নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ

তাহমিনা আকতার

০০৭

তাহমিনা আকতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিভির অর্ধশত ভুল !!

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১১



১। বড় ভাইয়ের সিভি নিয়ে তার মধ্যে নিজের নাম ঠিকানা বসিয়ে সিভি তৈরিকে আমি বলব প্রথম ভুল। ক্যারিয়ারের শুরুতেই নির্ভরশীলতা কি ঠিক? আমরা প্রত্যেকেই ইউনিক, প্রত্যেকের সিভিও ইউনিক।

২। সিভি কপি করার সময় অনেকের পিতার নাম, মোবাইল নম্বর ওই বড় ভাইয়ের টাই থেকে যায়। একবার এক ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারের সিভি পেয়েছিলাম। সিভিতে লেখা ছিল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সব বড় ভাইদের দোয়া।

৩। সিভি সাহিত্যচর্চার জায়গা নয়। মনে রাখবেন, সিভি যত বড়, সিভি ছুড়ে ফেলে দেয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি। ফ্রেশার থেকে শুরু করে ৬-৭ বছর যারা চাকরি করছেন, তাদের সিভি হবে ২ পেজ। ৬-১৫ বছর যাদের অভিজ্ঞতা তাদের সিভি হবে তিন পেজ। প্রতি ১০ বছরের কাজ লিখতে একটি পেজ পাবেন।

৪। চকচক করলেই যেমন সোনা হয় না, তেমনি সিভিতে কালারিং করলেই যে সিভি চোখে পড়বে তা কিন্তু নয়। বরং সেটা আপনার রুচিহীনতা প্রকাশ করে। সিভি হবে সাদা কাগজে কালো লেখা। মনে রাখবেন, ''What is simple, that is Beauty''

৫। ফরমেট ভালো হলে সিভি ভালো হবে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। “বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়”। তেমন, আপনি যদি কাজ করেন তাহলে যে কোনো ফরমেটেই সেটা বসালে চলবে। কাজই আপনার হয়ে সুপারিশ করবে, ফরমেট নয়।

৬। সিভিতে নামের পর বর্তমান ঠিকানা লিখতে হয়। বর্তমান ঠিকানা হচ্ছে আপনি যেখানে রাতে ঘুমান সেই ঠিকানা। বাবার বাড়ি, স্থায়ী ঠিকানা, শ্বশুরবাড়ির ঠিকানাও সিভিতে পাওয়া যায়। এগুলো থাকলে হবে না।

৭। ফোন নম্বরে কান্ট্রি কোড না দেয়া বিরাট ভুল। সিভি দিচ্ছেন দুবাই। দুবাই গিয়ে ইন্টারভিউ দেবেন? দুবাই থেকে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে কীভাবে?

৮। সিভিতে অনেকেই মেইল আইডি পাওয়া যায় : [email protected] , [email protected] নিশ্চিত থাকতে পারেন, এরকম আজেবাজে মেইল আইডি থাকলে ইহজনমে ইন্টারভিউর ডাক পাবেন না।

৯। স্কাইপি আইডি অবশ্যই সিভিতে দিয়ে রাখুন। কোনো রিক্রুইটারের সময় নেই, আপনাকে খুঁজে বের করে আপনার সঙ্গে অনলাইনে ইন্টারভিউ অ্যারেঞ্জ করবে। হোয়াটস আপ ও ভাইবারও একটিভ রাখুন।

১০। লিঙ্কডইন রেডি রাখবেন সবসময়। যে কেউ যেন ভিজিট করলেই আপনার সম্পর্কে জেনে যায়। লিঙ্কডইন তৈরির জন্য তৃতীয় পর্বের লিখাটি পড়ুন।

১১। স্কুলের ছবি দিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করা খুব বড় ভুল। আপনাকে একজন লোক যে ইন্টারভিউর জন্য ডাকবে, সিভি খুলে সে যখন আপনার স্কুলের ছবি দেখবে, সে কি আপনাকে ডাকবে আর?

১২। একই সিভি চালিয়ে দিচ্ছেন সেলস, মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং, অ্যাকাউন্ট যে কোন চাকরির জন্য। ধরুন, আপনি মুরগি রাঁধবেন। একই মশলা দিয়ে কি গ্রিল, তান্দুরি, রোস্ট, কাবাব তৈরি সম্ভব? নিশ্চয়ই না। আপনাকেও প্রতিবার আবেদন করার সময় মশলা চেঞ্জ করতে হবে। নয়তো কেউ ডাকবে না।

১৩। আপনি চট্টগ্রাম যাবেন। যে বাসে লেখা যে বাসটি চট্টগ্রাম যাবে আপনি কি সেটিতে চড়বেন নাকি বাসস্ট্যান্ডের যে কোনো বাসে চড়ে বসবেন? ভেবে দেখুনতো। লক্ষ্যহীন বাসে যদি আপনি না চড়েন তাহলে কীভাবে আশা করেন যে, যার ক্যারিয়ারের কোনো লক্ষ্য নেই তার সিভি ফেলে দেয়া হবে না?

১৪। অনেকে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভের মধ্যে "Seeking", "Need", "Looking for Position", "Good Organization" এসব ওয়ার্ড ব্যবহার করেন। এগুলো মারাত্মক ভুল। অবজেক্টিভ হতে হবে শুধুই কাজ করার মেন্টালিটি। চাই, প্রয়োজন, দেন, খুঁজছি এগুলো দুর্বলদের কথা।

১৫। পিতার নাম, মাতার নাম, উচ্চতা, নাকের সংখ্যা, চোখের সংখ্যা, এগুলো আপনার চাকিরর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এগুলোর দরকার নেই। আড়াই ফিট লোককেও চাকরি পেতে দেখেছি তার যোগ্যতাবলে। অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লাভ নেই। সিভি বাছাইকারী পচা আলু পটলের মতো সিভি ছুড়ে ফেলে দেবে। তার কাছে সিভি বাছাই নিত্যদিনের বোরিং কাজ। আপনার কাছে কিন্তু এটা আপনার ক্যারিয়ার।

১৬। গ্রামার ও বানান ভুল সিভির মারাত্মক আরেকটি ভুল। অনেকে বড় ভাইয়ের সিভিতে কি লিখা আছে তার বাংলা অর্থও জানেন না অথচ সেই সিভি পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

১৭। সিভির ফন্ট, বানান, মার্জিন, স্টাইল সব সময় একই রকম হতে হবে। একেক জায়গায় একেক ফন্ট, একেক স্টাইল হলে বাজে দেখায়।

১৮। সিভির স্টেটমেন্টগুলো SMART না হওয়া চাকরিজীবীদের সিভির খুব মারাত্মক ভুল। SMART দ্বারা বোঝাচ্ছে S= Specific (সুনির্দিষ্ট) M=Measurable (পরিমাপযোগ্য) A=Achievable (সাধনযোগ্য) R= Realistic (বাস্তব) T=Time Bounded (নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে)। আগের একটি পর্বে SMART সম্পর্কে লিখেছিলাম। দয়া করে পড়ে নেবেন। SMART স্টেটমেন্টের মাধ্যমে সিভিতে আপনার কাজগুলো এমনভাবে দিন যাতে চাকরিদাতা বোঝে যে আপনি কত বড় বনের বাঘ।

১৯। নিজের ব্যাপারে বাড়িয়ে এমন কিছু লিখা যাবে না যেটা ডিফেন্স দিতে পারবেন না।

২০। সিভিতে স্ট্রং ওয়ার্ড না থাকা আরেকটি দুর্বল দিক। গুগল করে স্ট্রং ওয়ার্ড বসিয়ে নিন সিভিতে। সামনে এই সম্পর্কে একটি পুরো লিখা দেব।

২১। ফ্রেশাররা সিভিতে ফুটিয়ে তুলতে পারে না যে তারাও কাজ করেছে ও কাজ জানে। ফ্রেশাররা কীভাবে এক্সপেরিয়েন্স লিখবেন জানতে প্রথম পর্বের লেখাটি পড়ুন।

২২। শিকার করা, মাছ ধরা এই ধরনের উদ্ভট শখের কথা সিভিতে থাকা যাবে না যার সঙ্গে কাজের কোনো সম্পর্ক নেই।

২৩। সিভিতে অনেকে চাকরিরত কোম্পানির ইতিহাস লিখে ফেলেন। কোম্পানির ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস দিয়ে দিন। যার দরকার সে জেনে নেবে।

২৪। ফ্রেশারদের সিভিতে কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ থাকতে হবে। চার বছরে এক বছর সবাই ছুটিই কাটান। কিছু না কিছু এই সময়ে করতে হবে। মনে রাখবেন, মৃত্যুর পর ঘুমানোর অনেক সময় পাবেন। আলসেমি করে, ঘুমিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।

২৫। ট্রেনিং না থাকাটা সিভির আরেকটি বড় দুর্বলতা। ট্রেনিং করুন। সিভি স্ট্রং হবে। কাজে দেবে।

২৬। নিজের প্রফেশনাল এক্সপার্টজগুলো ফুটিয়ে তুলতে না পারার কারণেও সিভি রিজেক্ট হয়।

২৭। কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি পারদর্শী এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করতে চান উল্লেখ না করাও সিভির বড় ভুল।

২৮। ভুল তারিখ থাকা সিভির আরেকটি ভুল। অনেকে এক চাকরি থেকে অন্য চাকরিতে গিয়ে তারিখ লিখতে ভুল করেন। এই ভুল ধরা পড়লে সিভি বাদ হবে।

২৯। চাকরির গ্যাপ সিভি রিজেক্ট হওয়ার বড় কারণ। চাকরিতে গ্যাপ পড়েছে হয়তো, কিন্তু কাজতো করেছেন। কি কি করেছেন গুছিয়ে লিখুন। কাজ দিয়ে গ্যাপ পুরা করে ফেলুন।

৩০। হয়তো বিক্রয়কর্মীর পদের জন্য আবেদন করবেন। কিন্তু সিভির মধ্যে সাপ্লাই চেইন সম্পর্কে এত কথা লিখা যে, সিভি বাছাইকারী কনফিউজ হয়ে গেল। পরিণামে আপনার সিভিটি তিনি বাদ দিয়ে দেবেন।

৩১। সিভির তথ্যগুলো পর্যায়ক্রমে না সাজালেও বাদ পড়ে যেতে পারে আপনার সিভিটি। ধরুন, আপনি বিবিএ পড়ার সময় ইন্টার্নশিপ করেছেন। তার মানে ইন্টার্নশিপটা বিবিএ পড়ার একটা পার্ট। তাই আগে থাকবে বিবিএ পড়ার তথ্য, এরপর আসবে ইন্টার্নশিপ।

৩২। একটি ছেলের ছবি সিভিতে যুক্ত থাকার পরেও সে যখন আলাদাভাবে লিখে যে তার সেক্স Male, সেটা খুব অদ্ভুত দেখায়।

৩৩। কত টাকা বেতন পান ও কত টাকা বেতন চান উল্লেখ করা সিভির আরেকটি ভুল। আগে যাচাই-বাছাই করতে হবে, সবশেষে আসবে মূল্য।

৩৪। থার্ড পার্সন ব্যবহার করে সিভি লিখবেন না। She, He এগুলো লিখবেন না। আপনি সিভিতে আপনাকে পরিচয় করাচ্ছেন। তাই সবকিছু ফাস্ট পার্সনে লিখুন।

৩৫। কেন আমি সেরা? কেন আমাকেই ডাকবেন ইন্টারভিউর জন্য? এটা যদি সিভিতে ফুটে না ওঠে, আপনি ইন্টারভিউ কল পাবেন না। কীভাবে নিজেকে যোগ্যভাবে তুলে ধরতে হবে তার জন্য গত সপ্তাহের লেখাটি পড়ুন।

৩৬। আত্মীয়স্বজন, বেয়াই, কুটুম এদের সিভির রেফারেন্স বানাবেন না। সিভিতে দুটি রেফারেন্স রাখুন যাদের সঙ্গে পড়াশোনার সময় অথবা কর্মক্ষেত্রে পরিচয় হয়েছে।

৩৭। ভাষাগত দক্ষতা অংশে অনেকে টেবিল তৈরি করেন। এটা খুব বাজে লাগে দেখতে। আপনি বাংলা ও কাজ চালিয়ে নেয়ার মতো ইংরেজি জানেন। এইটুকু লিখলেই হবে।

৩৮। এমন কোনো কম্পিউটার স্কিল দেবেন না যা আপনি জানেন না। এমন কোনো সফটওয়ার স্কিল দেবেন না যা আপনি জানেন না।

৩৯। যাকে রেফারেন্স বানাচ্ছেন, তাদের অনুমতি নিন ও তাদের ফোন নম্বর ও মেইল আইডি দিন।

৪০। সবশেষে সাইন দিন যাতে বোঝা যায় সিভিটি আপনার। যেদিন সিভিটি পাঠাচ্ছেন, ওইদিনের ডেট দিন।

৪১। কভার লেটার না দিলে অনেক সময় আপনার সিভি বাদ পড়ে যাবে। অনেক জায়গায় তো কভার লেটার ছাড়া আপনি আবেদনই করতে পারবেন না।

৪২। কেউ জেপিজি ফরম্যাটে সিভি পাঠাবেন না। কারো সময় নেই, একাধিক ইমেজ নামিয়ে জোড়া দিয়ে দিয়ে আপনার সিভি দেখবে। সিভি পিডিএফে পাঠাবেন।

৪৩। যে পদের জন্য আবেদন করা হচ্ছে সেটি খামের ওপর বা ই-মেইলের সাবজেক্টে না লেখা আরেকটি বড় ভুল। তাড়াহুড়ার কারণে এই ভুলটি হয়।

৪৪। অনেকে মেইল করেন “গু পা” নামের ফাইল। এবার আমি যদি ১০টা একই নামের ফাইল পাই, আমি কি করব বলেন তো? ১০টা সিভিই খুলে না দেখে ফেলে দেব। ই-মেইলের ক্ষেত্রে অ্যাটাচমেন্টের ফাইল নেম চেঞ্জ করে দিন।

৪৫। সিভি অফসেটে প্রিন্ট করে পাঠানো ভালো। সব জায়গায় কৃপণতা ঠিক না।

৪৬। বেশি পুরানো তথ্য সিভিতে রাখবেন না। নতুন নতুন কাজ প্রোফাইলে যুক্ত হলে পূর্বের কাজগুলো সরিয়ে ফেলুন।

৪৭। সিভি ও ছবি আলাদা করে পাঠাবেন না। যিনি সিভি যাচাই বাছাই করেন, উনাকে কয়েকশ’ সিভি যাচাই-বাছাই করতে হয়। আপনার সিভির সঙ্গে ছবি জোড়াতালি উনি কোনোদিন দেবেন না।

৪৮। ওয়ার্ড ফাইল কাউকে দেবেন না। এটা এডিট করা যায়। ইনফো সিকিউরিটির ব্যাপার আছে। যাকে তাকে সিভি দেবেন না।

৪৯। সিভি আপডেট করবেন প্রতিমাসে, নয়তো কি কাজ করেছেন মনে থাকবে না। আজ করি কাল করি করে করে সময় নষ্ট করবেন না।

৫০। নিয়মিত পোর্টালগুলোতে সিভি আপডেট না করা আরেকটি ভুল। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কোম্পানি হয়তো ৫ বছরের এক্সপেরিয়েন্সওয়ালা লোক চাচ্ছে। আপনারও ৫ বছরের অভিজ্ঞতাও আছে হয়তো। কিন্তু পোর্টালের সিভি লাস্ট ৬ মাস আপডেট করেননি। আপনি কিন্তু এমনিতেই পুল থেকে বাদ পড়ে যাবেন। সিস্টেম আপনার সিভি রিজেক্ট করে দেবে। সিস্টেমকে আপনি আপডেট দেননি। সিস্টেম কিন্তু আপনাকে ৪-৫ বছরের চাকরির ক্ষেত্রে আপনার সিভি দেখাবে। ৫ বছরের অভিজ্ঞতা যারা চাচ্ছে তাদের থেকে আপনি বাদ পড়ে গেলেন। মনে রাখবেন, ভুল আপনার, সিস্টেমের নয়।

ভুলগুলো শুধরে ফেলুন, নয়তো মাশুল দিতে হবে। মনে রাখবেন, শরীরের যত্ন না নিলে যেমন শরীর অসুস্থ হয় তেমনি সিভির যত্ন না নিলে ক্যারিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়বে। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য।

সংগ্রহীত

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

জোৎস্নাআলো বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।

২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার ও কাজের একটি পোস্ট । অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

সুমন কর বলেছেন: এতো কিছু......!!

৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাপরে! অাফা, মাফ করেন!

৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: পিকটা চমৎকার!

৬| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, ফকিন্নী বাংলাদেশ এতো আগাইছে নাকি? ফকিন্নী বললাম এজন্য যে আমার প্রথম জব ইন্টারভিউ ছিলো ট্রান্সকমে যেখানে সিভি ছিলো ১ পাতা। বাবার নাম ছিলো না। এরকম স্মার্ট সিভি। লিংকডইন তখন ছিলো না, কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস সাথে স্কাইপ আর ইমেইল দিয়ে সব লিখেছিলাম। স্থায়ী ঠিকানা নাই। উনি সিভি দেখে প্রথম কুশ্চেন,"বাপ নাই?"



২০০৯ পর্যন্ত দেখছি এমন। ঢাকার বাইরে এখনও অনেক ফ্যাক্টরী বা ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্জিনিয়ার নিয়োগ নিলে পুরোনো ধারার সিভি চায়। আর ইন্জিনিয়ার ছাড়া অন্য পোস্টে তো হাইট পর্যন্ত দিতে হয় যদি রেফারেন্স না থাকে মানে আগে থেকে মামা চাচার তদ্বীর! এর মধ্যে আবুল খায়ের মোনেম গ্রুপ, কুশিয়ারা, টিকে ইত্যাদি।

তাই ইন্টারনেট থেকে কপি না করে বাংলদেশের প্রেক্ষাপটে যাদের কোনো তদ্বীর নাই, তাদের জন্য লিখুন।

হ্যাপি ব্লগিং

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

তাহমিনা আকতার বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ । হতে পারে এমন, তবে অনেক কোম্পানি ই এখন সিভির মান যাচাই করে এবং মামা চাচা ছাড়াই যোগ্য ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিচ্ছে। এক সময় অনেক কিছুই ছিল না ,তারমানে ভবিষ্যতে কিছু হতে পারবে না এমন তো কোন কথা নেই । এখন ও প্রায় ৯০ ভাগ মানুষই তাদের সিভিতে স্কাইপ ঠিকানা ব্যবহার করে না যা কিনা আপনি করেছিলেন। অল্প কথায় বেশি তথ্য সম্বলিত সিভির আবেদন প্রাইভেট সেক্টরে বাড়ছে বৈ কমছে না ।

৭| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
+++++++

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

তাহমিনা আকতার বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৮| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চাকরি প্রার্থীদের জন্য বেশ কাজে দিবে আপনার লেখাটি । আমার কাছে মনে হয় অন্য সকল ক্ষেত্রের মত সিভির ক্ষেত্রেও সৎ থাকাটা খুব জরুরী । বাড়তি কিংবা অনাকাঙ্গিত কিছু লিখে নিজেকে জ্ঞানী কিংবা কোম্পানির মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করাটা হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.