নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার নিজস্ব কিছু মন খারাপের গল্প থাকে :( আবার সময়ে মন খারাপের গল্পের ভুমিকা বদলায়, গল্প বদলায় কিন্তু মন খারাপের গল্প না থাকলেও কেমন যেনো অপূর্ন ভাব থেকে যায়, তাই আমি চাই মন খারাপের গল্প লিখে যেতে :) সময়ে-অসময়ে :( শেষ কবে কেঁদেছি সে কথা মনে থাকলেও শে

তাই-ফি

আমি বাংলাদেশের একজন দালাল বলছি !!

তাই-ফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

AIM IN LIFE !!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৩২

“বড় হয়ে কি হবা ??? ” এই প্রশ্ন বোধয় এখন আর কেউ করে না। আমাদের সময় এই প্রশ্নটা ছিল সবচেয়ে কমন।
হাফ প্যান্ট পরে দাওয়াতে গিয়েছি, আঙ্কেল এসে গাল টিপে দিয়ে বলে, “বড় হয়ে কি হবি?? ” আমি মনে মনে বললাম, “আপনার মতো অন্তত বাচ্চাদের জ্বালাবো না... গাল ছাড়েন এইবার”। একটু বড় হলাম, ফুল প্যান্ট পরে দাওয়াতে গিয়েছি, সেই আঙ্কেলই নড়তে নড়তে এসে গাল টিপে দিয়ে বলে, “বড় হয়ে কি হবি?” উনার জানাজায় আমি যাইনি ভয়ে... কখন কাফনের ভিতর থেকে হাত বের করে গাল টিপে দিয়ে বলা শুরু করে “বড় হয়ে কি হবি?” না সিরিয়াসলি এরকম আতঙ্কের মাঝেই থাকতাম আমরা।
“বাবা একটা হোন্ডা কিনলে কেমন হয়” এই কথাটা বলতে আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবের ৩০ বছর লেগেছে”। বাবা তার খায়েস শুনে এমন জোরে একটা ফ্লায়িং কিক দিয়েছিলেন যে আমার বন্ধু ডাইরেক্ট উড়ে যেয়ে পড়ার টেবিলে... জায়গা মতো।

এক রাতে দাদু আমাকে বলে, ‘তোর বাবা খুব রাগ করেছে তুই নাকি বড় হয়ে দারোয়ান হবি বলেছিস’
আমি বললাম “সরি”
একটু বড় হয়ে (কলেজে উঠে) একটু নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে বললাম, “মামা আমার লিখতে ভালো লাগে”
‘গুড বয়... পড়া যাই পড়বি তাই ঝটপট লিখে ফেলবি... তাহলে আর ভুলবি না’
আমি বললাম, “মামা অন্যের আগে থেকে লেখা কিছু আবার লেখতে ইচ্ছে করে না। আমার সেটা লিখতে ইচ্ছে করে যেটা অন্যরা প্রথম পড়বে”-- রাতে মা আমাকে বলে, ‘তোর বাপ খুব রাগ করেছে তুই নাকি বড় হয়ে দলিল-লেখক হবি বলেছিস’
আমি বললাম “সরি”। সরি সরি করতে করতে এখন বয়স ৪০ হয় হয়, আমি নিজেও জানি না আমি কি? খুব ইচ্ছে করে সেই আঙ্কেলের কবরের পাশে যেয়ে জিজ্ঞেস করি, “বলেন তো আমি ফাইনালি কি হইসি?”
এই জেনারেশান অনেক লাকি এটার কারণ বোধয় জেনারেশান-গ্যাপ নামের শব্দটা আজকে আমার বন্ধু বান্ধবের মেয়েরা তাঁদের দৌড়ে এসে বলতে পারছে, ‘বাবা গিটার ক্লাস ভালো লাগছে না... ক্রিকেট শিখব’ আবদার শুনে চুপ করে থাকাটার নাম কিন্তু ‘আদর’ না এটাকে বলে ‘বুঝা ... ফোর-সি করা’।
আমি বুঝতে চাই, দেখতে চাই... “সে বড় হয়ে যেন সেই হয়”... অন্য কিছু না।

এতো কথা লেখার একটা উদ্দেশ্য হলো, আমার সামনে একঝাক তরুণ তরুণী বসে আছে তারা তাদের নাম দিয়েছে painter People তারা পেইন্টিংকে তাদের ক্যারিয়ার বানাতে চায়। মজার ব্যাপার তাদের বাসা থেকে রাজি। এই এক ঝাঁক পেইন্টার পিপল সারা দেশ ঘুরে বেরায়। প্রতি শনিবার এক হয়, বসে আকাআকি করে। কারও আঁকা নিয়ে আগ্রহ থাকলে তাদের জন্য টিউটোরিয়াল বানায়। আমি জানি এদের প্রত্যেকেই শাইন করবে। কারণ এঁরা তাদের স্বপ্নটাকে ক্যারিয়ার বানিয়েছে। শাইন করেছেও এদের অনেকে... এদের ২/১ জন মাসে যে ইনকাম করে, তার অর্ধেকও আমি এখন করি না। জেনেই বলছি। আর তাই, তারা তাদের স্বপ্নগুলো... স্বপ্ন পুরনের বাধাগুলো ... সবাইকে জানাতে চায় ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.