![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতি আমেরিকান প্রবাসী সাংবাদিক ডঃ কনক সারোয়ারের সাথে ভিডিও ইন্টারভিউতে "জেনারেল(অবঃ) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী" সেনাবাহিনী সম্পর্কে অনেক কিছুই বলেন। অনেক গোপন ব্যাপার নিয়েও তিনি স্পষ্ট কথা বলেন। ভিডিওটি সেদিনই আমি অর্ধেক দেখেছি বাকিটা দেখিনি এই জন্য যে, এরপরে তিনি কি বলবেন! তার অনেকটাই আমার আন্দাজেই জানা ছিল। দেশের অনেক মানুষ আমার মতই ব্যাপারগুলো আন্দাজ করতে পারেন। সে যাই হোক এবার মুল কথায় আসি।
বাস্তবতা হলো ইন্ডিয়া যখন দেখল যে, বাংলাদেশ আর্মিকে ১০০% কন্ট্রোল করা যাচ্ছেনা তখন তারা এখানে বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভাইয়ে ভাইয়ে দন্দ লাগিয়ে ফয়দা হাসিল করছে। ভেতর থেকে দুর্বল করছে বাংলাদেশের একমাত্র রক্ষা কবজটিকে। অদুর বা সুদূর ভবিষ্যতে তারা এই দেশটাকে গিলে খাওয়ার খেত্র প্রস্তুত করছে। তারা জানে আমরা বাংলাদেশের জনগনেরা প্রচণ্ড আত্মকেন্দ্রিক। তার উপর আমরা হলাম স্বার্থপর এবং দুর্নীতি পরায়ণ। আমরা ১০, ২০, ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে সরকারি চাকরি খুজি। সারা জীবন আল্লাহ খোদার নাম নেয়া মুরুব্বিও ঘুষ দিয়ে তার ছেলে-মেয়ের জন্য চাকরির বাবস্থা করে তারপর আবার আল্লাহর কাছে শুকরিয়াও আদায় করে!
আচ্ছা এই শুকরিয়া কি কবুল হয়?
নির্মম সত্য এই যে, যে জাতি নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, সেই জাতির ভাগ্য স্বয়ং আল্লাহ্ও পরিবর্তন করেননা। আজকে দেশের এই যে পরিস্থিতি উদয় হয়েছে তার জন্য এই আমি, আপনি, আমরা এই দেশের জনগনই দায়ী। ২০১৬ সালে তুরস্কের গনঅভ্যুত্থানের কথা মনে আছে কি? যে অবৈধ অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছিলো সে দেশের জনগনের হাত দিয়ে, শুধুমাত্র জনগণের একার প্রচেষ্টায়। এরদগানের এক ডাকে ৩/৪ লাখ মানুষ সেইদিন রাস্তায় নেমে এসেছিল মাত্র ৪০ মিনিট এর ভেতরে। তারা ঠিকমত জানতোনা তাদের ভাগ্যে কি আছে? তাদের কি করতে হবে? বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করা মিলিটারি অফিসারদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে মার খেয়েছেন। জীবন দিয়েছেন ২৬০ জন আমজনতা। তাদের ভেতর এমন যুবকও ছিল যার মাত্র এক সপ্তাহ আগে বাগদাদ হয়েছে। কিন্তু তিনি দেশের গনতন্ত্র রক্ষায় রাস্তায় নেমে শহীদ হয়েছেন। বড় ভাই তার ছোট ভাইকে নিয়ে আন্দলনে গিয়ে একজন শহীদ। তাদের মা দেশ রক্ষার আন্দোলনে ছেলেদের পাঠিয়েছেন, ছেলে শহীদ হয়েছেন।
এমন জাতিসত্ত্বা বোধ দেখে আমি বিস্মিত। তার সাথে অনেক আফসোসও করি। কারন আমরা জাতি হিসেবে দুনিয়ার নিকৃষ্টতমদের একটি। আমরা একান্ত ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই চিন্তা করতে পারিনা। প্রতিবাদে শক্তিহীন, দুর্বল আর ভিতু জাতি। আমরা গায়েবি শক্তির মদদের আশায় বসে থাকি। কিন্তু সে গায়েবের কাছে যোগ্য প্রার্থনা করারও শিক্ষা নেই আমাদের। আমরা বরই অসহায়, বরই দুর্বল। জানের মায়ায় ঘরের কোনায় বসে প্রতিদিন অধিকার লাঞ্ছিত, বঞ্চিত। তাই একজন জেনারেলের এর এই সব গোপন তথ্য আমার কাছে গোপন নয়। কারন আমি জানি এইসব বিস্ময়কর তিক্ত সত্য এই জাতির একটা লোমও জাগ্রত করতে পারবেনা। এক দুই দিন হা হুতাস করবে তারপর নতুন ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাতম তুলবে। সেজন্যই নিজের পছন্দ মত আজাইরা কিছু কাজ নিয়ে বসে থাকি আর নিজের কমজোর দেশ প্রেমের বুলি চাপরাই আপনাদের সাথে।
নিজের দুর্বলাতাকে ঢেকে রাখি আর ঘুমপাড়ানি গল্প শুনাই।
প্লিজ আমার কথা শুনে আপনারা কিন্তু আবার কেউ টার্কিশদের মত হতে জাবেন না। আমি কিন্তু আপনাদেরকে রাস্তায় নামতে বলছি না। ঘরে বসেই প্রার্থনা করুন।
আশরাফুল মাহমুদ
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৫
তাই-ফি বলেছেন: জি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৭
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনি কি বাংলাদেশে থাকেন?