নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Rahul

রাউল।।

রাউল।। › বিস্তারিত পোস্টঃ

হালাল পদ্ধতিতে পশু জবাহে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডেনমার্ক

২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

হালাল পন্থায় পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বয়কটের মুখে ডেনমার্ক
কায়রো থেকে:
*******************************************
হালাল পন্থায় পশু জবাই নিষিদ্ধের বিষয় নিয়ে ডেনমার্ক ক্রমবর্ধমান হারে বয়কটের হুমকির মুখে পড়ে এখন ভিন্ন কথা বলছে। মুসলিম বিশ্বের সমালোচনা কমানোর লক্ষ্যে দেশটি এটা নিশ্চিত করেছে যে, ইসলামী পন্থায় পশু জবাই করা এখনও বৈধ।

রিয়াদে অবস্থিত ডেনমার্ক দূতাবাসের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে গত সোমবার আরব নিউজ জানায়, দূতাবাস বলেছে, ডেনমার্কে ইসলামী পন্থায় পশু জবাইয়ের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। দেশটিতে ইসলামী নীতি-আদর্শ অনুযায়ী, পশু কুরবানি এখনও বৈধ। চলতি মাসের প্রথমদিকে দেশটির কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রীর দেয়া একটি বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মন্ত্রী ড্যান জারগেনসেন বলেছিলেন, ডেনমার্কে ইহুদী ও মুসলিম প্রথা অনুসারে পশু জবাই করা অবৈধ হবে।

সমগ্র বিশ্বের মুসলমানরা ইসলামী পন্থায় পশু জবাইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগের সমালোচনা করেন। বিশ্বের মুসলমানরা ক্রমবর্ধমান হারে এই উদ্যোগের নিন্দা জানান এবং ডেনমার্ককে বয়কট করার জন্য নিজ নিজ দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তাদের দাবি ছিল, ডেনমার্ক মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করা পর্যন্ত সে দেশ থেকে গোশত আমদানি বন্ধ রাখতে হবে। এ প্রশ্নের বিতর্কে যোগ দিয়ে মুসলমানরা জোর দিয়ে বলতে থাকেন এটা প্রমাণিত হয়েছে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে পশু হত্যার চেয়ে ইসলামী পন্থায় জবাই করা অধিকতর বিজ্ঞানসম্মত এবং হালাল গোশত মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। ইসলামী চিন্তাবিদ ফুয়াদ তৌফিক বলেন, যতদিন পর্যন্ত ডেনমার্ক ইসলামী পন্থায় পশু জবাইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে, ততদিন এদেশটি থেকে গোশত আমদানি মুসলিম দেশগুলোকে অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।

ভারতের প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক জাকির নায়েক জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী পন্থায় পশু জবাই অধিকতর স্বাস্থ্যসম্মত। কারণ জবাইয়ের পর পশুর রক্ত পুরোপুরিভাবে এর শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিভিন্ন রোগের জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং বিষাক্ত পদার্থের ভালো একটি মাধ্যম হচ্ছে রক্ত। জবাইকরা পশুর রক্ত নিঃসৃত হয়ে যাওয়ায় মানবদেহে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক কমে যায়। হালাল হচ্ছে একটি আরবি শব্দ যার অর্থ হলো অনুমোদনযোগ্য। সাধারণত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়ের ক্ষেত্রে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধারালো ছুরি দিয়ে মহান আল্লাহর নামে জবাই করা গবাদি পশুর গোশতই শুধু মুসলমানদের জন্য হালাল। এর ব্যত্যয় হলে এ গোশত খাওয়া থেকে মুসলমানদের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। ইসলামী চিন্তাবিদ এ ব্যাপারে একমত যে, শরীয়াহ আইনে উল্লেখিত ক্ষমার বিষয়টি পশু-পাখিসহ আল্লাহর সব সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কাউকে অকারণে ব্যথা দেয়া থেকে বিরত থাকার ব্যাপারেও ইসলামে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ আছে।

মুসলমানদের ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনার প্রেক্ষিতে রিয়াদস্থ ডেনিস দূতাবাস কোপেনহেগেনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। রিয়াদের ডেনিস মিশনের উপ-প্রধান ফিকরে আল গোরফতি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, ডেনমার্ক সরকারের নির্বাহী আদেশ প্রচার মাধ্যমে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি ও ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যাতে মনে হয়েছে হালাল পন্থায় পশু জবাইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, মক্কাভিত্তিক মোতামারে আল ইসলামীর ইসলামিক ফিকহ কাউন্সিলের প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বর্তমানে পশু জবাইয়ের আগে এটিকে আঘাত দিয়ে হতচেতন করা হয়। ডেনিস সরকারের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, মুসলমানরা ডেনমার্ক থেকে হালাল গোশত কিনতে পারবেন।

এরপরও ইসলামী চিন্তাবিদ ফুয়াদ তৌফিক বলেন, দূতাবাসের বক্তব্য খ-ন করে বলেন, আঘাত দিয়ে পশুকে হতচেতন করা ইসলামী বিধিসম্মত নয় এবং ফিকহ কাউন্সিলের এ ধরনের অনুশাসন অনুমোদন করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, ডেনিস মুসলমানদের হালাল খাদ্য গ্রহণের অধিকার রয়েছে। হালাল গোশত না পাওয়া পর্যন্ত তাদের মুরগির গোশত ও মাছ খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে।

ব্লগার জায়েদ মান সৌদি আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশকে পাকিস্তান, তুরস্ক ও মালয়েশিযার মতো মুসলিম দেশগুলো থেকে হালাল গোশত আমদানির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডেনিস সরকারের সিদ্ধান্তে আমাদের বিকল্প পন্থা নিয়ে ভাবতে হবে। ডেনমার্কে ২ লাখ মুসলমানের বসবাস। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৫৪ লাখ। মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.