![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে অনলাইন ইন্টারনেট সেবা দান কার্যক্রম শুরু হয় 1996 সালের 6 জুন। এই সেবাদান কার্যক্রম শুরু করে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক (আইএসএন)। এটিই দেশের প্রথম ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম ইকবালের প্রচেষ্টার কারণেই দেশে আজ অনলাইন ইন্টারনেটর এই ব্যাপকতা। আইএসএন 1995 সালের দিকে ঠিক করে দেশে অনলাইন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে। এ লক্ষ্যে থাইল্যান্ড, হংকং এবং সিঙ্গাপুরে যোগাযোগ করল আইএসএন কর্তৃপক্ষ। সবাই আশাব্যঞ্জক উত্তর পাঠাল। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক একটা ম্যাপ তাদের হাতে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্টের পশ্চিম তীর থেকে প্রশানত্দ মহাসাগরের মধ্যে দিয়ে যে বিশাল নেটওয়ার্ক হংকং পর্যনত্দ এসেছে তা দেখেই বোঝা যায় যে হংকংকেই নির্ধারণ করা উচিত। প্রথম চেষ্টা ছিল অনত্দত একটা টেলিফোন লাইনে হংকং অথবা সিঙ্গাপুর থেকে সার্ভিস শুরু করা যায় কি না। কিন' বিদেশি প্রভাইডারদের কেউই এতে তেমন উৎসাহ দেখায়নি। তাদের ভাষ্য ছিল, গোটা দেশ শুধুমাত্র একটা ফোন লাইনের ওপর নির্ভর করে ইন্টারনেট সার্ভিস দিলে এর নির্ভরযোগ্যতা, গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বাংলাদেশে টিঅ্যান্ডটি বোর্ডের কাছে তাই একটা লিজ ডেটা সার্কিট চেয়ে আবেদন করা হল। কতর্ৃপক্ষ জানালেন 56 কিলোবিটস পার সেকেন্ডের একটা ডেটা সার্কিট দেওয়া যেতে পারে, তবে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এতে হংকং এবং সিঙ্গাপুরের প্রভাইডাররা জানাল, এটা খুব একটা খারাপ নয়। 95'র জুলাইয়ে হংকং সুপারনেটের প্রকৌশল ব্যবস্থাপক ফরেস্ট নগ বেশ উৎসাহ দেখালেন। কিন' বাংলাদেশ টিঅ্যান্ডটি 56 কিলোবিট লাইন দেবে শুনে অবাক হলো। তবে ভাল তথ্য দিয়েছে লিংকেজ অন লাইনের চিন ম্যান। ওরা জানালো ভি-স্যাট লিংক দিতে ওদের সমস্যা নেই যদি বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দেয়। 95'র শেষদিকে হঠাৎ টিএন্ডটি বোর্ড ভি-স্যাট সার্ভিস নেওয়ার জন্য আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিল। 1996 সালের 29 মে সমসত্দ যন্ত্রপাতি সেট করা হল। আইপি রাইটিং করা হল, সেই সঙ্গে ডিএনএস'ও। পরদিন অর্থাৎ 30 মে রাউটার এবং ভিস্যাট-এর ডেটা মডেম সংযুক্ত করতেই ভেসে এল talk daemon respond with talk ngl @ hk. super.netবাংলাদেশের কোন হোস্ট মেশিন প্রথমবারের মত যুক্ত হলো ইনফরমেশন সুপাার হাইওয়ের সঙ্গে। তার পর 6 জুন তৎকালিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মনজুর এলাহী ইন্টারনেটের উদ্বোধন করলেন। ইন্টারনেটের ভূমিকা এখন ব্যাপক। তবে ইন্টারনেটের যতোটা প্রসার হওয়ার কথা ছিল ততোটা হয়নি। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও করার আছে অনেক কিছু। ফাইবার অপটিক ক্যাবেলের ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্টের জন্য বিটিটিবি ও বেসরকারি পর্যায়ে ইনটারনেট সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি করা যেতে পারে। সর্বনিম্ন লাইসেন্স ফির মাধ্যমে ভিওআইপি সর্বসত্দরে উন্মুক্তকরণ এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনের হাতে থাকলে ইন্টারনেটের বেশি প্রসার হবে না। এটাকে পুরোপুরি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে এটা আরো প্রসারিত হবে।
আমাদের অন্তরজালের ইতিহাস-2005
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৬ ভোর ৪:১৭
অঃরঃপিঃ বলেছেন: এই খানে বাংলাদেশের প্রথম 5 ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নাম কই? অসম্পূর্ণ পোস্ট। তথ্য চাই আরো তথ্য চাই। সবার নাম চাই। একটা আমি দিতে পারুম। বাকি চারটা চাই