নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“সুন্দর নাকি অন্যকিছু”

তানজিদ_রূপক

অতিসাধারণ তাই অসাধারণরা ভুল বুঝে।

তানজিদ_রূপক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল ও কিছু কথা

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৩

হুমায়ূন আহমেদের লেখা দেয়াল যা কিনা একটি পত্রিকায় সাপ্তাহিক একটি বিশেষ পাতায় ছাপানো হতো তা বই আকারে হাতে পেয়ে পড়ার পর অনেকে দেখলাম বাকশাল সমন্ধে বিস্তর জেনে ফেলেছে।প্রসঙ্গত দেয়াল কে লেখক একটি রাজনৈতিক উপন্যাস হিসাবে আখ্যা দিলেও আমি এখানে রাজনৈতিক দৃশ্যপট আকাল দেখালাম।লেখকের অন্য গল্প গুলোর মতো এই দেয়ালের গল্পের শুরু হয়।একই রকম চরিত্র একই রকম কাজ কর্মের বর্ণনা দ্বারা পরিপূর্ণ দেয়াল নামক এই গল্পে লেখকের নিজের কথা পারিবারিক সংগ্রামের গল্প অনেক আংশে বিশেষ রুপে ফুটে উঠেছে।লেখক মুলত বলেছেন "আমি কচ্ছপ প্রকৃতির মানুষ, বিপদ দেখলে খলের ভেতর লুকাই" এবং শুনেছি বিশেষ মাধ্যম থেকে জেনেছি যার উপর ভিত্তি করে কিছু অনুমান করা সম্ভব কিন্তু পূর্ণ রুপে সে সময়কার রাজনৈতিক অবস্থার বা ইতিহাস জানা অসম্ভব।



হুমায়ূন আহমেদের এই লেখাটিতে বাকশাল বিষয়টি বিশেষ কোন স্থান পায়নি, তিনি খুব সংক্ষেপে তাঁর কর্মস্থানে বাকশাল নামক একটি দলের সাক্ষর গ্রহনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাকসালে অন্তর্ভুক্তির কথা বলেছেন।বাকসালের শুরু কীভাবে। কীভাবে বাকশাল গঠন করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জিবিত কালে বাকশাল হয়েছিলো কিনা এসবের ধারের কাছেও তিনি যাননি।

বরঞ্চ তিনি রক্ষীবাহিনীর কিছু অবিচার নির্যাতন সুবিধা আদায়ের কথা বলেছেন, তাঁর পরিবার রক্ষীবাহিনী দ্বারা অপমানিত হয়েছে, গৃহ ছাড়া হয়েছে তা বলেছেন।রক্ষীবাহিনীর সাভারে অবস্থিত ক্যাম্পের কথা বলেছেন যাখানে কিনা ভারতিয় সেনা শাসক দ্বারা রখিবাহিনিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হত।



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডর জন্য লেখক রক্ষীবাহিনীর অপকর্মকে দায়ী করা ছাড়া লেখক এর কোন তথ্য দিতে পারেননি।লেখকের খুব কম স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায় এই লেখনীতে।তিনি ৭১ সাল ৭২ সাল ৭৫ সালের কিছু কিছু কথা কিছু ব্যক্তি তাঁদের জীবন জিবিকা লেখকের নিজ পারিবারিক অবস্থান এবং রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারের অল্প নমুনা ছাড়া আর কোন কিছুই সুস্পষ্ট ভাবে এই লেখায় পাওয়া যায়নি।লেখক সূক্ষ্ম ভাবে ৭৪ এর দুরবিক্ষের কথা এড়িয়ে গেছেন।হমায়ন ভক্ত কুলকে ৭৪ এর দুরবিক্ষের কথা বললে হয়তো তাঁরা ঠিক বুঝবে না তাই বলি ৭৪ এর দুরবিক্ষ হল জয়নুল আবেদিনের আঁকা সেই দুরবিক্ষের কাঁকের ছবি।



সবশেষে বলবো এই ধরনের বই পড়ে কেও ইতিহাস বা অতীতকালের রাজনীতি সমন্ধে পরিপূর্ণ ধারনা পায় না।কাজেই এর সুত্রধরে প্রকৃত রক্ষী বাহিনীর জুলুমের কথা বা বাকশাল নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকা ভালো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১২

অন্য পুরুষ বলেছেন: এই বই প্রকাশ পাওয়ার পূর্বেই, দু'একটি সংখ্যার পরপরই হুমায়ুন সাহেব কয়েকটি মামলা খেয়েছিলেন, সরকার দলীয় লোকজন দ্বারা। যদিও তিনি কিছু লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তা হয়ত আর লেখেন নি।

:( :( :( :( :(

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৯

তানজিদ_রূপক বলেছেন: রাসেলের মৃত্যু বর্ণনা করতে যেয়ে লেখক লেখেন শেখ রাসেল জামাল কামাল পত্নিদয়ের সাথে ভয়ে জড়াজড়ি করে শুয়ে ছিল, এই অংশটুকু পরিবর্তন করার জন্য সরকার নির্দেশ দেয়।মামলার ব্যাপার জানিনা।আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৯

বাংলার হাসান বলেছেন: রাজনৈতিক ইতিহাস জানার ইচ্ছা থাকলে ভাষা আন্দোলনের প্রান পুরুষ মরহুম অলি আহাদের "জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থৈকে ৭৫ বইটি পড়ুন।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

তানজিদ_রূপক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

একলা চলো রে বলেছেন: লেখকদের আসলে লেখার স্বাধীনতা পূর্ণমাত্রায় দেওয়া উচিত| যৌনতা, ধর্ম এবং রাজনীতি-এই তিনটি বিষয়ে স্বাধীনভাবে লেখার প্রচলণ আমাদের দেশে নেই| পরিবর্তন আনা দরকার লেখালেখির ক্ষেত্রে| যাদের মনে আঘাত পাওয়ার মত অনুভূতি বাস করে, সাহিত্য তাদের জন্য নয়|

১০ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

তানজিদ_রূপক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন, ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.