকর্তার আরাধনা অনুসারী হয়। তাতে এতে কোন দোষ নেই। অন্য কোন উদ্দেশ্য মূলক যদি তারা করে থাকে তাহলে সেটা তাদের অন্যায় হবে
২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:০৪
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: তাদের উদ্দেশ্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধেই বলা হয়েছে।
ধর্ম, পবিত্র কুরআন এগুলোর সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩০| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ওদের উচিৎ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা।
৩১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩
নাজনীন১ বলেছেন: ক্যাঁচাল পোস্ট দেখলে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে! স্মৃতিকাতর হই!
তবে কোন ক্যাঁচালে না গিয়ে এটা জানতে চাইছি বটতলার ইতিহাসটা কি?
তবে ঢাবির আরবী ডিপার্ট্মেন্টে বয়স্ক আরবী গ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু করলে আমার মতো আরবী কম শিক্ষিত মানুষের অনেক উপকার হতো!
এক কালে রোকেয়া হলে বসে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তৎকালীন ছাত্রনেতারা কলরেডি মাইক হাতে পেলে যে আর ছাড়তো না, চেঁচিয়েই যেত, সেটা আজকে আপনার অনুভূতির মতোই লাগতো! এক্কেবারে কান ঝালাপালা!
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ছাত্ররা দেশের জন্য মাইকে কথা বলতো।
আর ওরা কুরআনের নাম ভাঙিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য জমায়েত হয়েছিল।
সত্য কখনো ক্যাচাল হয় না। অবশ্য না-বুঝতে পারলে সবই মিথ্যা মনে হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩
নীল আকাশ বলেছেন: ইসলাম, কুরআন শিক্ষা, মুসলিম ইত্যাদি শব্দগুলো যখন দেহে জ্বলাপোড়ায় তখন এই ধর্ম ত্যাগ করে ফেলুন না কেন?
কে বাধা দিচ্ছে আপনাকে?
শান্তি পেয়েছেন এই পোস্ট দিয়ে? পাত্তি পাননি এখনো কোনো?
দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা যে আজ এত করুণ অবস্থা আপনার মতো শিক্ষকদের দেখলেই বোঝা যায়।
এইসব গার্বেজ পড়ার জন্য আজকাল ব্লগে আসতেও ইচ্ছে করে না।
দেশে আসলেই দুরাবস্থা চলছে। কলা বিজ্ঞানীরা এখন এটম বোমা বানায়!
১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০২
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমরা মুসলিম। ইসলাম আমাদের প্রাণের ধর্ম।
ইসলাম ও কুরআনের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই।
কিন্তু যারা ইসলাম ও কুরআনকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থের ব্যবসা ও ধান্দাবাজি বাড়াতে চায়, সমাজে তা ছড়াতে চায়, এবং এগুলোকেই যারা জীবন-জীবিকার প্রধান পাথেয় মনে করে, তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের সংগ্রাম।
আর আমরা কেন ধর্মত্যাগ করবো? প্রয়োজন হলে আপনি ধর্মত্যাগ করুন গে। আর আপনি আমাকে ধর্মত্যাগ করতে বলার কে?
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আপনার মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। কারণ, আপনার শিক্ষা ও শিষ্টাচারের যে অভাব রয়েছে, তা আপনার ভাষা দেখলেই বোঝা যায়। আপনার এই মন্তব্যে ভদ্রতার কোনো বালাই নেই!
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হয়তো কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু তাও একদিন দূর হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
আপনারা দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করেও কিছু করতে পারবেন না।
আমরা গার্বেজ রচনা করি না। সত্য লিখি। আর সত্য সবাই পড়তে পারে না। হজম করতে পারে না। ভালোবাসতে পারে না। আমরা মানুষের পক্ষে। আর মানুষ ও মানবতার স্বার্থে রাজাকার, রাজাকারি, ধর্মব্যবসায়ী, আর ভণ্ডদের অপকর্মের বিরুদ্ধে লিখি।
আপনার ভালো না-লাগলেও এসব সত্য আমাদের লিখে যেতে হবে। আর দেশে সত্য গ্রহণের মতো যথেষ্ট মানুষ রয়েছেন।
মানুষ ও মানবতার জয় হবেই। সত্যকে সত্য বলে গ্রহণ করতে শিখুন।
৩৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: @নীল আকাশ, আপনারা ব্লগে আসেন না বলেইতো ব্লগের এই অবস্থা! বিয়ে বাড়ীর ফটোগ্রাফার এখন ব্লগের অন্যতম পপুলার ব্লগার। ব্লগ এখন সোজা কথায় ক্ষমতাসীনদের চোখে পড়ার বাসনাধারী ধান্দাবাজদের বিচরন ক্ষেত্র। একবার চক্ষে পড়তে পারলেই হল , লাইফ সেট !!
৩৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
পুরানমানব বলেছেন: বিয়ে বাড়ীর ফটোগ্রাফার এখন ব্লগের অন্যতম পপুলার ব্লগার। ব্লগ এখন সোজা কথায় ক্ষমতাসীনদের চোখে পড়ার বাসনাধারী ধান্দাবাজদের বিচরন ক্ষেত্র। একবার চক্ষে পড়তে পারলেই হল , লাইফ সেট !!
মন্তব্যখানা মনে ধরিল,
৩৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১
এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: আমাদের প্রধান আমীর এর উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত আমিরের কণ্ঠস্বর উঁচু হয়েছে দেখি।
৩৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
পুরানমানব বলেছেন: জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইহাদের কর্মকান্ডের কোন আআউটপুট নাই। এসব আউটপুরের চিন্তা আপনার করার দরকার নেই, নিজের ম্যশিনে তেল দিয়ে এসব জঙ্গিবাদ বন্ধ করেন, দেশের মানুষ শ্বান্তি চায়।
*জঙ্গিবাদ দমন * ট্যাগ ব্যবহার করিয়া দেশের সাধারণ মানুষদের অশান্তির মধ্যে রাখিয়াছে অসভ্যগুলো।
৩৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
দারুণ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন। তার মাঝে একটি - পবিত্র কুরআন যেখানে-সেখানে তেলাওয়াত করা উচিৎ নয়। নবীজী নিজে যেহেতু এই কাজ করেন নাই, আমাদেরও করা উচিৎ নয়।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪১
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জ্বি, ভাই।
অনেকে তা বুঝতে পারেনি। আপনার সুন্দর উপলব্ধির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আর সঙ্গে শুভেচ্ছা অফুরান।
৩৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৪
আরইউ বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ, সাইয়িদ, সময় নিয়ে আমার মন্তব্যের জবাব দেয়ার জন্য।
আমি দেশে বসবাস করিনা। দেশের রাজনীতির বর্তমান ল্যান্ডস্কেপ সম্পর্কে আমার ধারণা সামান্য। তাই তথ্যের জন্য ব্লগ, পত্রিকা বা নিউজ মিডিয়ার উপরে ভরসা করতে হচ্ছে। যতটুকু জেনেছি বিভাগীয় প্রধান বা ডিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। ওখান থেকে হয়ত ঐ ছাত্রদের পরিচয় জানা যাবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বটতলা সবার; সেখানে নাচ হতে পারে, গান হতে পারে, ছবি আকাঁর প্রতিযোগিতা হতে পারে, আবার কুরআন পাঠের আসরও বসতে পারে। তবে, আপনার আশংকা কিন্তু উড়িয়ে দেয়ার উপায় নেই। এমন আগে হয়েছে। তবু আংশিক সত্য জেনে আমি কোন উপসংহারে পৌছাতে চাইনা।
ভালো থাকুন। কোন আপডেট থাকলে আমাদের জানাবেন দয়াকরে।
৩৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে মানুষ নিজেকে গর্বিত মনে করত ।
সেই দিন এখন আর নাই।
দিন বদলেছে ।
এখন বিভাগে বিভাগে হুজুর তাবলীগ আর হিজাব-নেকাবে ভরপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ,নাকি ঢাকা মাদ্রাসা!?
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৫
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে ফেলার একটা চক্রান্ত হচ্ছে।
আশা করি, কেটে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকেই মাদ্রাসার পরিমণ্ডল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তজ্জন্য সরকারকে এগুতে হবে সবচেয়ে বেশি। নইলে হিতে বিপরীত।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
৪০| ২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:২৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে ব্লগের বিএনপি পন্থিরা তেড়ে আসে কেন?
আমি এই ব্যাপারটা আগেও খেয়াল করেছি। আসলে এরা বাস্তবে বিএনপি নয়। বিনপি নামধারি শিবির।
২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৭
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জ্বি, ভাইজান, সঠিক বলেছেন। আর এদের জন্য দেশের ও দশের পক্ষে সত্য কথাটাও লেখা যায় না।
এরা বাইরে বিএনপির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখে। আসলে, ভিতরে-ভিতরে জামায়াত-শিবির।
তাই, লেজ আপনা-আপনি বেরিয়ে আসে। আর এরা লেখার সমালোচনা না-করে লেখকের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর পাশে থাকায় কৃতজ্ঞ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২১
সোনাগাজী বলেছেন:
ইউনিভার্সিটি দখলে নিচ্ছে?