নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, দয়া করে সিলেটের গোলাপগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামকে মৃত্যুর পূর্বে মাথাগোঁজার ঠাঁই দিন

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:২২


আজ সেই ২৫ই মার্চের কালো রাত। ১৯৭১ সালের এই রাতে পাকিস্তানি কুকুরেরা অপারেশন সার্চলাইটের নামে যে গনহত্যা শুরু করেছিল তা এখনো পর্যন্ত বিশ্বের কাছে চরমভাবে নিন্দিত হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। এই রাতের নির্মম ঘটনার পর অনেকেই দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে নিজ পরিবার পরিজন ছেড়ে ভারতের ট্রেনিং ক্যাম্পগুলোতে চলে যান । সেইসব বীরদের মধ্যে একজন হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (৬৭)। ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন ক্যাম্পে ট্রেনিং শেষে চট্টগ্রাম সীমান্ত এলাকায় গেরিলা হামলার দায়িত্ব পালন করেছিলেন তারা কয়েকজন।

মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতার নাম মহররম আলী। কুমিল্লায় জন্ম হলেও মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে সপরিবারে চলে এসেছিলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরিফগঞ্জ ইউনিয়নস্থ ইসলামপুর গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে ইপিআরএ যোগ দিয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম ।

১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম দিকে ইস্ট ব্যাঙ্গল রেজিমেন্ট (ইপিআর), চট্টগ্রাম বান্দরবানে পাহাড়িদের পুণর্বাসনের কাজ করছিলেন তারা। বয়স তখন ২১/২২ বছর। ২৬ মার্চ ঢাকাসহ সারাদেশে পাকিস্তানী মিলিটারি বাহিনী ধ্বংসলীলা চালানোর পর শেষ রাতের দিকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে হায়েনাদের উপর প্রথম হামলা করেছিলেন তারা।

এরপর সশস্ত্র অবস্থায় যোগদান করেন মুক্তিযুদ্ধে এবং ট্রেনিং গ্রহন করেন ভারতের শিলচরের লিচুবাগান এলাকায়। প্রায় ১৫ দিনের ট্রেনিং শেষে দেশে ফিরে অংশগ্রহন করেন সম্মুখ যুদ্ধে। এখনো তার স্মৃতিপটে ভাসে যুদ্ধজীবনের উল্লেখ্যযোগ্য অপারেশনগুলোর মধ্যে থাকা পাঠিয়া (রঙ্গুনিয়া ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল) হামলা, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার কথা।

যুদ্ধের স্মৃতি মনে করতে গিয়ে আজো কেঁদে উঠে সিরাজুল ইসলামের অন্তর। প্রাণের বন্ধু ফজলুর রহমানের কথা আজো তার মনে পড়ে। রাতে আঁধারে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার সময় তার এই প্রিয় বন্ধুটি শাহাদাত বরণ করেছিলেন।


বিজয়ের পর দেশে ফিরে আসেন। ফিরে আসেন ইসলামপুরে মা-বাবার কোলে। বাড়ি ফিরে দেখেন তার বাবা মৃত্যুবরণ করেছেন। স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও জন্মদাতাকে দেখতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাকে।

 যুদ্ধের সময় দেশে থেকে দেশের মাটির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে আজ অনেকেই কোটিপতি কিন্তু এসকল বীর মুক্তিযোদ্ধা তার বিপরীত জীবন কাটাচ্ছেন হাজারো কষ্টে। যাদের কারণের আমরা দেশটাই পেয়েছি তারা আজ একেবারে নিঃস্ব। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিচ্ছেন। দুঃস্থদের দিচ্ছেন ঘরবাড়িও। কিন্তু সিরাজুল ইসলামের না জুটছে ভাতা, না জুটছে বাড়ি। নিজের জান বাজি রেখে স্বাধীন করা দেশে এখনো তিনি পরাশ্রিত।

বয়স ৬৭ হলেও অসুস্থ শরীরের কারনে সিরাজুল ইসলামকে অশিতিপর বৃদ্ধ বলেই মনে হয়। ৬ সন্তানের জনক দুঃখভারাক্রান্ত কন্ঠে বললেন, আজো আমি ঘরবাড়িহীন একজন মানুষ। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি জীবন বাজি রেখে। কিন্তু নিজের জীবন যুদ্ধ চালাতে আজ আর পারছিনা।

একসয় তার মাছের ব্যবসা ছিল। এখন তাও নেই। সরকারী ভাতা পাচ্ছেন তবে অসুস্থতার কারণে তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। সিংহভাগ টাকাই চলে যায় ওষুধ জোগাড় করতে।

হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে পুরো নয় মাস যুদ্ধের ময়দানে থাকতে পারা এই গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, "সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জমি দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিবেন বলে আশ্বাস দিলেন। আমরাও নতুন আশায় বুক বাঁধলাম। দুইবছর আগে তালিকায় নাম দেওয়া হলেও আজো তা পাইনি। কবে পাবো তাও জানি না।"

প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনেকেই নিজেদের আশা পূরণের জন্য হাত বাড়িয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে এসকল মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুঃখ কষ্টের বন্ধু হতে চেয়েছেন। এমন সহযোগিতামূলক মনোভাবের কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে দেশের মানুষ ভালবাসে।

এমনই ভালবাসা থেকে সৃষ্ট আশা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেনঃ "আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার একটাই চাওয়া, মৃত্যুর আগে আমার ছেলে মেয়েদের জন্য যেনো মাথাগোঁজার জায়গা হয়েছে বলে দেখে যেতে পারি।"
 


সহযোগিতায়ঃ আঞ্চলিক এক সাংবাদিক ভাই।



স্বাধীনতা দিবস, ২০১৯



মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অবশেষে আপনি ফিরলেন। অভিনন্দন।

কষ্ট হচ্ছে খুব। আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একজন মুক্তিযোদ্ধা এখনো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরর শিশুদের বই বিক্রি করে জীবন যাপন করে। চোখের সামনে দেখা। অথচ কিছুই করতে পারছিনা। সত্যিই আমরা লজ্জিত। যারা কিনা দেশের সত্যিকারের নায়ক, সত্যিকারের বীর তাঁদেরকেই দেশ সম্মান দিতে জানে না। আল্লাহ ওদের সুখে রাখুক।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৫১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমি প্রায়ই আসি ভাই। তবে দুঃখ নিয়ে আবারো ফিরি। এভাবে ফেরারি হয়ে ঘুরি।


হ্যাঁ, এমন অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কৃত্রিম মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হেরে যাচ্ছেন। আর এই লজ্জায় আমাদের রাজনীতি গর্বে বুক ফুলিয়ে হাটছে। আসলে এটা গর্বের না লজ্জার তা নিয়ে আলোচনা করাও কষ্টের।


আমাদের প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি পবিত্র আবেগ ও শ্রদ্ধা পোষণ করেন। আশাকরি এদিক দিয়ে উনি আমাদের স্বাধীনতার জন্মদাতাদের একটু হলেও আস্বস্ত করবেন। যদি উনি এদের প্রতি নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করাতেন, তবে অকৃত্রিম মুক্তিযোদ্ধারা এভাবে কষ্ট পেতেন না।



আমাদের জন্মের পর থেকে দেখে আসছি আমাদের গ্রামের বাড়িতে ময়মনসিংহের এক পরিবার বসবাস করে আসছে। বইমেলার পূর্বে লাস্ট যখন বাড়ি গেলাম তখন খবর পেলাম, তাদের নানাভাই নাকি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সরকার নাকি তাদেরকে এজন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বরূপ কিছু আর্থিক অনুদান দিবে। শুনে বুকটা গর্বে ভরে গেলো। মনে হত লাগলো, শান্তি আসতেছে।

সেখান থেকেই আশাকরি, সরকার এসকল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কিছুটা হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে ইকোনমিক সাহায্য করবে।




ধন্যবাদ প্রিয়জন। খোঁজখবর নেয়ার জন্য ভালবাসা।



২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৫২

মা.হাসান বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। কয়েক ঘন্টা অাগেই একটা পোস্টে নতুন নকিব ভাই আপনাকে মিস করার কথা বলছিলেন।
সব কিছুর জন্য আমরা কেন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি এ বিষয়ে ভুয়া মফিজ ভাইও একটা পোস্ট দিয়েছেন।
ব্যস্ততা কি একটু বেশি?

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু, পড়েছি ভাই।
বাক্যটি আবারো বলি, সুন্দর সত্য তো তাই ;) , আমি প্রায়ই আসি ভাই। তবে দুঃখ নিয়ে আবারো ফিরি। এভাবে ফেরারি হয়ে ঘুরি। :(
সামুর দুর্দিন, চিন্তা করতেই খারাপ লাগে!


ব্যস্ততায়ও ট্রাই করি ভালবাসার আঙিনায় সাঁতার কাটতে। কিন্তু সবসময় লগিন করে মন্তব্যের ঘরে ভালবাসা লেপ্টাতে পারি না, ব্যস্ততার অভিনয়ের কারণে। দিনদিন নিজেকে বড্ড বেজ্জাত করে তুলছি।

ভালবাসার জন্য ভালাসা ♥♥

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০০

আরোগ্য বলেছেন: নামধারী মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:১০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আশাকরি, খুব আশাকরি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তাদের সম্মানটুকু দেয়া হবে। আর সেখান থেকেই আমরা অনুরোধ জানাই দায়িত্বশীলদের।

ধন্যবাদ ভায়া।

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৩৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন:
আপনি বলেছেন -

হ্যাঁ, এমন অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা
কৃত্রিম মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হেরে
যাচ্ছেন। আর এই লজ্জায় আমাদের
রাজনীতি গর্বে বুক ফুলিয়ে হাটছে। আসলে
এটা গর্বের না লজ্জার তা নিয়ে আলোচনা
করাও কষ্টের।


আমাদের প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ ও
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি পবিত্র আবেগ ও
শ্রদ্ধা পোষণ করেন। আশাকরি এদিক দিয়ে
উনি আমাদের স্বাধীনতার জন্মদাতাদের
একটু হলেও আস্বস্ত করবেন। যদি উনি এদের
প্রতি নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে কাজ
করাতেন, তবে অকৃত্রিম মুক্তিযোদ্ধারা
এভাবে কষ্ট পেতেন না।


আমাদের জন্মের পর থেকে দেখে আসছি
আমাদের গ্রামের বাড়িতে ময়মনসিংহের
এক পরিবার বসবাস করে আসছে। বইমেলার
পূর্বে লাস্ট যখন বাড়ি গেলাম তখন খবর
পেলাম, তাদের নানাভাই নাকি একজন
মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সরকার নাকি
তাদেরকে এজন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বরূপ
কিছু আর্থিক অনুদান দিবে। শুনে বুকটা
গর্বে ভরে গেলো। মনে হত লাগলো, শান্তি
আসতেছে।

সেখান থেকেই আশাকরি, সরকার এসকল
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কিছুটা হলেও
কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে ইকোনমিক সাহায্য
করবে।


আমি আবার এত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারিনা। সরকারকে আক্রমণ করেই কথা বলি বেশিরভাগ। এটাও আসলেও দোষের না। কারণে সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা বেশি বলেই দুঃখ লাগে বেশি। তাই সমালোচনাও করি। তবে তা গঠনমূলক সমালোচনা।

যাইহোক, আপনি যে মন্তব্য করেছেন। আমি তাতে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি। ভালবাসা অফুরান ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৪২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনি তো ভাই জটিল ;) পুরো প্রতিমন্তব্যকে একটা কবিতা বানিয়ে ছাড়ছেন।


হ্যাঁ, যার কাছে আশা থাকে বেশি, সে একটু কষ্ট দিলে লাগেও বেশি।
আপনার/আমার/আমাদের গঠনমূলক মন্তব্যের কারণেই আমরা এতো বিপথ পাড়ি দিয়ে সামুর সাথে আছি এবং থাকবোও ইনশাআল্লাহ । ভালবেসে যাব একে অপরকে ; সম্পূর্ণ পবিত্র ভালবেসে।

আশাকরি জ্ঞানীরা ভালবাসার মূল্য বুঝবেন।

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:১৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালোরা আজ পদে পদে লাঞ্চিত।
আল্লাহ তাঁদের রক্ষা করুক।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:৫৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এরা ধৈর্যশীল, ইনশাআল্লাহ এরা তাদের প্রাপ্য পাবে।

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:২১

বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:৫৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: দেশি ভাই, তোমার "আপনার" সম্বোধন দেখে রহস্য লাগতেছে কেন?

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কি উনাকে চেনেন, নাকি কারো লেখা তুলে দিয়েছেন?

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
যে সাংবাদিক ভাইয়ের সহযোগিতায় উনার সন্ধান পেয়েছি তিনি আমার নিকটাত্মীয়। আমি এখন ঢাকা আছি। যদি দেশের বাড়ি থাকতাম, তবে অন্তত আজকের দিনটি আমি কোন মুক্তিযোদ্ধার সংস্পর্শে কাটানোর চেষ্টা করতাম; যেটা আমি অতীতে করার ট্রাই করেছি। দুর্ভাগ্য এবার সেটা করতে পারছি না। খুব ইচ্ছে করছিল এই বীর মুক্তিযোদ্ধার সংস্পর্শ লাভের।

ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সামুর ক্রান্তিকালে আপনাকে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এমন মানুষরাই তো সাহায্য পাওয়ার দাবি রাখে। গ্রেট কাজ করেছেন আপনি । 100% সহমত পোষণ করছি পোস্টটির সঙ্গে ।

শুভকামনা ও ভালবাসা জানবেন ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
ওপাড় বাঙলার সহযোগী বন্ধুবর, আপনার মন্তব্য সবমসময় নিজের মত করে মনকে জয় নেয়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভাল লাগলো মন্তব্যে। ভালবাসা। 

কাজটি তখন পূর্ণ সফলতা পাবে, যখন এসব মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানের অল্পটুকু হলেও নিজের মত করে বুঝে পাবেন। 


আমরা/আমাদের সামহোয়্যারইন ব্লগ সবসময়ই মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, জনগণ ও গণতন্ত্রের কথা বলে। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্লোগান তুলে। বায়ান্ন ও একাত্তরের চেতনাই আমরা হৃদয়ে লালন করি। আমরা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলি। 


ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুতই আমরা আবারো আমাদের পূর্বের জায়গায় ফিরে যাব। 

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

অনুভব সাহা বলেছেন:

স্বাধীনতা দিবসে এমন পোস্ট দেখলে মন, মেজাজ দুটাই খারাপ হয়। সব কিছু যদি প্রধানমন্ত্রীকে করতে হয় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় করে কী!!


উনি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকলে অতিদ্রুত সন্মাননা সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হোক, আর প্রান্তিক মানুষ হলে বয়স্কভাতা সহ দেয়া হোক।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাউ,

আমরা ভাঙালি, সবসময় উপরের দিকে দৃষ্টি থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ করা মানে প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে আমার হাত ধরে বলবেন, "চল আমরা যাই" ; এই টাইপের আশানিয়ে লেখা নয়।

যদি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করায় এসকল মুক্তিযোদ্ধাদের একটু শান্তি মিলে তাহলে সমস্যা কোথায়? তাছাড়া, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় বলেন আর খাদ্য মন্ত্রণালয় বলেন, এসবের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের খবর কমবেশি আপনারও জানা আছে।


সবকিছুর পর, এরা তাদের প্রাপ্যটুকুর সামান্যও যদি পায়, যেটুকু দিয়ে তাদের জীবনটা স্বাচ্ছন্দ্যে কাটে, তবেই তো স্বার্থকতা।

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাকে তার প্রাপ্য অধিকার প্রদান করা হোক।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হ্যাঁ নকিব ভাই,

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাকে তার প্রাপ্য অধিকার প্রদান করা হোক।


আশাকরি তারা তাদের প্রাপ্যটুকু পাবেন। 

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম,




মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের মতো অনেক সিরাজুল ইসলামরাই ঠকবাজ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে নিজেদের অর্জিত প্রাপ্য থেকে বঞ্ছিত। এক শেখ হাসিনার পক্ষে সবার খবর নেয়া তো সম্ভব নয়, এদের দায়িত্বে তিনি যাদের নিয়োজিত করেছেন তারাই যতো নষ্টের গোড়া। এই জঞ্জাল সাফ করার সময় হয়েছে মনে হয়.............

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, কিছু একটা হওয়ার আশা দেখা যাচ্ছে। গত কিছুদিন যাবত যে পরিবর্তন দেখতেছি তায়ে আশা করতেই পারি। যদি সত্যি পরিবর্তন আসে, তবে সেটা সত্যি আমাদের জন্য অনেক গর্বের।
কষ্টের অবশ্য বিশালতা বেশি, আমাদের এই স্বাধীন প্লাটফর্মের জন্য খুব কষ্ট হয়। হয়ত বুদ্ধিজীবী মহল কিছুটা উদারচিন্তা প্রদর্শন করবেন।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: স্বাধীনতার এত বছর পরও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় আসল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে পারলো না।
ছিঃ

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
তালিকা করেছে ভাই। আমি লেখায় সেটা উল্লেখ করেছি। কিন্তু এই তালিকায় ভর করে আসা ভাতা দিয়ে ঔষধ খেতেই হিমসিম খাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম। আমরা চাই, সরকার এদেরকে যে আশ্বাস দিয়েছে সেটা পূর্ণ করুক।

ধন্যবাদ।

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনি যেখানে লেখাটি প্রকাশ করেছেন, সেটি সরকারি হিসেব মতে অশ্লীল সাইট!
প্রধানমন্ত্রী আপনার লেখা পড়বেন কিভাবে ভাই?

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: মজা করে যদি বলি,
কোন সরকারি বুদ্ধিজীবী যদি গুগলে সার্চ দেন তাহলে সেখানে সবার সাথে এটাও আসবে। এতে ক্ষতি না হলে লাভ তো হবে ।


সামু মুক্ত হয়ে উঠুক।

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: উনি কি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধা বানানোর মেশিনের ভিতর দিয়ে গমন করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে একক্ষন গমন করতে বলুন আগে। আগের কাজ আগে। ঐটা না করলে কোন যুদ্ধ করলেই কাজ হবে না। কাদের সিদ্দীকি এখন রাজাকার হয়ে গেছেন। ভাতা ফাতা যাই বলেন না কেন সব দেয়া হবে ঐ মেশিনের ভিতর দিয়ে বের হবার পর!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
এটা বড়ই দুঃখের কথা যে, আমাদের এসকল রাজনীতি মুক্ত সাধারণ মুক্তিযুদ্ধাকেও আজ বাংলাদেশের প্রতিহিংসার রাজনীতির বলী হতে হচ্ছে।

বড়ই দুঃসময়, তবু আশা করলে পাপ হবে না তাই আশা করা।

১৫| ০১ লা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

রাকু হাসান বলেছেন:

আমি প্রায়ই আসি ভাই। তবে দুঃখ নিয়ে আবারো ফিরি। এভাবে ফেরারি হয়ে ঘুরি। :( --
অবশ্যই আসবেন । যে বন্ধনে বন্দী হয়েছেন । সেটা ছিন্ন করবেন কিভাবে ?
আপনাকে এবং সাংবাদিক সাহেব অশেষ ধন্যবাদ । আসলে তখনই কষ্টে বুকটা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয় যখন শুনি স্বাধীনতা এনে দেওয়া সূর্য সন্তানেরা এভাবে দিন পার করে । এখন কি অবস্থা মুক্তিযোদ্ধার ? কোনো আপডেট আছে কি ?

০১ লা জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাবছি এবার বাড়ি গেলে সাংবাদিক সাহেবকে নিয়ে উনার বিষয়ে খোঁজখবর নিব। মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি সবসময়ই ভালবাসা কাজ করে৷ খুব খারাপ লাগে তাদের দুরাবস্থা দেখলে। নিজেকে ধিক দেই স্বাধীন দেশের নামে পরাধিনতায় ভোগে।

ধন্যবাদ তোমায় স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য। ইনশাআল্লাহ উনার বিষয়ে দ্রুত আপডেট দেয়ার চেষ্টা করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.