![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি
অনেকদিন যাবত একটা বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারিনি তবে এখন পর্যন্ত পড়াশোনা করে যতটুকু বুঝেছি তাই সকলের সাথে শেয়ার করছি।
ইসলামে যে শব্দ দুইটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার চালু আছে সেই দুইটা শব্দ হলো ‘হুর’ এবং ‘গেলেমান’। অনেকেই বলে থাকেন বেহেশতে পুরষরা সত্তরটি হুর পাবে কিন্তু মহিলারা কিছুই পাবে না এটা এটা আল্লাহর বে-ইনছাফি (নাউজুবিল্লাহ)। তবে আমাদের সমাজে এই শব্দ দুইটার সঠিক ব্যাখ্যাও বেশি একটা পাওয়া যায় না যার কারনে এত বিভ্রান্তি।
আমি এখন পর্যন্ত যা বুঝেছি তা হলো- যেই শিশুরা ছোট বেলায় মারা যায় তারা যেহেতু মুসলিম অবস্থায় মারা যায় সেহেতু তারা জান্নাতি হবে। আর এই জান্নাতিদেরকে দিয়েই আল্লাহ বেহেশতকে সাজাবেন। এই শিশু জান্নাতিদেরকে দিয়েই আল্লাহ জান্নিাতিদেরকে খেদমত করাবেন। সেই শিশু জান্নাতিদের সংখ্যাটা হয়তো এক একজন জান্নাতির জন্য সত্তর বা কম বেশি হতে পারে।
শিশু অবস্থায় যারা মারা যায় তারা কাফের, মুশরিক বা মুসলমান যার ঘরেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন তারা জান্নাতি হবে আর মেয়ে শিশুদেরকে বলা হবে ‘হুর’ এবং ছেলে শিশুদেরকে বলা হবে ‘গেলেমান’ তারাই জান্নাতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।
বলা হয়ে থাকে যে, জান্নাতিদের সাথে হুরদের বিয়ে দেওয়া হবে আর এই হুরদের সাথে মানুষের কোন সম্পর্ক নেই, যদি তাই হবে তাহলে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, এক গ্রহের কারো সাথে কি আরেক গ্রহের কারো বিয়ে হওয়া সম্ভব? যেমন মানুষ এবং জিনের সাথে বিয়ে সম্ভব নয়।
তাই আমার বুঝ হলো, হুর এবং গেলেমান নারী এবং পুরুষ উভয় জান্নাতিদের জন্যই থাকবে। এখানে কোন পক্ষপাতিত্ত করা হবে না বরং জান্নাতিরা হবেন সকল বিষয়ে পরিপূর্ণ তৃপ্ত।
এখন এই বিষয়ে যারা জানেন তাদের মতামত আশা করছি, আশা করি সকলের জানা বিষয়গুলো শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারবো ইনশাল্লাহ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
মো: আবু তাহের বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে সর্বসম্মতি কোন সিদ্ধান্ত না জানার কারেনেই আমার এই লেখা। এই বিষয়ে ভাল কোন লেখা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
মো: আবু তাহের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
গোধুলী রঙ বলেছেন: নোমান আলি খান এর ব্যাখ্যাটা আমার কাছে সর্বাধিক যুক্তিযুক্ত, আল্লাহ কুরানে বলেছেন, জান্নাতীরা যা চাইবে তাই পাবে, আবার পুরুষদের জন্য আরো স্পেসিফিকলি সুন্দরী রমনী আর আরাম আয়েশের সব ব্যবস্থা। কারন সৃষ্টিকর্তা জানেন কার কি চাই, ১০০ টা পুরুষকে যাচাই করেন সমান পরিবেশের ১০০ জন নারীকে যাচাই করেন, পুরুষের ক্ষেত্রে খ্যাতি, সম্পত্তি আর নারী এর বাইরে কিছু চাহিদা পাবেন না হয়তো, নারীর ক্ষেত্রে ১০০র ও বেশি রকম মতামত পেতে পারেন।
সুতরাং কারোর জন্য কোন অবিচার করা হলো না।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
মো: আবু তাহের বলেছেন: সুন্দর কথা, অনেক ধন্যবাদ।
নোমান আলি খান এর বইটার নাম বলবেন আশা করি।
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
গোধুলী রঙ বলেছেন: বইয়ের খোজ উনার ওয়েব সাইটে গেলে পাবেন, অনেক বই প্লাস ভিডিও-অডিও লেকচার আছে, nakcollection.com. ইউটিউবে গিয়ে Nouman Ali Khan লিখে সার্চ করেন। উনার আমেরিকায় একটা ইন্সটিটিউশন আছে http://bayyinah.com/
২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
মো: আবু তাহের বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
একই কথা লাখ বার ব্লগে আসে, তারপরও ব্লা ব্লা চলতেই থাকে; কিছু একটা নিয়ে লেখেন, যাতে আপনার কথা আমাদের মণে থাকে।