নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বঙ্গবন্ধু পরবর্তী আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামাইত্তা সকল কুকুরেরা বাঙলার প্রধান শত্রু।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হয়ত মুক্তির পথ খুলেছে আমাদের কোমলমতি শিশুদের...

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯


বাংলাদেশের এডুকেশন সিস্টেম নিয়ে আমাদের মধ্যে যারা ব্লগ লিখেছেন হজারো-হাজার তাদের সহ সবার জন্য একটি গুড নিউজ হচ্ছে, আগামী বছর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। আশা করা যায় এতে আমাদের কোমলমতি শিশুদের মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমবে। তবে ক্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার পদ্ধতি চালু রাখার মাধ্যমে সেই চাপটা পুরোপুরিভাবে কমবে বলে মনে হচ্ছে না। দেখা যাবে এই মূল্যায়নের নামে শিক্ষকেরা বার্ষিক পরীক্ষার চেয়ে কঠিন বা তারই সমমানের কোন মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করে বসবে।
শুনা যাচ্ছে প্রথম পর্যায়ে দেশের ১০০টি বিদ্যালয়ে পাইলটিং হিসেবে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এটা অবশ্যই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ভাল উদ্যোগ, যদি তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার পদ্ধতিকে সহজতর করার জন্য চাপে রাখেন, তা না হলে শিক্ষকরা তাদের অভ্যাসগত বার্ষিক পরীক্ষায় দেওয়া চাপের মত ক্লাস পরীক্ষায়ও চাপ প্রয়োগ করে বসবেন।

হ্যা, আমাদের সময় থেকে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিশুদের মানসিক দিক একটু বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তবে তারপরও প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকেরা ভাল ফলাফল আদায় করার নামে নিজেদের ইচ্ছে মত চাপ সৃষ্টি করছেন যা স্বাভাবিক বিবেচনায় নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। অথচ কোমলমতি শিশুদের থেকে উৎকৃষ্ট ফলাফল লাভ করা যায় তাদের আন্তরিকতা লাভের মাধ্যমে। আমাদের ছোট বেলায় দেখতাম, শিক্ষকদের শারীরিক নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য প্রায় শিক্ষার্থী আমাদের সাথে না বসে শেষের ডেস্কে বসতো। অনেকে আবার শিক্ষকদের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে ক্লাস ডাব্বা মারতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে শারীরিক নির্যাতন না থাকলেও তার চেয়েও বড় নির্যাতন (মানসিক নির্যাতন) আমাদের কোমলমতি শিশুদের মানসিক ক্ষমতা বিলুপ্ত করে চলেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষিত গতকালের সিদ্ধান্ত যদি বাস্তবায়ন হয়, তবে আশাকরি খুব দ্রুত ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা থেকেও আমাদের কোমলমতি শিশিদের মুক্তি দিবে। এমন পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ।



ছবিঃ গুগল

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

ইসিয়াক বলেছেন: আমার মনে হয় , এখনো এ ব্যাপারে তেমন কিছু বলার মতো সময় আসেনি।
এক একজন মন্ত্রীমহোদয় আসেন আর কোমল মতি ছোট ছোট শিশুদের উপর গিনিপিগের মতো প্রতি বছর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান ।
পঞ্চম শ্রেনির সমাপনী পরীক্ষার নামে যে চাপ । বই এর সিলেবাস দেখলে মাথা ঘুরে যায়। বাচ্চাদের কথা আর কি বলবো ।
এসবই অকাজের মন্ত্রী । কোচিংগুলো তো ঠিকই বহাল তবিয়তে চলছে.........।কিছু করতে পেরেছে না পারবে । সব [.......।]ঘুষখোর।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: চ্যাতবেন না, আশা নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়। যদিও আপনার কথাগুলো পুরোপুরি ঠিক, তবুও বলা যায় আমাদের সচিবদের কিছুটা হলেও সুবুদ্ধি আছে।
তবে কাগুর মত আকামের স্বার্থান্ধ মন্ত্রীদের কারণেই আমাদের সর্বক্ষেত্রে এই অপদস্ততা। হ্যা ভাই, তাদের বই, খাতা ও ডাইরি দেখলে মাঝেমধ্যে মনে হয় আমাদের প্রাইমারি স্কুলগুলো জাতিকে একএকজন নিউটন/এরিষ্টটলের/হকিং দিচ্ছে প্রতিদিন!


ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: তাই যেন হয়।

গোড়াটা মজবুত হলে সামনের দিন গুলোতে বেগ পেতে হবে না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আশাকরি মাথামোটা ঘাসখুরেরা অন্তত শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটু তার মত চলার সুযোগ দিবে। যদি ওরা সেখানে হস্তক্ষেপ না করতো তবে এতোদিনে তাদের মতো এতো মাথামোটা আকুটলা এই বাংলায় জন্মা তো না।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শিশুদের উপর একগাদা বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। আমার মেয়েকে প্লে তে ভর্তি করেছি ২০১৯ সালে ওর বই ১০/১২ টি বছরে অন্তত ৬ টি পরিক্ষা দিতে হচ্ছে। এটা সত্যি কোমলমতি শিশুদের উপর অত্যাচার ছাড়া কিছু নয়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অবস্থা এই রকম হয়েগেছে, যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি বই কোমলমতি শিশুদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিবে সে ততই ইন্টারনেশনাল ও পড়ালেখার প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রাখছে। এটা আমাদের অনেক বাঙালিই মুখস্ত কালেমার মত বিশ্বাস করেন।
পরীক্ষার নামে আলাদা চাপ প্রয়োগ করে তাদের চাঞ্চল্যতাকে ধ্বংস করে দেওয়া যেন আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সফলতা। বড়ই উজবোকদের রাষ্ট্রে আছি ভাই।

তারপর আপনি ভাল আছেন তো?

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল আছি, আপনিও নিশ্চয়ই ভালোই আছেন? আশাকরি অচিরেই আবার দেখা হবে। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ তারেক ভাই, আমি চমৎকার আছি। ইনশাআল্লাহ খুব অচিরেই দেখা হবে।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

শায়মা বলেছেন: আমাদের স্কুলে ক্লাস ৪ পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। শুধুই ক্লাস এসেসমেন্ট!

তাতে কি বড় হতে হতেই শুরু হয় সকল রকম ফন্দি ফিকির ....

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
:)

আপু, আমাদের প্রাইভেট স্কুলগুলোর মধ্যে অতি অল্প ক'টা স্কুল আছে যেগুলো স্বতন্ত্র ভাবে কোমলমতি শিশুদের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়ে থাকে। আর বাকিগুলোর মধ্যে অধিকাংশই মানকবিকতা লালন করে নিজেদের স্বার্থ লাভের ভেতর। অন্ধ পথ অবলম্বন করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে শিশুদের চাঞ্চল্যতাকে হত্যা করে।

শেষের লাইনের তফচির লাগিবে আপু :)

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: এটা বাস্তবায়িত হলে তা শিক্ষাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে নিঃসন্দেহে। আমরা ক্লাস ওয়ান এবং টু তে অনেক চাপ অনুভব করেছি। কারন ক্লাস টু এর পর সরকারী স্কুলে চান্স পাওয়ার জন্য প্রচুর প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হতো। সেটা এখনো প্রচলিত আছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে প্রতিনিয়ত আমাদের এই বঙ্গে যা ঘটে তা সত্যি বলে খুব বেশি দিন ঠিকে না! এই ধরেন না নিচের পদক্ষেপটা!


৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: যত সময় না পিএসসি আর জেএসসি নামের দুই অসভ্যতা বন্ধ করা হয়, তত সময়ে আসলে কোন গুড নিউজ নাই! ক্লাস ৩ পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা থাকবে না, কিন্তু ক্লাসে মূল্যায়ন পরীক্ষা থাকবে। বিষয়টা এমন যে আমরা কদু খাওয়াবো না; কিন্তু লাউ থাকবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আমাদের মন্ত্রণালয়ের অবস্থা হয়েছে "না ঘর কা না ঘাট কা"
শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। তবে সম্প্রতি নব নিযুক্ত সচিবদের প্রতি আমরা যে স্বল্পক আশা রাখছি তাও যদি ওরা বাস্তবায়ন করে, তবে ইনশাআল্লাহ আমাদের কোমলমতি বাচ্চারা অসভ্যতার লেলিহান অগ্নি থেকে মুক্তি পাবে, আর আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা হয়ে উঠবে কার্যত সূর্যের আলো রূপে।

ধন্যবাদ

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৬

নতুন বলেছেন: ভালো স্কুল বলতেই বেশি পড়ায় সেটা বুঝে জনগন। তাই স্কূলও ভালো হতে বেশি বেশি পরিক্ষা, বেশি বই, বেশি চাপ দেয় বাচ্চাদের।

আমাদের অভিভাবকেরা না বুঝতে শুরু করলে স্কুলও বেশি ভাব নিয়ে বাচ্চাদের উপরে চাপ বাড়াবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হয়েগেছে বানিজ্য ভিত্তিক, তাদের চিন্তা চেতনাও বানিজ্য ভিত্তিক হয়ে যাওয়ায় তারা কাষ্টমারের চাহিদার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। যদি এগুলো সত্যিকার অর্থে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হত তবে এদের কার্যকলাপ থেকে শিক্ষার্থী সহ তাদের অভিভাবকদেরও শিক্ষা গ্রহণ করার কথা। আমি বলছি না অভিভাবকগণ জমজমের পানি। তাদের অবশ্য বিষয়টি বিবেচনায় আনার কথা ছিল।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তাজুল ভাই,

আপনি একরকম ভেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আগামীর সিদ্ধান্তে আশা ব্যঞ্জনা করছেন। মাননীয় শিক্ষাবিদরাও এরকম চিন্তা ভাবনা করেছেন বলেই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ ফেল প্রথা উঠে যেতে চলেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে তার ফলাফল বুঝতে পরবর্তী 10/15 বছর সময় লাগবে।ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে একটু পরিচয় একসময় ছিল। ভারতের সর্ব শিক্ষা মিশন right to education act অনুযায়ী 14 বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিটি শিশুর অষ্টম মান পর্যন্ত এডুকেশন বাধ্যতামূলক করে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে সরকারি বিদ্যালয় থেকে পাশ ফেল প্রথা তুলে দেয়। হিসাব মেলানো খুব সহজ। পাশ ফেল চালু থাকলে অনেক বাচ্চাই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। কাজেই পাশ ফেল প্রথার নামক যাঁতাকল তুলে দিলে যে বাচ্চাটি আজ শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হবে আট বছর পর সে অষ্টম মান উত্তীর্ণ হবেই হবে। ফলে বহির্বিশ্বে নিজেদের সাক্ষরতার বা শিক্ষার পরিসংখ্যান ফলাও করে প্রচার করাও যাবে। উল্লেখ্য এই জেনারেশন প্রথম পাস ফেলের গন্ডিতে পদার্পণ করে নবম শ্রেণীতে গিয়ে আর দশম শ্রেণীতে গিয়ে মাধ্যমিক। এমতাবস্থায় প্রতিটি রাজ্যও পড়েছে মহাফ্যাসাদে। পাশ ফেল প্রথা তুলে দেওয়ার ফলে যে আবর্জনা তৈরি হয়েছে তারা না পারে বিজ্ঞান, না পারে অংক, না পারে বাংলা, ইতিহাস বা ভূগোল লিখতে পড়তেও। ন্যূনতম মেধা না থাকলেও তারা মাধ্যমিকে বসবে এবং বিরাট সংখ্যায় অকৃতকার্য হয়ে সরকারের মুখে চুনকালি দিতে পারে। অগত্য সরকারও পরিসংখ্যান বৃদ্ধির জন্য তাদের পাশ নম্বর 34 থেকে কমিয়ে আনলো 25 এ। তাতেও কোমলমতিরা খুব ভালো পরিসংখ্যান মেলে ধরতে পারল না। নিন্দুকরা পাশ ফেল প্রথা আবার চালু করার দাবি জানাতে থাকেন। এবার সরকার বাধ্য হয়ে কোশ্চেন প্যাটার্ন অবজেক্টিভ করে দিল। এখন অবশ্য জেনারেশন দারুণ রেজাল্ট করছে। কিন্তু মাধ্যমিকের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী ভালোকরে ঠিকানা লিখতেও পারেনা। গিটারকে গুটার উচ্চারণ করে। এটা তো গেলো কোয়ালিটির অবনমন।

যে কোনো সিদ্ধান্তের পেছনে অর্থনৈতিক কারণ যে মস্ত বড় কারণ সেটা ভুলে গেলে চলবে না। ভারতের ক্ষেত্রে সরকারি বোর্ডের পাশাপাশি বেসরকারি বোর্ড তৈরি হয়েছে।বলা যায় সরকার বেসরকারি বোর্ডের অ্যাফিলিয়েশন দিয়েছে। যে সমস্ত বাবা মায়েরা সচেতন তারা তাদের বাচ্চাদের সরকারি স্কুলের না পড়িয়ে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেন। যেখানে প্রতি বছর পাশ ফেলের মাধ্যমে বাচ্চারা ক্লাসে উঠে। সরকারি স্কুলের মিড ডে মিল, জামা-জুতো খাতা পেন ব্যাগ সাইকেল পাওয়া যায় । এমনকি পড়াশোনা না করলেও ক্লাসে ওঠা যায়। কিন্তু স্কুল গুলি হারিয়েছে তার নিজস্বতা ,তার পড়ার পরিবেশ। বেসরকারি স্কুলে এসব উপদ্রব কিছুই নাই। শুধু পড়াশোনা আছে। সেখানে বাচ্চা নিতে না পারলেও বাবা-মায়েরা অনেক ডোনেশন দিয়ে সন্তানদের বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তি করেন। দেশের শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রীদের সন্তানরা অবশ্য বেসরকারি স্কুলগুলোতে পড়ে। সুতরাং সহজেই অনুমেয় এডুকেশন ব্যবসাকে রমরমা করতে গেলে সরকারি স্কুলগুলোতে পড়াশোনা লাটে তুলে পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যদি সরকার সরকারি স্কুল থেকে পাশ ফেল তুলে দেয় তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য। সে ক্ষেত্রে গোটা দেশে একটি মাত্র ব্যবস্থা থাকাটা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু কোন অবস্থায় যদি সমন্তরাল বোর্ড চালু করে বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে বা অব্যাহত রাখে তাহলে বুঝতে হবে নেপথ্যে উদ্দেশ্য এডুকেশন ব্যবসাকে প্রমোট করা, যেটা প্রকারান্তরে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার জেরক্স বৈকি।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩২

বলেছেন: পরীক্ষা থাকলেই ভালা ----------------------

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপাততঃ, এটি একটি সুসংবাদ। তবে তৃতীয় শ্রেণীর পর থেকে পরীক্ষা ব্যবস্থা একেবারে উঠিয়ে দেয়ার পক্ষে আমি নই, পরীক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করে চালু রাখার পক্ষে। ছাত্ররা বিদ্যালয় থেকে তাদের বয়স অনুযায়ী জ্ঞান আহরণ করতে সমর্থ হলো কিনা, তা যাচাই করার প্রয়োজন আছে।
একটি চমৎকার মন্তব্যের জন্যে (৯ নং) পদাতিক চৌধুরি কে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.