![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের জাতিগত স্বাধীনতা এখনো হয়নি। তাইতো আমরা এখনো নিজেদের চেয়ে সাদা চামড়াদের বিশেষ খাতির করি। একজন ইউরোপিয়ান প্রেসিডেন্টকে দেখেন। তিনি নিজের ব্রিফকেস নিজে নিয়ে গাড়ির দরজা খুলে গাড়িতে উঠছেন। আর আমাদের এখানে দরজা খোলার জন্য চামচারা রীতিমতো কম্পিটিশন করে।
আমাদের নেতা যাবেন, তার বক্তৃতার কপি আরেকজনের বগলে। তার সানগ্লাস আরেকজনের হাতে। স্কুলের বাচ্চারা সকাল থেকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। লিডার বক্তৃতা দিতে যখন আসলেন, ততক্ষণে বাচ্চাগুলো রোদে পুড়ে কালো হয়ে গেছে। তাদের হাতের ফুল শুকিয়ে গেছে।
নেতা দুর্নীতিবাজ হলেও তার লোকের অভাব হয় না। স্লোগান হয় ‘অমুক ভাই এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’। এই নেতা যখন স্টেজে দাঁড়ায়, সে নিজেও জানে না সে কী বলবে। তাকে আরেকজনে ফাইল খুলে দিতে হয়। বড়ই বিচিত্র যে, আমাদের নিতম্বের অবস্থানের ওপর আমাদের মানসম্মান নির্ধারিত হয়। চেয়ার নেওয়ার জন্য মারামারি দেখে এটাই মনে হয়।
ইসরায়েলের কেবিনেটে দেখেন প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে আলোচনা করতে করতে মিনিস্টার প্রাইম মিনিস্টারের সামনের টেবিলে বসে পড়ছেন। আর আমাদের এখানে নেতার সামনে জড়সড় হয়ে থাকতে হয়।
আমাদের এখানে এক ধরনের হীনমন্যতা আছে এবং স্বাধীন জাতির স্বাধীনতার অহংকারের জাগরণ এখনো হয়নি। দিস ইজ প্যাথেটিক অ্যান্ড ট্র্যাজিক। জিয়াউর রহমান নাকি একদিন বলেছিলেন, যতদিন আমাদের দেশের দশ হাজার টাউট ও চামচা নিশ্চিহ্ন না হবে, ততদিন আমাদের কষ্ট থাকবে।
১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫১
তাই-ফি বলেছেন: ধন্যবাদ তার সাথে শুভকামনা রইলো।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি পড়লাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮
কালীদাস বলেছেন: পোস্টের বক্তব্য সিম্পল কিন্তু পরিষ্কার, শক্ত। ভাল লেগেছে

ব্লগে স্বাগতম