![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্যযুগের ইসলামিক রীতি দ্বারা কিছুটা প্রভাবিত হলেও ইসলামিক স্টেট তথা সংক্ষেপে আইএস মুসলিম সম্প্রদায়ের কালচার,অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক তাগিদে গঠিত হয় ।
নানান সময়ে জিহাদ অথবা অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল মুহম্মদ সঃ এর জীবদ্দশায় , এমনকি ওনার মৃত্যুর পরে খলিফাদের আমলেও এরকম ঐতিহাসিক কিছু যুদ্ধ হয় । কিন্তু অন্তত সুসংগঠিত এবং দুপক্ষের চুক্তিসাপেক্ষেই এবং সাধারন মুসলিম অথবা অমুসলিম সম্প্রদায়ের জ্ঞাতেই । কিন্তু অবশ্যই নিরপেক্ষদের এর বাইরে রেখে বর্তমান সময়ের চুক্তিসম্মত সৈন্যপরিচালিত যুদ্ধের মতোই ।
তো যাই হোক , বিংশ শতাব্দীর গোঁড়ার দিকে আবুল আল মওদুদি (জামায়াত-এ ইসলাম এর প্রতিষ্ঠাতা) , আয়তুল্লাহ রহল্লা খোমেনী , ইশরার আহমেদ এবং সায়েদ কুতুব ইসলামিক স্টেট এর ধারণা দেন ।
এরপরে আলকায়েদা, বোকো হারাম, হিজবোল্লাহ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ,জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তান, মুসলিম ব্রাদারহুড , তালিবান এবং আরও কিছু সংগঠন আই এসএর অন্তর্গত হয় ।
যদিও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত নানান জঙ্গিহামলা , অমুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের উপরে অতর্কিত এমনকি মাঝেমাঝে ঘোষণা দিয়েও হামলা হলেও এক সংগঠনের সাথে অন্য সংগঠনের কোন সম্পৃক্ততার স্পষ্ট প্রমাণ মেলে নি ।
তবে সমর্থন থাকে এটা নিশ্চিত । কেননা এদের প্রত্যেকেরই কমন শত্রুদেশ এবং প্রতিষ্ঠান রয়েছে ।
মজার ব্যাপার হল, এই সংগঠনগুলো কখনই একইসাথে কোন কার্যক্রম করেনি । পরিকল্পনা যে একসময়ে হয়নি তা বলা দুষ্কর ।
কথা হল , নাম ইসলামিক স্টেট হলেও ইসলাম মূলত একে সমর্থন করে কিনা অথবা ইসলামের মূল একটি নীতির সাথেও এর যেকোনো ভিত্তির সম্পৃক্ততা আছে কিনা । প্রথমত, ইসলাম আইএসের মতো সংগঠন সমর্থন করে না । কিন্তু আইএসের মূলনীতির সাথে ইসলামের কিছু নিয়মরীতির সম্পৃক্ততা আছে । কিন্তু তাও পরোক্ষ ।
কেননা , চারটা মূলনীতি (জিহাদ,শারিয়াহ,সুন্নাহ,উম্মাহ) আইএস অনুসরণ সংগঠিত হওয়ার সময়ে দিয়েছিল , তা এখন জিহাদেই আটকে গেছে । এমনকি , ইসলামে যেই জিহাদের উল্লেখ আছে সেই ধারণা থেকেও অনেকখানি সরে গিয়েছে আইএস ।
জিহাদ কখনই কোনপ্রকার অমুসলিম কিংবা অবিশ্বাসীকে হত্যা করাকে সমর্থন করেনি ।
হ্যাঁ , এমন নয় যে , ইসলাম প্রতিষ্ঠার সময় কাউকে হত্যা করা হয়নি । তখন সিচুয়েশন ছিল ওরকম । কেননা তখন অমুসলিমরা সরাসরি মুসলমানদের আঘাত করত । আর আঘাতের প্রতিবাদ করাকে ইসলাম জায়েজ করেছে ।
এমনকি , যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বন্দীদের সাথেও অত্যন্ত মার্জিতভাবে কথা বলার অথবা জবানবন্দি নেওয়ার প্রচলন করেছে ইসলাম ।
মুহম্মদ সঃ এর সময়ে এমনকি খিলাফতের সময়েও বন্দীদের হত্যা করা হত না । অপহরণ করে হত্যা করা তো অনেক দূরের কথা ।
ইসলাম সবসময়ই শান্তি অনুসরণ করতে বলেছে , ফ্যাসাদ নয় । সুখে থাকতে বলেছে, অকারণে যুদ্ধ করতে নয় । ইসলাম আপনাকে সৃষ্টির সেরা জীব বলেছে । সুতরাং আপনার বিবেক দিয়েই আপনি মানুষকে সুখের পথে শান্তির দিকে ধাবিত করবেন , নিজেও সেদিকেই যাবেন । কখনই অকারণে অস্ত্র হাতে নিবেন না ।
অস্ত্র শুধু ব্যবহৃত হোক দেশমাতৃকাকে রক্ষা করার কাজে ।
বিধাতা আইএস কে শান্তির পথ দেখাক ।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০২
তৌফিক চাকমা বলেছেন: @মাসুদ রানা , ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকবেন ।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
নেক্সাস বলেছেন: আই এস মূলত ইসলামের নামে একটি মার্কিন সংস্থা। ঠিক তালেবানদের মত। আমরা রাজনীতি কম বুঝি বলেই ওদের মিড়িয়া যেটা বলে সেটা বিশ্বাস করি। বাস্তবে রাশিয়াকে হটাতে আমেরিকা জন্ম দিয়েছিল তালেবান। একিভাবে মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া সুন্নি - গোত্র বিভেদ লাগিয়ে রাখা, বাশার সরকার কে দূর্বল করা এবং নিজেদের সেখানে অবস্থান যৌক্তিক করতে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব এই আই এস জন্ম দিয়েছে। যার পুরা সমন্বয় করেছেন হীলারি নিজে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
মাসূদ রানা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ........
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই