![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারীর যে মরার পর ও যে রক্ষা আছে তা কিন্তু নয় ।কখন ও কি আপনি দেখেছেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর আপনার প্রিয় বোন ,বান্ধবি, মা অথবা কাছের কোন নারী আত্নিয়ের সুন্দর মুখটির অসুন্দর রুপ ? লাশকাটা ঘরে কাটাচেরা করে সুন্দর মুখখানি যখন হয়ে যায় কালচে নীল, যত্নে বড় করা দীঘল কালো কেটে ফেলে দেওয়া চুলগুলো লুটোপুটি খায় লাশ ঘরের ময়লা ফ্লোরে , নীল চোখ জোড়ায় গুজে দেয়া তুলা রক্তাক্ত হয়ে যায় । সুন্দর দীর্ঘ পিঠটাতে এত কাটা থাকে যে গোসলের করানোর সময় বারবার হাত পিছলে যায় শরীরের তেলে। যে কলিজায় ওই অভাগি ধারন করে ছিল প্রিয় মানুষটিকে সেটি জায়গা করে নেয় ফরেনসিক বিভাগে সাজিয়ে রাখা কোন এক কাঁচের বয়ামে!! পলিথিনে মোড়ানো সে প্রিয় মুখ তখন আর প্রিয় থাকে না । কান্নায় যেন কোঠর থেকে চোখ বের হয়ে আসতে চায় যেন এ দৃশ্য আর দেখতে না হয় । জীবন্ত সব মধুময় স্মৃতি গুলো আস্তে আস্তে নয় বেশ দ্রুতই হারিয়ে যায় কাছের মানুষের বিকৃত চেহারার কাছে , হারিয়ে যায় সোনালি দিন আর নেমে আসে সেখানে কেবলি অন্ধকার।
নির্যাতনের আরেক নাম নারী । নারী মানেই অবলা ভেবে নির্যাতন করা হয় । পুরুষ তার দাঁত , নখ, শক্তি দিয়ে বোঝাতে চায় সে পুরুষ ।নারী যে কেবল পুরুষ দ্বারা ই সবসময় নির্যাতিত হয় ব্যাপারটা কিন্তু তা নয় , নারীর দ্বারা ও নারী অনেক বেশি নির্যাতিত হয় । শুধু শারীরিক প্রহারের নামই কেবল নির্যাতন নয় । নির্যাতন হতে পারে শারীরিক মানসিক উভয় ই ।
শ্বশুরবাড়িতে মেয়েদের কে যখন মা নামের শ্বাশুরীরা চালায় অমানবিক নির্যাতন তখন সত্যি ই মনে হয় এরা গর্ভে কেবল সন্তান ই ধারণ করেছে মা হতে পারেনি !!!
আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত নারীকে নির্যাতিত হতে হয় ।কাউকে এসিডে ঝলসে যেতে হয় , কাউকে পুড়ে কয়লা হতে হয় গায়ে কেরসিনের আগুন নিয়ে ।আবার কাউকে হত্যা করা হয় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে , কাউকে কেটে কুচি কুচি করা হয় ধারালো বটিতে। কেউবা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বেছে নেয় আত্নহননের পথ !!
যাদের মা বোনের হয়েছে এসব অস্বাভাবিক মৃত্যু কেবল তারাই জানে কতটা কষ্ট তারা বুকে চাঁপা দিয়ে রেখেছে । প্রিয় মুখগুলো কে যখন বিকৃত হতে দেখে তখন তাদের মন কেমন করে তা কি কেঊ ভেবে দেখেছে কখন ও ? আজীবন এ ভয়াবহ স্মৃতি তারা করে ফেরে। মাঝেমাঝে প্রশ্ন জাগে মনে মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়া কি পাপ ? মেয়ে হয়ে জন্মানোটা ই কি আজন্ম অপরাধ !!!
হে পুরুষ আপনার যদি কাউকে ভাল না লাগে তাকে ত্যাগ করুন । স্বাধীনভাবে বাঁচতে দিন আমাদের । আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই । আমরা চাই না মরার পর আমাদের চেহারা দেখে কেউ ভীত হয়ে মুখ সরিয়ে নিক , আমাদের কাছে না আসুক । আমি চাই আমার মৃতদেহে শেষবারের মত হাত বুলিয়ে দেক আমার আপনজন ।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে আমাদের চাওয়া গুলো -
আমরা শুধু বাঁচতে চাই সুন্দরভাবে !!!
আর মরতে চাই স্বাভাবিক নিয়মে !!!
আর বিচার চাই পাষণ্ডদের !!!
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখাটা ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬
তাহমিনা আকতার বলেছেন: এ লেখাটা লিখতে আমার বেশ কষ্ট হয়েছে । হাত থেমে গেছে বেশ কয়েকবার
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
প্রামানিক বলেছেন: হে পুরুষ আপনার যদি কাউকে ভাল না লাগে তাকে ত্যাগ করুন । স্বাধীনভাবে বাঁচতে দিন আমাদের । আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই।
এই কথাটি আমারো কাম্য। নারীকে ভাল না লাগলে বিদায় করে দিন মারতে হবে কেন?
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০
শোভ বলেছেন: খুব ভালো লাগল আপনার লিখাটি , পুরুষ দ্বারা নারী নির্যাতনের কথা লিখেছেন কিন্তু নারী যে পুরুষ কে নির্যাতন করে সেটা কি আপনি জানেন ???।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
তাহমিনা আকতার বলেছেন: হ্যাঁ আমি জানি ।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
সুলতানা রহমান বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
মোঃকামাল হোসেন বলেছেন: যারা নারীদের ওপর এমন অমানবিক নির্যাতন করে তাদের পুরুষ বলা যায়না তারা পুরুষ নামের কলঙ্ক।