নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মঘটের নামে এই অরাজকতার জন্য কারা দায়ী? 

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬



আমাকে অফিসে যেতে হলে ঢাকা বাইপাস হয়ে যেতে হয়! প্রতিদিন ঐপথে যাতায়াত করতে গিয়ে গাড়িচালকদের প্রতি আমার প্রচণ্ড রকমের ঘৃণা জন্মে গেছে; এটা কেবলই বেপরোয়া গাড়িচালকদের কারণে। আজকের সংক্ষিপ্ত লেখা ঐ ঘৃণা থেকে নয়। সম্প্রতি চলমান ধর্মঘটের নামে সৃষ্ট অরাজকতা নিয়ে।

একদিকে শ্রমিক নামের অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের সন্তুষ্টিজনক কোন উত্তর না দিয়ে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা হয়েছে আর অন্যদিকে ধর্মঘটের নামে ছাত্রছাত্রী থেকে নিয়ে সাধারণ পথচারীদের সাথে সন্ত্রাসের মত ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে!
‎আমি এদেরকে সন্ত্রাসের সাথে তুলনা করছি একারণে যে, সন্ত্রাস কখনো যাকে মারছে তার প্রয়োজন বা তার যে ফ্যামিলি আছে এবং সেও যে তার বোনের মত কারো বোন সেগুলো চিন্তা করে না। ঠিক তেমনি ধর্মঘটের নামে শুরু হওয়া অরাজকতা তৈরিকারী ও এদেরকে রাস্তায় নেমে আসার সুযোগ দানকারী কারো মাথায় এবিষয়গুলো আসে না।

গত হয়ে যাওয়া আন্দোলনগুলোর মধ্যে যারা যতবেশি জনগণকে দুর্ভোগে ফেলতে পেরেছে তারা ততবেশি সফল হয়েছে। এই সূত্র ধরেই ধর্মঘট পালনকারীরা এমন অরাজকতা সৃষ্টি করছে। ওপর দিকে সরকারি চাকরিতে বয়স বৃদ্ধির জন্য এতো বছর যাবত যে আন্দোলন চলে আসছে তা গতকাল মুহূর্তের মধ্যেই পুলিশ বাহিনী লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। বুঝতেই পারছেন, অপশক্তি ও সন্ত্রাসের মূল্য কত!

ধর্মঘটের নামে যারা এই অরাজকতারর নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে। যদি বিএনপির মধ্য থেকে আন্দোলনের নামে এমন অরাজকতা সৃষ্টি হত, তবে এতক্ষণে মির্জা ফখরুল সাব চৌদ্দ শিকের ভেতর থাকতেন। হয়ে যেতেন বেগম জিয়ার প্রতিবেশী। আর গণহার গ্রেপ্তারের ফজিলতে আমজনতা হয়ে যেতো প্রতিবেশি শূন্য।

ধর্মঘট শুরুর প্রায় ছয় ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ের নিজ দপ্তর থেকে বের হওয়ার সময় নৌমন্ত্রীকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। ধর্মঘটের ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবহন শ্রমিকদের এই নেতা বলেন, ‘এ আন্দোলন সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। যে বিষয়ে কিছু জানা নেই, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
‘আপনি শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় নেতা। আপনি চাইলে পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলন ছেড়ে কাজে যোগ দেবে। শ্রমিকদের আপনি এ ধরনের কোনো নির্দেশ দেবেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করব না।’


এখন স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে, জনগণের এই দুর্ভোগের জন্য কারা দায়ী?

ছবি ক্রেডিট : ইন্টারনেট


★★★ প্রিয় মডারেটর বৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই লেখাটি সামহোয়ারইনব্লগের নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য। নির্মল ভালবাসা সকল ব্লগার ও পাঠকের জন্য।





মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

ফোয়ারা বলেছেন:


কারা দায়ী সেটা সবাই জানে।

কিন্তু আমজনতা কে কি হতে পারছে।

আমি আপনি আপনারা কি করতে পারছেন।

সাহেব এসব আঙ্গুল-চুষে বুজে থাকা ছাড়া কিছু উপায় নাই আর।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: জনগণ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে থাকতে না পারাই এর জন্য প্রধান সমস্যা! আর এই সঙ্ঘবদ্ধ হতে দিচ্ছে না স..!

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত ভয়াবহ একটা অবস্থা । অরাজকতা চলতে পারে না । দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ জরুরি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু, প্রশাসন চাইলে এর বিরুদ্ধে দ্রুত কিছু করতে পারে, কিন্তু করবে বলে মনে হয় না!
যদি করে তবে ভাল!

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: জানোয়াররা আর তাদের গুরু শা. খান দায়ী।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: জানোয়াররা আর তাদের গুরু শা. খান দায়ী।

বিরাট একটি কথা বললেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা কী ভুলে গেছেন ;)


আজকাল জনগণ যেন সবার কাছে পুতুল, যে যেভাবে পারছে সেভাবেই অরাজকতা তৈরি করছে!

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

আহলান বলেছেন: ভাষাহীন আমরা ... চেয়ে চেয়ে শুধু দেখি ...যে অপমানিত হয়, তার পাশে কেউ নাই ...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যে অপমানিত হয়, তার পাশে কেউ নাই ... এটা মুর্খতার শ্রেষ্ট উপমা, আর সেই উপমা আমরা বারংবার প্রদর্শিত করে চলেছি! একবারো ভাবি না, এই পরিস্থিতির শিকার আমি হলে কতটুকু অপমানিত হতাম! আমাদের নির্লজ্জতা এবং ভয় আমাদেরকে প্রতিনিয়ত আমাদের গর্বিত ইতহাস থেকে দূরে ঢেলে দিচ্ছে!

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন:


বুঝার বাকী নেই রে ভাই । করার কেউ নাই আর কি । :(

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: করার কেউ নেই! বা আমাদের সাহস নেই! কিন্তু খুবই কৌশলের সাথে একটি মহল এইসব পরিস্থিতি অর্থাৎ করার মত কোন মানুষ যেন সৃষ্টি না হয় এবং না হয় সৃষ্টি সাহসের সেজন্য ষড়যন্ত্র করে চলেছে!

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:




সাধারন মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। তাদের কষ্টের কোনো সীমা পরিসীমা নেই।

অবস্থাদৃষ্টে মনে সেই প্রবাদ বাক্যটি মনে পড়ছে- কুইনাইন জ্বর সারাবে বটে, কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে?

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সবাই যখন নিজেদের সুবিধা খোঁজতে ব্যস্ত, নিজ সুবিধার জন্য অন্য যে কোন ধরণের ঘৃণিত কাজ করতে লজ্জাবোধ করে না, তখন তার আপনজনরাই বেশি বিপদগ্রস্ত হয়!
খোঁজ নিয়ে দেখুন, এই হিংস্রতা বহালে আমাদের নিকটজনকে ব্যবহার করা হচ্ছে!

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: এক মন্ত্রী বলেছে যে এই শ্রমিকদের অধিকাংশ বিএনপি জামাতপন্থী =p~

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যাক, এবার তাহলে জমবে! :)

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি দায়ী বলল- সরকারকে। এবং যোগ্যপদে অযোগ্যদের নিয়োগ কর্তাদের।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সেটাই রাজীব ভাই, অযোগ্যদের কারণেই আমাদের এই পিছিয়ে পড়া! আর যত অপকর্ম।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: একটা বিষয় বুঝলাম না, আওয়ামীলীগ কি পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ের নিশ্চয়তা পেয়ে গেছে? না হলে নির্বাচনের আগে আগে এ রকম একটা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতে দিচ্ছে কেনো? আর ওই "ভদ্রলোকে" এর বিষয়েই বা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেনো?

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় পদ্ম পুকুর,
চাঁদগাজী ভাই আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর করেছেন:), তিনি বলেছেন: সবাই দেখছেন যে, দেশে নৈরাজ্য চলছে এবং শেখ হাসিনা এদেরকে থামাচ্ছেন না, কারণ এতে উনার মিনিষ্টার যুক্ত; মানুষ হতবাক, শাহজাহানের মত মাফিয়া কিভাবে শেখ হাসিনার মন্ত্রী হিসেবে এখনো টিকে আছে! আমারও সেই প্রশ্ন, কেন উনি এসব আবর্জনা বয়ে বেড়াচ্ছেন?

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

আরোগ্য বলেছেন: এই আন্দোলন অন্য কিছু না বরং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের বিকৃত বদলা। খুবই দুঃখজনক !

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যদি সত্যি নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের বিকৃত বদলা হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের নির্লজ্জতা আজ চুরান্ত সীমানা ছুঁয়ে গেছে বুঝতে হবে! কারণ, সরকার এই নির্লজ্জতার পৃষ্ঠপপোষকতার কাজ করছে! তা না হলে যেখানে কিছুদিন আগে এমন শ্রমিকদের একজনকে প্রশাসন হত্যা করতে পেরেছে তারা আজ এদেরকে প্রতিহত করছে না কেন?

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে স্বদেশ। আমাদের তালিয়া বাজানো ছাড়া আর কিছু করার নেই।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: তালিয়া বাজানোর হাতটাও যে সন্ত্রাসী হামলায় ভেঙে গেছে!

১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সবাই জানে। কিন্তু কেউ কিছু বলে না।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যারা বলে তারা কিছু করে না বা করতে পারছে না! এটাই বাঙলা। আহ মালয়েশিয়ানরা কত এগিয়ে!

১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

নজসু বলেছেন: কি যে অবস্থা।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আসলেই ভাই, এ এক জটিল দুরাবস্থা!

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

বলেছেন:
পোড়া মবিলের দাগ মুছে দিবে সচ্ছ জলধারা
কিন্ত পোড়া কপালী মা !
যে হারালো প্রানের প্রিয় সন্তান------
তার অন্তরের দাগ কি কভু শুকাবে?
এভাবেই একদিন সবকিছু-----
নষ্টদের দখলে চলে যাবে
শুনবেনা কেহ --------

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আসলেই এটা কষ্টকর, অতি কষ্টকর। সিলেটি ভাই, আপনার সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.