নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন, সত্যকে উপলব্ধি করতে শিখি........

আমি গুজবে কান দেই না, কোন কিছু শুনলে বা জানলে রেফারেন্স খুঁজি... অনেক মতামত জানার চেষ্টা করি । হুজুগে বাঙ্গালী হতে চাই না ।

আফরিন জারিন ইভা

জীবনের ডায়েরীতে অদৃশ্য কালিতে একটি সত্য আছে লেখা......."মানুষ বড় একা"

আফরিন জারিন ইভা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওজোন স্তর সম্পর্কে কতটুকু জানি ?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০৪

ওজোন স্তর হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। এই স্তর থাকে প্রধানতঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কিমি উপরে অবস্থিত। এই স্তরের পুরুত্ব স্থানভেদে এবং মৌসুমভেদে কমবেশি হয়।

ফরাসী পদার্থবিদ চার্লস ফ্যব্রি এবং হেনরি বুইসন ১৯৩০ সালে ওজোন স্তর আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ জি এম বি ডবসন ওজোনস্তর নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন। ১৯২৮ সাল থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে তিনি ওজোন পর্যবেক্ষণ স্টেশনসমূহের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেন

ওজোনস্তরে ওজোনের ঘনত্ব খুবই কম হলেও জীবনের জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি এটি শোষণ করে নেয়।



ওজোন স্তরে নতুন করে ফুটো



পৃথিবীর ওজোন স্তরে ছিদ্র খুঁজে পাওয়ার ঘটনাটা অনেকেরই হয়তো মনে আছে – সেটা ১৯৮০র দশকের ঘটনা ছিল, এবং তারপর হয়তো সেটা সামলে নেওয়া গেছে বলেই অনেকের ধারণা। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, সেই ফুটো পুরোপুরি মেরামত হয়নি এবং এর ফল হয়তো ভুগতে হবে সারা পৃথিবীকেই।

১৯৮৫র মে মাসে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের বিজ্ঞানীরা প্রথম সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, মেরু অঞ্চলের ওপরকার ওজোন স্তর ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে – আর এর ফলে সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনি রশ্মির পৃথিবীতে আসা ঠেকানো যাচ্ছে না।

সেই বিজ্ঞানীদের দলে ছিলেন জো ফার্লন, সে সময় তারা জানিয়েছিলেন মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকার ওপরের ওজোন স্তর দুই-তৃতীয়াংশ হারিয়ে গেছে – এবং এই বিপদটাকে গুরুত্ব দিতেই হবে।

ওজোন স্তর না-থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছবে – যা থেকে হতে পারে ত্বকের ক্যান্সার, ঘটতে পারে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি আর মারা যেতে পারে সামুদ্রিক প্রাণীরা।

সেই জন্যই তখন, আজ থেকে ঠিক পঁচিশ বছর আগে সবদেশ একজোট হয়ে মন্ট্রিয়ল প্রোটোকলে সই করেছিল, যাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল অ্যারোসল স্প্রে বা ফ্রিজে সিএফসি বা ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের ব্যবহার। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি, ফুটোটাও ঢাকা যায়নি।

আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিম অ্যান্ডারসন সম্প্রতি সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত তার গবেষণাপত্রে বলেছেন – পৃথিবীর ওপরের ওজোন স্তর আবারও আক্রান্ত, এবং এবারে সেটা শুধু মেরু অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ নয়।

এতকাল যেটা ভাবা হয়েছিল যে ওজোন স্তরে ছিদ্র দৈরি হওয়ার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্তত কোনও সম্পর্ক নেই, বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে সেটাও ঠিক নয়।

যদিও তারা শুধু উত্তর আমেরিকার বায়ুমন্ডলেই গবেষণা চালিয়েছেন, পৃথিবীর অন্যত্রও যে একই জিনিস ঘটছে না তেমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই।

আর যেমনটা তাঁরা বলছেন - ওজোন স্তরে এই ফুটোর কারণ যদি হয় জলবায়ু পরিবর্তন – তাহলে গতবারের মতো শুধু সিএফসি নিষিদ্ধ করলেই হবে না, এর সমাধানটাও হবে অনেক কঠিন!



তথ্যসূত্র



১) Science: Ozone Basics. 2007-01-29.

২) Sei John H.; Pandis, Spyros N. (1998). Atmospheric Chemistry and Physics: From Air Pollution to Climate Change. John Wiley and Sons, Inc. ISBN 0-471-17816-0.

৩) http://news39.net/news/110918004



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.