নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার নিজস্ব কিছু মন খারাপের গল্প থাকে :( আবার সময়ে মন খারাপের গল্পের ভুমিকা বদলায়, গল্প বদলায় কিন্তু মন খারাপের গল্প না থাকলেও কেমন যেনো অপূর্ন ভাব থেকে যায়, তাই আমি চাই মন খারাপের গল্প লিখে যেতে :) সময়ে-অসময়ে :( শেষ কবে কেঁদেছি সে কথা মনে থাকলেও শে

তাই-ফি

আমি বাংলাদেশের একজন দালাল বলছি !!

তাই-ফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতে ওঠা আর হইলো না আমার – ২

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:০৪

বিলাত যাবার পরে আমি আপ্রান চেষ্টা করতে লাগলাম জাতে উঠে আসবার জন্য। "লেডি গাগা" নামীয় সেই নারীর গান শুনে জাতে উঠতে না পারে অতিশয় হতাশ হয়ে পরলাম। মনে তখন একটাই চিন্তা আমার, কেমনে আমি এমন সুযোগ হাত ছাড়া করলাম। বংগদেশে ফিরে যাবার পর মানুষকে যদি আমার জাতই দেখাতে না পারলাম তবে বিলাত থেকে কি নিয়া ফিরলাম !? মানুষ কেমনে বুঝবে আমি বিলাত হতে জাত নিয়া আইসি এমন ইত্যাদি চিন্তায় মগ্ন হয়ে থাকতাম। এক সময় বুঝতে পারলাম জাতে উঠা আমার হবে না। তাই জাতের চিন্তা বাদ দিয়া পাতের চিন্তায় মগ্ন হয়া পরলাম।
বাঙ্গালীর সন্তান তাই পেটের দায়ে কাজ করতাম। সেই কর্মক্ষেত্রে আমি একজনকে পেলাম তার নাম ছিলো… নাহ আসল নাম বলা ঠিক হবে না। ধরে নেই তার নাম "ফ" দিয়া শুরু হয়। আপনাদের কাছে আর কি লুকাবো। সেই ছিপছিপে তন্বীকে আমি প্রথম প্রথম দেখতাম হিজাব পরে কাজে আসতে। বড় ভালো লাগতো তার চালচলন কিন্তু দিনের সাথে দেখতে থাকলাম তিনি জাতে উইঠা যাইতেছে। মাথার হিজাবের পর আস্তে আস্তে তার চাল চলনও বদলে যাচ্ছিল। ধারনাও করতে পারি নাই থলের ভেতর কত বড় বিড়াল লুকাইয়া আছে। অনেকটা ঘুমটার নীচে খেমটা নাছের মতো অবস্থা। তার স্বামিকেও তিনি একই যায়গায় কাজ নিয়া দিলো। একদিন সে অন্য একজনের সাথে কর্মক্ষেত্রে বাথরুমে ধরা পড়লো। দুষ্ট লোকে বলে থাকে আপত্তিকর অবস্থায় নাকি ধরা পরেছিলেন উনারা। যাই হোক এই সব জিনিষ কোনদিন আমাকে আন্দোলিত করে নাই।
একদিন আমি কজের বিরতিতে বসে বার্গার কিং হতে খাবার নিয়া খাচ্ছিলাম। যেহেতু জাতে উঠা হয়ে উঠে নাই তাই জাঙ্ক ফুড খেয়ে আমার বেশ চলে যেতো। হঠাৎ দেখিলাম সেই মহোদয়া আমার দিকে আসছেন, কাছে আইসা আমার দিকে তাকায়া একটি সুন্দর করে হাসি দিলেন। হাসি দেইখা কেন জানি আমি বিমোহিত না হয়া বিরক্ত হলাম। এতো বিরক্তির কারন আজও আমি বাহির করতে পারি নাই। সে আমার দিকে তাকায়া হেসে প্রশ্ন করলো, “কি খাও?” আমি খাওয়া প্রেমিক মানুষ, খাওয়ার সময় কথা বইলা সময় নষ্ট করা আমার মনে বিরক্তির জন্ম দেয়। বিরক্তি লুকায়া বললাম, বার্গার কিং এর টেন্ডার ক্রিস্প খাই। খুব মজার খাবার। খেয়ে দেখতে পারো। সে বললো, ছি ছি ছি। জাত গেল জাত গেল। আমি অবাক হয়ে গেলাম। জাতেই তো এখন উঠতে পারলাম না, তাহলে গেল কি কইরা??? আমি ব্যাকুল হয়ে খাওয়া ছেড়ে তাকে প্রশ্ন করলাম “কেমনে আমার জাত গেলো?” সে বললো, তুমি মুসলমান হয়ে এই হারাম খাবার কেমনে খাও? তোমার তো জাত চলে গেল। জাত কোন দিক হইতে কোন দিকে গেল আজও আমি বুঝতে পারি নাই। আমি তাকে বললাম ইতা তো মুরগি। আমি তো বরাহ খাইতেছি না। তবে জাত কেমনে গেল। সে আমার দিকে এমন ভাবে তাকাল মনে হচ্ছিল আমার নিজের বুঝি কান ছাগলের মতো হয়ে গেছে অথবা নাক অথবা আমি নিজেই ছাগল হয়ে গেছি। সে বলল তা সে যাই হোক এটা হারাম। পরিপূর্ন রূপে যেহেতু এটাকে জবেহ করা হয় নাই তাই এটা হারাম বলে গন্য হবে। আমি তাকে বলতে চাচ্ছিলাম “বিবাহ ব্যাতিরেকে মিলিত হওয়াও তো ইসলামে হারাম বলা হয়েছে তবে, সে কেমনে স্বামী রাইখা অন্য একজনের সাথে কর্মসিদ্ধিরত অবস্থায় ধরা পরল।” কিন্তু আমারও যে একখানি জাত ছিলো আর আমি মুর্গি খাইয়া উহা হারায়া ফেলছি উক্ত জ্ঞান পাইয়া আমি আর কিছু বলতে পারি নাই। জাত হারানোর কষ্টে বার্গার কিং – এ গিয়া একটা ওয়াপার অর্ডার কইরা দাড়ায়া দুঃখ করতে লাগলাম। জাতে উঠা তো হইলোই না আমার বরং যাও জাত ছিলো অজ্ঞাতে তা আমি হারায়া ফেলছি।
চলবে .।.।.।.।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.