![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা রঙিন পাখাওয়ালা শুয়াপোকাদের কখনোই পছন্দ করতাম না আমাদের আড্ডায় সেইসব পোকারা ছিল নিষিদ্ধ। আমাদের আধ-খাওয়া সিগারেটের জন্য প্রায়ই ওরা চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকত। আমরা সেই আধ-খাওয়া সিগারেট জুতার তলায় পিষে ফেলতাম। আমাদের মুখে তখন জল্লাদের হাসি আর ধ্বংস-যজ্ঞের উল্লাস!
ওরা ইচ্ছা করলেই নিজস্ব সিগারেটের মালিক থাকতে পারত! আমরা যখন চন্দ্রাভিযানে পাঁচ তলার ছাদে, ওরা তখন ভূগোল বইয়ে চোখ ঢেকে পাড়া-প্রতিবেশীর ঘুম ভাঙাতে ব্যস্ত! আমরা যখন সমসাময়িক প্রেমিকাদের জন্মদিনের গিফট কি হতে পারে এই নিয়ে মহাচিন্তিত, ওরা তখন সম্রাট আকবরের সঠিক জন্মদিন নিয়ে পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত ওদেরও অধিকার ছিল সঠিক জন্ম-ইতিহাস জানার ! ওরা নিজেদের গোত্রের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে ফিস-ফিস আলাপ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে আসে; পরিক্ষার হলে পরস্পর-পরস্পরকে নৈর্ব্যক্তিকের উত্তর ইশারায় বলে দিবে। আর আমরা সমস্ত পৃথিবীকে চমকে দিয়ে চিৎকার করে একজনের বউ অন্যজনকে দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করি!
বহুবছর পর, আজ শুয়াপোকারা প্রজাপতিতে রুপান্তরিত হয়েছে। আমরাও পাখির মত উড়তে শিখেছি। মাঝে-মধ্যে তাদের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়ে যায়। আমরাও হাসি ওরাও হাসে
ওরা ভাবে আমাদের ষোল আনা বৃথা ! আমরা ভাবি ওদের ষোল আনা বৃথা ! প্রকৃতপক্ষে দিন শেষে আমরা সবাই সুখি !
আজ এক রঙিন প্রজাপতি আমাকে ফোন করেছিল। অনেকক্ষণ কথাও হল। যদিও আমরা তাদের পছন্দ করিনা । তবুও তাদের সুখ-দুঃখের কথা মন দিয়ে শুনি। প্রজাপতি হলেও তো তাঁরা মানুষ!
____________________________________________________
আশরাফুল মাহমুদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪২
আহমেদ রেহান বলেছেন: ভালো লাগলো।