নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি আল মাহমুদ, বাংলার সাহিত্যাঙ্গন, রাজনীতি ও আমাদের চিন্তার পরিধি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩


উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় ব্লগার চাঁদগাজী ও তাঁর মত ট্যাগকারীদের প্রতি; সোহবতান লেখাটি প্রত্যেক ব্লগারদের উদ্দেশ্যেই।

এখন যারা কবি আল মাহমুদকে রাজাকার বলছেন, তারা কিছুদিন পর তাকে খুব সুন্দরভাবে ব্যবহার করবেন। বাঙ্গালীদের ইতিহাসে এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক সময় বাংলার মুসলমানেরা কাফির বলে স্লোগান দিত। আর এখন হারদম তাকে ব্যবহার করে চলেছে।

আমাদের সিনিয়র ব্লগার জনাব চাঁদগাজী সাহেবকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি, কখনো উনি সেটাকে কমিয়ে দিতে চাইলে আমি তাকে তাঁর পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে নেই। আল মাহমুদ সম্পর্কে উনার জ্ঞানের স্বল্পতা দেখে আমি মোটেও অবাক হইনি। কিন্তু এটা দেখে আমার কাছে খারাপ লেগেছে যে, যারা আল মাহমুদের পক্ষে লেখেছেন বা লেখার চেষ্টা করেছেন তাদেরকে উনি এক প্রকার ট্যাগ দিতে চেষ্টা করছেন; যেমনটা অধিকাংশ দলান্ধরা করে থাকেন। একসময় এই কাজে ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন জামাত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দলান্ধরা এখন এদায়িত্ব এসে পড়েছে অন্য দলান্ধদের উপর। চাঁদগাজী ভাই প্রায়ই এদের বিরুদ্ধে কথা বলেন কিন্তু মাঝেমধ্যে উনাকে এদের মত ট্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বন করতে দেখলে খারাপ লাগে।

আনাতোল ফাঁস কথা প্রসঙ্গে একবার বলেছিলেন, "আমার মনের চোখ তো মাত্র একটি কিংবা দুটি নয়। মনের চোখ বাড়ানো-কমানো তো সম্পূর্ণ আমার হাতে। নানা জ্ঞানবিজ্ঞান যতই আমি আয়ত্ত করতে থাকি, ততই এক-একটা করে আমার মনের চোখ ফুটতে থাকে।"
এই জ্ঞানবিজ্ঞান আয়ত্ত করতে হলে আমাদেরকে বই পড়তে হবে। অর্থাৎ মনের চোখ বৃদ্ধি করতে হলে আমাদের বই পাঠ বাড়াতে হবে কিন্তু আমরা বাঙালিরা বই না পড়েই মনের চোখ বাড়ানোতে উন্মাদ হয়ে আছি। কারো সম্পর্কে ধারণা না নিয়েই তার উপর নিজের ক্রোধ নিষ্কাশনের চেষ্টা করি। এই বই পাঠে পিছিয়ে থাকার কারণেই আমরা এরকম একগুঁয়েমি ও একচোখা নীতি থেকে বেড়িয়ে আসতে পারি না। কাউকে সঠিকভাবে বিচার করতে পারি না।

ইউনিয়ন ভিত্তিক চেয়ারম্যান-মেম্বার নির্বাচন পক্রিয়ায় আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি হস্তক্ষেপ শুরু করেছে বেশিদিন হয়নি। হয়ত কিছুকাল পর সাহিত্যাঙ্গনও পুরোদমে বিভাজনের শিকার হবে। আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই সরকারী দলের পক্ষে সবসময় থাকতে চায়।বিষয়টার সাথে জড়িত ব্যক্তিগত স্বার্থ। সত্যি বলতে গেলে বলতে হয় যে এরা প্রতিভাবান ঠিকই তবে নীতি নৈতিকতাহীন। কবি আল মাহমুদও এর ব্যক্তিক্রম নয়। এই দেশে যখন বিএনপি/ জামাত ক্ষমতায় ছিল, তিনি তখন জামাতের পক্ষে গীত গেয়েছেন। একারনেই তিনি বর্তমানে রোষের শিকার হয়েছেন।আজকে যারা জনগনের ভোটাধিকার হরনকারী স্বৈরাচরী সরকারের পক্ষ নিচ্ছে , ক্ষমতার পালা বদল হলে সেই আসাদুজ্জামানুর, তারানা হালিম, সুবর্না মুস্তাফা, জাফর ইকবালকেও একদিন হয়ত সেই একই অবস্থার শিকার হতে হবে। অনেক সুশীলেরা নিজেদের ভবিষ্যৎ না ভেবে সাময়িক স্বার্থোদ্বারের জন্য সুকৌশলে সেদিকে এগুচ্ছেন। আর অনেকে না বুঝে নিজ নিজ জাতীয় নেতাকে সম্মান দিতে গিয়ে সেই সুশীলদের কুটচালের শিকার হচ্ছেন; অথচ তারা বুঝতেই পারছেন না; তারা কী করছেন। সত্যি যদি এমনটা হয়, তবে সেটা হবে বাঙালিদের জন্য সর্বনিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যতম এক ইতিহাস ।



অনুরোধঃ দয়া করে কারো সম্পর্কে কিছু বলার আগে তার সম্পর্কে জানুন। মনের চোখ বাড়ান, চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করুন। জানতে, মনের চোখ বাড়াতে, চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করতে প্রয়োজন বই পড়া। আর বই পড়তে গেলে লাগে বই কেনা। তাই বইমেলায় আসুন, বেশি করে বই কিনুন, পড়ুন চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করুন।



সহযোগিতায়ঃ ব্লগারগণ

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই লোককে আমি জানতাম না, আমি খুবই ভালো ছিলাম; ব্লগে, উহার উপর অনেক পোষ্ট দেখে, সেইসব পোষ্টের উপর ভিত্তি করে আমি এক অজানা কবির জন্য পোষ্ট লিখেছিলাম; পোষ্ট লেখার ৫ ঘন্টা পরে, এই লোকের এক ভিডিও দেখলাম; সেখানে উনি বক্তৃতা দিচ্ছেন, বক্তৃতায় উনি যা বলেছেন, সেটা শুনে আমার গায়ে আগুন লেগে গেছে! এই কীট এই জাতির অংশ হতে পারে না; ইহা মানুষের কাতারে পড়ে না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

প্রথমতঃ আপনি একজন মানুষ সম্পর্কে না জেনে তার সম্পর্কে লেখা প্রকাশ করেছে(!) এটা কোন ধরণের চিন্তার বাহিঃপ্রকাশ সেটা বুঝে আসে না।
দ্বিতীয়তঃ একটা ভিডিও দেখে আপনার গায়ে আগুন লেগে গেছে শুনে অবাক হচ্ছি, হ্যা, বৃদ্ধ বয়সে রাগ নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে আগুন ধরতেই পারে।
তৃতীয়তঃ আপনি নিজে খুব অল্প বই পড়ছেন, (এটা আপনি স্বীকার করেছেন) আর যারা বই পড়তেছে তাদেরকে আপনি নিজের দেখা ভিডিও ক্লিপগুলোর কাছে পরাজিত করার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাছাড়া আপনি এখনো নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, অথচ নিজেকে বাংলাদেশের রূপকার বকঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আদর্শবান বলে বুঝাতে চান; আপনি হয়ত জেনে থাকবেন বঙ্গবন্ধুর ধৈর্যশক্তির কথা।

আপনি একজন সচেতন মানুষ, লেখাটি আবার পড়ুন। একজন ব্যক্তির পুরো জীবনকে আপনি সামান্য কতেক মিনিটের ভিডিও দিয়ে বিবেচনা করছেন দেখে অবাক হচ্ছি(!)।
আপনার লেখায় পাঠকের প্রতিক্রিয়ার মন্তব্যগুলো আবারো পড়ে আসতে পারেন।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




শেখ সাহেবের আদর্শ আছে, সেটা আমি বলিনি, এবং বিশ্বাসও করি না, এবং আমি উনার অনুসারী নই।
আমার চোখের সমস্যা ছিলো ছোটকাল থেকেই, আমি আমার টেক্ট বইয়ের বাইরে কোন বই পুরোপুরিভাবে পড়ার চেস্টা করিনি কোনদিন, আজো করি না; আমি কবি নজরুল ইসলাম ও রবি ঠাকুরের লেকার সামান্য অংশ পড়েছি এই জীবনে; আমি শুধু মধুসুধন দত্তের পুরো লেখাটা পড়েছি; কারণ, উহা আকারে ছোট ও সুন্দর।

এই লোক, আল মাহমুদ না কি একজন, ইহা মানুষের ডেফিনেশনের মাঝে পড়ে না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
চাঁদগাজী ভাই,
আমি আপনাকে হেদায়াত করতে আসিনি (!) আর হেদায়েত করার আমিই বা কে(?) আমি তো কেবল আপনার ও আপনার মত মানুষদের জন্য একটা লেখা প্রকাশ করলুম।

আমি কখনো বলছি না যে, আল মাহমুদ ফেরেশতা। মানুষ হিসেবে তার ভুল থাকতেই পারে। আপনার আমার মধ্যেও কিছু ভুল আছে, কিন্তু আপনি আমি সেটা ধরতে পারি না; নিজেদের চিন্তার সীমাবদ্ধতার কারণে। আমি এই সীমাবদ্ধতার দরজা ভাঙার জন্যই আপনাকে অনুরোধ করেছি, যদি এই সীমাবদ্ধতার দরজা ভাঙতে পারেন, তবেই আপনি মানুষকে একটি মাত্র ভিডিও দিয়ে নয়; বরং তার পুরো জীবন নিয়ে বিশ্লেষণমূলক মনোভাব প্রকাশ করতে পারবেন। আর না হয় একচোখা নীতি থেকে বেরয়ে আসা সম্ভব নয়।


এই পোস্টের পনেরো নাম্বার মন্তব্যটি দেখুন।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার ২ নং মন্তব্যে টাইপো -< টেক্ট বইয়ের
হবে, টেক্সট বইয়ের

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু, বুঝলাম।

আপনাকে অনুরোধ থাকবে, নিজেকে মধ্যস্থলে রেখে মানুষকে বিবেচনা করুন।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


টাইপো-< মধুসুধন দত্তের
হবে, মধুসুদন দত্তের

আসলে, আমি ভয়ংকরভাবে রাগান্বিত, এখন আমার কিছু বলা, বা লেখা ঠিক হবে না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
ঐ তো দাদা, কথা একটাই। আপনি নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন। নিজের অবস্থান কোথায় রেখেছেন সেটা দেখুন। অত:পর যাকে নিয়ে আলোচনা করবেন তাকে সঠিকভাবে মুক্তচিন্তারআধ্যমে বিবেচনা করুন। নিজের সম্মান নিজেই ক্ষুন্ন করবেন না।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার চাঁদ্গাজীর এই ধরনের ট্যাগিং, ব্যক্তিগত আক্রমন নতুন কিছু নয়। উনার জানার অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সীমাবদ্ধতার কারনে উনি উনার মতের বিরুদ্ধে গেলেই একেবারে ক্ষেপে উঠেন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আমি উনার এই পুরাতন খাসলতটা জানি। চাইছিলুম আরেকটু বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা করবো। কিন্তু সময় আমার সঙ্গি হয় না। তাই সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরলাম, যেন দলান্ধরা লেখাটা পড়ে নিজেদের সমস্যাটা ধরতে পারেন।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আল মাহমুদ মানুষ নন বরং মানুষের চেয়েও বেশি কিছু, তিনি একজন কবি।


কবির জন্য ভালোবাসা।


১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাউরে,
আমি উনাকে মানুষ জ্ঞান করি। হ্যা, তার লেখাগুলো সাহিত্য জগতে অন্যদের চেয়ে একটু আলাদাই বটে। আর সেজন্যই উনি বেঁচে থাকবেন সুদীর্ঘকাল।

কবির ও আপনার জন্য ভালবাসা ;)

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই সরকারী দলের পক্ষে সবসময় থাকতে চায়।বিষয়টার সাথে জড়িত ব্যক্তিগত স্বার্থ। সত্যি বলতে গেলে বলতে হয় যে এরা প্রতিভাবান ঠিকই তবে নীতি নৈতিকতাহীন। কবি আল মাহমুদও এর ব্যক্তিক্রম নয়। এই দেশে যখন বিএনপি/ জামাত ক্ষমতায় ছিল, তিনি তখন জামাতের পক্ষে গীত গেয়েছেন। একারনেই তিনি বর্তমানে রোষের শিকার হয়েছেন।আজকে যারা জনগনের ভোটাধিকার হরনকারী স্বৈরাচরী সরকারের পক্ষ নিচ্ছে , ক্ষমতার পালা বদল হলে সেই আসাদুজ্জামানুর, তারানা হালিম, সুবর্না মুস্তাফা, জাফর ইকবালকেও একদিনে হয়ত সেই একই অবস্থার শিকার হতে হবে। তবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানূষ এইভাবে দলাদলির কারনে শিল্পীর অমর্যাদা দেখতে চায় না। শিল্পী হিসেবে তার যে সম্মান্টুকু প্রাপ্য সেটা তাকে দেয়া উচিৎ বলেই মনে করে এ দেশের জনগন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
এবারের বই মেলায় মাসুদা ভাট্টি শেখ পরিবারের একজনকে উৎসর্গ করে বই প্রকাশ করেছেন ;)। এই ধরণের কুসাহিত্যিকদের কারণে দিনকে-দিন সাহিত্যাঙ্গন রস-খেলার প্রাঙ্গণে রূপ নিচ্ছে। সময় স্বল্পতার কারণে আমি আমার লেখাকে দীর্ঘ ও সুগঠিত করতে পারিনি। আপনার এই মন্তব্যটির কিছুগুরুত্বপূর্ণ অংশ আমার পোস্টে এড করে নিয়েছি। এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কমেন্টটা মনেহয় একটু বড় হয়ে যাবে,


প্রথমেই বলি, পোস্টে আপনি যেই ছবি ব্যবহার করেছেন, ঠিক একই ছবি আমি কবিকে নিয়ে পোস্ট দেবার জন্য ঠিক করেছিলাম। কিন্তু পোস্ট দেই নি। কারণ, আমি জানি কবি কিছু ইচ্ছায়/অসতর্ক হয়ে কিছু আকাম করেছে, সেটা নিয়ে ব্লগে বিতর্ক তৈরী হবে। আমি সমালোচনা করতে পারবো, কিন্তু কবির হয়ে ডিফেন্স করতে পারবো না।(শেষে এসে কবি কেন জাশির দিকে ঝুঁকেছিলেন বিষয়টা এখনো আমাকে ভাবায়???:()

প্রসঙ্গ পোস্টঃ পোস্টে সহমত। দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হোক। ফেসবুকারদের মত ব্লগারেরাও যে একপেশে হয়ে যাচ্ছে, বিষয়টা হতাশার। তেল মারা/বিরোধীতা/ট্যাগিং নয় আমরা সমালোচনা করি।


বিষয়ঃ চাঁদগাজী
উনার ঘিলু আমার জানা। তাঁর রাজনৈতিক পোস্টগুলো অনেকটাই একপেশে, কিছু কিছু গর্বেজ টাইপের। শুধু মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য উনাকে আমি সমীহ করি। তবে প্রশ্ন একটাই উনি কি আসলেই যুদ্ধ করেছেন? বারবার বলার পরেও যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি কোন পোস্ট দেন না কেন??

বিষয়ঃ বর্তমানের প্রগতিশীল/প্রতিবাদি(!!)
ভিডিও দেখে কবিকে আমরা গালি দিতেই পারি, হারামি/দলকানা/রাজাকার... বলতে পারি। কোন বাপের বেটা কিছু বলতে/করতে পারবে না। কথা একটাই বাঙালীরা সুবিধাবাদী।(পুরান কাঁসুন্দি অনেকেই ঘাঁটতে পারে, নতুন কাঁসুন্দি নিয়ে কথা বলে ক'জন??)
ঢাবিয়ানের মন্তব্যকে সমীহ করছি।

কোট আনকোটঃ কবি কি ছিলেন, সময়ই সেটা বলে দেবে।

পুনশ্চঃ আপনার প্রতিউত্তরগুলোতে বিচক্ষণতার ছাপ দেখছি। গুড।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: মন্তব্য বড় হওয়া কোন ব্যাপার না। ব্যাপারটা হচ্ছে, আপনারা যখন আমার বিপরীতমুখী মন্তব্য প্রকাশ করেন, তখন সেগুলো আমাকে বেশি মজা ও শিক্ষা দেয়।

প্রথম কথা: আপনি পোস্ট করতে চেয়েছিলেন জেনে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু পোস্ট করেন নাই দেখে খারাপটাও লেগেছে।
আমি পোস্ট করার আগে যখন দেখি, আমি যে বিষয়ে লিখেছি বা লিখতে চাচ্ছি সে বিষয়ে আর একজন খুব সুন্দর ,শৈল্পিক ও সহজভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তখন আর আমি লিখি না, পোস্ট করি না। পোস্ট করার পর যখন দেখি আমার চেয়ে আরও সুন্দরভাবে কেউ একজন লিখেছেন, তখন আমি আমারটা সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি (করেছিও)। ডিফেন্স আমিও নিচ্ছি না, আপনি ডিফেন্স না নিয়ে লিখতে পারতেন, হয়তো আপনার লেখাটা আমার লেখা থেকে সুন্দর, শৈল্পিক ও সহজতর হয়ে উঠতো।


প্রসঙ্গ পোস্টে যা বলেছেন তার সাথে পুরোপুরি সহমত। খুব খারাপ লাগে যখন দেখি ফেসবুকারদের মত ব্লগাররাও একচোখা নীতি অবলম্বন করে লেখা প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। এদের মন্তব্য খুব খারাপ লাগে।


বিষয় চাঁদগাজীতে আপনি যে কথাগুলো বলেছেন, সে কথা গুলোর সাথে অনেক ব্লগার একমত। চাঁদগাজী ভাইয়ের উচিত হবে আপনার আপনাদের অনুরোধ রক্ষার্থে নিজের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরা। আর না হয় কিছুদিন পর উনি নিজেই নিজেকে লাঞ্চিত করে নিবেন।


বিষয়: বাঙালীরা সুবিধাবাদী।(পুরান কাঁসুন্দি অনেকেই ঘাঁটতে পারে, নতুন কাঁসুন্দি নিয়ে কথা বলে ক'জন??)
হ্যা, আমরা সব জায়গাতেই নিজেদের সুবিধা আদায় করে নেই, আর তা না পারলে নিজের সুবিধা তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নেই ।

ঢাবিয়ানের মন্তব্যকে আমিও সমীহ করছি।


কোট আনকোটঃ কবি কি ছিলেন, সময়ই সেটা বলে দেবে। 



আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

মৃত্যু হবে একদিন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। শুধু কবি আল মাহমুদ নয় অনেকে জীবনের শেষ ভাগে এসে জামায়াতের সাথে সক্রিয় ছিলো ও এখনো আছে এমন অনেকে জামায়াতের নেতা, রোকন ও হয়েছেন যানা যায়।
আমার ইউনিভার্সিটির এক বড় ভাই জামায়াত বা শিবির করতো আমি তার সাথে নানা ভাবে অনেক তর্ক করেছি কিন্তু তিনি শুধু একটি প্রশ্ন করতো আমি শিবির করি এটাই আমার অপরাধ ২য় কোন অপরাধ আছে কি আমার ?
বড় ভাইয়ের ঐ প্রশ্নের উত্তর এখনো আমি দিতে পারিনি।লজিক্যালি উত্তর যানা থাকলে যানাবেন ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ওয়ালাইকুম সালাম।
আশা করি ভালই আছেন।

দেখুন, আমি নিজে জামাতকে ঘৃণা করি। তাই বলে কোন ব্যক্তিত্ব কে আমি ঘৃণা করতে পারি না। কোন ব্যক্তির গুণাবলিকে আমি ঘৃণা করতে পারি না। ঠিক এমনটাই, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ছাত্রলীগের ছেলেদের একই সমস্যায় পড়তে হয়। এসব এর একমাত্র কারণ আমাদের চিন্তার স্বল্পতা। আমার সব জায়গায়, নিজেদের সংক্ষিপ্ত চিন্তা দিয়ে বিবেচনা করতে চাই। এই একটা কারনেই আমরা এগুতে পারি না।

তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি করে বই পড়া।

ধন্যবাদ

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমার মায়ের সোনার নোলক
হারিয়ে গেল শেষে হেথায় খুঁজি
হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।
নদীর কাছে গিয়েছিলাম,
আছে তুমার কাছে? হাত দিও না আমার শরীর ভরা বোয়াল মাছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
ভালোবাসা জানবে মাহমুদুর রহমান ভাই।

জানি, আপনি মুগ্ধতা সাঁতার কাটছেন।
ধন্যবাদ

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হচ্ছে এই পোষ্ট আল মাহমুদকে নিয়ে নয়, এই পোষ্ট শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজীকে আক্রমন করার জন্য করা হয়েছে।

আমরা ব্লগার, আর এটা ব্লগ। এখানে আমরা আমাদের মনের কথা গুলো লিখি। কেউ ভালো লিখে, কেউ মন্দ লিখে। কেউ খোঁচা দিয়ে লিখে, কেউ সহজ সরল ভাষায় লিখে।
সচেতন ব্লগারদের কাজ হলো ভালোটা গ্রহন করবে, খারাপ টা বর্জন করবে।
শুধু শুধু নিজেদে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ করে লাভ কি? দিনের শুরুতে এবং দিনের শেষে আমরা তো এই সামুতেই থাকবো।
যদি কেউ ভুল করে বা ভুল লিখে তাহলে তাকে সেটা সুন্দর ভাষায় বুঝিয়ে বলা যেতে পারে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হ্যা রাজিব নুর ভাই,
শুধু আল মাহমুদকে নিয়ে নয়, এই লেখাটি অনেককে নিয়েই লেখা।

1স্ট: ঐসব সাহিত্যিকদের নিয়ে লেখা, যারা নিজেদের স্বার্থ আদায়ের জন্য ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গ নেয় ।

2ন্ড: ওইসব পাঠক সমালোচকদের নিয়ে লেখা, যারা নিজেদের দলের অনুসারীদেরকেই সাহিত্যিক বিবেচনা করে।

3রর্ড : ওইসব মানুষদেরকে নিয়ে লেখা, যারা বই পড়ার পরিবর্তে ফিল্ম ও ভিডিও দেখাকে বেশি পছন্দ করে। এবং সেখান থেকে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে, সাধারণ পাঠকদেরকে বিবেচনা করে।

4র্থ: ওইসব ব্লগারদের নিয়ে লেখা, যারা ফেসবুকারদের মত একরোখা নীতি অবলম্বন করে পোস্ট ও মন্তব্য করে থাকেন।

লাস্ট: বিশেষ করে ওদেরকে নিয়ে লেখা, যারা কারো সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান নিয়ে তার সম্পর্কে সমালোচনা করতে উঠে পড়ে লেগে যায়।



আমার একজন শিক্ষক বলতেন: "সেই তোমার প্রকৃত বন্ধু যে তোমার ভুল ধরে দেয়, যে তোমার ভুল ধরে না সে তোমার প্রকৃত বন্ধু নয়। বন্ধুর কাজ তো তোমাকে সংশোধন করা।"
দিনের শুরুতে এবং দিনের শেষে আমরা তো এই সামুতেই থাকবো। সেজন্য রাজীব ভাইয়ের কাছে অনুরোধ থাকবে, দয়া করে আপনি আমার ভুল ধরবেন। আমি কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবো।

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: কবির সম্পর্কে অামার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত, তাই তার বিষয়ে কোন মন্তব্য করা উচিত হবে না। তবে একটি জিনিস অামি লক্ষ্য করছি, ছাত্রজীবনে অামার ব্যাচের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা, সিনিয়র, জুনিয়র যারা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত, ক্যাম্পাসে যারা সবসময় স্লোগান দিতো, "একটা একটা শিবির ধরো, ধরে ধরে জবাই করো", তাদের কেউ কেউ কবির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে। কবি যেই অাদর্শকে গ্রহণ করেছিল, সেটাকে সবাই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেও কবির কাব্য কিন্তু অনেকের মনেই দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
কবি যেই অাদর্শকে গ্রহণ করেছিল, সেটাকে সবাই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেও কবির কাব্য কিন্তু অনেকের মনেই দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে।
খুব সুন্দর বলেছেন ভাই। আমাদের সেটাই উচিত যা আমাদের জন্য শোভনীয়। আমাদের জন্য শিক্ষা র।


হ্যা, ছাত্রলীগের অনেক সচেতন সদস্য রয়েছেন, যারা সত্যিটা স্বীকার করতে পিছপা হয়না। আর দলান্ধরা তাদের কাছেও যেতে পারে না।

ধন্যবাদ

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১০

ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: ক্ষমতার বদলে সবই বদলায় X(( মানুষ বদলায়!
আজ যারা সুবিধে ভোগী কাল তারা ময়লায়! :-P

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: বাহ, চমৎকার কথা বললে তো।

একেবারে খাঁটি কথাটাই খুব সুবিধে করে বলে দিলেন।

ধন্যবাদ জানবেন

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সে যত বড় কবিই হোক, যত ভাল কবিতা হোক
জেনেশুনে ঘাতক পক্ষের কাছে মাথা বিক্রি করে ফেললে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না।

সে যত বড় কবিই হোক, যত ভাল কবিতা হোক
জেনেশুনে ঘাতক পক্ষের কাছে মাথা বিক্রি করে ফেললে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না।


এই একটি মাত্র অর্জনের কারণেই সামুর চিহ্নিত ঘাতক সমর্থকেরা তার কবিতা না পড়েই অন্ধভাবে উলংগ ভাবে তাকে সমর্থন করে যাচ্ছে।



এই একটি মাত্র অর্জনের কারণেই সামুর চিহ্নিত জাসি ও গোলামআজম সমর্থকেরা আলমাহামুদের কবিতা না পড়েই অন্ধভাবে উলংগ ভাবে তাকে সমর্থন করে যাচ্ছে। মুলত গোলাম আজমকে সমর্থন করে যাচ্ছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:


আমি মনে করি, সচেতন ব্লগাররা কখনো অন্ধত্বকে গ্রহণ করেন না। সুতরাং কারো সম্পর্কে না জেনে ,নিজ দলের সাফাই গায়ক হিসেবে ধরে নিয়ে তাকে সমর্থন করা এক ধরনের বোকামি ছাড়া কিছু নয়


জামাত শিবির সবসময়ই দেশের জন্য ভয়ঙ্কর ছিল। এক সময় মানুষ এদেরকে নিয়ে কথা বলতে ভয় পেত। এখন মানুষ ছাত্রলীগকে নিয়ে কথা বলতে ভয় পায়। সাধারণ মানুষের কথা কজন ভাবে।

হ্যা,
আমি আল মামুনকে ফেরেশতা বলছি না, উনি একজন মানুষ, মানুষ হিসেবে উনার ভুল থাকতেই পারে। কিন্তু কোনো মানুষকে তার জীবনে ঘটে যাওয়া দুএকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার পুরো জীবন বিচার করা সঠিক নয়। আমরা তাকে তার সাহিত্যাঙ্গনের জন্য গ্রহণ করতে পারি। সুবিধাবাদী সাহিত্যিক প্রত্যেক যুগেই ছিলেন আছেন থাকবেন। তাই বলে তাদের মধ্যে যিনি সাহিত্য জগতকে আলোক দিয়েছেন তার সেই সাহিত্যকে গ্রহণ করা মন্দ কিছু নয়।


কাজী নজরুল বেঁচে গেলেন, উনার সময়ে ব্লক ফেসবুক কিছু ছিল না বলে(?) না! উনি বাঁচতে পারেননি সমালোচনা থেকে।

১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: গতকালকেই একটা পোস্টে বলে এসেছি -
একজন কবিকে তার লেখা দিয়েই বিচার করুন। সেটাই তার আসল পরিচয়। তার সাহিত্য, তার লেখা, তার সব অমর সৃস্টি দিয়ে তাকে বিচার করুন। আপনাকে এই অনুরোধ শুধু রেখে যাব। না হলে, পুরো সাহিত্য জগত শুধুই ভাগাভাগি হবে, দলাদলি হবে, নোংরা হবে। এতে দিন শেষে, বাংলা সাহিত্য জগতেরই ক্ষতি হবে! তার কোন লেখা না পড়ে ফেসবুকীয় ব্লগিং করবেন না.........

কিন্তু খুব দু:খজনক হলেও উনার বোধদয়টা হয় নি। আসলে জোর করে কাউকে কিছুই শেখানো যায় না।
আজকে এসে তাজ্জব হয়ে দেখি চিন্তাশক্তিতে সীমাবদ্ধ লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়, বরং দ্রুতই বেড়ে যাচ্ছে ব্লগে..

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: নীল আকাশ ভাই,
এবারের সঠিক কথাটাই বলেছেন:

"একজন কবিকে তার লেখা দিয়েই বিচার করুন। সেটাই তার আসল পরিচয়। তার সাহিত্য, তার লেখা, তার সব অমর সৃস্টি দিয়ে তাকে বিচার করুন। আপনাকে এই অনুরোধ শুধু রেখে যাব। না হলে, পুরো সাহিত্য জগত শুধুই ভাগাভাগি হবে, দলাদলি হবে, নোংরা হবে। এতে দিন শেষে, বাংলা সাহিত্য জগতেরই ক্ষতি হবে! তার কোন লেখা না পড়ে ফেসবুকীয় ব্লগিং করবেন না........."



কিছু করলাম না, শুধু বোল্ড করে দিলাম ,যেন অন্যরা পড়তে পারে।

ভালোবাসা জানবেন।

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবিরা হাজার-হাজার বছর বেচেঁ থাকেন পাঠকের অন্তরে তার কবিতার মাধ্যমে । বাকিরা হারিয়ে যায় কবি যদি এমনি একজন হয়ে থাকেন তার কবিতাই তাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। কে ভাবল তাতে কিছু যা আসেনা।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

সেটাই সুজন ভাই সেটাই।

আমরা আমাদের চিন্তা স্বল্পতার কারণে, কাউকে তার সঠিক মর্যাদা দিতে পারি না। তাতে মর্যাদাশীলদের কিছু কমে না। বরং ঠিক সময়েই তাদের প্রদীপ জ্বলে উঠে। যারা দলান্ধতার কারণে প্রদীপ নিবানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ,তারাই একসময় অন্ধকারে হারিয়ে যায়।

ধন্যবাদ সুজন ভাই।

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: সুলেখক মিশু মিলন ১৬ ফেব্রুয়ারি একটা লেখা লিখেছেন আল মাহমুদ এর উপর লিংক ওখানে আমার মন্তব্য দেখতে পারেন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনার পুরো মন্তব্যটি পড়লাম। অনেক সুন্দর ও বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য করেছেন। লিংক দিয়ে ভালোই করেছেন পড়ার সুযোগ পেলাম। সেখান থেকে প্রয়োজনীয়টুকু এখানে তুলে ধরছি। আপনি বলেছেন:
ভুপেন হাজারিকা, পরেশ রাওয়াল, অনুপম খের- সকলেরই পলিটিক্যাল আইডিওলজি আছে। আমরা শিল্পির গুনটা দেখি, তার ব্যক্তি জীবন শিল্পি জীবনের চেয়ে বড় হওয়া উচিৎ না । মারাঠি দস্যু শিবাজির বন্দনা করে রবীন্দ্রনাথ শিবাজী উৎসব লিখেছিলেন। কারন শিবাজী মুসলমানদের ডান্ডা মারতে পেরেছিলেন। আমরা রবীন্দ্রনাথকে সাম্প্রদায়িক কবি বলে পরিচয় করে দেই না। রবীন্দ্রনাথ কিন্তু ছিলেন হিন্দু সমাজচ্যূত। মুসলমানদের সংস্পর্শে আসায় তার পূর্বপুরুষগন হিন্দু সমাজচ্যূত হয়ে ব্রাহ্ম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। 

আমি কবিতার ভক্ত নই। আল মাহমুদের কাব্য প্রতিভার বিষয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিল্পিদের তাদের কাজের দ্বারা বিচার করার পক্ষে, তার জাত, ধর্ম ইত্যাদি দ্বারা না। আপনার অবশ্যই অধিকার আছে অন্য কিছু ভাবার বা বলার । কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায় সম্পর্কে বিশেষ মতামত মনে পোষন করার অধিকারও আছে। তবে পাবলিক ফোরামে সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ করা যুক্তিযুক্ত না।


ধন্যবাদ

১৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

আরোগ্য বলেছেন: কথায় আছে, শূন্য কলস বাজে বেশি।

বর্তমানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেই যুদ্ধ অপরাধী বা রাজাকারের খেতাব ফ্রি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: একেবারে খাটি কথাটা বলেছেন দাদা।

জনগণ বড় মাইনকা চিপায় আছে। না পারে কইতে, না পারে সইতে (সহ্য করতে)।

১৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগে বালছাল নিয়ে লিখে আমার নামে উৎসর্গ করবেন না; আমি কোনদিন খোদার নামেও কিছু উৎসর্গ করি না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, ব্লগার আরোগ্য আপনাকে প্রতিউত্তর করেছেনঃ

"মুরুব্বি কয় কি? আপনার উৎসর্গ করতে মন চাইলে খোদাকে উৎসর্গ করেন অসুবিধা কই? খোদা আমাদেরও স্রষ্টা, আপনারও। উনিশ বিশ করলে আপনার সাথে খোদার বোঝাপড়া হবে। আমাদের কি? চাইলে মানবেন না চাইলে মানবেন না, কোন জোড়াজুড়ি নাই। এমনিতেই আপনার চোখে সমস্যা তাই ব্লগে কম থাকাই ভালো। অন্যথায় হিতে বিপরীত হতে পারে।"


আমি বলছিঃ
উৎসর্গ করাটা তখনই ভুল হত, যদি আপনি আপনার একচোখা নীতি পরিহার করে জাতীর স্বার্থে লেখে যেতেন। কাউকে ফালতু ট্যাগ না করতেন। তাছাড়া শুধু আপনাকে উৎসর্গ করা হয়নি, তাদেরকেও উৎসর্গ করা হয়েছে, যারা ব্লগে ফালতু নিজেদের মন খুশি যা ইচ্ছে তা লেখে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।

আপনি জানেন যে, মানুষ আপনাকে শুধুমাত্র একটা কারণেই সম্মান করে, আমিও করি, করে যাব।
দয়া করে, আপনি আপনার সেই আসনটা নষ্ট করবেন না (!)

২০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


@পাঠকের প্রতিক্রিয়া !,

আপনি বহুনামে, বহুবার, বিবিধবেশে ব্লগিং করার চেষ্টা করেছেন, ফলাফল এখনো শুন্যের কোঠায়; গার্জ ইন, গার্বেজ আউট!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী ভাই,

উনার প্রশ্নের উত্তর যে এগুলো ছিল সেটা হয়ত উনি নিজেই জানতেন না। যাক বাবা, উনি বেঁচে গেলেন আপনার থেকে ;)

দয়া করে আপনি মন খারাপ করবেন না। এটা শুধু আপনাকে নিয়ে লেখা নয়, এটা সকল ব্লগারদের জন্যই লেখা। পোস্টের শেষে অনুরোধে সব তুলে ধরা হয়েছে।

২১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

আরোগ্য বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে বালছাল নিয়ে লিখে আমার
নামে উৎসর্গ করবেন না; আমি
কোনদিন খোদার নামেও কিছু উৎসর্গ করি না।


মুরুব্বি কয় কি? আপনার উৎসর্গ করতে মন চাইলে খোদাকে উৎসর্গ করেন অসুবিধা কই? খোদা আমাদেরও স্রষ্টা, আপনারও। উনিশ বিশ করলে আপনার সাথে খোদার বোঝাপড়া হবে। আমাদের কি? চাইলে মানবেন না চাইলে মানবেন না, কোন জোড়াজুড়ি নাই। এমনিতেই আপনার চোখে সমস্যা তাই ব্লগে কম থাকাই ভালো। অন্যথায় হিতে বিপরীত হতে পারে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: পুরান ঢাহার ভাই,

আমি উনাকে আপনার কথা কয়ে দিছি ;)


আসলে আজকের লেখাটা শুধু উনাকে নিয়ে নয়। এই লেখাকে আরো বিস্তারিত লেখা যেত, সময়ের কারণে পারিনি। যারা পড়বে তারা হয়ত বুঝতে পারবে লিখাটির উদ্দেশ্য।


ফালগু কেউ কেউ আমাকে জামাতিদের দলে ভর্তি করানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু যে মানুষটা দলান্ধতার মধ্যে নেই, সে কিভাবে এওসবের ভেতর ঢুকবে বলেন। ;)

যাক, দয়াল সকলের হেদায়াত করুক।

২২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩১

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



একজন মানসিক রুগীকে নিয়ে এত কথা না বলাই ভাল, উনি সারাক্ষন ব্লগে পড়ে থাকে তাই উনার লেখাগুলো পঠিত হয়, আর কিছু না। পাগল-ছাগল ব্লগে থাকবে তার মাঝেই থাকার মত মন-মানুষিকতা তৈরী করতে হবে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: শফিক বিন রফিক ভাই,

কিছু মনে করবেন না, টেগ দিয়ে কথা বলার অভ্যাসটা আপনার মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।
একজন ব্লগারের আর কিছু থাকুক বা না থাকুক, এই গুণটা না থাকাই উচিত।

আমার এই লেখাটি শুধুমাত্র চাঁদগাজী ভাইকে উদ্দেশ্য করে নয়। হ্যা, উনি প্রায়ই তেগ করে কথা বলেন তাই উনার দিকে লেখাটা বেশি যুকে যাচ্ছে হয়ত।
কিন্তু এই লেখাটি সকল ব্লগারদের জন্যই।

২৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫২

আরইউ বলেছেন: হা হা হা!!! জাশি গুনগান ওপেনে করা একজন ব্যক্তির প্রতি দরদ দেখে চোখে পানি চলে আসলো। পোস্টে মাইনাস।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৪৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: বাপু,
আপনি প্রার্থনাশ্রমে যান, এই চোখের জলের জন্য কিছু পুণ্য আপনার মিলিবে; এইখানে ফেলিলে কোন পূণ্য তো মিলিবেই না, বরংচো আজাইরা চোখটা লাল করিবেন।

আর হে, আপনার অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তরকারী কোন প্রকার দলান্ধ রোগে আক্রান্ত নয়। আর তাই আপনি সকল প্রকার একচোখা নীতির আক্রমণ হইতে মুক্ত এবং দলান্ধদের ন্যায় আপনাকে নিয়ে মউজমস্তিও হচ্ছে না।
কিন্তু পোস্ট না পড়ে মন্তব্য করার কারণে আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া গেলো না; পোস্টটি পড়ুন, দেখবেন কী থেকে কী মন্তব্য করার কারণে আপনি নিজেও লজ্জায় পড়ে যাবেন।

২৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৮

বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই সরকারী দলের পক্ষে সবসময় থাকতে চায়।বিষয়টার সাথে জড়িত ব্যক্তিগত স্বার্থ। সত্যি বলতে গেলে বলতে হয় যে এরা প্রতিভাবান ঠিকই তবে নীতি নৈতিকতাহীন। কবি আল মাহমুদও এর ব্যক্তিক্রম নয়। এই দেশে যখন বিএনপি/ জামাত ক্ষমতায় ছিল, তিনি তখন জামাতের পক্ষে গীত গেয়েছেন। একারনেই তিনি বর্তমানে রোষের শিকার হয়েছেন।আজকে যারা জনগনের ভোটাধিকার হরনকারী স্বৈরাচরী সরকারের পক্ষ নিচ্ছে , ক্ষমতার পালা বদল হলে সেই আসাদুজ্জামানুর, তারানা হালিম, সুবর্না মুস্তাফা, জাফর ইকবালকেও একদিনে হয়ত সেই একই অবস্থার শিকার হতে হবে। তবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানূষ এইভাবে দলাদলির কারনে শিল্পীর অমর্যাদা দেখতে চায় না। শিল্পী হিসেবে তার যে সম্মান্টুকু প্রাপ্য সেটা তাকে দেয়া উচিৎ বলেই মনে করে এ দেশের জনগন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় দেশি ভাই,


ঢাবিয়ানের মন্তব্যে সেলুট দেয়ার মত। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

আপনাকে ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ার পাশাপাশি মন্তব্যগুলো ভালভাবে পড়ার জন্য।

অনেক অনেক ভালবাসা জানবেন।

২৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩২

উপপাদ্য বলেছেন: ব্যক্তি, ব্যাক্তির আদর্শ নিয়ে অন্যদের রেস্ট্রিকশন থাকতে পারে, কিন্তু বিবেচনা-বোধহীন মন্তব্য একেবারেই কাম্য নয়।
উনি আমার পোস্টে গিয়ে ২টি অতি ঘৃন্য মন্তব্য করেছেন যা আমাকে উনার শিক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে।

ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন,

আমি উনার হয়ে আপনার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। উনি আমাদের মধ্যে একজন শ্রদ্ধেয় ব্লগার হিসেবে আছেন। আমরা তাকে সবসময় চাই। হ্যা, কিছু মন্তব্য করতে গিয়ে উনি বার্ধক্যজনিত কারণে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না ঠিক, তবে প্রায়শই খুব ভাল ও চিন্তাশীল মন্তব্য করে থাকেন।


আপনাকে ধন্যবাদ।

২৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



দোষে গুনে মানুষ। কবিও তার ব্যতিক্রম কিছু নন। যিনি চলে গেছেন তাকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক নয়, তার পারকালীন জীবনের কল্যান কামনা করে যাওয়াই শুভবাদীদের কাজ।

আমরা তাই করতে চাই। ভালো থেকো ওপাড়ের সুন্দর ভূবনে বিশ্বাসের হিরন্ময় জ্যোতিতে উজ্জ্বল হে প্রিয় কবি।

২৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কবি সবসময়ই কবি। সব কবিদেরই কিছু না কিছু দোষ-ক্রটি আছে কেননা তারাও মানুষ; মানুষ হলে ভুল হবেই যেটা সবারই জানা তারপরও কেউ কেউ ঘেউ ঘেউ করছে যে উনি কবি না তাহলে সেই প্রাণিরা মাহমুদ সাহেবের ন্যয় একখানা কবিতার বই রচনা করিয়া দেখাক যে মাহমুদ কবি নয় প্রাণিরাই কবি।

২৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

এম এম করিম বলেছেন: সরকার বিরোধী আর স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে চলা এক কথা নয়।
ইসলামী আদর্শ আর জামাতের আদর্শ এক কথা নয়।
শেখ মুজিবকে অপছন্দ করা আর স্বাধীনতা বিরোধীদের নেতা গোলাম আযমের প্রশস্তি গাওয়া এক কথা নয়।

আল মাহমুদকে নিয়ে চার শ্রেনীর লোক লাফাচ্ছে
১। জামাতের অনুসারী (তাদের বড় অংশ )
২। ইসলামী ভাবাপন্ন
৩। বামদের একটা বড় অংশ (বাংলাদেশের বামেরা চিরকালই আদর্শিক দ্বন্দ্বে ভুগে )
৪। সবচেয়ে বড় দলটা হচ্ছে যাদের কম বয়সে জামাত/শিবির কর্তৃক মগজধোলাই (ব্রেনওয়াশ) হয়েছিল। এদের একটা বড় অংশ এখন সুশীল, ফেসবুক সেলিব্রিটি। অনলাইনে সবচেয়ে বেশি লেখালেখি করে এরা, ইউটিউবে সবচেয়ে তৎপর এরা। এগুলো শিবিরের ইন্সট্রাকশন ছিল। বইমেলায় সবচেয়ে বেশি বই বের করে এরা। এই ব্লগেও এখন এদের প্রাধান্য। এরা মোনাফেক শ্রেনীর। (একবার ক্ষমতাবদলের পর দেখলাম ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হয়ে গেল শিবিরের সাধারণ সম্পাদক। অথচ আওয়ামীলীগ আমলে শিবিরের সভাপতির পরিচয় বেরিয়ে আসার পর তাকে মেরে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। যারা মেরেছিল তাদের মধ্যে ঐ ছেলেও ছিল যে কিনা প্রকৃতপক্ষে শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ! ) এই হচ্ছে শিবির। এবং এদের বড় অংশ গত ৩০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করেছে বা এখনো করছে। এখন অনেক ভাল অবস্থানে আছে এরা।

আল মাহমুদকে নিয়ে আমার লেখাঃ

কবি আল মাহমুদের কতটা সম্মান প্রাপ্য?

২৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৪

আরইউ বলেছেন: সৈয়দ তাজুল, আমি না পড়ে মন্তব্য করিনা, আমি পোস্ট পড়ি, পোস্টের মন্তব্য পড়ি, মন্তব্যের জবাব পড়ি, অন্য পোস্টে করা মন্তব্য পড়ি - তারপর কমেন্ট করি। আপনার পোস্টের মন্তব্যের ঘরে দেখুন কারো কারো আবেগ উথলে পরছে!

সরকার পক্ষে থেকে সুযোগ নেয়া আর জাশি চেতনা ধারণ করা এক জিনিস নয়। আমার জানামতে আল মাহমুদ বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন কোন বড় দাও মারার জন্য জাশি-র গীত গাননি (তবে এমন হতে পারে উনি বড় দাও মারতে পারেননি)।

৩০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

নাহিদ০৯ বলেছেন: একজন লেখককে যদি অপশন দেয়া হয় যে আপনি কোনটা নিতে পছন্দ করবেন? তাহলে তিনি এই দুই অপশনের মধ্যে কোনটা বেছে নিবেন বলে আপনি মনে করেন?

১। রাষ্ট্রীয় সম্মান
২। মানুষের ভালোবাসা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.