নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধার্মিকদের সংশয় দর্শন

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২১


ত্রয়োদশ শতাব্দির শেষের দিকে স্বার্থগত কারণে টমাস একুইনাসের মত পাদ্রিরা নিজেদের চিন্তা-যুক্তিকে ধর্মের পোশাক লাগিয়ে বাজারজাত করতেন। ঠিক তেমনি ইসলাম ধর্মেও কিছু লোক নিজেদের স্বার্থের জন্য অধর্মকেও ধর্ম বলে প্যাঁক প্যাঁক করে যাচ্ছেন। আমরা স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বাস করি, ব্লগারদের মধ্যে এমন মানুষের সংখ্যা শূন্যের কোঠায়। কিন্তু আমার কিছু প্রিয় ব্লগার আছেন, যারা ইতিপূর্বে ধর্ম সম্পর্কে খুব একটা জানেন না বলে স্বীকার করেও ধর্ম নিয়ে পোস্টাচ্ছেন। আবার অনেকে ধর্ম নিয়ে লেখেন ঠিকই, তবে তাদের লেখা পড়লে ধর্ম সম্পর্কে তাদের রিসার্চের ডিপ যে অতি স্বল্প সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠে। অনেকদিন যাবত এবিষয়গুলো লক্ষ করতে গিয়ে যেমন অবাক হয়েছি তেমন খারাপও লেগেছে। মুলত তাদের এমন প্রজ্ঞাপূর্ণ পোস্টগুলো তাদেরই সংশয় দর্শন প্রকাশ করে।


আসলে ধর্ম কী? ধর্মের মূল বাণী কী?
ধর্ম হল পরকাল তথা মৃত্যু পরবর্তী সময় কিংবা আত্মিক বিষয়ের তত্ত্ব। এবং সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে "মানুষের মুক্তি"। এই সজ্ঞায় খ্রিষ্ট ধর্ম, হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম সহ সকল ধর্মই শামিল। কেবল ইসলাম ধর্ম ছাড়া।
ইসলাম ধর্ম এতটুকুতেই তৃপ্ত নয়। ইসলাম পৃথিবীর সকল ধর্ম এবং দর্শনের মৌলিকত্বকে তার নিজের অবস্থানের সাথে সমন্বয় করে ধর্ম থেকে 'দ্বীনে' রূপ ধারণ করেছে। ধর্ম হলো, আত্মা কিংবা পরকালীন বিষয়াদির তাত্ত্বিক আলোচনা। 'দ্বীন' হল ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক বিষয়ের তত্ত্ব। পার্থিক জীবনবিমূখতাকে ইসলামি পরিভাষায় 'রুহবানীয়্যাত' বলে। নিছক রুহবানিয়্যাতের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। ইসলাম সম্পর্কিত কোথাও তার পরিচয়ে 'মাযহাব' শব্দ ব্যবহার করা হয়নি, সব স্থানেই দ্বীন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। 'রাব্বানিয়্যাত' আর 'দ্বীন' ভাবের দিকে সমার্থক শব্দ; যার সম্পর্ক ইহকাল ও পরকাল এর সাথে। আরবি 'মাযহাব' শব্দের সংস্কৃত শব্দ 'ধর্ম' এবং ইংরেজি 'রিলিজিয়ান'। প্রকৃত অর্থে 'ধর্ম' বা 'রিলিজিয়ন' দিয়ে 'দ্বীন' শব্দের পূর্ণাঙ্গ অর্থ হয় না। দিনের মধ্যে আছে 'হাসানাত দুনিয়া ওয়াল আখেরাহ' অর্থাৎ দুনিয়া ও আখেরাতের সুন্দর জীবনের বিধান। দ্বীন বললে বস্তু ও ভাবের সমন্বয় হয়ে যায়। ধর্ম বললে শুধু ভাব বুঝায়। সুতরাং বুঝা গেল, ইসলাম হচ্ছে দুনিয়া ও আখেরাতের সমন্বয়কারী ও সফলতা দানকারী একটি 'দ্বীন'।


'ইসলাম' শব্দ ব্যুৎপত্তিগতভাবে 'সালাম' শব্দ থেকে এসেছে। আর 'সালাম' শব্দের অর্থ শান্তি।আচ্ছা, শান্তি কাকে বলে?
অনেকে বলেন শান্তি আপেক্ষিক বিষয়। এটা একেকজনের কাছে একেকরকম। আসলে শান্তি হচ্ছে যন্ত্রণা অপসারণের নাম। একটু এগিয়ে বললে 'যন্ত্রণা অপসারণের সাথে সাথে জীবন সংগ্রামে আনন্দলাভের নাম হচ্ছে শান্তি।' উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল, ইসলামের শান্তি শুধু পরকালীন নয়, ইহা ইহকালীনও বটে।


আমরা মানুষজাত সাধারণত যে ভুলটা করি তা হচ্ছে, ধর্ম, দর্শন, শিল্প, বিজ্ঞানের পরিপূর্ণ বিষয়গুলো না বুঝেই সমালোচনা শুরু করি। আবার সমালোভচনার সময় নিজেদের চোখের চশমা না খোলেই পুরো বিশ্বকে নিয়ে বিবেচনা করে বসি।


চাইলে চলবে...

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

লেখা চলুক।

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আপনারা যেন লেকাটা পড়েন সেজন্য লেখাটাকে খুবই সংক্ষিপ্ত করে নিয়েছি। এবং প্রত্যেকটি আরবি শব্দকে বাংলা বর্ণমালায় তুলে ধরেছি। দেখেন না, বিষিয় নিয়ে আরো আলোচনা করতে গিয়েও হঠাৎ করে থেমে গিয়েছি।

যদি সময় সুযোগ হয়, তবে সামনে আপনার মৌলবাদ বিষয়ক সংক্ষিপ্ত আলোচনা করার ট্রাই করবো ইনশাআল্লাহ।

সকল সংশয় দূর হোক। আলোকিত হোক সব।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:০৮

মা.হাসান বলেছেন: চলতে থাক।
'ধর্ম হল পরকাল তথা মৃত্যু পরবর্তী সময় কিংবা আত্মিক বিষয়ের তত্ত্ব' সত্য নয়। ধর্মের ধাতুগত অর্থ যা ধারণ করা হয়। একজন এি চেতনা ধারণ করে যে সব দাড়িওয়ালা খারাপ। সেক্ষেত্রে এটাই তার ধর্ম। যে ভাবে নারী মানেই ভোগের বিষয় তার জন্য সেটাই ধর্ম। এর সঙ্গে চিন্তা-চেতনার সম্পর্ক, আত্মা বা মৃত্যুর সঙ্গে ধর্মের শব্দগত সম্পর্ক নেই।

নিজেদের মতকে স্বার্থের কারনে ধর্ম বলে বাজারজাত করনের সূত্রপাত ১৩ শতকে না , আরো অনেক আগে। বনী ইসরাইলরা অারো অনেক আগে এটা করেছে। আরো আগের অন্য নবীদের কওমরাও করে থাকতে পারে।

ইসলাম শব্দের আরেকটি অর্থ submission

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, আপনি আমায় ধর্মান্ধ কিংবা দলান্ধদের কাতারে সামিল কইরেন না। আমাদের একটা সমস্যা, কেউ যখন কোন ধর্ম বা দল নিয়ে লেখা শুরু করে, তখন হুট করেই তাকে সে ধর্ম বা দলের অন্ধবিশ্বাসী বলে শীল মারা হয়ে যায়। এতেকরে শীলের বরকতে তার কোন কথাই আর শুনা হয়ে উঠে না।


আপনি ধর্ম বলে যে ধারণ করার সজ্ঞা দিয়েছেন, তাও মেনে নিতে সমস্যা নেই। তবে 'বিশ্বাস' শব্দের অর্থ কী দাঁড় করাবেন?
আপনি হয়ত বাহ্যিকতায় তৃপ্ত থাকতে চেয়ে সংক্ষেপেই সব পূর্ণতা লাভ করতে চাচ্ছেন। কিন্তু 'ধর্ম' আর 'দ্বীন' যে পূর্ণ সাদৃশ্যযুক্ত শব্দ নয় সেটা আপনাকে স্বীকার করতে হবে।
সময় ও সমাজ যখন আপনার মানবিক চিন্তাকে হেয় করবে, বা সত্যিকার মানবিকতাকে হত্যা করবে তখন আপনি সেই সমাজের বিরুদ্ধে কথা বলবেন এটা স্বাভাবিক। এমনটা অনেক দার্শনিক করে এসেছেন। এজন্য দেখা যায়, উপমহাদেশের দার্শনিক ও পাশ্চাত্যের দার্শনিকদের সজ্ঞায় কিছুটা হলেও অমিল রয়েছে; সব ক্ষেত্রে নয়। আমি কিছুদিন যাবত লক্ষ করছি আমাদের কিছু ব্লগারেরা নিজেদের মত করে ধর্মকে সজ্ঞায়িত করেছেন। অনেকে আপনার মত বাহ্যিকতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অভ্যন্তরীন বিষয় অনুধাবন করার চেষ্টা করেন নি।


আর ইসলাম শব্দের অর্থ সাবমিশন, এটা আপনাকে কে বলল?
কোন শব্দের ব্যাখ্যায় যেমন তার ধাতুগত অর্থ দেখতে হয়, তেমনি তার পারিভাষিক অর্থও নজরে আনতে হয়। তাহলেই সেই শব্দের বাহ্যিকতার সীমানা পেরিয়ে অভ্যন্তরীণ বিষয় অনুধাবন সম্ভব।


ধন্যবাদ

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

প্রামানিক বলেছেন: আসলে শান্তি হচ্ছে যন্ত্রণা অপসারণের নাম। একটু এগিয়ে বললে 'যন্ত্রণা অপসারণের সাথে সাথে জীবন সংগ্রামে আনন্দলাভের নাম হচ্ছে শান্তি।'
চমৎকার বিশ্লেষণ। ধন্যবাদ

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রমানিক ভাই,

আমি এই দর্শনে বিশ্বাসী। শান্তির রাষ্ট্র চালু হোক সকলের জন্য।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভালো লাগলো। ভাল থাকবেন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাল থাকার দু'আ করার জন্য ভালবাসা জানবেন সুজন ভাই।
ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১১

নতুন বলেছেন: ধম` মানুষকে নিয়ন্ত্রনের একটা পদ্বতী.... ধম`গুরুরা তাদের সাথে` ব্যবহার করে।

সব ধম`ই চায় দুনিয়া তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকুক....

যদিও সৃস্টিকতার কোন প্রমান নেই...তারা মানুষকে ভয় দেখিয়ে বা লোভ দেখিয়ে মানুষকে ধম` মানতে অনুপ্রানিত করে...

ইতিহাসে বেশির ভাগ বড় ধম`ই শুরু হয়েছে ততকালীন সম্রাজ্যকে পরাস্হ করতে....।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তাজুলভাই,

ছোট্ট হলেও যথেষ্ট ছিমছাম সাজানো গোছানো, বেশ ভালো লাগলো লেখাটা ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে ২ নম্বর মন্তব্যে আমি যা বলেছি আপনি তা না পড়ে মন্তব্য করেছেন।
আমি ধর্মের সংজ্ঞা দেই নি। ডিকশনারি থেকে এর ধাতুগত অর্থ যেনে নিন। ডিকশনারিতে যা আছে তা বলেছি,
আপনি যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা ভুল বলেছি। ধর্ম শব্দটির সঙ্গে রিলিজিয়ন বা আফটার লাইফের কোন সম্পর্ক নেই বলেছি। কোটেশন মার্কের মধ্যে আপনার বক্তব্য কোট করে দেখিয়ে দিয়েছি ভুলটা কোথায় ।
ধর্মের শব্দের যে অর্থ বলেছি তাতে অত্যন্ত স্পষ্ট যে রিলিজিয়ন শব্দের সঙ্গে এর দূরত্ব অনেক, কাজেই কোন যায়গায় আমি দাবি কোরলাম ধর্ম আর দ্বীন এক জিনিস?
' আমাদের একটা সমস্যা, কেউ যখন কোন ধর্ম বা দল নিয়ে লেখা শুরু করে, তখন হুট করেই তাকে সে ধর্ম বা দলের অন্ধবিশ্বাসী বলে শীল মারা হয়ে যায়। এতেকরে শীলের বরকতে তার কোন কথাই আর শুনা হয়ে উঠে না।'


-এটি আপনার সমস্যা হতে পারে আমার না, নিজের সমস্যাকে 'আমাদের সমস্যা' বলে দাবি করার কোন যুক্তি দেখান নি। আমার মন্তব্যে কোথায় আপনাকে অন্ধবিশ্বাসী বলে সিল মারা হয়েছে বলে মনে হয়েছে?

ইসলাম মানে সাবমিশন এর প্রমান হিসেবে দুটি লিংক দিলাম, লাগলে আরো দেয়া যাবে

https://www.youtube.com/watch?v=M3fRO_kQK-Y

https://www.youtube.com/watch?v=09PsIC-l19w
এখন যদি মনে করেন এনারা সব আবাল, আর আপনিই জ্ঞানী- আপনি ভাবতে পারেন, আবারো বলি সেটা আমার সমস্যা না বা আমাদের সমস্যা না।
মন্তব্যের জবাব দেয়ার আগে মন্তব্যটি পড়ে তারপর জবাব দেবার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

গরল বলেছেন: মানুষকে বশে রাখার হাতিয়ার হিসাবে ধর্মের ব্যাবহার খুবই জনপ্রীয়ো।

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

আরোগ্য বলেছেন: চলুক। সাথে আছি।

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে ভাবতে চাই না। ধর্ম আমাকে ভাত দিবে না।

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

পবন সরকার বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্ম নিয়ে আজকাল আর মন্তব্য করতে পারি না।
মানুষ কি যে বলে তার ঠিক নেই।
তার চেয়ে চুপচাপ পড়ে যাই।

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২৫

বলেছেন: তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর,এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।

১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: দ্বীন শব্দটার ব্যাখ্যা জেনে ভাল লাগলো।
মা.হাসান এর দুটো মন্তব্যই প্রণিধানযোগ্য।
'ইসলাম' এর আরেকটি অর্থ হতে পারে সাবমিশন, এ কথাটার সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.