নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনুন নিশাত সাহেব নিজেই বঙ্গবন্ধুর উক্তি “বানিয়ে” নিয়েছেন! কিন্তু কেন? জানেন?

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫১



আইনুন নিশাত সাহেব নিজেই ‘বঙ্গবন্ধু’র উক্তি “বানিয়ে” নিয়েছেন! কিন্তু কেন? জানেন?
সাইয়িদ রফিকুল হক

গত পহেলা এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ফেসবুকে একটা বক্তব্য ভাইরাল হলো। এই বক্তব্যটি প্রদান করেছেন বিশিষ্ট প্রকৌশলী ড. আইনুন নিশাত সাহেব। তার এই বক্তব্যটি হলো:

“দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন অধ্যাদেশ করে শিক্ষকদের রাজনীতি ইত্যাদির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের জন্য অধ্যাদেশের খসড়া যখন বঙ্গবন্ধুর সামনে উপস্থাপন করা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন যে এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয় নষ্ট করা চলবে না।”


বক্তব্যটি সঙ্গে-সঙ্গে ফেসবুকসহ নানান সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ‘হুজুগে বাঙালি’ একটা জিনিস একবার পেলে আর রক্ষা নেই। সেটা সমানে খেতে থাকে। যাচাই নেই বাছাই নেই। চোখ বুঁজে “শেয়ার” করতে আর “বলতে” পারলেই হলো। হয়েছেও তা-ই। যে যেমনে পেরেছে তার এই কথাটা ছড়িয়ে দিয়েছে অনলাইনে। কোনোরকম পরীক্ষানিরীক্ষা আর চিন্তাভাবনা ছাড়াই উপর্যুক্ত কথাটি ‘বঙ্গবন্ধু’র নামে চালানো হয়েছে। কারও নিজের বানানো ও মনগড়া কথা ‘বঙ্গবন্ধু’র কথা হয় কীভাবে?

বক্তব্যটি দেখার সঙ্গে-সঙ্গে আমার মনে চতুর্বিধ প্রশ্ন জাগে:

প্রথমত; ‘বঙ্গবন্ধু’র মতো বড়মাপের নেতা কখনোই বলতে পারেন না, “এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয় নষ্ট করা চলবে না।” তার মানে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নষ্ট করা যাবে! কী রকম ভয়াবহ ও আজগুবি কথা! এটা ‘বঙ্গবন্ধু’র রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে ভয়ানক সাংঘর্ষিক। তাঁর কাছে বাংলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমান ও আদরের। কারণ, তিনি বাঙালি জাতির জনক। আর পিতা কখনোই পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন না। এ-কথার আরও অর্থ হয় যে, এই দুটো প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর সব খারাপ! তাই, এগুলো নষ্ট হলে কোনো সমস্যা নেই! কতবড় ভয়াবহ কথা! এটা কখনোই বঙ্গবন্ধু বলেননি।
দ্বিতীয়ত; স্বাধীনতার পর-পর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক মনগড়া কথাবার্তা বলা হয়েছে। আর এগুলো করেছে তাঁর বিরোধীপক্ষ—বামপন্থীদের একাংশ ও ডানপন্থীদের (পাকিস্তানপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সেবাদাসগং) সমগ্র।
তৃতীয়ত; হ্যাঁ, এরকম কথা কেউ শুনতে পারেন। যদি তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’র খুব কাছের লোক হয়ে থাকেন তাহলে। তার কারণ, ‘বঙ্গবন্ধু’র কাছের লোকেরা সবসময় তাঁর কাছে যাতায়াত করতেন। আর তাদের কাছে কোনো-এক-সময় ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়তো কথায়-কথায় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কোনো-একটা কথা আন-অফিসিয়ালি বলতে পারেন। তাই বলে এমন স্বজনপ্রীতির, পক্ষপাতদুষ্ট ও সাংঘর্ষিক কোনো কথা নয়।
চতুর্থত; আইনুন নিশাত সাহেবরা কখনোই ‘ছাত্রলীগে’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কখনোই ‘ছাত্রলীগ’ করেননি। তারা করেছেন হয়তো করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন। আর ছাত্র ইউনিয়নের ছেলেরা ‘বঙ্গবন্ধু’কে সহ্য করতে পারতো না। সারাক্ষণ তাঁর বিরোধিতায় লিপ্ত থাকতো। তাই, এইধরনের মানুষ ‘বঙ্গবন্ধু’র কাছে কখনোই যাননি। তিনি কীভাবে এ-ধরনের কথা ‘বঙ্গবন্ধু’র মুখ থেকে শুনবেন?

আমি শুরু থেকেই আইনুন নিশাত সাহেবের কথাটা একদম বিশ্বাস করতে পারিনি। ফেসবুকে দেখেছি। এমনকি আমাদের ব্লগেও ওই কথাটি নিয়ে একটা পোস্টও দেখেছি। তারপরও তা বিশ্বাস করিনি। বিশ্বাস করতে পারিনি। বিশ্বাসযোগ্য কথা মনে হয়নি। কথাটির চেহারাসুরত আমার কাছে আগাগোড়া “বানোয়াট ও ভিত্তিহীন” বলে মনে হয়েছিল। আর এখনও তা-ই। তাই, আমি উপযুক্ত প্রমাণ খুঁজতে লেগে গেলাম।
বিশ্বাস করুন, খবরটি দেখার পর থেকেই আমার মাথায় একটা কথা বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে, ‘বঙ্গবন্ধু’ এমন একটা কথা কবে-কোথায় বলেছেন? তার তো রেফারেন্স থাকতে হবে।
গুগলে খুঁজে কোনো তথ্য পেলাম না। অনেকের কাছে রেফারেন্স চেয়েছি। পাইনি! আইনুন সাহেবের এই কথার রেফারেন্স কেউ দেখাতে পারেননি। এমনকি আইনুন সাহেব নিজেও দেখাতে পারবেন না। কারণ, এমন কথা ‘বঙ্গবন্ধু’ কখনোই বলেননি।

আমার চ্যালেঞ্জ: কেউ যদি আইনুন সাহেবের কথার সপক্ষে একটি রেফারেন্স বা প্রমাণ দেখাতে পারেন—তাহলে, আমি সঙ্গে-সঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে এই পোস্টটি সরিয়ে নিবো।

আইনুন সাহেবের এই কথার ওপর আমার বিশ্বাস নেই। তাই, আমার ঘুম নেই।
পরদিন আমার এক নামকরা ব্যারিস্টার আপাকে (উনার নাম নেওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে সবাই চিনতে পারবেন। প্রয়োজন হলে উনার নাম জানাতে পারবো) জানালাম, “আপা, এইটা একটু দেখেন।” উনি তখনও হয়তো এটা দেখেননি।
উনি ওটা দেখে সঙ্গে-সঙ্গে আমাকে বললেন, “লিংক দে।”
আমি বললাম, “লিংক ওই বক্তব্যের উপরে দেওয়া আছে।”
তারপরও বললাম, “ডেইলি স্টার বাংলা অনলাইন পহেলা এপ্রিলের পত্রিকা এটা।”
উনি সঙ্গে-সঙ্গে কাজে লেগে পড়লেন।
একটু পরে বললেন:

আইনুন নিশাত স্যারের গল্পের সূত্র পাওয়া মুশকিল। ব্র্যাকে আমি যখন ছিলাম, তখন উনাকে ভিসি হিসেবে পেয়েছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।

তার মানে উনি গল্প বলতে ও নিজের প্রয়োজনে গল্প বানাতে ভালোবাসেন।

উনি (আমার সেই ব্যারিস্টার আপা) নিজেও খুঁজে কোনো রেফারেন্স পেলেন না। এমনকি আমার কথা শুনে উনি দেরি না-করে সঙ্গে-সঙ্গে ফেসবুকে নিশাত সাহেবের বক্তব্য দিয়ে একটা পোস্ট দিলেন। আর বললেন, “কেউ এই কথার কোনো রেফারেন্স জানলে দয়া করে জানাবেন।”
কিন্তু তাতেও কেউ সাড়া দিলো না। আজ অবধি দেয়নি।

আসলে, এই কথাটা ‘বঙ্গবন্ধু’ বলেননি। ‘বঙ্গবন্ধু’র নাম-ব্যবহার করে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু করার বিরোধিতা করা হয়েছে। যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার কথা শুনে দুর্বল হয়ে পড়েন। আর বুয়েটে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা যায়। আর এটাও দেখাতে চেয়েছেন যে, ‘বঙ্গবন্ধু’ যেখানে এমন একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে গিয়েছেন সেখানে (বুয়েটে) রাজনীতি চালু করার প্রশ্নই আসে না! কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানে রাজনীতি চালু করা হচ্ছে! তারপরও তাঁর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কথাও মানছেন না! মানেন না!
এই হলো আসল কেস। এই হলো হঠাৎ ‘বঙ্গবন্ধু’র নামে ভুয়া ও রেফারেন্স-বিহীন বক্তব্য প্রদানের প্রহসন। যারা জীবনে কখনোই দুই-একবার ‘বঙ্গবন্ধু’র নামও নেননি তারা হঠাৎ করে কেন ‘বঙ্গবন্ধু’র নামে এমন একটা কথা এইসময় ভাইরাল করলেন? কেন হঠাৎ ‘বঙ্গবন্ধু’র নামে এটা প্রচার করলেন? এখানে, মনে একটা ‘কিন্তু’ জাগে না?

এব্যাপারে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি অভিমত প্রকাশ করেছেন:

“শিক্ষক রাজনীতি বলতে যেই বিষয়টি বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণই ছিলো ভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার কথা। বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেখানে শিক্ষক রাজনীতির ইস্যু তুলে নিয়ে আসাটাই অযৌক্তিক। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিয়ে, বিশেষত তার নিজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘নষ্ট হওয়ার’ হাত থেকে রক্ষা করতে চেয়েছেন এমন মন্তব্য কখনও কোথাও পাওয়া যায়নি। এটাও হয় ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকে নিয়ে সৃষ্টি হওয়া গুজবগুলোর একটি যা বুয়েটে একটি পক্ষ প্রচার করেছেন। সেখান থেকেই শুনতে পারেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত।”

খবরটি তৈরি করেছে ‘দি ডেইলি স্টার’-এর বাংলা ভার্সন। এরা আজ পর্যন্ত সরকারের বিরোধিতা ছাড়া আর-কিছু করেনি। তাছাড়া, এই ডেইলি স্টার বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষে! তাই, হঠাৎ করে অধ্যাপক আইনুন নিশাত সাহেবকে দিয়ে এমন একটা খবর প্রচারের মানে কী? কেউ জানেন? জানলে দয়া করে জানাবেন। আমার জানা আছে। কিন্তু এখনই সবটা বলার ও লেখার সময় আসেনি। এব্যাপারে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রয়েছি। আরও দেখবো। তারপর বিস্তারিত লিখবো।

কিন্তু একটা কথা অনায়াসে ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে বলা যায়। ড. আইনুন নিশাত সাহেব ‘বঙ্গবন্ধু’কে নিয়ে যে-কথা বলেছেন, সে-কথা তিনি নিজেই বলেছেন, “এটা তিনি শুনেছেন!” পাঠক, “শুনেছেন!” কিন্তু এর কোনো রেফারেন্স নেই। যা কোনো কাগজে, দৈনিক পত্রিকায় বা সরকারি ফাইলেও নেই!

আর-একটি কথা: নিজেদের প্রয়োজনে ‘ডেইলি স্টার’রা খবর বানিয়ে নেয়। তাদের প্রয়োজন হয়। এর আগে গতবছর ‘স্বাধীনতা দিবসে’র আগে ‘দৈনিক প্রথম আলো’র এক সাংবাদিক এক দরিদ্র কিশোরের হাতে “নগদ ১০ টাকা” ধরিয়ে দিয়ে তাকে বলতে বাধ্য করেছিল, আমরা এই স্বাধীনতা চাই না!!! আমগো মাছ-মংসের স্বাধীনতা চাই!!! পরে দৈনিক প্রথম আলো-কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল স্বীকার না-করে ওই সাংবাদিকের ওপরে দোষ চাপিয়ে রেহাই পেয়েছিল। তাই, সাধু সাবধান!

প্রিয় সুধীসমাজ, এখানেই বিরাট একটা কিন্তু আছে! আজ এ-পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবার দেখা হবে।

আবারও আমার সেই চ্যালেঞ্জ: কেউ যদি আইনুন সাহেবের কথার সপক্ষে একটি রেফারেন্স বা প্রমাণ দেখাতে পারেন—তাহলে, আমি সঙ্গে-সঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে এই পোস্ট সরিয়ে নিবো।

ছবি: ফেসবুক ও গুগল


তথ্যনির্দেশ:

দি ডেইলি স্টার বাংলা ভার্সন, এপ্রিল, ১।
বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা।
সুধীজনের মতামত। ফেসবুক ও গুগুলে তথ্য সার্চ।
সরকারের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’র এমন উক্তি স্বীকার করা হয়নি।
আওয়ামীলীগের কোনো প্রবীণ নেতাগণ:
(যেমন, জনাব তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, আমীর হোসেন আমু,
ড. মহী উদ্দীন খান আলমগীর, নুহ-উল-আলম লেনিন প্রমুখ)।
তাঁরাও এই বক্তব্য স্বীকার করে কোনো বক্তব্য দেননি)।

লেখকের হাইপোথিসিস


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।
০৩-০৪-২০২৪

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এ ভেতরে ভেতরে জামাত করে কিনা এবং বুয়েটকে মাদ্রাসা ও জঙ্গিদের আস্তানা বানানোর ষড়যন্ত্র যারা করছে তাদের একজন কিনা তল্লাশি চালানো দরকার। না হলে এমন মিথ্যাচারের কি কারণ?

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সেটাই তো সুধীমহল ভাবছেন, হঠাৎ “ডেইলি স্টার” আইনুন নিশাত সাহেবকে দিয়ে এমন একটা উক্তি করাতে গেল কেন? বিরাট কিন্তু!

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



১৯৭২ সালে, ইউনিভার্সিটিগুলোতে শেখ সাহেব ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না;করায়, তিনি নিজেই কি ভিকটিমে পরিণত হননি।

আমি আপনাকে বিশ্বাস করি না, আইনুন সাহবেকও বিশ্বাস করি না; শেখ সাহেব ছিলেন ছাত্র লীগের নেতা, ছাত্রলীগই উনার জন্য কাল হয়েছিলো।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: শ্রদ্ধেয় বড় ভাই,

আপনি আমাকে বিশ্বাস না-করেন, তাতে কোনো সমস্যা নাই। কথা হচ্ছে: আইনুন নিশাত সাহেবের মতো মানুষ হঠাৎ কেন এমন একটা উদ্ভট কথা বলতে গেলেন!!!??? এখানেই আমার দুঃখ। আর জিজ্ঞাসা এখানেই।

বঙ্গবন্ধু দেশ ও জাতির জন্য “ছাত্রলীগ” বানিয়েছিলেন। ছাত্রলীগের সবচেয়ে ক্ষতি হয় এর থেকে বেরিয়ে গিয়ে পাল্টা জাসদ-এর জন্ম হওয়ায়। তখন থেকেই ছাত্রলীগ দ্বিধাবিভ্ক্ত। তারপরও ছাত্রলীগ দেশের কাজ করছে। কিছু-কিছু নেতা-পাতিনেতা অপকাণ্ড করে। কিন্তু তাদের শাস্তিও হচ্ছে।

কিন্তু আপনার কাছে আমার ছোট্ট একটা প্রশ্ন: ছাত্রলীগ না-থাকলে কি দেশের উপকার হবে? কিন্তু কীভাবে?

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪১

আমি নই বলেছেন: সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি (জামাতি-বামাতি যা আছে সব) নিশিদ্ধ হলে ছাত্রদের এবং দেশের কোন কোন ক্ষতি হবে একটু জানাবেন?

দেশের মেধাবী ছাত্ররাই ভার্সিটিগুলোতে ভর্তি হয় কিন্তু বেশির ভাগ ছাত্রনেতাদের বেলায় দেখা যায় ৫-৭ বার পর্যন্তু ফেল করে, খুরিয়ে খুরিয়ে পাশ করে। এটা কি মেধার অপচয় নয়?

ছাত্র রাজনীতি না থাকলে সর্বনিম্ন দুইটা উপকার হবে।
১। ছাত্ররা সহপাঠি, জুনিয়র, সিনিয়রদের উপর হিংস্র হায়েনার মত ঝাপিয়ে পরবে না।
২। ছাত্রদের মুল যে কাজ সেই লেখাপড়া করার সময় বেশি পাবে।

আপনার কি মনে হয় আবরারের হত্যাকান্ড শুধু আবরারকেই মেরেছে? না, যে ছেলেগুলো হত্যার দায়ে শাস্তি পেয়েছে সেই প্রতিটা ছাত্র এবং তাদের পরিবারগুলো শেষ হয়ে গেছে, তাদের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। ছাত্র রাজনীতি না থাকলেই হয়ত আবরার এবং তার হত্যাকারিরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে দেশের মুখ উজ্জল করত, পরিবারের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করত।

আফসোস এগুলো আপনাদের মাথায় কখনই ঢুকবেনা কারন আপনাদের দরকার ক্যাডার। রগকাটা ক্যাডার, হাতুরি ওয়ালা, হেলমেট ওয়ালা ক্যাডার।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ".........তখন তিনি বলেছিলেন যে এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয় নষ্ট করা চলবে না।”

কথাগুলোর অন্য অর্থ দাঁড়ায় এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নষ্ট করা চলবে, কি আজব কথা!!!!!!!!! শেখ সাহেব সম্পর্কে যারা সামান্যতম জ্ঞানও রাখেন তারাও এটা খুব সহজেই বুঝবেন যে এই ধরণের কান্ড জ্ঞানহীন কথা বলার মতো লোক শেখ মুজিবুর রহমান কোন ক্রমেই নন।

সুতরাং এধরণের স্টেটমেন্ট যে সর্বৈব মিথ্যা এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমত।
অনেক সুন্দর বলেছেন। বঙ্গবন্ধু দুটো বিশ্ববিদ্যালয়কে মাথায় তুলে বাকিগুলো ফেলে দিবেন!!!
এমন একটা সস্তা কথার কোনো লজিক খুঁজে পাই না।


আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "বঙ্গবন্ধু দেশ ও জাতির জন্য “ছাত্রলীগ” বানিয়েছিলেন। "

-ছাত্রলীগ বানানোটাই অন্যায় ছিলো। ইহা জাতিকে নীচু মানের বেকুব জাতিতে পরিণত করেছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: "বঙ্গবন্ধু দেশ ও জাতির জন্য “ছাত্রলীগ” বানিয়েছিলেন।”

জ্বি, এটাই সত্য।
ছাত্রলীগ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। শুধু তালিকাভুক্ত ১৭ হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা-যুদ্ধে। আর আপনি বলছেন :ছাত্রলীগ বানানোটাই অন্যায় ছিলো। !!!!!

ছাত্রলীগ কাউকে বেকুব বানায় নাই। জাতির একটা অংশ বেকুব হয়েছে নিজের বুদ্ধি-নাশে! আর কোনো বেকুবকে কখনোই বুদ্ধিমান বানানো যায় না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




উনি কি ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা?

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: নাহঃ, সে নয়। উনি একজন নামকরা ব্যারিস্টার। ৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের ওপর উনার ইংরেজিতে লেখা বড়সড় একটা বই আছে। আরও বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। আর রুমিন ফারহানা তো টক শোতে পপুলার!!!

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইলো।

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:০৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু না করে হ্যালমেট ও চাপাতি ট্যাকনলজি নামে একটা ডিপার্টম্যান্ট চালু করার আহ্বান জানাই

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: চিন্তা করবেন না। হয়তো একদিন তা চালু হতেও পারে!
কারণ, যায় দিন ভালো যায়। আসে দিন মন্দ যায়।
আর এখনও তবু দেশে মানুষের শাসন আছে। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে কে জানে!!!!!!!!!

ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৪৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আপনার জন্মের আগে থেকে ড. আইনুন নিশাত আওয়ামীলীগ করে।আপনি নতুন নতুন আওয়ামীলীগ করেন তো সেই জন্য জানেন না। উনার মুখের কথায় মানুষ পিএচডি ডিগ্রি পায়। সমগ্র বিশ্ব উনার দেওয়া পিএচডি ডিগ্রির স্বীকৃতি দেয় আর আপনি আসছেন উনার কথার রেফারেন্স খুঁজতে ভালো।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ড. আইনুন নিশাত সাহেবের বক্তব্যের কোনো রেফারেন্স পাওয়া যায়নি। উনি যাকেতাকে পিএইচডি দিতে পারেন। সেটা উনার যোগ্যতা ও ক্ষমতা। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’কে নিয়ে কথাটা বলেছেন তার কোনো প্রমাণ ও রেফারেন্স পাওয়া যায়নি। উনার চেয়ে বঙ্গবন্ধু অনেকবড়। আর বড়মানুষকে নিয়ে কোনো কথা বলতে গেলে অবশ্যই রেফারেন্স থাকতে হবে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৪

নিমো বলেছেন: @শিশির খান ১৪, আপনার উদ্ভট যুক্তি অনুযায়ী আমার মুখের কথায় কেউ বিশ্ব স্বৃীকৃত পিএইচডি পেয়ে গেলে, আমি যদি দাবি করি শিশির খান ১৪ একজন চোর। তাহলে সেটা যাচাই করার দরকার নাই। কী সব লিখেন ভাই!

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: @নিমো পন্ডিত ! প্রাক্তন বুয়েটের সিনিয়র অধ্যাপক এর কথা যাচাই করতে যে যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন তোমার কি সেই যোগ্যতা আছে ? তুমি তোমার শিক্ষক বাবা মা মুরুব্বিদের কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারো কিন্তু তাদের মিথ্যাবাদী বলটা এক ধরণের বেয়াদবী এটা তুমি বুঝ

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

নিমো বলেছেন: @,শিশির কাকু, জ্বি বেশ ভালো ভাবেই আছে। সন্দেহ থাকলে আইনুন সাহেবের তেকে জেনে নিন। আপনার মত সত্যবাদীর থেকে আদব শেখার দরকার দেখছি না। জবাবটা আপনার ভাষায়ই দিতে পারতা, কিন্তু সেই শিক্ষাটা পরিবার থেকে পাই নাই। মাথায় যৌক্তিক উত্তর উপস্থিত না থাকলেই, আপনার উপরোক্ত ভাষায় উত্তর জন্ম হয়। এটা থেকেও আইনুন সাহেবের বক্তব্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

রাসেল বলেছেন: এটা যদি সত্য বক্তব্য হয়, তবে বঙ্গবন্ধুও তার আশেপাশের লোকজন সম্পর্কে জানতেন, তারা কতটা সৎ বা অসৎ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জ্বি, সেটাই বলেছি। এমন একটা কথা বললে কেউ না কেউ শুনতো।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.